জুলাই জাতীয় সনদ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই সনদ নিয়ে ‘বিশেষ আদেশ’ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট এবং আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার সুপারিশের পরিকল্পনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিশেষ আদেশের ভিত্তি কী হবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের অভিপ্রায়ের আদেশ জারির পরামর্শের কথা ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র বলছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে কমিশনের কার্যালয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকে এমন আলোচনা হয়। বিশেষজ্ঞ প্যানেলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন এই বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকের শুরুতে কমিশনের পক্ষ থেকে জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান বিশেষজ্ঞদের সামনে তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে কমিশনের তৈরি করা বিশেষ আদেশের খসড়া নিয়েও কথা হয়। সেখানে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়, কমিশনের কাছে ‘বিশেষ আদেশের’ পূর্ণাঙ্গ টেক্সট চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বিশেষজ্ঞরা দেবেন। সেখানে একটি আদেশ জারি করে গণভোট করতে বলা হবে, সর্বশেষ জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ক্ষমতা দিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হবে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ সরকারের হাতে দিতে চায় কমিশন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব দিতে চাই; যেখানে সবকিছু সুনির্দিষ্ট এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে থাকবে। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’
গত শুক্রবার জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করে বিএনপি, জামায়াতসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট। আর গতকাল স্বাক্ষর করেছে গণফোরাম।
সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না থাকায় স্বাক্ষর করেনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতাদের তৈরি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জারি করার দাবি জানিয়েছে দলটি।
বিশেষ আদেশের ভিত্তি কী হতে পারে, এমন প্রশ্নে বৈঠকে অংশ নেওয়া এক বিশেষজ্ঞ আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদেশের ভূমিকায় লেখা থাকবে, কীভাবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা অন্তর্বর্তী সরকার পেল। সেখানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কথা চলে আসবে। কারণ, গণ-অভ্যুত্থানের কারণে আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা বর্তমান সরকার রাখে। সেটাকে ধরেই এগোতে হবে।
বিশেষ আদেশ রাষ্ট্রপতি নাকি প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। সেখানে আলোচনা হয়, সাধারণত অধ্যাদেশ বা প্রজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতিই জারি করে থাকেন। কিন্তু বিশেষ আদেশ তো বিশেষ ক্ষমতাবলে দেওয়া হবে, তাতে অধ্যাদেশ বা প্রজ্ঞাপন হবে না। তাই আদেশটি কে জারি করবে, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
গণভোটে কটি প্রশ্ন হবে, তা নিয়েও দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা প্রথমে দুটি প্রশ্নে গণভোটের কথা ভেবেছিলেন। সেখানে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে একটি প্রশ্ন, আরেকটি আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) থাকা বিষয়গুলো নিয়ে। তবে এখন গণভোটে একটি প্রশ্ন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ‘বিশেষ আদেশ’ জনগণ সমর্থন করে কি করে না, এমনটাও হতে পারে। আবার বিকল্প হিসেবে সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো জনগণ সমর্থন করে কি করে না, এমন প্রশ্নও হতে পারে।
জুলাই সনদ নিয়ে ‘বিশেষ আদেশ’ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট এবং আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার সুপারিশের পরিকল্পনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিশেষ আদেশের ভিত্তি কী হবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের অভিপ্রায়ের আদেশ জারির পরামর্শের কথা ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র বলছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে কমিশনের কার্যালয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকে এমন আলোচনা হয়। বিশেষজ্ঞ প্যানেলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন এই বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকের শুরুতে কমিশনের পক্ষ থেকে জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান বিশেষজ্ঞদের সামনে তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে কমিশনের তৈরি করা বিশেষ আদেশের খসড়া নিয়েও কথা হয়। সেখানে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়, কমিশনের কাছে ‘বিশেষ আদেশের’ পূর্ণাঙ্গ টেক্সট চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বিশেষজ্ঞরা দেবেন। সেখানে একটি আদেশ জারি করে গণভোট করতে বলা হবে, সর্বশেষ জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ক্ষমতা দিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হবে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ সরকারের হাতে দিতে চায় কমিশন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব দিতে চাই; যেখানে সবকিছু সুনির্দিষ্ট এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে থাকবে। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’
গত শুক্রবার জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করে বিএনপি, জামায়াতসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট। আর গতকাল স্বাক্ষর করেছে গণফোরাম।
সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না থাকায় স্বাক্ষর করেনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতাদের তৈরি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জারি করার দাবি জানিয়েছে দলটি।
বিশেষ আদেশের ভিত্তি কী হতে পারে, এমন প্রশ্নে বৈঠকে অংশ নেওয়া এক বিশেষজ্ঞ আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদেশের ভূমিকায় লেখা থাকবে, কীভাবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা অন্তর্বর্তী সরকার পেল। সেখানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কথা চলে আসবে। কারণ, গণ-অভ্যুত্থানের কারণে আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা বর্তমান সরকার রাখে। সেটাকে ধরেই এগোতে হবে।
বিশেষ আদেশ রাষ্ট্রপতি নাকি প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। সেখানে আলোচনা হয়, সাধারণত অধ্যাদেশ বা প্রজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতিই জারি করে থাকেন। কিন্তু বিশেষ আদেশ তো বিশেষ ক্ষমতাবলে দেওয়া হবে, তাতে অধ্যাদেশ বা প্রজ্ঞাপন হবে না। তাই আদেশটি কে জারি করবে, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
গণভোটে কটি প্রশ্ন হবে, তা নিয়েও দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা প্রথমে দুটি প্রশ্নে গণভোটের কথা ভেবেছিলেন। সেখানে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে একটি প্রশ্ন, আরেকটি আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) থাকা বিষয়গুলো নিয়ে। তবে এখন গণভোটে একটি প্রশ্ন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ‘বিশেষ আদেশ’ জনগণ সমর্থন করে কি করে না, এমনটাও হতে পারে। আবার বিকল্প হিসেবে সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো জনগণ সমর্থন করে কি করে না, এমন প্রশ্নও হতে পারে।
আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন এই নির্দেশ দেন।
৭ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই, বরিশাল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
৮ ঘণ্টা আগেফায়ার সার্ভিসের পরিচালক বলেন, প্রথমত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য বস্তুর (কম্বাস্টিবল ম্যাটেরিয়াল) আধিক্য, দ্বিতীয়ত স্টিল স্ট্রাকচারের তাপ শোষণ, তৃতীয়ত অপরিষ্কার ও গাদাগাদি পরিবেশ, চতুর্থত অগ্নিনিরাপত্তা-ব্যবস্থার ঘাটতি এবং সর্বশেষ ছোট ছোট স্টিলের স্ট্রাকচার কেটে ভেতরে প্রবেশ করায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়।
১১ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের ইপিজেডসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনিকে প্রধান করে একটি কোর কমিটি গঠন করেছে সরকার। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বৈঠক শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
১১ ঘণ্টা আগে