Ajker Patrika

সাড়ে ৫ লাখ দিয়েও টিকিট জুটল না ফেরদৌসের, পকেটে দেড় শ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাড়ে ৫ লাখ দিয়েও টিকিট জুটল না ফেরদৌসের, পকেটে দেড় শ টাকা

জয়পুরহাট সদরের দোয়ানীঘাটের বাসিন্দা মো. ফেরদৌস। একটি রিক্রুটিং এজেন্সিকে তিন দফায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছেন। ঢাকায় এসে কয়েক দিন ধরে মালয়েশিয়ার ফ্লাইটের টিকিটের অপেক্ষায়। কিন্তু এজেন্সি তিনিসহ তাঁর সঙ্গে আসা আরও ১৫ জনের টিকিটের ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি। 

ফেরদৌসের পকেটে এখন সাকল্যে দেড় শ টাকা। হোটেলে গিয়ে রাত কাটানোর অবস্থাও নেই। এখনো তিনি জানেন না কী করবেন। রাত ১২টার পরই মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এজেন্সির লোকেরা এখনো আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। ফেরদৌসকে হয়তো শেষ পর্যন্ত বাড়িই ফিরতে হবে। বাড়িটাই তাঁর শেষ সম্বল। 

শুক্রবার (৩১ মে) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় কথা হয় ফেরদৌসের সঙ্গে। তিনি এখনো টিকিটের অপেক্ষায় বসে আছেন। রাতে খাবার জোটেনি। পকেটে দেড় শ টাকা কোথায় রাতটা কাটাবেন জানেন না! 

ফেরদৌস জানান, প্রবাসী ব্যাংক থেকে ৩ লাখ ঋণ নিয়েছেন। সাত মাস আগে রিক্রুটিং এজেন্সিকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিয়েছেন। গত ২৫ মে দিয়েছেন দেড় লাখ। আর ঢাকা এসে আবার দিয়েছেন ৫০ হাজার। এ ছাড়া বহুবার জয়পুরহাট থেকে ঢাকায় যাতায়াত বাবদ এরই মধ্যে অন্তত ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে তাঁর। 

এর আগে ১৬ বছর মালয়েশিয়া ছিলেন বলে জানান ফেরদৌস। তবে কোনো কারণে চলে আসতে হয়েছিল। তেমন পয়সাকড়িও রোজগার করতে পারেননি। ভিটেমাটি ছাড়া কোনো সম্পত্তি নেই। এক বছর আগে দেশে ফেরেন। 

তিনি বলেন, আমরা এখানে ১৬ জন আছি। এজেন্সির লোকেরা এখনো বলছে, যে করেই হোক তারা মালয়েশিয়া পাঠাবে। কিন্তু সময় তো শেষ হয়ে গেছে। এখন জানেন না, তারা কোথায় যেতে বলবে—বিমানবন্দর নাকি বাড়ি!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত