অনলাইন ডেস্ক
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেলের যাত্রীরা সবাই নিজেদের বাড়ির কাছে স্টেশন চায়। কিন্তু এটা তো সম্ভব নয়। এতে বিগত সময়ে সংকটকে গুরুত্ব না দিয়ে, যেখানে-সেখানে রেল স্টেশন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যতই স্টপেজের সংখ্যা বাড়াবেন, ততই যাতায়াতের সময় বাড়বে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে পুরোপুরি ট্রেন চলাচল উদ্বোধন ঘোষণা করার সময় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এই মন্তব্য করেন। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ইয়েন উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধনের ১৪ মাস পর আজ মঙ্গলবার সরাসরি পুরো পদ্মা সেতু রেল সংযোগ পথ পাড়ি দিয়ে খুলনা ও বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল চালু হলো। এই পথ চালু হওয়ায় এ দুই রুটে যাত্রার সময় ও দূরত্ব দুটিই কমে প্রায় অর্ধেকে দাঁড়াচ্ছে। খুলনা থেকে ছেড়ে আসা নতুন ট্রেন জাহানবাদ এক্সপ্রেস ৯টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসার কথা থাকলেও ট্রেনটি পৌঁছায় সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে। ট্রেনটি আবার রূপসী বাংলা নামে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
সাধারণ যাত্রীদের উদ্দেশ্য করে ফাওজুল কবির বলেন, ‘সবাই আশা করেন যে, রেলগাড়িটি তাদের বাড়ির পাশে থামবে। আবার তাঁরা এটাও চান, তাঁরা দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাবেন। এটা সম্ভব নয়। আপনি যতই স্টপেজের সংখ্যা বাড়াবেন, ততই যাতায়াতের সময় বাড়বে। এখন এমন একটা ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, প্রতিটি জায়গাতেই রেলস্টেশন করতে হবে। প্রতিটি স্টেশনেই রেলগাড়ি থামাতে হবে। এটা ভালো লক্ষণ নয়। যেখানে যাত্রী বেশি হবে, সেখানেই গাড়ি থামবে। যেখানেই রাজস্ব পাওয়া যাবে, সেখানে রেলগাড়ি থামবে।’
রেল নিয়ে মানুষের অসন্তোষ আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের লোকোমোটিভের সংকট আছে, কোচের সংকট আছে, লোকবলের সংকট আছে। রেল সীমিত লোকবল দিয়ে কাজ করছে। তবে কেউ তাদের কথা বলে না। আমি বলব, তারা রেলের আনসাং হিরো।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে রেলের কর্মকর্তা, ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করেছেন। সেনাবাহিনীও কাজ করেছে। তাদের ধন্যবাদ।’
রেলের যে বর্তমান অবস্থা, সেখানে আসার কারণ অপরিপক্ব ব্যয় বলে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এর আগে যত্রতত্র স্টেশন করা হয়েছে। কোনো কিছু না জেনেই এগুলো করা হয়েছে।’
যাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যাত্রীরা আশা করেন, রেল তাদের বাড়ির পাশে থামবে। আবার তারা দ্রুততম সময়ে যেতেও চান। স্টেশন বাড়লে ট্রেন থামবে, এতে সময় লাগবে। এটা বাড়ির কাছে থামে না। কোনো একটা বাহন স্টেশনে যেতে হয়। আমরা আশা করব, যেখানে যাত্রী বেশি হবে সেখানে রেল থামবে।’
রেল একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘রেলের আয় দিয়ে ব্যয় নির্বাহ করতে হবে। সব খাতেই ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এটা কত দেওয়া যায়? আমাদের ব্যয় সাশ্রয়ী হতে হবে। আমাদের ব্যয় আশপাশের দেশ থেকে অনেক বেশি। সবাইকে অনুরোধ জানাব, কীভাবে খরচ কমানো যায় তা করতে। এটা হলে সেবা দিতে সক্ষম হব।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত বক্তব্য দেন। এ সময় দুই দেশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, রেল সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে রেলপথে পদ্মা সেতু হয়ে খুলনার দূরত্ব প্রায় ৪১২ কিলোমিটার। কারণ, ট্রেনগুলো পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুর-কুষ্টিয়া-দর্শনা হয়ে খুলনায় যায়। কিন্তু পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্প পুরো চালু হওয়ার পর ঢাকা-খুলনা পথের দূরত্ব দাঁড়িয়েছে ২৩৭ কিলোমিটার। বর্তমান পথে ঢাকা থেকে বেনাপোলের দূরত্ব ৩৫৬ কিলোমিটার। নতুন রেলপথে এই দূরত্ব কমে হচ্ছে ১৭২ কিলোমিটার। নতুন রেলপথে ঢাকা থেকে খুলনায় ট্রেনে যেতে লাগবে পৌনে চার ঘণ্টা, যেখানে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে এই যাত্রায় সময় লাগে সাড়ে ৯ ঘণ্টা।
বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে বেনাপোলে যেতে ট্রেনে সময় লাগে সাড়ে সাত ঘণ্টা। নতুন রেলপথে যেতে লাগবে সাড়ে তিন ঘণ্টা। দূরত্ব ও যাত্রার সময় কমলেও ইঞ্জিন-কোচের স্বল্পতার কারণে আপাতত দুই জোড়ার বেশি নতুন ট্রেন চালানোর সক্ষমতা রেলওয়ের নেই।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেলের যাত্রীরা সবাই নিজেদের বাড়ির কাছে স্টেশন চায়। কিন্তু এটা তো সম্ভব নয়। এতে বিগত সময়ে সংকটকে গুরুত্ব না দিয়ে, যেখানে-সেখানে রেল স্টেশন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যতই স্টপেজের সংখ্যা বাড়াবেন, ততই যাতায়াতের সময় বাড়বে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে পুরোপুরি ট্রেন চলাচল উদ্বোধন ঘোষণা করার সময় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এই মন্তব্য করেন। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ইয়েন উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধনের ১৪ মাস পর আজ মঙ্গলবার সরাসরি পুরো পদ্মা সেতু রেল সংযোগ পথ পাড়ি দিয়ে খুলনা ও বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল চালু হলো। এই পথ চালু হওয়ায় এ দুই রুটে যাত্রার সময় ও দূরত্ব দুটিই কমে প্রায় অর্ধেকে দাঁড়াচ্ছে। খুলনা থেকে ছেড়ে আসা নতুন ট্রেন জাহানবাদ এক্সপ্রেস ৯টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসার কথা থাকলেও ট্রেনটি পৌঁছায় সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে। ট্রেনটি আবার রূপসী বাংলা নামে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
সাধারণ যাত্রীদের উদ্দেশ্য করে ফাওজুল কবির বলেন, ‘সবাই আশা করেন যে, রেলগাড়িটি তাদের বাড়ির পাশে থামবে। আবার তাঁরা এটাও চান, তাঁরা দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাবেন। এটা সম্ভব নয়। আপনি যতই স্টপেজের সংখ্যা বাড়াবেন, ততই যাতায়াতের সময় বাড়বে। এখন এমন একটা ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, প্রতিটি জায়গাতেই রেলস্টেশন করতে হবে। প্রতিটি স্টেশনেই রেলগাড়ি থামাতে হবে। এটা ভালো লক্ষণ নয়। যেখানে যাত্রী বেশি হবে, সেখানেই গাড়ি থামবে। যেখানেই রাজস্ব পাওয়া যাবে, সেখানে রেলগাড়ি থামবে।’
রেল নিয়ে মানুষের অসন্তোষ আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের লোকোমোটিভের সংকট আছে, কোচের সংকট আছে, লোকবলের সংকট আছে। রেল সীমিত লোকবল দিয়ে কাজ করছে। তবে কেউ তাদের কথা বলে না। আমি বলব, তারা রেলের আনসাং হিরো।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে রেলের কর্মকর্তা, ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করেছেন। সেনাবাহিনীও কাজ করেছে। তাদের ধন্যবাদ।’
রেলের যে বর্তমান অবস্থা, সেখানে আসার কারণ অপরিপক্ব ব্যয় বলে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এর আগে যত্রতত্র স্টেশন করা হয়েছে। কোনো কিছু না জেনেই এগুলো করা হয়েছে।’
যাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যাত্রীরা আশা করেন, রেল তাদের বাড়ির পাশে থামবে। আবার তারা দ্রুততম সময়ে যেতেও চান। স্টেশন বাড়লে ট্রেন থামবে, এতে সময় লাগবে। এটা বাড়ির কাছে থামে না। কোনো একটা বাহন স্টেশনে যেতে হয়। আমরা আশা করব, যেখানে যাত্রী বেশি হবে সেখানে রেল থামবে।’
রেল একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘রেলের আয় দিয়ে ব্যয় নির্বাহ করতে হবে। সব খাতেই ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এটা কত দেওয়া যায়? আমাদের ব্যয় সাশ্রয়ী হতে হবে। আমাদের ব্যয় আশপাশের দেশ থেকে অনেক বেশি। সবাইকে অনুরোধ জানাব, কীভাবে খরচ কমানো যায় তা করতে। এটা হলে সেবা দিতে সক্ষম হব।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত বক্তব্য দেন। এ সময় দুই দেশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, রেল সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে রেলপথে পদ্মা সেতু হয়ে খুলনার দূরত্ব প্রায় ৪১২ কিলোমিটার। কারণ, ট্রেনগুলো পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুর-কুষ্টিয়া-দর্শনা হয়ে খুলনায় যায়। কিন্তু পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্প পুরো চালু হওয়ার পর ঢাকা-খুলনা পথের দূরত্ব দাঁড়িয়েছে ২৩৭ কিলোমিটার। বর্তমান পথে ঢাকা থেকে বেনাপোলের দূরত্ব ৩৫৬ কিলোমিটার। নতুন রেলপথে এই দূরত্ব কমে হচ্ছে ১৭২ কিলোমিটার। নতুন রেলপথে ঢাকা থেকে খুলনায় ট্রেনে যেতে লাগবে পৌনে চার ঘণ্টা, যেখানে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে এই যাত্রায় সময় লাগে সাড়ে ৯ ঘণ্টা।
বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে বেনাপোলে যেতে ট্রেনে সময় লাগে সাড়ে সাত ঘণ্টা। নতুন রেলপথে যেতে লাগবে সাড়ে তিন ঘণ্টা। দূরত্ব ও যাত্রার সময় কমলেও ইঞ্জিন-কোচের স্বল্পতার কারণে আপাতত দুই জোড়ার বেশি নতুন ট্রেন চালানোর সক্ষমতা রেলওয়ের নেই।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ভবন নির্মাণে অনিয়ম পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর। ১৬০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এসব ভবন নির্মাণে কোনো প্রকল্প করা হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রও নেওয়া হয়নি। খরচ করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের ‘ইচ্ছেমতো’। নিরীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে দুই অর্থবছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি অনিয়মে
২ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারকে আর্থিক সুবিধা প্রদান এবং আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে অধ্যাদেশ হচ্ছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তরকে এই আইনের আওতায় আনা হবে। এই অধিদপ্তরের মাধ্যমেই শহীদদের পরিবারকে
২ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি-নিয়ন্ত্রিত রাখাইনে বাংলাদেশ হয়ে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর কোনো ধরনের ব্যবস্থা চায় না। আবার অন্তর্বর্তী সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে যে আন্তর্জাতিক সম্মেলন করতে চায়, তাতেও জান্তার আপত্তি আছে।
২ ঘণ্টা আগেহেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা ২০৩টি মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য থানাগুলোতে তদন্ত শুরু হয়েছে, দেওয়া হবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন। যেসব মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়ে
৩ ঘণ্টা আগে