Ajker Patrika

বিচারকদের দ্রুত বিচারকাজ শেষের ব্যাপারে ভাবতে হবে: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২২, ২০: ০৭
Thumbnail image

বিচারকদের দ্রুত বিচারকাজ শেষ করার ব্যাপারে ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বুধবার সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ৪৬ ও ৪৭তম বনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। 

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল যুগে বিশ্বব্যাপী কাজের গতি বহু গুণ বেড়েছে। বাংলাদেশের বিচারকদেরও দ্রুত বিচারকার্য কীভাবে সম্পন্ন করবেন, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। আগে বিচারকার্যে দেরি হলে, বিভিন্ন কারণ উপলব্ধি করে জনগণ নিজেকে বুঝ দিত। কিন্তু এই ডিজিটাল যুগে তারা কিন্তু বিচারের বিলম্ব ভালোভাবে দেখবে না। তারা দ্রুত ন্যায়বিচার চায়। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, একটি অভিযোগ আসে, বিচারকার্য করতে গেলে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষী দিতে দেরি হয়। কারণ, তাঁদের খুঁজে বের করতে, চিহ্নিত করতে এবং কর্মস্থল থেকে আদালতে আনতে অনেক দিন সময় লেগে যায়। এ সমস্যা দূর করার অংশ হিসেবে মামলার চার্জশিটে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর যুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

আনিসুল হক বলেন, ‘এখন আমরা আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছি। সেটা হচ্ছে এসএমএসের মাধ্যমে মেডিকেল অফিসার, তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রত্যেক সাক্ষীকে মামলার তারিখ জানানো। এর ফলে তারা আর বলতে পারবে না যে, আমরা সংবাদ পাইনি বা আমি এই জন্য আদালতে আসতে পারিনি। এখন বিচারকদের যেটা নিশ্চয়তা দিতে হবে, সেটা হলো যেদিন মেডিকেল অফিসার বা তদন্ত কর্মকর্তা বা অন্য কোনো সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসবেন, সেদিন যেন তার সাক্ষীটা হয়।’ 

বিচারকের সংখ্যা গিয়ে তিন হাজারে ঠেকতে হবে। আর জুডিশিয়াল অফিসাররা যাতে গাড়ি কেনার জন্য স্বল্প সুদে সরকারি ঋণ পান, সে ব্যবস্থাও করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। 

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তব্য দেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত