ক্ষুব্ধ অধিকারকর্মীদের অভিযোগ
অর্চি হক, ঢাকা
চার মাসের বেশি সময় আলোচনার পর জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে নারী আসন নিয়ে কমিশনের আলোচনা পর্বে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল না থাকার মতো। ঐকমত্য কমিশনে শুরু থেকে কোনো নারী সদস্য নেই। আর বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল নারী প্রতিনিধি ছাড়াই এ-বিষয়ক আলোচনায় অংশ নিয়েছে। নারী অধিকারকর্মীরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নারীবিবর্জিত ঐকমত্য কমিশনের নারী আসন বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
ঐকমত্য কমিশনে নারী আসন বিষয়ে গত ১৪ জুলাই থেকে অন্তত চার দিন আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় বিএনপি, জামায়াত, সিপিবি, বাসদ, এলডিপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল নারী প্রতিনিধি ছাড়াই অংশ নিয়েছে। কমিশনের আলোচনায় এনসিপি, জেএসডি, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বাসদ-মার্ক্সবাদী, আমজনতার দল ছাড়া কোনো দলের আলোচকদের মধ্যে কোনো নারী ছিলেন না।
এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক বলেন, ‘নারীদের অধিকার এবং প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এটা ঐকমত্য কমিশনের চিত্র দেখলেই বোঝা যায়। একটা দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে উপেক্ষা করে বৈষম্য দূর করা কীভাবে সম্ভব?’
এ বিষয়ে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য মাহবুবা হাবিবা বলেন, ‘দলের মধ্যে কে, কোন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন, তা ভাগ করা থাকে। ঐকমত্য কমিশনের বিষয়ে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেখানে হয়তো নারী প্রতিনিধি নেই, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অন্য বিষয়ে নারী প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।’
ঐকমত্য কমিশন সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া আগামী নির্বাচনে দলগুলোকে ৫ শতাংশ আসনে নারীদের প্রার্থী করার অনুরোধ করা হয়েছে। তবে সব রাজনৈতিক দল এখনো এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়নি। বিএনপি ৫ শতাংশ আসনে নারীদের প্রার্থী করার বিষয়ে একমত হয়েছে। তবে এতে আপত্তির কথা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তাদের দাবি, সরাসরি নির্বাচনের ১৫ শতাংশ আসনে নারীদের মনোনয়ন দিতে দলগুলোকে বাধ্য করতে হবে। নারী আসনের প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশ জাসদেরও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (আপত্তি) রয়েছে।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন সংসদে ৬০০ আসন করে নারীদের জন্য ৩০০ সংরক্ষিত আসনের সুপারিশ করেছিল। সংরক্ষিত এই আসনগুলোতে সরাসরি নির্বাচনের পরামর্শ দিয়েছিল নারী কমিশন। নারী কমিশনের এই দুই সুপারিশের কোনোটিই মানেনি ঐকমত্য কমিশন। এ বিষয়ে শিরীন পারভিন হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাহলে সংসদে অর্ধেক নারী প্রতিনিধি থাকলে সমস্যা কোথায়? ঐকমত্য কমিশনের অনুরোধমতো দলগুলো প্রতি নির্বাচনে ৫ শতাংশ করে নারী প্রার্থী বাড়ালেও ২০৪৩ সালে গিয়ে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধি পাবে সংসদ।’
নারী আসন বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে দেশের নারী অধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সংগঠনটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেছেন, নারী আসন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত পশ্চাৎপদ। তিনি নারীদের জন্য ১০০ সংরক্ষিত আসন এবং এই আসনগুলোতে সরাসরি নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে রাজনৈতিক দলে অন্তত ৩৩ শতাংশ নারী থাকার আহ্বানের বিষয়টি উল্লেখ করে ৫ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি দুঃখজনক এবং নারীদের পিছিয়ে নেওয়ার শামিল আখ্যা দিয়েছেন শিক্ষাবিদ মাহিন সুলতান। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের এই সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারীদের বিষয়টিকে কম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা বলেন, ‘আমাদের দলসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলেই অনেক যোগ্য নারীনেত্রী রয়েছেন। চাইলেই তাঁরা ১৫ শতাংশ বা তার বেশি আসনে নারীদের মনোনয়ন দিতে পারেন।’
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রতিনিধি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারীদের সঙ্গে বেইমানি করা হয়েছে। আন্দোলনে নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এখন সব জায়গা থেকে তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’
চার মাসের বেশি সময় আলোচনার পর জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে নারী আসন নিয়ে কমিশনের আলোচনা পর্বে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল না থাকার মতো। ঐকমত্য কমিশনে শুরু থেকে কোনো নারী সদস্য নেই। আর বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল নারী প্রতিনিধি ছাড়াই এ-বিষয়ক আলোচনায় অংশ নিয়েছে। নারী অধিকারকর্মীরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নারীবিবর্জিত ঐকমত্য কমিশনের নারী আসন বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
ঐকমত্য কমিশনে নারী আসন বিষয়ে গত ১৪ জুলাই থেকে অন্তত চার দিন আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় বিএনপি, জামায়াত, সিপিবি, বাসদ, এলডিপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল নারী প্রতিনিধি ছাড়াই অংশ নিয়েছে। কমিশনের আলোচনায় এনসিপি, জেএসডি, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বাসদ-মার্ক্সবাদী, আমজনতার দল ছাড়া কোনো দলের আলোচকদের মধ্যে কোনো নারী ছিলেন না।
এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক বলেন, ‘নারীদের অধিকার এবং প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এটা ঐকমত্য কমিশনের চিত্র দেখলেই বোঝা যায়। একটা দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে উপেক্ষা করে বৈষম্য দূর করা কীভাবে সম্ভব?’
এ বিষয়ে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য মাহবুবা হাবিবা বলেন, ‘দলের মধ্যে কে, কোন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন, তা ভাগ করা থাকে। ঐকমত্য কমিশনের বিষয়ে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেখানে হয়তো নারী প্রতিনিধি নেই, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অন্য বিষয়ে নারী প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।’
ঐকমত্য কমিশন সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া আগামী নির্বাচনে দলগুলোকে ৫ শতাংশ আসনে নারীদের প্রার্থী করার অনুরোধ করা হয়েছে। তবে সব রাজনৈতিক দল এখনো এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়নি। বিএনপি ৫ শতাংশ আসনে নারীদের প্রার্থী করার বিষয়ে একমত হয়েছে। তবে এতে আপত্তির কথা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তাদের দাবি, সরাসরি নির্বাচনের ১৫ শতাংশ আসনে নারীদের মনোনয়ন দিতে দলগুলোকে বাধ্য করতে হবে। নারী আসনের প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশ জাসদেরও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (আপত্তি) রয়েছে।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন সংসদে ৬০০ আসন করে নারীদের জন্য ৩০০ সংরক্ষিত আসনের সুপারিশ করেছিল। সংরক্ষিত এই আসনগুলোতে সরাসরি নির্বাচনের পরামর্শ দিয়েছিল নারী কমিশন। নারী কমিশনের এই দুই সুপারিশের কোনোটিই মানেনি ঐকমত্য কমিশন। এ বিষয়ে শিরীন পারভিন হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাহলে সংসদে অর্ধেক নারী প্রতিনিধি থাকলে সমস্যা কোথায়? ঐকমত্য কমিশনের অনুরোধমতো দলগুলো প্রতি নির্বাচনে ৫ শতাংশ করে নারী প্রার্থী বাড়ালেও ২০৪৩ সালে গিয়ে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধি পাবে সংসদ।’
নারী আসন বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে দেশের নারী অধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সংগঠনটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেছেন, নারী আসন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত পশ্চাৎপদ। তিনি নারীদের জন্য ১০০ সংরক্ষিত আসন এবং এই আসনগুলোতে সরাসরি নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে রাজনৈতিক দলে অন্তত ৩৩ শতাংশ নারী থাকার আহ্বানের বিষয়টি উল্লেখ করে ৫ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি দুঃখজনক এবং নারীদের পিছিয়ে নেওয়ার শামিল আখ্যা দিয়েছেন শিক্ষাবিদ মাহিন সুলতান। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের এই সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারীদের বিষয়টিকে কম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা বলেন, ‘আমাদের দলসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলেই অনেক যোগ্য নারীনেত্রী রয়েছেন। চাইলেই তাঁরা ১৫ শতাংশ বা তার বেশি আসনে নারীদের মনোনয়ন দিতে পারেন।’
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রতিনিধি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারীদের সঙ্গে বেইমানি করা হয়েছে। আন্দোলনে নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এখন সব জায়গা থেকে তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। আগামী মঙ্গলবার বিকেলে এই খসড়া ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে...
২২ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরত এসেছেন আরও ৩৯ বাংলাদেশি। একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরত আসেন তাঁরা। আজ শনিবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় দলটি। রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই ঘোষণাপত্রকে ‘বাস্তবতা’ বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান মাহফুজ আলম।
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ৫ আগস্ট জুলাই জাতীয় সনদ ঘোষণা করতে চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সে অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই পর্বের সংলাপ শেষে সনদ প্রণয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। খসড়া চূড়ান্ত করে দলগুলোর মতামত ও স্বাক্ষর নেওয়ার কাজটুকুই এখন বাকি। তবে সনদের বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া
১১ ঘণ্টা আগে