সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। আজ বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ নেওয়ার কথা। নতুন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈরী মনোভাবের বিষয়টি সবারই জানা। এমন অবস্থায় বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সরকার কোন পথ অনুসরণ করবে, তা জানতে উন্মুখ হয়ে আছেন দেশ-বিদেশের কূটনীতিকেরা।
ইউনূসকে পশ্চিমাদের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের আস্থাভাজন বলে মনে করা হয়। কাজেই ভূরাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুই শক্তি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সম্পর্কের রসায়ন কী দাঁড়াতে পারে, সে বিষয়ে চলছে নানামুখী আলাপ। বাংলাদেশের কয়েকজন কূটনীতিক গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা নতুন সরকারের কাছ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গত ১৫ বছরে যে চেহারা পেয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কী হতে পারে, সে বিষয়ে বাইরের দেশে একধরনের বিশ্লেষণ চলছে।’
ইউনূস অবশ্য জোর দিচ্ছেন বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ওপর। ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভিকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে টানা অস্থিতিশীলতা চলতে থাকলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দুই নিকট প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারে। এমন পরিস্থিতি কারও জন্যই স্বস্তির ব্যাপার হবে না।’
ইউনূসের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র বলেছে, নতুন সরকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব যাঁকেই দেওয়া হোক না কেন, ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশে বাংলাদেশের অন্তত ১০টি দূতাবাসের শীর্ষ পদে দ্রুত রদবদল অনেকটা নিশ্চিত। শেখ হাসিনার সরকারের নিয়োগ করা বর্তমান পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, আবুধাবিসহ কয়েকটি দেশে নিয়োজিত রাষ্ট্রদূতদের চুক্তি বাতিল সময়ের ব্যাপারমাত্র। দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানকেও বদলি করা হতে পারে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
দিল্লির কূটনীতিকেরা বলছেন, শেখ হাসিনার সরকারের মাধ্যমে ভারত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নিজেদের উদ্বেগের অবসান ঘটিয়েছে। আঞ্চলিক নিবিড় যুক্ততার একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। তাঁর সরকারের আচমকা পতনে ভারত অনেকটা হকচকিত। এমন অবস্থায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তাঁরা। জয়শঙ্কর মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বলেছেন, ভারত সরকার সঠিক সময় বেছে নিয়ে সে অনুযায়ী উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এমপি মনীষ তিওয়ারী শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশীদের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক নিয়ে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের দাবি তুলেছেন। গতকাল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি জানান।
ভারত গতকাল বুধবার নিজেদের দুই শতাধিক নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। যাঁদের অনেকে বাংলাদেশে অবস্থিত মিশনগুলোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্য। এটি নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে নেওয়া একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন ঢাকার কূটনীতিকেরা। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা অবশ্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশটির কোনো কূটনীতিক বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, অন্য রাষ্ট্রগুলোর এটা বোঝা দরকার যে বাংলাদেশে এবারকার ছাত্র-আন্দোলন অভ্যন্তরীণ সূত্র হতে উৎসারিত। তরুণেরা এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁরা ভবিষ্যৎমুখী। এই আন্দোলন বাইরের কারও বিরুদ্ধে ছিল না। আবার কারও পক্ষেও নয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সৃষ্ট তিক্ততা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে হাসিনার ধীরে চলার নীতির কারণে তাঁর সরকারের পতনের পর মার্কিনরা কী করবে, সে বিষয়েও নজর অনেকের। যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেশটির প্রতি বৈরী চীন ঢাকায় চলমান পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতেও সময় নিয়েছে।
ইউনূস পরবর্তী সরকারপ্রধান হচ্ছেন—এটা নিশ্চিত হওয়ার পর ইউএসএআইডির মন্ত্রী পর্যায়ের পরিচালক সামান্থা পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশে সব পক্ষ গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, আইনের শাসন ও জনগণের ইচ্ছাকে সমুন্নত রাখবে। আর চীন আশা প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশে সামাজিক স্থিতিশীলতা দ্রুত ফিরবে।
হুমায়ুন কবির মনে করেন, দু-একটি ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন ছাড়া ভারত, চীন ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক মোটাদাগে একই রকম থাকবে। তবে আমেরিকা চাইবে নতুন সরকারের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে। আন্দোলনের সময় পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ে গ্রহণযোগ্য বিচারের দাবি উঠতে পারে। এটা নতুন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ভাটার মধ্যেই প্রবাসী আয় ক্রমেই কমছে, এমন তথ্য দিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় ব্যাংকিং চ্যানেলে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করা জরুরি। এর বাইরে দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য দুর্নীতি ও টাকা পাচারই বড় কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তরুণেরা চাইছে দুর্নীতি রোধে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে।
ভূরাজনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশের জন্য যে চ্যালেঞ্জগুলো সামনে আসবে, সেগুলোর মোকাবিলা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারের জন্য সহজ হবে বলে মনে করেন সাবেক এই রাষ্ট্রদূত। তাঁর মতে, এ ক্ষেত্রে দেশের ভেতরকার প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা জরুরি ভিত্তিতে কাটিয়ে উঠে অভ্যন্তরীণ শক্তি সংহত করা জরুরি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। আজ বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ নেওয়ার কথা। নতুন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈরী মনোভাবের বিষয়টি সবারই জানা। এমন অবস্থায় বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সরকার কোন পথ অনুসরণ করবে, তা জানতে উন্মুখ হয়ে আছেন দেশ-বিদেশের কূটনীতিকেরা।
