নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিসি) বহরে যুক্ত হয়েছে এক হাজার ৫৫৮টি বাস। এগুলো ভারত, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে তাঁদের দেওয়া ঋণের টাকায় আমদানি করা হয়েছে।
বর্তমানে বিআরটিসির বহরে এক হাজার ৩৫০টি বাস রয়েছে, যেগুলো ২০৩টি রুটে চলাচল করে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিআরটিসির দেওয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, নরডিক ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের ১১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৫ হাজার ঋণ সহায়তায় চীনের ডংফেং ইয়াংসি থেকে ২৭৫টি একতলা সিএনজি বাস ও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ফান্ডের ২৭৮ কোটি ২৮ লাখ ৬২ হাজার ঋণ সহায়তায় দক্ষিণ কোরিয়ার ‘দাইয়্যু বাস’ থেকে ২৫৫টি সিএনজি এসি/নন-এসি বাস আমদানি করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান ডলার ক্রেডিট লাইনের ৩৭৯ কোটি ৩৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা ঋণের আওতায় ভারতের অশোক লিল্যান্ড থেকে ২৯০টি দ্বিতল, ৮৮টি একতলা এবং ৫০টি আর্টিকুলেটেড বাস সংগ্রহ করা হয়েছে। ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি-২) ৫২৭ কোটি ১২ লাখ ৪ হাজার টাকা ঋণে ভারত থেকে ৩০০ দ্বিতল, ১০০ করে এসি-ননএসি এবং ১০০ এসি ইন্টারসিটি বাস কেনা হয়েছে। ১ হাজার ৫৫৮ বাস কিনতে খরচ হয়েছে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৩৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিআরটিসির বহরে বর্তমানে আছে ১ হাজার ৩৫০ বাস। এর মধ্যে চলাচল করছে ১ হাজার ২৪৪টি। যা ২০৩টি রুটে চলাচল করে। বাকি ১০৬টি বাসের ভারী মেরামত প্রয়োজন বলে সেখানে বলা হয়েছে।
এদিকে বৈঠকে বিগত ৫ অর্থবছরের আয় ব্যয়ের তথ্য কমিটির কাছে উপস্থাপন করে বিআরটিসি। সেখানে বলা হয়, ২০১৮-১৯ এবং ১৯-২০ অর্থবছরে সংস্থাটির লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়েছে। আর ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংস্থাটি লাভের মুখ দেখেছে। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৯ কোটি ৮৫ হাজার, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৫ কোটি ৭৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংস্থাটি সর্বোচ্চ ৪৭ কোটি ৭১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা লাভ করেছে।
প্রতিবেদনে আয় বাড়াতে বহরে নতুন ইলেকট্রিক ও সিএনজি বাস সংযোজন, আন্তর্জাতিক রুটের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়। এ জন্য বরিশাল-কলকাতা, চট্টগ্রাম-কলকাতা, ঢাকা-গ্যাংটক (সিকিম)-দার্জিলিং, ঢাকা-নেপাল আন্তর্জাতিক রুটে বাস চালু, ইলেকট্রনিক ভেহিকলসহ নতুন মডেলের বাস বহরে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিআরটিসির চালক নিয়োগের সময় মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা, লাইসেন্স ব্যবস্থার মনিটরিং বৃদ্ধি এবং গাড়ির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক রাখার জন্য বৈঠকে গুরুত্বারোপ করা হয়। কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচাখালি হতে মিঠামইন উপজেলা পর্যন্ত বাস্তবায়নাধীন উড়াল সড়ক ও কিশোরগঞ্জ হতে ঢাকার সংযোগ রাস্তাসমূহ দ্রুততার সঙ্গে সঠিকভাবে শেষ করা, হাওরাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ফেরি ব্যবস্থাটি সাশ্রয়ী করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমানোর জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।
কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য আবু জাহির, সেখ সালাহউদ্দিন, মুজিবুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল্লাহ-আল-কায়সার, মোহাম্মদ গোলাম ফারুক ও নাছিমা জামান ববি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিসি) বহরে যুক্ত হয়েছে এক হাজার ৫৫৮টি বাস। এগুলো ভারত, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে তাঁদের দেওয়া ঋণের টাকায় আমদানি করা হয়েছে।
বর্তমানে বিআরটিসির বহরে এক হাজার ৩৫০টি বাস রয়েছে, যেগুলো ২০৩টি রুটে চলাচল করে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিআরটিসির দেওয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, নরডিক ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের ১১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৫ হাজার ঋণ সহায়তায় চীনের ডংফেং ইয়াংসি থেকে ২৭৫টি একতলা সিএনজি বাস ও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ফান্ডের ২৭৮ কোটি ২৮ লাখ ৬২ হাজার ঋণ সহায়তায় দক্ষিণ কোরিয়ার ‘দাইয়্যু বাস’ থেকে ২৫৫টি সিএনজি এসি/নন-এসি বাস আমদানি করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান ডলার ক্রেডিট লাইনের ৩৭৯ কোটি ৩৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা ঋণের আওতায় ভারতের অশোক লিল্যান্ড থেকে ২৯০টি দ্বিতল, ৮৮টি একতলা এবং ৫০টি আর্টিকুলেটেড বাস সংগ্রহ করা হয়েছে। ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি-২) ৫২৭ কোটি ১২ লাখ ৪ হাজার টাকা ঋণে ভারত থেকে ৩০০ দ্বিতল, ১০০ করে এসি-ননএসি এবং ১০০ এসি ইন্টারসিটি বাস কেনা হয়েছে। ১ হাজার ৫৫৮ বাস কিনতে খরচ হয়েছে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৩৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিআরটিসির বহরে বর্তমানে আছে ১ হাজার ৩৫০ বাস। এর মধ্যে চলাচল করছে ১ হাজার ২৪৪টি। যা ২০৩টি রুটে চলাচল করে। বাকি ১০৬টি বাসের ভারী মেরামত প্রয়োজন বলে সেখানে বলা হয়েছে।
এদিকে বৈঠকে বিগত ৫ অর্থবছরের আয় ব্যয়ের তথ্য কমিটির কাছে উপস্থাপন করে বিআরটিসি। সেখানে বলা হয়, ২০১৮-১৯ এবং ১৯-২০ অর্থবছরে সংস্থাটির লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়েছে। আর ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংস্থাটি লাভের মুখ দেখেছে। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৯ কোটি ৮৫ হাজার, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৫ কোটি ৭৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংস্থাটি সর্বোচ্চ ৪৭ কোটি ৭১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা লাভ করেছে।
প্রতিবেদনে আয় বাড়াতে বহরে নতুন ইলেকট্রিক ও সিএনজি বাস সংযোজন, আন্তর্জাতিক রুটের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়। এ জন্য বরিশাল-কলকাতা, চট্টগ্রাম-কলকাতা, ঢাকা-গ্যাংটক (সিকিম)-দার্জিলিং, ঢাকা-নেপাল আন্তর্জাতিক রুটে বাস চালু, ইলেকট্রনিক ভেহিকলসহ নতুন মডেলের বাস বহরে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিআরটিসির চালক নিয়োগের সময় মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা, লাইসেন্স ব্যবস্থার মনিটরিং বৃদ্ধি এবং গাড়ির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক রাখার জন্য বৈঠকে গুরুত্বারোপ করা হয়। কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচাখালি হতে মিঠামইন উপজেলা পর্যন্ত বাস্তবায়নাধীন উড়াল সড়ক ও কিশোরগঞ্জ হতে ঢাকার সংযোগ রাস্তাসমূহ দ্রুততার সঙ্গে সঠিকভাবে শেষ করা, হাওরাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ফেরি ব্যবস্থাটি সাশ্রয়ী করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমানোর জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।
কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য আবু জাহির, সেখ সালাহউদ্দিন, মুজিবুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল্লাহ-আল-কায়সার, মোহাম্মদ গোলাম ফারুক ও নাছিমা জামান ববি।
সমালোচনার মুখে নিয়োগ দেওয়ার দুই দিন পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র (গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া) হিসেবে মুহাম্মদ আবু আবিদের নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য ১৫ এপ্রিল তাঁকে খণ্ডকালীন নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। যদিও জনপ্রশাসন
৫ মিনিট আগেবাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়েছে। আজ শনিবার বিকেলে বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্বে কমিশনের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদনটি তুলে দেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস
৪০ মিনিট আগেপ্রকৃত মৎস্যচাষিদের স্বার্থে হাওরে ইজারা বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, কোনো হাওরে ইজারা থাকা উচিত নয়। হাওরে ইজারা বন্ধ করতে হবে। হাওর সেখানকার মানুষের অধিকারের জায়গা, আর তা রক্ষা করাই আমাদের কাজ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে
১ ঘণ্টা আগেপুলিশ সদস্যদের আবাসন ও খাদ্য ব্যবস্থার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে