নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে তাঁর লাশ রয়েছে কিনা সেটা নিয়ে জাতীয় সংসদে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাংসদেরা। আজ বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভস বিল, ২০২১’ বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হয়।
বিএনপির সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিয়ে সংসদে প্রথম আলোচনা করেন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জিয়ার লাশ থাকার বিষয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানের প্রস্তাব দেন। আর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিএনপিকে লাশ প্রমাণে এক মাস সময় দেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, লাশ থাকলে তার স্ত্রী সন্তানকে দেখানো হয়নি কেন? যদি লাশ থেকে থাকে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রমাণ দিতে হবে। ভবিষ্যতে সংসদে লাশ নিয়ে কোন কথা না হয় সেই বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নিতে স্পিকারের কাছে দাবি করেন।
বিলটি বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবে আলোচনাকালে বিএনপির সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমানের লাশ সেখানে (চন্দ্রিমা উদ্যান) আছে কি নাই, সেটা বড় বিষয় নয়। সেখানে যে লাশ নাই, তা আপনারা (আওয়ামী লীগ) কীভাবে জানলেন? এত বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। এটা নিয়ে আগে কথা বলেন নাই কেন? এখন কেন বলছেন?
জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ইতিহাস বিকৃতিতো বিএনপিও করে। তাঁরা বলে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান। এই বিষয়ে আমাদের সুপ্রিম কোর্টের নিদর্শনা রয়েছে। আর তিনি (জিয়াউর রহমান) বেঁচে থাকতে কখনোই বলতে শোনেনি, দেখিনি উনি নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলেছেন। তাদের প্রথমে ইতিহাস বিকৃতি বন্ধ করতে হবে। তারপর আওয়ামী লীগ যদি ইতিহাস বিকৃতি করে থাকে, সেটা বন্ধের আহ্বান বিএনপি জানাতে পারে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, সংসদ ভবন নিয়ে লুই কানের যে নকশা সেখানে কোথায় রয়েছে যে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ দাফন করতে হবে। সেখানে লাশ আছে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বেগম জিয়া স্বামী মনে করে কাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। তাঁরই উচিত এই প্রশ্ন করা ওনার স্বামীর লাশ সেখানে আছে কিনা? বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে তারই নির্ণয় উচিত। আপনারা দলের নেতা ভেবে কাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। ওখানে কি কারও মৃতদেহ আছে? নাকি অন্যকারো মৃতদেহ আছে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, একজন সাংসদ বলেছেন, সঠিক ইতিহাস আসতে নাকি শত বছর লাগে। মৃত্যুর ৪০ বছর পরে সঠিক ইতিহাস বের হলে সমস্যা কোথায়? জিয়াউর রহমানের লাশ আছে কি নাই। এটা বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণের ব্যবস্থা আছে। আপনারা (বিএনপি) নিরপেক্ষ একটা কমিটি করেন। সরকার সহযোগিতা করবে। সত্য উৎঘাটনে ভয়ের কি আছে? আপনাদের দলের নেত্রীকে বলেন, যদিও তিনি সাজাপ্রাপ্ত। প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পা নিয়ে সাজা স্থগিত নিয়ে বসবাস করছেন। আইনের সুযোগ থাকলে তার নেতৃত্বে কমিটি করেন।
বিএনপির দলীয় সংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ তাঁর বক্তব্যে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ১৯৭৯ সালে সংসদ ছিল। সেখানে আওয়ামী লীগও ছিল। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে যে জানাজা হয়েছিল, তাতে সাংসদেরা উপস্থিত ছিলেন। শোকপ্রস্তাবের ওপর সংসদে দীর্ঘ আলোচনায় তাঁরা অংশ নিয়েছিলেন। সেগুলো প্রসেডিংসের মধ্যে রয়েছে। আমার কথায় যদি কোন অপ্রাসঙ্গিক থাকে তা এক্সপাঞ্জ করুন।
বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, ইতিহাস সব সময় জয়ীদের হাতে লেখা হয় বলে তাই আমাদের মতো দেশে প্রকৃত ইতিহাস জানতে শত বছর লাগে। যত দিন পর্যন্ত দলীয় চশমায় ইতিহাস লেখা হয় তাতে আইন পাশ করে কোন লাভ হবে না। আজকে ৪০ বছর পরে কেন জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে এই বিতর্ক। এই কারণে সরকারের ব্যর্থতা, ভোট চুরি, গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাট থেকে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এই বিতর্ক করা হচ্ছে। রুমিন ফারহানার বক্তব্যের শেষের দিকে সংসদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সরকার দলীয় সদস্যরা হইচই করেন।
পরে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, আজ ৪০ বছর পর লাশ নিয়ে লাফালাফি করা হচ্ছে। সংসদ ভবন এলাকায় জিয়াউর রহমানের লাশ রয়েছে বিএনপির এমপিরা তা সংসদে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সেখানে যে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই সেটা ৪০ বছর আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে তাঁর লাশ রয়েছে কিনা সেটা নিয়ে জাতীয় সংসদে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাংসদেরা। আজ বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভস বিল, ২০২১’ বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হয়।
বিএনপির সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিয়ে সংসদে প্রথম আলোচনা করেন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জিয়ার লাশ থাকার বিষয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানের প্রস্তাব দেন। আর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিএনপিকে লাশ প্রমাণে এক মাস সময় দেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, লাশ থাকলে তার স্ত্রী সন্তানকে দেখানো হয়নি কেন? যদি লাশ থেকে থাকে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রমাণ দিতে হবে। ভবিষ্যতে সংসদে লাশ নিয়ে কোন কথা না হয় সেই বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নিতে স্পিকারের কাছে দাবি করেন।
বিলটি বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবে আলোচনাকালে বিএনপির সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমানের লাশ সেখানে (চন্দ্রিমা উদ্যান) আছে কি নাই, সেটা বড় বিষয় নয়। সেখানে যে লাশ নাই, তা আপনারা (আওয়ামী লীগ) কীভাবে জানলেন? এত বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। এটা নিয়ে আগে কথা বলেন নাই কেন? এখন কেন বলছেন?
জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ইতিহাস বিকৃতিতো বিএনপিও করে। তাঁরা বলে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান। এই বিষয়ে আমাদের সুপ্রিম কোর্টের নিদর্শনা রয়েছে। আর তিনি (জিয়াউর রহমান) বেঁচে থাকতে কখনোই বলতে শোনেনি, দেখিনি উনি নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলেছেন। তাদের প্রথমে ইতিহাস বিকৃতি বন্ধ করতে হবে। তারপর আওয়ামী লীগ যদি ইতিহাস বিকৃতি করে থাকে, সেটা বন্ধের আহ্বান বিএনপি জানাতে পারে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, সংসদ ভবন নিয়ে লুই কানের যে নকশা সেখানে কোথায় রয়েছে যে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ দাফন করতে হবে। সেখানে লাশ আছে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বেগম জিয়া স্বামী মনে করে কাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। তাঁরই উচিত এই প্রশ্ন করা ওনার স্বামীর লাশ সেখানে আছে কিনা? বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে তারই নির্ণয় উচিত। আপনারা দলের নেতা ভেবে কাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। ওখানে কি কারও মৃতদেহ আছে? নাকি অন্যকারো মৃতদেহ আছে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, একজন সাংসদ বলেছেন, সঠিক ইতিহাস আসতে নাকি শত বছর লাগে। মৃত্যুর ৪০ বছর পরে সঠিক ইতিহাস বের হলে সমস্যা কোথায়? জিয়াউর রহমানের লাশ আছে কি নাই। এটা বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণের ব্যবস্থা আছে। আপনারা (বিএনপি) নিরপেক্ষ একটা কমিটি করেন। সরকার সহযোগিতা করবে। সত্য উৎঘাটনে ভয়ের কি আছে? আপনাদের দলের নেত্রীকে বলেন, যদিও তিনি সাজাপ্রাপ্ত। প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পা নিয়ে সাজা স্থগিত নিয়ে বসবাস করছেন। আইনের সুযোগ থাকলে তার নেতৃত্বে কমিটি করেন।
বিএনপির দলীয় সংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ তাঁর বক্তব্যে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ১৯৭৯ সালে সংসদ ছিল। সেখানে আওয়ামী লীগও ছিল। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে যে জানাজা হয়েছিল, তাতে সাংসদেরা উপস্থিত ছিলেন। শোকপ্রস্তাবের ওপর সংসদে দীর্ঘ আলোচনায় তাঁরা অংশ নিয়েছিলেন। সেগুলো প্রসেডিংসের মধ্যে রয়েছে। আমার কথায় যদি কোন অপ্রাসঙ্গিক থাকে তা এক্সপাঞ্জ করুন।
বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, ইতিহাস সব সময় জয়ীদের হাতে লেখা হয় বলে তাই আমাদের মতো দেশে প্রকৃত ইতিহাস জানতে শত বছর লাগে। যত দিন পর্যন্ত দলীয় চশমায় ইতিহাস লেখা হয় তাতে আইন পাশ করে কোন লাভ হবে না। আজকে ৪০ বছর পরে কেন জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে এই বিতর্ক। এই কারণে সরকারের ব্যর্থতা, ভোট চুরি, গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাট থেকে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এই বিতর্ক করা হচ্ছে। রুমিন ফারহানার বক্তব্যের শেষের দিকে সংসদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সরকার দলীয় সদস্যরা হইচই করেন।
পরে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, আজ ৪০ বছর পর লাশ নিয়ে লাফালাফি করা হচ্ছে। সংসদ ভবন এলাকায় জিয়াউর রহমানের লাশ রয়েছে বিএনপির এমপিরা তা সংসদে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সেখানে যে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই সেটা ৪০ বছর আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে আনা ৫টি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
১২ ঘণ্টা আগেআগামী ৫ দিন পর্যন্ত গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বাড়তে পারে, তবে বিপদসীমার নীচ দিয়ে তা প্রবাহিত হতে পারে। আজ শনিবার গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বাড়ছে ।
১২ ঘণ্টা আগেছবিতে দেখা যায়, সেনাপ্রধান ও তাঁর স্ত্রী সারাহনাজ কমলিকা রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও বঙ্গবভনের কর্মকর্তারা। তাঁরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে করমর্দন ও উষ্ণ আলিঙ্গন করেন।
১৩ ঘণ্টা আগেস্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) তাঁর মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে