নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে গিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে সিগারেটকে তালিকাভুক্ত করে রাখাটা ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘যাকে মুক্ত করতে হবে তাকে এসেনশিয়াল কমডিটিজে রাখার তো দরকার নেই। একদিকে বলছেন ‘এসেনশিয়াল’ আর একদিকে বলছেন তামাকমুক্ত। এভাবে দেশ তামাকমুক্ত হবে না।’ তিনি দেশকে তামাকমুক্ত করতে শতভাগ সততার সঙ্গে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে টিপু মুনশি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশকে তামাকমুক্ত করতে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, তার জন্য এক শ ভাগ সততার সঙ্গে আমি কাজ করব।’ তা ছাড়া মানুষকে সচেতন করে তুলতে পারলে অর্ধেক লড়াইয়ে জিতে যাওয়া সম্ভব বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি যে এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়ে এসেছি, সেই এলাকায় অনেক মানুষ বিড়ি তৈরি করে। অনেক শ্রমিকেরা সেখানে কাজ করে। এখানে অনেক মানুষের জীবিকা জড়িত। আমি অনেক চেষ্টা করছি তারা যেন এই কাজ থেকে বেরিয়ে গার্মেন্টস সেক্টরে চলে আসে। সুতরাং তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করতে হবে।’ তামাকমুক্ত আইন প্রণয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন বলেন, ‘তামাক শিল্পকে লাভজনক করে তুলে দেশকে তামাকমুক্ত করা সম্ভব নয়। এই দ্বৈততা থেকে সরে আসতে না পারলে কখনোই তামাকমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব নয়।’ আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপপরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান। তিনি উল্লেখ করেন, গ্যাটসের ২০১৩ সালের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী অপ্রাপ্তবয়স্ক তামাক ব্যবহারকারী ছিল ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৭ সালে ধূমপায়ীদের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৭৮ লাখ। আর পরোক্ষ ধূমপায়ীর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৮৪ লাখ। টোব্যাকো এটলাসের ২০২০ সালের জরিপ অনুযায়ী, প্রতি বছর তামাক ব্যবহারের কারণে মৃত্যুবরণ করছেন ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ, আমেরিকার ক্যানসার সোসাইটি ও ক্যানসার রিসার্চ-ইউকের যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, তামাক থেকে বার্ষিক রাজস্ব ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। অন্যদিকে তামাক ব্যবহারের কারণে ক্ষতির পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। নিট ক্ষতি প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।
নিকোটিনের নেশা বন্ধ না করা গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। তিনি বলেন, ‘শুধু আইন প্রণয়ন করে দেশকে তামাকমুক্ত করা যাবে না। মানুষকে সচেতন করা না গেলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আর একটা নেশা দিয়ে আর একটা নেশা কখনই বন্ধ করা সম্ভব নয়। ধর্মীয় দিক থেকেও তামাক জাতীয় দ্রব্যকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা মুখে ধর্মের কথা বললেও নিজেরাই মানি না।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন, ২০৪০ সালে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করা অত্যন্ত শক্তিশালী একটি পদক্ষেপ। বাংলাদেশ এফসিপিসিতে সাক্ষরকারী দেশ হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি ইনফ্লুয়েন্স থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বক্তারাও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দ্রুত পরিবর্তন ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া অবিলম্বে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন করে সিগারেটকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তাঁরা। ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করা ও ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অব টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধন করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। সেই খসড়ার ছয়টি প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করেন উপস্থিত বক্তারা।
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে গিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে সিগারেটকে তালিকাভুক্ত করে রাখাটা ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘যাকে মুক্ত করতে হবে তাকে এসেনশিয়াল কমডিটিজে রাখার তো দরকার নেই। একদিকে বলছেন ‘এসেনশিয়াল’ আর একদিকে বলছেন তামাকমুক্ত। এভাবে দেশ তামাকমুক্ত হবে না।’ তিনি দেশকে তামাকমুক্ত করতে শতভাগ সততার সঙ্গে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে টিপু মুনশি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশকে তামাকমুক্ত করতে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, তার জন্য এক শ ভাগ সততার সঙ্গে আমি কাজ করব।’ তা ছাড়া মানুষকে সচেতন করে তুলতে পারলে অর্ধেক লড়াইয়ে জিতে যাওয়া সম্ভব বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি যে এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়ে এসেছি, সেই এলাকায় অনেক মানুষ বিড়ি তৈরি করে। অনেক শ্রমিকেরা সেখানে কাজ করে। এখানে অনেক মানুষের জীবিকা জড়িত। আমি অনেক চেষ্টা করছি তারা যেন এই কাজ থেকে বেরিয়ে গার্মেন্টস সেক্টরে চলে আসে। সুতরাং তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করতে হবে।’ তামাকমুক্ত আইন প্রণয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন বলেন, ‘তামাক শিল্পকে লাভজনক করে তুলে দেশকে তামাকমুক্ত করা সম্ভব নয়। এই দ্বৈততা থেকে সরে আসতে না পারলে কখনোই তামাকমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব নয়।’ আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপপরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান। তিনি উল্লেখ করেন, গ্যাটসের ২০১৩ সালের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী অপ্রাপ্তবয়স্ক তামাক ব্যবহারকারী ছিল ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৭ সালে ধূমপায়ীদের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৭৮ লাখ। আর পরোক্ষ ধূমপায়ীর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৮৪ লাখ। টোব্যাকো এটলাসের ২০২০ সালের জরিপ অনুযায়ী, প্রতি বছর তামাক ব্যবহারের কারণে মৃত্যুবরণ করছেন ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ, আমেরিকার ক্যানসার সোসাইটি ও ক্যানসার রিসার্চ-ইউকের যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, তামাক থেকে বার্ষিক রাজস্ব ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। অন্যদিকে তামাক ব্যবহারের কারণে ক্ষতির পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। নিট ক্ষতি প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।
নিকোটিনের নেশা বন্ধ না করা গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। তিনি বলেন, ‘শুধু আইন প্রণয়ন করে দেশকে তামাকমুক্ত করা যাবে না। মানুষকে সচেতন করা না গেলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আর একটা নেশা দিয়ে আর একটা নেশা কখনই বন্ধ করা সম্ভব নয়। ধর্মীয় দিক থেকেও তামাক জাতীয় দ্রব্যকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা মুখে ধর্মের কথা বললেও নিজেরাই মানি না।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন, ২০৪০ সালে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করা অত্যন্ত শক্তিশালী একটি পদক্ষেপ। বাংলাদেশ এফসিপিসিতে সাক্ষরকারী দেশ হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি ইনফ্লুয়েন্স থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বক্তারাও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দ্রুত পরিবর্তন ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া অবিলম্বে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন করে সিগারেটকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তাঁরা। ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করা ও ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অব টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধন করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। সেই খসড়ার ছয়টি প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করেন উপস্থিত বক্তারা।
প্রধান উপদেষ্টার সম্প্রতি চীন সফরের ফলাফল পর্যালোচনা এবং বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতা দ্রুততর করতে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাঁরা এ সাক্ষাৎ করেন।
৭ ঘণ্টা আগেএজেন্সিগুলোর গাফিলতির কারণে চলতি বছর প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ব্যক্তির হজ পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। এ নিয়ে ধর্ম উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির পর তৎপরতা বাড়িয়েছে এজেন্সিগুলো। এতে অনিশ্চয়তা প্রায় কেটে গেছে। হজযাত্রীদের ভিসাপ্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকোর মহাপরিচালক পদে (২০২৫-২৯) মেক্সিকোর প্রার্থী গ্যাব্রিয়েলা রামোস পাটিনা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মেক্সিকোর অনাবাসিক
৮ ঘণ্টা আগেজুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আবেদনটি আগামী ১৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির...
১০ ঘণ্টা আগে