নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে মহিলা ও শিশু উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা যে স্বৈরাচারের অন্যায় জায়গায় পৌঁছেছিলাম, সেই জায়গার একটা একটা করে ইট আমরা ভাঙবোই। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার আমাদেরও চাওয়া। সেই বিচার হতেই হবে।’
আজ সোমবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ১০৫ শিশুর পরিবারকে সম্মাননা, ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে শহীদি স্বীকৃতির মানপত্রও দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মমতা ও ফাহিম নামে দুজন শিশু প্রতিনিধিও কথা বলে। তারা বলে, তাদের স্কুলগুলোতে খেলার মাঠ, গ্রন্থাগার প্রয়োজন। বেড়ে ওঠার সুন্দর পরিবেশ প্রয়োজন।
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে পরিবারের সদস্যরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতের ঘটনায় সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। আন্দোলনে শহীদ শিশুদের বীর শহীদদের মর্যাদা দিতে হবে। তাদের নামে নানা স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে হবে।
তাঁরা আরও বলেন, পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরিতে সুযোগ দিতে হবে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সঙ্গে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মিল রয়েছে। ৭১ সালে মা তার সন্তানদের যুদ্ধে পাঠিয়েছে, ২৪ সালে অভিভাবকেরাও তাঁদের সন্তানদের আন্দোলনে পাঠিয়েছে। আন্দোলনে এক পুলিশের সন্তান মারা গেল। তখন সে তাঁর স্যারকে জিজ্ঞেস করেছিল, একটা বাচ্চা মারতে কয়টা গুলি লাগে?
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘৭১ সালে আমরা জানতাম কারা আমাদের শত্রু। কিন্তু ২০২৪ সালে যেটা ঘটেছে, সেখানে সবকিছু একাকার হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো কাজ করলে এ প্রজন্মের সম্মান ফিরে পাব। এখন আমাদের পাতা উল্টে ফেলার সময় হয়েছে। গত ৫০ বছরে আমরা ভুল, চুরি, ডাকাতি করে দেশটাকে নিঃস্ব করেছি। এ সময়টাকে ভোলা যাবে না। কারণ আমরা চাই না, পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের দিকে আঙুল তুলক। আমরা আবার শূন্য থেকে শুরু করব। নতুন প্রজন্ম নিজেদের মতো করে ভালোবাসা, মেধা মনন দিয়ে দেশ গড়ে তুলবে। কারণ তারা ন্যায়, অন্যায়কে গভীরভাবে ধারণ করে। আমাদের প্রজন্ম তোমাদের চোখ দিয়ে নতুন করে দেখবে, শিখবে। এ প্রজন্মের হাত দিয়েই গড়ে উঠবে গণতন্ত্রের সুন্দর জায়গা। সেই স্বপ্নের নিরাপদ আশ্রয়স্থল করে গড়ে তোলা হবে।’
শিশুরা শেকড় থেকে নাড়া দিয়েছে উল্লেখ করে শারমিন এস মুরশিদ বলেন, ‘আমাদের দেশটাকে নতুন করে গড়তে হবে। আমরা নিশ্চিতভাবে মুক্তির এক ধাপ এগোলাম। আমরা যারা সামাজিক আন্দোলন করি, ক্যাম্পেইন করি এর কোনো কিছু এ আন্দোলনের সমতুল্য হতে পারবে না। এ একটি মাসে আমাদের মূল্যবোধের যে জায়গাটায় নাড়া পড়েছে, সেটা হাজার কোটি টাকার সামাজিক আন্দোলন বা ক্যাম্পেইন দিয়ে সম্ভব হতো না। আমরা যতোই বলি না কে তোমাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা কম হয়ে যাবে। আমরা সবাই মিলে শিশুদের জন্য সুন্দর একটা দেশ গড়ে তুলি।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব নাজমা মোবারক।
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে মহিলা ও শিশু উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা যে স্বৈরাচারের অন্যায় জায়গায় পৌঁছেছিলাম, সেই জায়গার একটা একটা করে ইট আমরা ভাঙবোই। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার আমাদেরও চাওয়া। সেই বিচার হতেই হবে।’
আজ সোমবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ১০৫ শিশুর পরিবারকে সম্মাননা, ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে শহীদি স্বীকৃতির মানপত্রও দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মমতা ও ফাহিম নামে দুজন শিশু প্রতিনিধিও কথা বলে। তারা বলে, তাদের স্কুলগুলোতে খেলার মাঠ, গ্রন্থাগার প্রয়োজন। বেড়ে ওঠার সুন্দর পরিবেশ প্রয়োজন।
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে পরিবারের সদস্যরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতের ঘটনায় সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। আন্দোলনে শহীদ শিশুদের বীর শহীদদের মর্যাদা দিতে হবে। তাদের নামে নানা স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে হবে।
তাঁরা আরও বলেন, পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরিতে সুযোগ দিতে হবে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সঙ্গে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মিল রয়েছে। ৭১ সালে মা তার সন্তানদের যুদ্ধে পাঠিয়েছে, ২৪ সালে অভিভাবকেরাও তাঁদের সন্তানদের আন্দোলনে পাঠিয়েছে। আন্দোলনে এক পুলিশের সন্তান মারা গেল। তখন সে তাঁর স্যারকে জিজ্ঞেস করেছিল, একটা বাচ্চা মারতে কয়টা গুলি লাগে?
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘৭১ সালে আমরা জানতাম কারা আমাদের শত্রু। কিন্তু ২০২৪ সালে যেটা ঘটেছে, সেখানে সবকিছু একাকার হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো কাজ করলে এ প্রজন্মের সম্মান ফিরে পাব। এখন আমাদের পাতা উল্টে ফেলার সময় হয়েছে। গত ৫০ বছরে আমরা ভুল, চুরি, ডাকাতি করে দেশটাকে নিঃস্ব করেছি। এ সময়টাকে ভোলা যাবে না। কারণ আমরা চাই না, পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের দিকে আঙুল তুলক। আমরা আবার শূন্য থেকে শুরু করব। নতুন প্রজন্ম নিজেদের মতো করে ভালোবাসা, মেধা মনন দিয়ে দেশ গড়ে তুলবে। কারণ তারা ন্যায়, অন্যায়কে গভীরভাবে ধারণ করে। আমাদের প্রজন্ম তোমাদের চোখ দিয়ে নতুন করে দেখবে, শিখবে। এ প্রজন্মের হাত দিয়েই গড়ে উঠবে গণতন্ত্রের সুন্দর জায়গা। সেই স্বপ্নের নিরাপদ আশ্রয়স্থল করে গড়ে তোলা হবে।’
শিশুরা শেকড় থেকে নাড়া দিয়েছে উল্লেখ করে শারমিন এস মুরশিদ বলেন, ‘আমাদের দেশটাকে নতুন করে গড়তে হবে। আমরা নিশ্চিতভাবে মুক্তির এক ধাপ এগোলাম। আমরা যারা সামাজিক আন্দোলন করি, ক্যাম্পেইন করি এর কোনো কিছু এ আন্দোলনের সমতুল্য হতে পারবে না। এ একটি মাসে আমাদের মূল্যবোধের যে জায়গাটায় নাড়া পড়েছে, সেটা হাজার কোটি টাকার সামাজিক আন্দোলন বা ক্যাম্পেইন দিয়ে সম্ভব হতো না। আমরা যতোই বলি না কে তোমাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা কম হয়ে যাবে। আমরা সবাই মিলে শিশুদের জন্য সুন্দর একটা দেশ গড়ে তুলি।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব নাজমা মোবারক।
মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত করার জন্য আইন সংশোধন করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে গত ২৫ মার্চ গেজেট প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত আইনে ধর্ষণের বিচারের সময়সীমা কমিয়ে ৯০ কার্যদিবসে...
৬ ঘণ্টা আগেপ্রায় ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরে ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ তোলে পাকিস্তান। তবে বাংলাদেশের বিবৃতিতে এই ইস্যুর উল্লেখ না থাকলেও ঢাকা একাত্তরের গণহত্যা, ক্ষতিপূরণসহ একাধিক ঐতিহাসিক বিষয় উত্থাপন করে। বৈঠকে সার্ক পুনরুজ্জীবন এবং
১০ ঘণ্টা আগেবিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে সমান অধিকারের জন্য অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ করেছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন
১১ ঘণ্টা আগেনারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য, সেসব দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১৩ ঘণ্টা আগে