ইউনূসকে পশ্চিমাদের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের আস্থাভাজন বলে মনে করা হয়। কাজেই ভূরাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুই শক্তি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সম্পর্কের রসায়ন কী দাঁড়াতে পারে, সে বিষয়ে চলছে নানামুখী আলাপ। বাংলাদেশের কয়েকজন কূটনীতিক গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা নতুন সরকারের কাছ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গত ১৫ বছরে যে চেহারা পেয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কী হতে পারে, সে বিষয়ে বাইরের দেশে একধরনের বিশ্লেষণ চলছে।’
ইউনূস অবশ্য জোর দিচ্ছেন বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ওপর। ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভিকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে টানা অস্থিতিশীলতা চলতে থাকলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দুই নিকট প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারে। এমন পরিস্থিতি কারও জন্যই স্বস্তির ব্যাপার হবে না।’
ইউনূসের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র বলেছে, নতুন সরকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব যাঁকেই দেওয়া হোক না কেন, ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশে বাংলাদেশের অন্তত ১০টি দূতাবাসের শীর্ষ পদে দ্রুত রদবদল অনেকটা নিশ্চিত। শেখ হাসিনার সরকারের নিয়োগ করা বর্তমান পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, আবুধাবিসহ কয়েকটি দেশে নিয়োজিত রাষ্ট্রদূতদের চুক্তি বাতিল সময়ের ব্যাপারমাত্র। দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানকেও বদলি করা হতে পারে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
দিল্লির কূটনীতিকেরা বলছেন, শেখ হাসিনার সরকারের মাধ্যমে ভারত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নিজেদের উদ্বেগের অবসান ঘটিয়েছে। আঞ্চলিক নিবিড় যুক্ততার একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। তাঁর সরকারের আচমকা পতনে ভারত অনেকটা হকচকিত। এমন অবস্থায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তাঁরা। জয়শঙ্কর মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বলেছেন, ভারত সরকার সঠিক সময় বেছে নিয়ে সে অনুযায়ী উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এমপি মনীষ তিওয়ারী শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশীদের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক নিয়ে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের দাবি তুলেছেন। গতকাল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি জানান।
ভারত গতকাল বুধবার নিজেদের দুই শতাধিক নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। যাঁদের অনেকে বাংলাদেশে অবস্থিত মিশনগুলোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্য। এটি নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে নেওয়া একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন ঢাকার কূটনীতিকেরা। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা অবশ্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশটির কোনো কূটনীতিক বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, অন্য রাষ্ট্রগুলোর এটা বোঝা দরকার যে বাংলাদেশে এবারকার ছাত্র-আন্দোলন অভ্যন্তরীণ সূত্র হতে উৎসারিত। তরুণেরা এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁরা ভবিষ্যৎমুখী। এই আন্দোলন বাইরের কারও বিরুদ্ধে ছিল না। আবার কারও পক্ষেও নয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সৃষ্ট তিক্ততা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে হাসিনার ধীরে চলার নীতির কারণে তাঁর সরকারের পতনের পর মার্কিনরা কী করবে, সে বিষয়েও নজর অনেকের। যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেশটির প্রতি বৈরী চীন ঢাকায় চলমান পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতেও সময় নিয়েছে।
ইউনূস পরবর্তী সরকারপ্রধান হচ্ছেন—এটা নিশ্চিত হওয়ার পর ইউএসএআইডির মন্ত্রী পর্যায়ের পরিচালক সামান্থা পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশে সব পক্ষ গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, আইনের শাসন ও জনগণের ইচ্ছাকে সমুন্নত রাখবে। আর চীন আশা প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশে সামাজিক স্থিতিশীলতা দ্রুত ফিরবে।
হুমায়ুন কবির মনে করেন, দু-একটি ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন ছাড়া ভারত, চীন ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক মোটাদাগে একই রকম থাকবে। তবে আমেরিকা চাইবে নতুন সরকারের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে। আন্দোলনের সময় পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ে গ্রহণযোগ্য বিচারের দাবি উঠতে পারে। এটা নতুন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ভাটার মধ্যেই প্রবাসী আয় ক্রমেই কমছে, এমন তথ্য দিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় ব্যাংকিং চ্যানেলে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করা জরুরি। এর বাইরে দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য দুর্নীতি ও টাকা পাচারই বড় কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তরুণেরা চাইছে দুর্নীতি রোধে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে।
ভূরাজনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশের জন্য যে চ্যালেঞ্জগুলো সামনে আসবে, সেগুলোর মোকাবিলা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারের জন্য সহজ হবে বলে মনে করেন সাবেক এই রাষ্ট্রদূত। তাঁর মতে, এ ক্ষেত্রে দেশের ভেতরকার প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা জরুরি ভিত্তিতে কাটিয়ে উঠে অভ্যন্তরীণ শক্তি সংহত করা জরুরি।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় গত সাড়ে চার মাসে সারা দেশে ২৩ ব্যক্তি নিহত হওয়ার দাবি মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। আজ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম...
১ ঘণ্টা আগেতিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের পেছনে কারা, তা সবাই জানে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘তাঁদের পেছনে কারা আছে, তা আপনারা জানেন। জনগণ এদের প্রতিহত করবে।’
১ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেসরাসরি থানায় না গিয়ে মানুষ যাতে অনলাইনে মামলা দায়ের করতে পারেন সেই ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগে