Ajker Patrika

বছরে পৌনে ৩ কোটি টন কয়লা বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে চায় ভারত

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৯ মে ২০২৩, ২২: ২৯
Thumbnail image

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কায় বছরে ৩ কোটি টন কয়লা পাঠাতে পারবে ভারত। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ৪০ লাখ টন এবং বাংলাদেশে ২ কোটি ৬০ লাখ টন কয়লা পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে দেশটি। 

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় খনিগুলো থেকে কয়লা উত্তোলনের মাধ্যমে এটি সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

সোমবার ভারতের কয়লা মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা ‘সমন্বিত কয়লা রসদ পরিকল্পনা’ নামে একটি খসড়া প্রস্তাবের বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। 

এর আগে সম্প্রতি ভারতীয় কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বলেছিলেন, ‘২০২৫-২৬ সালের মধ্যে তাপ কয়লার উৎপাদন এবং রপ্তানি আরও বাড়ানোর সমস্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।’ 

বর্তমানে ভারত বছরে ১০ থেকে ২০ লাখ টন কয়লা সরবরাহ করছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও নেপালে। তবে দেশটি শ্রীলঙ্কায় কোনো কয়লা সরবরাহ করছে না। 

খসড়া নথি অনুযায়ী, বাংলাদেশে ইন্দোনেশিয়ার কয়লার বাজার ধরতে ২৯৫০-৩৮৫০ কিলোক্যালরি/কেজি জিএআর ক্যালোরিফিক মান সম্মত কয়লা সরবরাহ করা হবে এবং ভারতীয় উৎপাদকদের জন্য ‘দীর্ঘমেয়াদি টেকসই রপ্তানিমুখী কয়লা বাজার’ তৈরি করা হবে। 

নথি থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে পাঠানো ভালো মানের ওই কয়লার মূল্য নির্ধারণ করা হবে টন প্রতি ২,৫৩৪ থেকে ২৯৭৬ রুপি বা ৩০ থেকে ৩৬ ডলারের মধ্যে। 

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের পর্যালোচনা অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বাংলাদেশ ৫০০০ কিলোক্যালোরি/কেজি জিএআর ক্যালোরিফিক কয়লা প্রতি টন ১০৬ ডলার করে কিনেছে। 

এক প্রতিবেদন অনুসারে, আমদানি নির্ভর বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লার বার্ষিক চাহিদা বর্তমান ২৩ টন থেকে বেড়ে ২০২৫ সালের মধ্যে হবে ২ কোটি ১০ লাখ টন থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ টন। 

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের তথ্য বলছে, ২০২২ সালে সাগরপথে বাংলাদেশ ৭৫ লাখ টন কয়লা আমদানি করেছে। এর মধ্যে ৬৬ লাখ টনই এসেছে ইন্দোনেশিয়া থেকে। 

 ‘সমন্বিত কয়লা রসদ পরিকল্পনা’য় উল্লেখ করা হয়েছে, শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত লক্ষ্যবিজয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য দেশটিতে বছরে ৪০ লাখ টন কয়লা সরবরাহ করবে। এই কয়লা বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানি করতে হয় শ্রীলঙ্কাকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত