নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক বিষয় বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারকে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘শুরু থেকেই এর সমাধানের জন্য জোরালোভাবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও ভবিষ্যতে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা যাতে না আসে, সে ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্যান্য সংস্থা একযোগে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় র্যাব, আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা, আইন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ মিশনের মধ্যে নিয়মিতভাবে সমন্বয় সাধন করছে।
র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরপরই আমি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলি। সে সময় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে কাজ করবে, সে ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনা হয়। পরবর্তী সময় তাঁরই আমন্ত্রণে ওয়াশিংটন সফর করে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করি। বৈঠকে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়ন নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরি। ওই সফরে সিনেটর, কংগ্রেসম্যানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বৈঠক হয়। এতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে তাঁদের সমর্থনের অনুরোধ করি। কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাস গঠনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করি।’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থাবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে আলোচনা করেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওই সময়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং কাউন্সিলর ডেরেক এইচ সোলেটসহ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে সময় সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের গৃহীত উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘ সম্মেলন চলাকালে পররাষ্ট্রসচিব, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, অ্যাম্বাসেডর আট লার্ড, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ককাসের তিনজন কো-চেয়ার, কংগ্রেসম্যান গ্যারি ই. কনলি, কংগ্রেসম্যান স্টিভ জে চ্যাবট এবং কংগ্রেসম্যান ডোয়াইট ইভান্সের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। এ বৈঠকে পররাষ্ট্রবিষয়ক মার্কিন হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মেক্সও অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ককাসের সদস্য স্টিভ জে চ্যাবট যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত হননি। ওয়াশিংটন ডিসির দূতাবাস বাংলাদেশ ককাসে আরেকজন সদস্য যুক্ত করার নিমিত্তে কাজ করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে আসা সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু সঙ্গে সাক্ষাতে র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচিত হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ওই সময় ডোনাল্ড লু বর্তমান র্যাবের কার্যক্রমের বিশেষ প্রশংসা করেন।’
মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস আইনি সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
সংরক্ষিত আসনের সংসদ মমতা হেনা লাভলী তাঁর প্রশ্নে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা নামসর্বস্ব বিভিন্ন সংস্থার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেবে কি না তা জানতে চান।
জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ’বাংলাদেশ সব সময় আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে কূটনৈতিকদের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে তাঁদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকে ইতিবাচক হিসেবে দেখে থাকে। কূটনীতিকেরা দুই দেশের জনগণের স্বার্থে এবং কল্যাণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তবে আশা করি, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল বা বিতর্ক সৃষ্টি করে এমন বিষয়/অনুষ্ঠান থেকে কূটনীতিকেরা বিরত থাকবেন। তবে আমাদের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিরোধী দল ও কিছু গণমাধ্যম তাঁদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বক্তব্য দিতে সময় সময় উৎসাহিত করে; যা অন্যান্য দেশে প্রচলিত নয়।’
কূটনৈতিক সম্পর্ক-বিষয়ক ভিয়েনা কনভেনশনের বিধান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিদেশি কোনো কূটনীতিককে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে বাধা প্রদান করবে না। আশা করি, এসব অনুষ্ঠানে কূটনীতিকগণ কূটনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রাখবেন এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন।’
সরকার দলের আবুল কালাম আজাদের প্রায় একই ধরনের এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, বাংলাদেশে কর্মরত কতিপয় বিদেশি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়ায় বক্তব্য রাখেন। তাদের এই ধরনের শিষ্টাচার-বহির্ভূত বক্তব্য দেওয়া হতে বিরত রাখবার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা কূটনীতিকদের কাছে তাঁদের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাঁদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার পালন করে দায়িত্ব পালন করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
গণমাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য না করে যথাযথ দপ্তরগুলোর মাধ্যমে তাঁদের জানানোর জন্য দূতাবাসগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি লক্ষ করা গেছে যে কিছু বিদেশি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গণমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন; যা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কূটনীতিকগণ ওই রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর/ব্যক্তিগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন এবং তাঁদের পক্ষ থেকে যদি কোনো বিষয়ে বক্তব্য থাকে তা আলোচনা করতে পারেন। তা না করে, গণমাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কূটনীতিকগণ হস্তক্ষেপ বা নেতিবাচক মন্তব্য করলে তা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। তা গ্রহণযোগ্য নয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কূটনীতিবিদদের কাজ হচ্ছে দুটি রাষ্ট্রের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও উন্নীত করা এবং বিদ্যমান অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বৈজ্ঞানিক সম্পর্ককে আরও বিকশিত করা। হাইকমিশনার/রাষ্ট্রদূতগণ দুটি রাষ্ট্রের সম্পর্কের প্রতিনিধি হয়ে আগামী দিনগুলোতে দায়িত্বশীল আচরণ প্রদর্শন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক বিষয় বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারকে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘শুরু থেকেই এর সমাধানের জন্য জোরালোভাবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও ভবিষ্যতে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা যাতে না আসে, সে ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্যান্য সংস্থা একযোগে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় র্যাব, আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা, আইন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ মিশনের মধ্যে নিয়মিতভাবে সমন্বয় সাধন করছে।
র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরপরই আমি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলি। সে সময় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে কাজ করবে, সে ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনা হয়। পরবর্তী সময় তাঁরই আমন্ত্রণে ওয়াশিংটন সফর করে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করি। বৈঠকে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়ন নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরি। ওই সফরে সিনেটর, কংগ্রেসম্যানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বৈঠক হয়। এতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে তাঁদের সমর্থনের অনুরোধ করি। কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাস গঠনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করি।’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থাবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে আলোচনা করেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওই সময়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং কাউন্সিলর ডেরেক এইচ সোলেটসহ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে সময় সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের গৃহীত উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘ সম্মেলন চলাকালে পররাষ্ট্রসচিব, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, অ্যাম্বাসেডর আট লার্ড, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ককাসের তিনজন কো-চেয়ার, কংগ্রেসম্যান গ্যারি ই. কনলি, কংগ্রেসম্যান স্টিভ জে চ্যাবট এবং কংগ্রেসম্যান ডোয়াইট ইভান্সের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। এ বৈঠকে পররাষ্ট্রবিষয়ক মার্কিন হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মেক্সও অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ককাসের সদস্য স্টিভ জে চ্যাবট যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত হননি। ওয়াশিংটন ডিসির দূতাবাস বাংলাদেশ ককাসে আরেকজন সদস্য যুক্ত করার নিমিত্তে কাজ করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে আসা সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু সঙ্গে সাক্ষাতে র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচিত হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ওই সময় ডোনাল্ড লু বর্তমান র্যাবের কার্যক্রমের বিশেষ প্রশংসা করেন।’
মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস আইনি সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
সংরক্ষিত আসনের সংসদ মমতা হেনা লাভলী তাঁর প্রশ্নে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা নামসর্বস্ব বিভিন্ন সংস্থার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেবে কি না তা জানতে চান।
জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ’বাংলাদেশ সব সময় আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে কূটনৈতিকদের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে তাঁদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকে ইতিবাচক হিসেবে দেখে থাকে। কূটনীতিকেরা দুই দেশের জনগণের স্বার্থে এবং কল্যাণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তবে আশা করি, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল বা বিতর্ক সৃষ্টি করে এমন বিষয়/অনুষ্ঠান থেকে কূটনীতিকেরা বিরত থাকবেন। তবে আমাদের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিরোধী দল ও কিছু গণমাধ্যম তাঁদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বক্তব্য দিতে সময় সময় উৎসাহিত করে; যা অন্যান্য দেশে প্রচলিত নয়।’
কূটনৈতিক সম্পর্ক-বিষয়ক ভিয়েনা কনভেনশনের বিধান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিদেশি কোনো কূটনীতিককে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে বাধা প্রদান করবে না। আশা করি, এসব অনুষ্ঠানে কূটনীতিকগণ কূটনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রাখবেন এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন।’
সরকার দলের আবুল কালাম আজাদের প্রায় একই ধরনের এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, বাংলাদেশে কর্মরত কতিপয় বিদেশি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়ায় বক্তব্য রাখেন। তাদের এই ধরনের শিষ্টাচার-বহির্ভূত বক্তব্য দেওয়া হতে বিরত রাখবার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা কূটনীতিকদের কাছে তাঁদের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাঁদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার পালন করে দায়িত্ব পালন করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
গণমাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য না করে যথাযথ দপ্তরগুলোর মাধ্যমে তাঁদের জানানোর জন্য দূতাবাসগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি লক্ষ করা গেছে যে কিছু বিদেশি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গণমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন; যা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কূটনীতিকগণ ওই রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর/ব্যক্তিগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন এবং তাঁদের পক্ষ থেকে যদি কোনো বিষয়ে বক্তব্য থাকে তা আলোচনা করতে পারেন। তা না করে, গণমাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কূটনীতিকগণ হস্তক্ষেপ বা নেতিবাচক মন্তব্য করলে তা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। তা গ্রহণযোগ্য নয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কূটনীতিবিদদের কাজ হচ্ছে দুটি রাষ্ট্রের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও উন্নীত করা এবং বিদ্যমান অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বৈজ্ঞানিক সম্পর্ককে আরও বিকশিত করা। হাইকমিশনার/রাষ্ট্রদূতগণ দুটি রাষ্ট্রের সম্পর্কের প্রতিনিধি হয়ে আগামী দিনগুলোতে দায়িত্বশীল আচরণ প্রদর্শন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
ফেনী-১ আসনের সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেকোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী ও মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি শাজাহান খান, তাঁর স্ত্রী সৈয়দা রোকেয়া বেগম ও ছেলে মো. আসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খানের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ
৯ ঘণ্টা আগেভূমধ্যসাগর হয়ে অবৈধ উপায়ে ইতালি যাওয়ার সময় নৌকাডুবির শিকার হয়ে মারা যাওয়া ২৩ ব্যক্তিকে লিবিয়ায় দাফন করা হয়েছে। এসব মৃতদেহের অবয়ব দেখে রেড ক্রিসেন্টসহ লিবিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, নিহতরা বাংলাদেশের নাগরিক। এদিকে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেইতালিতে পাঠানোর নাম করে নিরীহ চাকরিপ্রার্থীদের লিবিয়ায় আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করছে ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর মাফিয়া চক্র। সম্প্রতি ইতালিসহ বিশ্বের কয়েকটি গন্তব্যে যেতে আগ্রহী কর্মীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলার প্রবণতা বেড়েছে। মানব পাচারকারীদের কবলে পড়ে নৌকাডুবিতে মৃত্যু ছাড়াও নির্যাতন ও হত্যার শিকার হচ্ছে অনেকে।
১০ ঘণ্টা আগে