অনলাইন ডেস্ক
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শত শত স্থানীয় ‘বাঙালি মুসলিমকে’ যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই বাংলাদেশে বহিষ্কার (পুশইন) করেছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করছে যে, তারা ‘অবৈধ অভিবাসী।’ মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানিয়েছে, যাদের বাংলাদেশে পুশইন করা হয়েছে, তাদের বেশির ভাগেরই ভারতের বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন রাজ্যগুলোর নাগরিকত্ব রয়েছে।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ, ‘২০২৫ সালের মে মাস থেকে হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার স্থানীয় বাঙালি মুসলিমদের বাংলাদেশে বহিষ্কারের (পুশইনের) অভিযান জোরদার করেছে। উদ্দেশ্য হলো—আইনি অনুমোদন ছাড়া ভারতে প্রবেশকারীদের নিরুৎসাহিত করা। সরকারের উচিত যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া বেআইনিভাবে মানুষকে বিতাড়িত করা বন্ধ করা এবং এর পরিবর্তে প্রত্যেকের জন্য নির্বিচার আটক ও বহিষ্কার থেকে সুরক্ষার জন্য পদ্ধতিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া পরিচালক অ্যালেইন পিয়ারসন বলেছেন, ‘ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি নির্বিচারে স্থানীয় বাঙালি মুসলিমদের—যার মধ্যে ভারতীয় নাগরিকরাও রয়েছে—দেশ থেকে বহিষ্কার করে বৈষম্যকে উসকে দিচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের দাবি অগ্রহণযোগ্য, কারণ তারা যথাযথ প্রক্রিয়া, অভ্যন্তরীণ নিশ্চয়তা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডকে উপেক্ষা করছে।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গত জুনে ১৮ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সাক্ষাৎকার নেওয়াদের মধ্যে এমন ভারতীয় নাগরিকরাও রয়েছেন যারা বাংলাদেশে বহিষ্কৃত হওয়ার পর ভারতে ফিরে এসেছেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন যারা এখনো নিখোঁজ। গত ৮ জুলাই হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিস্তারিত জানতে চেয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি।
ভারত সরকার বহিষ্কৃত নাগরিকদের সংখ্যার বিষয়ে কোনো সরকারি তথ্য দেয়নি। তবে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ জানিয়েছে, ৭ মে থেকে ১৫ জুনের মধ্যে ভারত ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মুসলিম পুরুষ, নারী ও শিশুকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে, যার মধ্যে মিয়ানমারের ১০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীও রয়েছে। এই প্রক্রিয়া এখনো চলছে।
এইচআরডব্লিউ—এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপি শাসিত রাজ্য আসাম, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, ওডিশা এবং রাজস্থানের কর্তৃপক্ষ মুসলিমদের—যাদের অধিকাংশই দরিদ্র অভিবাসী শ্রমিক—আটক করেছে এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের কাছে হস্তান্তর করেছে। কিছু ক্ষেত্রে, সীমান্তরক্ষীরা অভিযোগ অনুযায়ী আটককৃতদের হুমকি দিয়েছে এবং মারধর করেছে যাতে তারা তাদের নাগরিকত্বের দাবি পর্যাপ্তভাবে যাচাই না করেই বাংলাদেশে প্রবেশে বাধ্য হয়। অবশ্য কয়েকজন নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারায় ভারত সরকার কয়েক ডজন মানুষকে পুনরায় দেশে ফিরতে দিতে বাধ্য হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত এপ্রিলে জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের প্রাণঘাতী হামলার পর এই দমনপীড়ন শুরু হয়। পুলিশ মুসলিমদের হয়রানি করতে শুরু করে, তাদের নাগরিকত্বের দাবি গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং তাদের ফোন, নথি ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র জব্দ করে, যার ফলে তারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। আটককৃতদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন, ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর (বিএসএফ) কর্মকর্তারা তাদের হুমকি দিয়েছে এবং আক্রমণ করেছে এবং কয়েকটি ক্ষেত্রে, বন্দুকের মুখে তাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে বাধ্য করেছে।
আসাম রাজ্যের ৫১ বছর বয়সী খাইরুল ইসলাম প্রমাণিত ভারতীয় নাগরিক। তিনি একটি স্কুলের সাবেক শিক্ষক। তিনি বলেছেন, গত ২৬ মে ভারতীয় সীমান্ত কর্মকর্তারা তাঁর হাত বেঁধে, মুখ চেপে তাঁকে এবং আরও ১৪ জনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে প্রবেশ করতে অস্বীকার করায় বিএসএফ কর্মকর্তা আমাকে মারধর করে এবং চারবার শূন্যে রাবারের গুলি চালায়।’ তিনি দুই সপ্তাহ পর ফিরে আসতে সক্ষম হন।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ থেকে ভারতে তথাকথিত ‘অবৈধ অভিবাসনের’ কোনো সঠিক তথ্য নেই এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভারত প্রায়শই সংখ্যা বাড়িয়ে দেখায়। বিজেপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বারবার বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং হিন্দু রাজনৈতিক সমর্থন লাভের জন্য ভারতীয় মুসলিমদের প্রতিবিম্বিত করতে এই শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছেন।
মে মাসে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজ্যগুলোকে ‘অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত, চিহ্নিত এবং বিতাড়িত’ করার জন্য ৩০ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করার পর এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে তাদের ‘আটক করার জন্য প্রতিটি জেলায় পর্যাপ্ত হোল্ডিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা’ করার নির্দেশ দেওয়ার পর বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার স্থানীয় বাংলাভাষী মুসলিম অভিবাসী শ্রমিকদের আটক করতে শুরু করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে ২ হাজার ৩৬০ জনের বেশি মানুষের নাম পাঠিয়েছে তাদের জাতীয়তা যাচাই করার জন্য।
৮ মে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারকে চিঠি লিখে পুশইনকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে, বাংলাদেশ ‘শুধু বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবে নিশ্চিত এবং সঠিক চ্যানেলের মাধ্যমে প্রত্যাবাসনকৃত ব্যক্তিদের গ্রহণ করবে।’
ভারতের এই কর্মকাণ্ডের বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ভারত সরকার কর্তৃক কাউকে যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া আটক ও বহিষ্কার করা মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন। ভারত সরকারের উচিত বহিষ্কারের শিকার যেকোনো ব্যক্তির জন্য মৌলিক পদ্ধতিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এর মধ্যে বহিষ্কারের কারণ সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য, যোগ্য আইনি প্রতিনিধিত্ব এবং বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ অন্তর্ভুক্ত।
কর্তৃপক্ষের উচিত নিরাপত্তা বাহিনী ও সীমান্তরক্ষীরা যাতে অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার না করে তা নিশ্চিত করা এবং বল প্রয়োগের কথিত অপব্যবহারের নিরপেক্ষ তদন্ত করা। অপব্যবহারের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের যথাযথভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ বা বিচার করা উচিত। বহিষ্কারের জন্য আটককৃত ব্যক্তিদের পর্যাপ্ত খাবার, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সুবিধা পাওয়ার সুযোগ থাকতে হবে, এবং কর্তৃপক্ষের উচিত প্রান্তিক গোষ্ঠীর, যার মধ্যে নারী, শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা রয়েছে, তাদের নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণ করা।
পিয়ারসন বলেছেন, ‘ভারতীয় সরকার হাজার হাজার দুর্বল মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলছে, যা অননুমোদিত অভিবাসীদের খোঁজে বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু তাদের পদক্ষেপ মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বৈষম্যমূলক নীতি প্রতিফলিত করে।’ তিনি আরও বলেন, ভারতের বিজেপি ‘সরকার রাজনৈতিক সমর্থন লাভের চেষ্টা করার সময় নিপীড়িতদের আশ্রয় দেওয়ার ভারতের দীর্ঘ ইতিহাসকে ক্ষুণ্ন করছে।’
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শত শত স্থানীয় ‘বাঙালি মুসলিমকে’ যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই বাংলাদেশে বহিষ্কার (পুশইন) করেছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করছে যে, তারা ‘অবৈধ অভিবাসী।’ মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানিয়েছে, যাদের বাংলাদেশে পুশইন করা হয়েছে, তাদের বেশির ভাগেরই ভারতের বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন রাজ্যগুলোর নাগরিকত্ব রয়েছে।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ, ‘২০২৫ সালের মে মাস থেকে হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার স্থানীয় বাঙালি মুসলিমদের বাংলাদেশে বহিষ্কারের (পুশইনের) অভিযান জোরদার করেছে। উদ্দেশ্য হলো—আইনি অনুমোদন ছাড়া ভারতে প্রবেশকারীদের নিরুৎসাহিত করা। সরকারের উচিত যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া বেআইনিভাবে মানুষকে বিতাড়িত করা বন্ধ করা এবং এর পরিবর্তে প্রত্যেকের জন্য নির্বিচার আটক ও বহিষ্কার থেকে সুরক্ষার জন্য পদ্ধতিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া পরিচালক অ্যালেইন পিয়ারসন বলেছেন, ‘ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি নির্বিচারে স্থানীয় বাঙালি মুসলিমদের—যার মধ্যে ভারতীয় নাগরিকরাও রয়েছে—দেশ থেকে বহিষ্কার করে বৈষম্যকে উসকে দিচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের দাবি অগ্রহণযোগ্য, কারণ তারা যথাযথ প্রক্রিয়া, অভ্যন্তরীণ নিশ্চয়তা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডকে উপেক্ষা করছে।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গত জুনে ১৮ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সাক্ষাৎকার নেওয়াদের মধ্যে এমন ভারতীয় নাগরিকরাও রয়েছেন যারা বাংলাদেশে বহিষ্কৃত হওয়ার পর ভারতে ফিরে এসেছেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন যারা এখনো নিখোঁজ। গত ৮ জুলাই হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিস্তারিত জানতে চেয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি।
ভারত সরকার বহিষ্কৃত নাগরিকদের সংখ্যার বিষয়ে কোনো সরকারি তথ্য দেয়নি। তবে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ জানিয়েছে, ৭ মে থেকে ১৫ জুনের মধ্যে ভারত ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মুসলিম পুরুষ, নারী ও শিশুকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে, যার মধ্যে মিয়ানমারের ১০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীও রয়েছে। এই প্রক্রিয়া এখনো চলছে।
এইচআরডব্লিউ—এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপি শাসিত রাজ্য আসাম, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, ওডিশা এবং রাজস্থানের কর্তৃপক্ষ মুসলিমদের—যাদের অধিকাংশই দরিদ্র অভিবাসী শ্রমিক—আটক করেছে এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের কাছে হস্তান্তর করেছে। কিছু ক্ষেত্রে, সীমান্তরক্ষীরা অভিযোগ অনুযায়ী আটককৃতদের হুমকি দিয়েছে এবং মারধর করেছে যাতে তারা তাদের নাগরিকত্বের দাবি পর্যাপ্তভাবে যাচাই না করেই বাংলাদেশে প্রবেশে বাধ্য হয়। অবশ্য কয়েকজন নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারায় ভারত সরকার কয়েক ডজন মানুষকে পুনরায় দেশে ফিরতে দিতে বাধ্য হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত এপ্রিলে জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের প্রাণঘাতী হামলার পর এই দমনপীড়ন শুরু হয়। পুলিশ মুসলিমদের হয়রানি করতে শুরু করে, তাদের নাগরিকত্বের দাবি গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং তাদের ফোন, নথি ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র জব্দ করে, যার ফলে তারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। আটককৃতদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন, ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর (বিএসএফ) কর্মকর্তারা তাদের হুমকি দিয়েছে এবং আক্রমণ করেছে এবং কয়েকটি ক্ষেত্রে, বন্দুকের মুখে তাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে বাধ্য করেছে।
আসাম রাজ্যের ৫১ বছর বয়সী খাইরুল ইসলাম প্রমাণিত ভারতীয় নাগরিক। তিনি একটি স্কুলের সাবেক শিক্ষক। তিনি বলেছেন, গত ২৬ মে ভারতীয় সীমান্ত কর্মকর্তারা তাঁর হাত বেঁধে, মুখ চেপে তাঁকে এবং আরও ১৪ জনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে প্রবেশ করতে অস্বীকার করায় বিএসএফ কর্মকর্তা আমাকে মারধর করে এবং চারবার শূন্যে রাবারের গুলি চালায়।’ তিনি দুই সপ্তাহ পর ফিরে আসতে সক্ষম হন।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ থেকে ভারতে তথাকথিত ‘অবৈধ অভিবাসনের’ কোনো সঠিক তথ্য নেই এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভারত প্রায়শই সংখ্যা বাড়িয়ে দেখায়। বিজেপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বারবার বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং হিন্দু রাজনৈতিক সমর্থন লাভের জন্য ভারতীয় মুসলিমদের প্রতিবিম্বিত করতে এই শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছেন।
মে মাসে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজ্যগুলোকে ‘অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত, চিহ্নিত এবং বিতাড়িত’ করার জন্য ৩০ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করার পর এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে তাদের ‘আটক করার জন্য প্রতিটি জেলায় পর্যাপ্ত হোল্ডিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা’ করার নির্দেশ দেওয়ার পর বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার স্থানীয় বাংলাভাষী মুসলিম অভিবাসী শ্রমিকদের আটক করতে শুরু করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে ২ হাজার ৩৬০ জনের বেশি মানুষের নাম পাঠিয়েছে তাদের জাতীয়তা যাচাই করার জন্য।
৮ মে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারকে চিঠি লিখে পুশইনকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে, বাংলাদেশ ‘শুধু বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবে নিশ্চিত এবং সঠিক চ্যানেলের মাধ্যমে প্রত্যাবাসনকৃত ব্যক্তিদের গ্রহণ করবে।’
ভারতের এই কর্মকাণ্ডের বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ভারত সরকার কর্তৃক কাউকে যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া আটক ও বহিষ্কার করা মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন। ভারত সরকারের উচিত বহিষ্কারের শিকার যেকোনো ব্যক্তির জন্য মৌলিক পদ্ধতিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এর মধ্যে বহিষ্কারের কারণ সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য, যোগ্য আইনি প্রতিনিধিত্ব এবং বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ অন্তর্ভুক্ত।
কর্তৃপক্ষের উচিত নিরাপত্তা বাহিনী ও সীমান্তরক্ষীরা যাতে অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার না করে তা নিশ্চিত করা এবং বল প্রয়োগের কথিত অপব্যবহারের নিরপেক্ষ তদন্ত করা। অপব্যবহারের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের যথাযথভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ বা বিচার করা উচিত। বহিষ্কারের জন্য আটককৃত ব্যক্তিদের পর্যাপ্ত খাবার, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সুবিধা পাওয়ার সুযোগ থাকতে হবে, এবং কর্তৃপক্ষের উচিত প্রান্তিক গোষ্ঠীর, যার মধ্যে নারী, শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা রয়েছে, তাদের নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণ করা।
পিয়ারসন বলেছেন, ‘ভারতীয় সরকার হাজার হাজার দুর্বল মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলছে, যা অননুমোদিত অভিবাসীদের খোঁজে বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু তাদের পদক্ষেপ মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বৈষম্যমূলক নীতি প্রতিফলিত করে।’ তিনি আরও বলেন, ভারতের বিজেপি ‘সরকার রাজনৈতিক সমর্থন লাভের চেষ্টা করার সময় নিপীড়িতদের আশ্রয় দেওয়ার ভারতের দীর্ঘ ইতিহাসকে ক্ষুণ্ন করছে।’
ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে আহতদের উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে সিঙ্গাপুর ও চীন থেকে দুটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
৬ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর রাজনৈতিক সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের হামলার পর সংঘর্ষ ও গুলিতে ৫ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) একটি প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান চালিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে গুরুতর...
৭ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ ১৪ বছর পর চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে নিয়োগের জন্য প্রথমবারের মতো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর আগে এই পদে কোনো প্রতিযোগিতা বা বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হতো। তা নিয়ে ছিল নানা বিতর্ক।
৯ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে গত ১৫ বছরে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হামলা ও তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহত ব্যক্তিদের তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে নিহত বুয়েট...
১৬ ঘণ্টা আগে