Ajker Patrika

রাস্তায় ফেলে যাওয়া নবজাতককে সারা রাত পাহারা দিল একদল কুকুর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার নবদ্বীপে সারারাত ধরে একটি নবজাতককে পাহারা দিয়ে নিরাপদে রেখেছিল একদল কুকুর। ছবি: এআই দিয়ে তৈরি
পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার নবদ্বীপে সারারাত ধরে একটি নবজাতককে পাহারা দিয়ে নিরাপদে রেখেছিল একদল কুকুর। ছবি: এআই দিয়ে তৈরি

শীতের রাতের শেষ প্রহরে, ভোরের ঠিক আগের নিস্তব্ধ সময়টাতে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার নদীপারে অবস্থিত নবদ্বীপ শহরটায় সবাই ঘুমিয়ে ছিল। ঠিক সেই সময়টাতে এক নবজাতককে পড়ে থাকতে দেখা গেল রেলওয়ে কর্মীদের কলোনির বাথরুমের বাইরের ঠান্ডা মাটিতে। আর তাকে ঘিরে আছে কয়েকটি কুকুর।

শিশুটির বয়স মাত্র কয়েক ঘণ্টা। জন্মের রক্ত তখনো শুকায়নি। গায়ে কোনো চাদর নেই, কোনো চিরকুট নেই, কাছাকাছি কেউ নেই। তবু সে একদম একা ছিল না। তাকে ঘিরে ছিল কয়েকটি কুকুর। প্রতিদিন যাদের লোকজন ধাওয়া করে তাড়ায়, সেই ভবঘুরে বেওয়ারিশ কুকুরগুলো একেবারে নিখুঁত একটি বৃত্ত তৈরি করে নবজাতকটিকে ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিল। ঘেউ ঘেউ নয়, ছুটোছুটি নয়, শুধু নীরব প্রহরা।

স্থানীয়রা বলছেন, এরপর রাতভর কুকুরগুলো কাউকেই শিশুটির কাছে যেতে দেয়নি। কেবল ভোরের আলো ফুটলেই কুকুরগুলো সরে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা শুক্লা মণ্ডল বলেন, ‘ঘুম ভেঙে আমরা যা দেখেছিলাম, তাতে এখনো শরীর শিউরে উঠে।’ তিনি সবাইর আগে কুকুর বেষ্টিত শিশুটিকে দেখেন। তিনি বলেন, ‘কুকুরগুলো রাগী ছিল না। তারা যেন একধরনের সতর্কতায় দাঁড়িয়ে ছিল। যেন বুঝতে পারছিল এই বাচ্চাটা বাঁচার জন্য লড়ছে।’

আরেক বাসিন্দা সুভাষ পাল ভোরের একটু আগে শোনা ক্ষীণ কান্নার কথা স্মরণ করলেন। তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম আশপাশের কোনো বাড়িতে অসুস্থ বাচ্চা আছে। কখনো কল্পনা করিনি বাইরে মাটিতে এক নবজাতক পড়ে আছে, আর তার চারপাশে কুকুরেরা পাহারা দিচ্ছে। তারা ঠিক প্রহরীর মতো আচরণ করছিল।’

অবশেষে শুক্লা ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলে কুকুরগুলো নীরবে তাদের পাহারার বৃত্ত শিথিল করে। তিনি নিজের ওড়না দিয়ে শিশুটিকে জড়িয়ে ধরেন এবং প্রতিবেশীদের ডাকেন। তড়িঘড়ি করে শিশুটিকে প্রথমে মহেশগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে সেখান থেকে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ডাক্তাররা পরে জানান, শিশুটির শরীরে কোনো আঘাত নেই। মাথার রক্ত জন্মদাগ থেকেই হওয়া সম্ভব এবং সবকিছু দেখে মনে হয়েছে, জন্মের পরে কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাকে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে। পুলিশের ধারণা, কলোনিরই কেউ রাতের আঁধারে শিশুটিকে সেখানে রেখে গেছে।

নবদ্বীপ থানার পুলিশ ও চাইল্ড হেল্প কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে এবং শিশুটির দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষার জন্য প্রক্রিয়া চালু করেছে। তবু প্রশাসনিক তৎপরতার আড়ালেও শহরের মানুষের চোখে লেগে আছে সেই রাতের দৃশ্য। প্রশিক্ষণহীন, অবহেলিত সেই কুকুরগুলো অদ্ভুত এক মানবিকতা দেখিয়েছে। স্থানীয় এক রেলকর্মী বলেন, ‘এরা সেই কুকুর, যাদের নিয়ে আমরা অভিযোগ করি। কিন্তু তারা সেই মানুষের চেয়ে বেশি মানবতা দেখিয়েছে, যে এই শিশুটিকে ফেলে গেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

তালাকের পরে ফের বিয়ে নিয়ে সমালোচনা, যে ব্যাখ্যা দিলেন সাবিকুন নাহার

৮ কুকুরছানা হত্যায় সরকারি কর্মকর্তাকে বাসা ছাড়তে বাধ্য করল প্রশাসন, মামলার প্রস্তুতি

বোনের সঙ্গে ২০ মিনিটের আলাপে আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে ইমরান খানের অভিযোগ

২৪ ভারতীয় ছিলেন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে: পিলখানা ট্র্যাজেডি নিয়ে কমিশনের প্রতিবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইউক্রেন যুদ্ধ: পুতিন–উইটকফ ৫ ঘণ্টার বৈঠকেও মিলল না সমাধান সূত্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ২৫
পুতিনের সঙ্গে ক্রেমলিনে বৈঠকে উইটকফ ও কুশনার। ছবি: এএফপি
পুতিনের সঙ্গে ক্রেমলিনে বৈঠকে উইটকফ ও কুশনার। ছবি: এএফপি

রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সম্ভাব্য শান্তিচুক্তি নিয়ে ক্রেমলিনে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকের পরও রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র কোন সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ক্রেমলিনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ দূতদের বৈঠক শেষে বুধবার এ কথা জানানো হয়।

ট্রাম্প বহুবার আক্ষেপ করে বলেছেন, ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই সংঘাতের অবসান ঘটানো তাঁর প্রেসিডেন্সির অন্যতম কঠিন ও অধরা থাকা বৈদেশিক নীতি লক্ষ্য। কখনো পুতিনকে, আবার কখনো ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে তিনি তিরস্কারও করেছেন।

মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং তাঁর জামাতা জ্যারেড কুশনারের আলোচনা মধ্যরাত পেরিয়ে যায়। এরপর পুতিনের শীর্ষ পররাষ্ট্র বিষয়ক সহায়ক ইউরি উশাকভ জানান, ‘এখনো পর্যন্ত কোন সমঝোতায় আসা সম্ভব হয়নি। এখানে এখনো অনেক কাজ বাকি।’

উশাকভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু প্রস্তাবে পুতিন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। আলোচনার পর উইটকফ মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে হোয়াইট হাউসকে ব্রিফ করেন বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, পুতিন–ট্রাম্প বৈঠক এখনো পরিকল্পনায় নেই। তবে উশাকভ পুতিন–উইটকফ–কুশনার বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ আখ্যা দেন এবং যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়ার মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।

উশাকভ জানান, পুতিন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা এবং শুভেচ্ছা ট্রাম্পের কাছে পাঠিয়েছেন, তবে দুই পক্ষই গণমাধ্যমে এসবের বিস্তারিত প্রকাশ না করার বিষয়ে একমত হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁরা ‘আঞ্চলিক সমস্যা’ নিয়েও আলোচনা করেছেন। ক্রেমলিনের ভাষায় যার মানে—দনবাসের পুরো অঞ্চলে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণের দাবি। যদিও ইউক্রেন এখনো ওই অঞ্চলের অন্তত পাঁচ হাজার বর্গকিলোমিটার (১,৯০০ বর্গমাইল) নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, যেটি রাশিয়া নিজেদের বলে দাবি করে। প্রায় সব দেশ দনবাসকে ইউক্রেনের অংশ হিসেবেই স্বীকৃতি দেয়।

উশাকভ বলেন, ‘কিছু আমেরিকান খসড়া প্রস্তাব মোটামুটি গ্রহণযোগ্য, কিন্তু সেগুলো এখনো আলোচনা দরকার। কিছু ভাষ্য আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়, সুতরাং কাজ চলতেই থাকবে।’

এর আগে, মার্কিন বিলিয়নিয়ার রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও আশির দশক থেকে ট্রাম্পে ঘনিষ্ঠ বন্ধু কুশনারকে নিয়ে মস্কোর রেড স্কয়ারের লেনিনের সমাধি পেরিয়ে ক্রেমলিনের টাওয়ারের সামনে দিয়ে হেঁটে আলোচনাস্থলে প্রবেশ করেন। তাঁরা দোভাষীর মাধ্যমে পুতিন, উশাকভ এবং পুতিনের বিশেষ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভের সঙ্গে কথা বলেন।

এই বৈঠক চলাকালে ট্রাম্প ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের লোকজন এখন রাশিয়ায় আছে, দেখছে আদৌ কি কোনো সমাধান টানা যায়। সহজ কিছু না, সত্যি বলছি। পুরো অবস্থা একেবারে জগাখিচুড়ি।’ তিনি দাবি করেন, এই যুদ্ধে প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ হতাহত হচ্ছে।

রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ চালায়, যা স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে মস্কো ও পশ্চিমাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মোকাবিলার জন্ম দেয়। গত নভেম্বরে ২৮ দফা মার্কিন খসড়া শান্তি-প্রস্তাব ফাঁস হয়ে গেলে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় দেশগুলো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। তাদের অভিযোগ ছিল, ওই প্রস্তাব মস্কোর মূল দাবিগুলোকেই মাথায় তুলেছে।

এরপর ইউরোপীয় দেশগুলো পাল্টা প্রস্তাব দেয়। জেনেভায় আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন জানায়, তারা যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি ‘হালনাগাদ ও ঘষামাজা করা’ শান্তি কাঠামো তৈরি করেছে। ডাবলিনে জেলেনস্কি বলেন, মস্কোতে চলমান আলোচনার ফলের ওপরই সব নির্ভর করছে। তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি প্রক্রিয়ায় আগ্রহ হারাতে পারে। তিনি বলেন, ‘সহজ কোন সমাধান নেই...সবকিছু ন্যায়সংগত ও স্বচ্ছ থাকা জরুরি, যাতে ইউক্রেনের পেছনে লুকিয়ে কোন খেলা না হয়।’

উইটকফের সঙ্গে ক্রেমলিন বৈঠকের ঠিক আগে পুতিন বলেন, রাশিয়া ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না। কিন্তু ইউরোপ যদি যুদ্ধ শুরু করে, তবে তা এত দ্রুত শেষ হবে যে আলোচনা করার মতো কেউ আর টিকে থাকবে না। কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিটের’ ট্যাংকার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জবাবে ইউক্রেনের সমুদ্রপথ কেটে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে সিবিহা বলেন, পুতিনের এসব মন্তব্যই প্রমাণ করে যে তিনি যুদ্ধ থামাতে প্রস্তুত নন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

তালাকের পরে ফের বিয়ে নিয়ে সমালোচনা, যে ব্যাখ্যা দিলেন সাবিকুন নাহার

৮ কুকুরছানা হত্যায় সরকারি কর্মকর্তাকে বাসা ছাড়তে বাধ্য করল প্রশাসন, মামলার প্রস্তুতি

বোনের সঙ্গে ২০ মিনিটের আলাপে আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে ইমরান খানের অভিযোগ

২৪ ভারতীয় ছিলেন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে: পিলখানা ট্র্যাজেডি নিয়ে কমিশনের প্রতিবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সরকারি তহবিলে বাবরি মসজিদ গড়তে চেয়েছিলেন নেহরু: রাজনাথ সিং

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ১৪
রাজনাথ সিং ও জওহরলাল নেহেরু। ছবি: সংগৃহীত
রাজনাথ সিং ও জওহরলাল নেহেরু। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সরকারি তহবিল দিয়ে ‘বাবরি মসজিদ’ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সরদার বল্লভভাই প্যাটেল তাঁর সেই পরিকল্পনা সফল হতে দেননি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

রাজনাথ সিং আরও দাবি করেন, নেহরু সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্যাটেলের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য সংগ্রহ করা অর্থ কুয়া ও সড়ক নির্মাণে ব্যয় করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

গুজরাটের ভাদোদরার কাছে সাধলি গ্রামে সরদার প্যাটেলের ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘ঐক্য যাত্রা’য় বক্তব্য দিতে গিয়ে রাজনাথ সিং প্যাটেলকে প্রকৃত উদার ও ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেন, যিনি কখনো তোষণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না।

রাজনাথ সিং বলেন, ‘পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু অযোধ্যায় সরকারি অর্থে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। যদি কেউ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে থাকেন, তিনি ছিলেন সরদার বল্লভভাই প্যাটেল, এক গুজরাটি মায়ের সন্তান। তিনি সরকারি টাকায় বাবরি মসজিদ নির্মাণ হতে দেননি।’

নেহরু যখন গুজরাটের সোমনাথ মন্দির পুনর্নির্মাণের প্রসঙ্গ তোলেন, তখন প্যাটেল পরিষ্কার করে দেন যে এখানে বিষয়টি ভিন্ন। কারণ, মন্দির সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ৩০ লাখ রুপি সাধারণ মানুষ দান করেছিল, বলে তিনি যোগ করেন।

তিনি বলেন, একটি ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছিল এবং সোমনাথ মন্দিরের কাজে সরকারের এক পয়সাও খরচ হয়নি। একইভাবে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণেও সরকার এক রুপি দেয়নি। পুরো অর্থ এসেছে দেশের মানুষের কাছ থেকে। এটাকেই প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা বলা যায়।

রাজনাথ সিং দাবি করেন, সরদার প্যাটেল চাইলে প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন, কিন্তু জীবনে কোনো পদ-পদবি নিয়ে তিনি কখনো লোভ করেননি। নেহরুর সঙ্গে মতাদর্শগত ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও তিনি কাজ করেছেন। কারণ, এ বিষয়ে তিনি মহাত্মা গান্ধীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

তিনি দাবি করেন, ১৯৪৬ সালে কংগ্রেস সভাপতির পদে নেহরু নির্বাচিত হন শুধু এই কারণে যে গান্ধীর অনুরোধে প্যাটেল নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিলেন। সিং বলেন, ‘১৯৪৬ সালে কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কংগ্রেস কমিটির অধিকাংশ সদস্যই বল্লভভাই প্যাটেলের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু গান্ধীজি যখন প্যাটেলকে নেহরুকে সভাপতি হতে দেওয়ার অনুরোধ করেন এবং নিজের নাম প্রত্যাহার করতে বলেন, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা মেনে নেন।’

কারো নাম উল্লেখ না করেই সিং বলেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি প্যাটেলের উত্তরাধিকার মুছে ফেলতে চাইছিল। তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের পাতায় প্যাটেলকে তাঁর যথাযথ জায়গায় ফিরিয়ে আনতে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘কিছু লোক’ প্যাটেলের ঐতিহ্য আড়াল করতে চেয়েছিল, কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত তারা সফল হবে না। সিং আরও বলেন, ‘প্যাটেলের মৃত্যুর পর সাধারণ মানুষ তাঁর স্মৃতিসৌধ গড়ার জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু এই খবর নেহরুজির কাছে পৌঁছালে তিনি বলেন, সরদার প্যাটেল কৃষকদের নেতা ছিলেন, তাই এই অর্থ দিয়ে গ্রামের কুয়া ও রাস্তা নির্মাণ করা উচিত।

কী অদ্ভুত কথা! কুয়া আর রাস্তা বানানো তো সরকারের কাজ। স্মৃতিসৌধের অর্থ সেখানে খরচ করতে বলাটা হাস্যকর।’

রাজনাথ সিং দাবি করেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে সে সময়কার সরকার যেকোনো মূল্যে প্যাটেলের ঐতিহ্য আড়াল করতে চেয়েছিল। সিং আরও বলেন, নেহরু নিজের জন্য ভারতরত্ন নিয়েছেন, কিন্তু তখন সরদার বল্লভভাই প্যাটেলকে কেন সেই সম্মান দেওয়া হয়নি? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ গড়ে প্যাটেলকে যথাযথ সম্মান দিয়েছেন। এটিকে তিনি মোদির অসাধারণ কাজ বলে উল্লেখ করেন।

সিং বলেন, প্যাটেলকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য বয়স বেশি ছিল, এ ধরনের যুক্তি সম্পূর্ণ ভুল। তাঁর ভাষায় ,‘মোরারজি দেশাই ৮০ বছরের বেশি বয়সে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তাহলে ৮০-এর নিচে থাকা সরদার প্যাটেল কেন পারবেন না?’

কাশ্মীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সে সময়ে প্যাটেলের উত্থাপিত দাবিগুলো গুরুত্ব পেলে আজ এত দীর্ঘ সময় কাশ্মীর সমস্যায় ভারতকে ভুগতে হতো না।

তিনি বলেন, প্যাটেল সব সময় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে বিশ্বাস করতেন। সিং বলেন, ‘তবে সব পথ বন্ধ হয়ে গেলে তিনি কঠোর অবস্থান নিতে দ্বিধা করতেন না। হায়দরাবাদের সংযুক্তির সময় তিনি যে অবস্থান নিয়েছিলেন, তা না হলে হয়তো হায়দরাবাদ আজ ভারতের অংশ হতো না।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারও অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে সেই মূল্যবোধ ধরে রেখেছে। তাঁর বক্তব্য, ‘অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ভারত বিশ্বকে দেখিয়েছে, শান্তি ও সম্প্রীতির ভাষা যারা বোঝে না, তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ক্ষমতা ভারতের আছে। শুধু ভারতে নয়, পৃথিবীর নানা দেশেই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

তালাকের পরে ফের বিয়ে নিয়ে সমালোচনা, যে ব্যাখ্যা দিলেন সাবিকুন নাহার

৮ কুকুরছানা হত্যায় সরকারি কর্মকর্তাকে বাসা ছাড়তে বাধ্য করল প্রশাসন, মামলার প্রস্তুতি

বোনের সঙ্গে ২০ মিনিটের আলাপে আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে ইমরান খানের অভিযোগ

২৪ ভারতীয় ছিলেন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে: পিলখানা ট্র্যাজেডি নিয়ে কমিশনের প্রতিবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গ্রিন কার্ড থেকে নাগরিকত্ব—১৯ দেশের অভিবাসীদের সব আবেদন থামিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ১২
গ্রিন কার্ড থেকে নাগরিকত্ব—১৯ দেশের অভিবাসীদের সব আবেদন থামিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, তারা ইউরোপবহির্ভূত ১৯টি দেশের অভিবাসীদের সব ধরনের আবেদন স্থগিত করেছে। এর মধ্যে গ্রিন কার্ড ও মার্কিন নাগরিকত্বের আবেদনও রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

এই স্থগিতাদেশ এমন ১৯টি দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেগুলো জুন মাসেই আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছিল। এতে অভিবাসনের ওপর আরও কঠোর বিধিনিষেধ যোগ হলো, যা ট্রাম্পের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডার অন্যতম মূল প্রতিশ্রুতি। তালিকায় আফগানিস্তান ও সোমালিয়া রয়েছে।

নতুন নীতির সরকারি স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে ওয়াশিংটনে গত সপ্তাহে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলার কথা, যেখানে আফগান একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই হামলায় ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্য নিহত হন, আরেকজন গুরুতর আহত হন।

ট্রাম্প সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সোমালিদের বিরুদ্ধে বক্তব্য আরও তীব্র করেছেন। তিনি তাদের ‘আবর্জনা’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, ‘আমরা তাদের আমাদের দেশে চাই না।’

জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই ট্রাম্প আক্রমণাত্মকভাবে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। বড় বড় মার্কিন শহরে ফেডারেল এজেন্ট পাঠানো, আর যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনাগুলো তাঁর নীতির অংশ। এত দিন প্রশাসন বহিষ্কারের অভিযানকে বেশি তুলে ধরলেও আইনিভাবে অভিবাসন বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টার দিকে তুলনামূলক কম নজর ছিল। তবে ন্যাশনাল গার্ডে হামলার পর একের পর এক নতুন বিধিনিষেধের ঘোষণা থেকে স্পষ্ট যে আইনি অভিবাসনেও তার নজর আরও কড়া হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার যুক্তিতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, আর দায় চাপানো হচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতির ওপর।

বুধবার প্রকাশিত স্মারকে যেসব দেশকে লক্ষ্য করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছে—আফগানিস্তান, বার্মা (মিয়ানমার), চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। জুনে এগুলোর ওপর সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, যেখানে সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রবেশ সম্পূর্ণ স্থগিত ছিল।

অন্যদিকে আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা বাকি দেশগুলো হলো বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।

নতুন নীতিতে এসব দেশের নাগরিকদের সব মুলতবি আবেদন আটকে দেওয়া হবে। পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে আবেদনকারীদের ‘পুনরায় পূর্ণাঙ্গ পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, যেখানে প্রয়োজন হলে সাক্ষাৎকার এবং পুনঃসাক্ষাৎকারও নিতে হবে, যাতে জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার সব ঝুঁকি যাচাই করা যায়।’

স্মারকে সাম্প্রতিক বেশ কিছু অপরাধের ঘটনাও উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলোর জন্য অভিবাসীদের দায়ী করা হচ্ছে। এর মধ্যে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনাও রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

তালাকের পরে ফের বিয়ে নিয়ে সমালোচনা, যে ব্যাখ্যা দিলেন সাবিকুন নাহার

৮ কুকুরছানা হত্যায় সরকারি কর্মকর্তাকে বাসা ছাড়তে বাধ্য করল প্রশাসন, মামলার প্রস্তুতি

বোনের সঙ্গে ২০ মিনিটের আলাপে আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে ইমরান খানের অভিযোগ

২৪ ভারতীয় ছিলেন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে: পিলখানা ট্র্যাজেডি নিয়ে কমিশনের প্রতিবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতে নতুন স্মার্টফোনে বাধ্যতামূলক সরকারি অ্যাপ—গোপনীয়তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০২
ছবি: নিক্কেই এশিয়া
ছবি: নিক্কেই এশিয়া

ভারতে বিক্রি হওয়া সব নতুন স্মার্টফোনে ‘সঞ্চার সাথি’ নামে একটি সরকারি অ্যাপ বাধ্যতামূলকভাবে প্রি-ইনস্টল করার নির্দেশনা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী, অ্যাপটি ডিভাইস থেকে মুছে ফেলা বা নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। ফলে এটিকে অনেকেই নজরদারির ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন। অ্যাপল, ভিভোসহ সব নির্মাতাকে ৯০ দিনের মধ্যে এই শর্ত মানতে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার।

ভারত সরকারের টেলিকম বিভাগ দাবি করেছে—‘সঞ্চার সাথি’ মূলত চুরি বা হারানো ফোন ট্র্যাক ও ব্লক করতে এবং ব্যবহারকারীর নামে থাকা ভুয়া মোবাইল সংযোগ শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। অ্যাপটি এখন পর্যন্ত স্বেচ্ছায় ডাউনলোডযোগ্য হলেও নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সব নতুন ডিভাইসেই এটি প্রিলোড করতে হবে এর ‘ফাংশনালিটি সীমিত বা নিষ্ক্রিয় করার’ কোনো উপায় না রেখেই। অর্থাৎ কেউ চাইলেই এটি ফোন থেকে ডিলিট করতে পারবে না।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের সিদ্ধান্তটি ‘গোপনীয়তায় স্থায়ী হস্তক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছে দেশটির ডিজিটাল অধিকার সংগঠন ‘ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশন’ (আইএফএফ)। সংগঠনটি ঘোষণা করেছে, নির্দেশনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা লড়াই চালিয়ে যাবে।

এ অবস্থায় জনমনে বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে, যখন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন—ব্যবহারকারীরা নাকি চাইলেই অ্যাপটি ‘সক্রিয় বা মুছে ফেলতে’ পারবেন। তবে তিনি নির্দেশনার সেই অংশটি ব্যাখ্যা করেননি, যেখানে অ্যাপ নিষ্ক্রিয় বা সীমিত করা নিষিদ্ধ বলা আছে। সরকারও নতুন কোনো ঘোষণায় বিষয়টি স্পষ্ট করেনি।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে দিয়েছে। বহু ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন—অ্যাপটি ফোনের ক্যামেরা, কল লগ, ফাইল স্টোরেজ ও এসএমএসসহ বিস্তৃত অ্যাকসেস চায়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টার পয়েন্টের তরুণ পাঠক বলেন, ‘ইউরোপের ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট ব্যবহারকারীকে অ্যাপ মুছে ফেলার অধিকার দেয়। আর আমরা সেই জায়গা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছি।’

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্মাতা কোম্পানিগুলো প্রকাশ্যে অবস্থান না নিলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অ্যাপল ও চীনা ব্র্যান্ডগুলো শিল্প সংগঠনের মাধ্যমে নীরবে ভারত সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে। ভারতে ভিভো, অপ্পো ও শাওমি মিলেই বাজারের অর্ধেকের বেশি দখলে রেখেছে। অন্যদিকে অ্যাপল ইতিমধ্যে অ্যান্টিট্রাস্ট তদন্তের মুখে রয়েছে, যা তাদের জন্য আরও ঝুঁকি তৈরি করেছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, অ্যাপল এই নির্দেশনা মানতে আগ্রহী নয়। তবে কোম্পানিটি এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়াতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তালাকের ১ মাসের মাথায় ফের বিয়ে করলেন ত্বহা-সাবিকুন

তালাকের পরে ফের বিয়ে নিয়ে সমালোচনা, যে ব্যাখ্যা দিলেন সাবিকুন নাহার

৮ কুকুরছানা হত্যায় সরকারি কর্মকর্তাকে বাসা ছাড়তে বাধ্য করল প্রশাসন, মামলার প্রস্তুতি

বোনের সঙ্গে ২০ মিনিটের আলাপে আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে ইমরান খানের অভিযোগ

২৪ ভারতীয় ছিলেন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে: পিলখানা ট্র্যাজেডি নিয়ে কমিশনের প্রতিবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত