নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগসংক্রান্ত বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া মেমো স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
আবদুল কাইয়ূম বলেন, সাইফুল আলম (এস আলম) ২০২০ সালে নাগরিকত্ব ত্যাগ করলেও বিভিন্ন ঋণসংক্রান্ত নথিতে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে দাবি করছেন। আবার সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতে গিয়ে বাংলাদেশে তাঁর বিনিয়োগের সুরক্ষা চাচ্ছেন। তাঁর কাছে ইসলামী ব্যাংকের পাওনা এক লাখ কোটি টাকার বেশি।
আবদুল কাইয়ূম আরও বলেন, সিঙ্গাপুর থেকে সাইফুল আলমকে কূটনৈতিক মাধ্যমে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং গ্রাহকদের টাকা পরিশোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—এ মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই এক মেমোতে জানানো হয়, সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব গ্রহণ করায় সাইফুল আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেমোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রিটটি করা হয়।

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগসংক্রান্ত বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া মেমো স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
আবদুল কাইয়ূম বলেন, সাইফুল আলম (এস আলম) ২০২০ সালে নাগরিকত্ব ত্যাগ করলেও বিভিন্ন ঋণসংক্রান্ত নথিতে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে দাবি করছেন। আবার সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতে গিয়ে বাংলাদেশে তাঁর বিনিয়োগের সুরক্ষা চাচ্ছেন। তাঁর কাছে ইসলামী ব্যাংকের পাওনা এক লাখ কোটি টাকার বেশি।
আবদুল কাইয়ূম আরও বলেন, সিঙ্গাপুর থেকে সাইফুল আলমকে কূটনৈতিক মাধ্যমে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং গ্রাহকদের টাকা পরিশোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—এ মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই এক মেমোতে জানানো হয়, সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব গ্রহণ করায় সাইফুল আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেমোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রিটটি করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগসংক্রান্ত বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া মেমো স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
আবদুল কাইয়ূম বলেন, সাইফুল আলম (এস আলম) ২০২০ সালে নাগরিকত্ব ত্যাগ করলেও বিভিন্ন ঋণসংক্রান্ত নথিতে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে দাবি করছেন। আবার সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতে গিয়ে বাংলাদেশে তাঁর বিনিয়োগের সুরক্ষা চাচ্ছেন। তাঁর কাছে ইসলামী ব্যাংকের পাওনা এক লাখ কোটি টাকার বেশি।
আবদুল কাইয়ূম আরও বলেন, সিঙ্গাপুর থেকে সাইফুল আলমকে কূটনৈতিক মাধ্যমে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং গ্রাহকদের টাকা পরিশোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—এ মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই এক মেমোতে জানানো হয়, সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব গ্রহণ করায় সাইফুল আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেমোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রিটটি করা হয়।

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগসংক্রান্ত বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া মেমো স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
আবদুল কাইয়ূম বলেন, সাইফুল আলম (এস আলম) ২০২০ সালে নাগরিকত্ব ত্যাগ করলেও বিভিন্ন ঋণসংক্রান্ত নথিতে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে দাবি করছেন। আবার সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতে গিয়ে বাংলাদেশে তাঁর বিনিয়োগের সুরক্ষা চাচ্ছেন। তাঁর কাছে ইসলামী ব্যাংকের পাওনা এক লাখ কোটি টাকার বেশি।
আবদুল কাইয়ূম আরও বলেন, সিঙ্গাপুর থেকে সাইফুল আলমকে কূটনৈতিক মাধ্যমে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং গ্রাহকদের টাকা পরিশোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—এ মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই এক মেমোতে জানানো হয়, সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব গ্রহণ করায় সাইফুল আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেমোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রিটটি করা হয়।

রাজনৈতিক দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারই সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো এই আদেশের সরাসরি বিরোধিতা না করলেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে গণভোটের সময় ও প্রশ্নসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তনের দাবি তুলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হওয়া মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ সোমবার। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করবেন।
১ ঘণ্টা আগে
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএসের সব ধাপ শেষ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব করতে চায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। চলতি বছর তিনটি (৪৪, ৪৮ ও ৪৯) বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে জট অনেকটা কাটিয়ে ওঠায় ৫০তম বিসিএস থেকেই এটি কার্যকরের আশা করছে পিএসসি।
১ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য রাজস্ব খাতে অস্থায়ীভাবে ৩ হাজার ৪৮০টি সিনিয়র স্টাফ নার্সের পদ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে সরকার। এ ছাড়া বিমানবাহিনীর জন্য এয়ার রেজিমেন্ট ও ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিনের সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করতে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে ৩৫১ নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

রাজনৈতিক দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারই সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো এই আদেশের সরাসরি বিরোধিতা না করলেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে গণভোটের সময় ও প্রশ্নসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তনের দাবি তুলেছে। তবে সরকার বলেছে, গণভোটের প্রশ্ন পরিবর্তন করার সম্ভাবনা আপাতত নেই। ভোটের সময় পরিবর্তনেরও চিন্তা নেই সরকারের।
১৩ নভেম্বর জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ জারি করে সরকার। এই আদেশের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। একটি প্রশ্নে চারটি বিষয়ের ওপর জনগণ হ্যাঁ বা না ভোট দিতে পারবে।
গণভোটের প্রশ্নে সংশোধনী এনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নোট অব ডিসেন্ট না রাখার বিষয়টি স্পষ্ট করতে বলেছে। আর জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলোর দাবি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হোক। তবে ভোটের আগে গণভোট নিয়ে জামায়াত শেষ পর্যন্ত অনড় অবস্থানে থাকবে না বলে সূত্রে জানা গেছে।
গণভোটের প্রশ্ন ও দিনক্ষণ পরিবর্তনে সরকারের কোনো চিন্তাভাবনা নেই বলে জানান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে তারিখ (গণভোট) ঘোষিত হয়েছে এবং আয়োজনের সুবিধার্থে সরকার সে তারিখকেই বাস্তবসম্মত মনে করছে। প্রশ্ন পরিবর্তনের বিষয়েও সরকার কিছু চিন্তা করছে না।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘বিএনপি-এনসিপির দাবি অনুযায়ী গণভোটের প্রশ্ন পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছি না। এ ক্ষেত্রে সরকার একটি বিষয়ে পরিবর্তন করলে, অনেক বিষয় পরিবর্তন করতে হবে। তখন জামায়াতের দাবি অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট করতে হবে। তাই আদেশের সিদ্ধান্ত থেকে সরকারের সরে আসার সম্ভাবনা দেখি না।’
গণভোটের ফলাফল ইতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সরকারের দায়িত্বশীলেরা। একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বিএনপি তো গণভোটে ‘না’ ভোটের প্রচার করতে পারবে না। যদি করে তখন তারা সংস্কারবিরোধী হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিতি পাবে। অন্যদিকে ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হলে বাস্তবায়নে বিএনপির ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি হবে, সেটি নিয়ে তারা চিন্তিত।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গণভোটের প্রশ্ন নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। তারা প্রশ্নের সরাসরি সমালোচনা করতে পারবে না। আবার সমর্থনও করতে পারছে না। বিরোধিতা করলে ভাবমূর্তি সংকটে পড়তে পারে। অন্যদিকে, গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় জটিলতায় পড়ার আশঙ্কা করছে দলটি। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গণভোট প্রশ্নের ‘ক’ ও ‘খ’ ধারা নিয়ে আপত্তি আছে। যেখানে ‘ক’ ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী হবে, যেখানে প্রক্রিয়া বলতে আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) রাখা হয়নি। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ন্যায়পাল, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), ন্যায়পাল, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিয়োগে সাংবিধানিক কমিটি গঠনে বিএনপির আপত্তি রয়েছে।
অন্যদিকে ‘খ’ ধারায় দুই কক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) উচ্চকক্ষ ও উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদনে সংবিধান সংশোধনের বিধানেও বিএনপির আপত্তি আছে। যেখানে আদেশ মানলে বিএনপিকে ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে ভোট দিতে হবে। ‘ক’ ও ‘খ’ ধারাটি পরিবর্তনের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানানো হবে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে প্রশ্নের ‘গ’ ও ‘ঘ’ ধারা নিয়ে বিএনপির আপত্তি নেই।
বিষয়টি নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা স্বাক্ষরিত জুলাই সনদকেই রাষ্ট্র সংস্কারের ভিত্তি হিসেবে দেখছি। সেখানে গণভোটে যেসব বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে, যেসব বিষয়ে গণভোট আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। সেসব বিষয়ের সঙ্গে স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের কোনো সাংঘর্ষিক অবস্থা থাকলে, তা পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হবে।’
গণভোটের মূল প্রশ্ন নিয়ে এনসিপির আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার। তবে প্রশ্নের অতিরিক্ত ধারাগুলো নিয়ে দলটির আপত্তি রয়েছে। বিশেষ করে ‘ক’ ধারাটি স্পষ্ট করার দাবি তাদের। সেখানে বলা আছে, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে। এটাকে এমনভাবে বলা হয়েছে, যে সরকার আসবে, তারা দলীয় অবস্থান অনুযায়ী ব্যাখ্যা করতে পারবে। বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে।
সরোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গণভোটের মূল প্রশ্নটা ঠিক আছে। সেখানে কোনো অস্পষ্টতা নেই। কিন্তু ব্যাখ্যামূলক (ক, খ, গ ও ঘ) প্রশ্নে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে, সেগুলো দূর করা উচিত।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরও বলেন, অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। সেটার মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পড়বে কি? পড়বে না? এটা তো ফাঁকা রাখলে সমস্যা। আবার বলা হয়েছে, স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের কথা বলা আছে। সে ক্ষেত্রে কোন কোন দল বলতে পারে, আমরা যেহেতু আপত্তিসহ (নোট অব ডিসেন্ট) স্বাক্ষর করেছি। তাই সেটি কার্যকর হবে। গণভোটে আপত্তিগুলো কার্যকর হবে না—সেটি পরিষ্কার হয়নি।
জামায়াতের পক্ষ থেকে গণভোটের বিষয়ে সরকারকে প্রচার চালানোর অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রের কোন কোন সেক্টরে পরিবর্তন হবে, সেগুলো তুলে ধরার আহ্বান জানানো হচ্ছে। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল রোববার এক কর্মসূচিতে বলেন, নির্বাচন কমিশন তার ওয়েবসাইটে পাবলিক করতে পারে, সরকারি প্রচারপত্র বিলি করে, জাতীয় প্রচারমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করে, জনগণ যেন এই সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ বলতে পারে। তার প্রয়োজনীয় উৎসাহ দেওয়া, প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে জিনিসটাকে সহজ করা দরকার। তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্যে যেভাবে বলেছেন, সাধারণ স্বল্পশিক্ষিত মানুষ সংস্কারের ইন্টারনাল এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ খুব কমই বোঝে। এটাকে অতি সহজ করে, কিসে আমরা “হ্যাঁ” বলতে যাচ্ছি—সংস্কারে গৃহীত সব বিষয়কে অতি সহজ করে ভোটারদের কাছে, দেশবাসীর কাছে সরকারকে পেশ করতে হবে।’
গণভোটের বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভিডিও তথ্যচিত্র, পোস্টার বানানোসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টেলিভিশন, পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ছাড়াও দেয়ালে টানানো হতে পারে। সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, সেখানে গণভোটে কোন সংস্কারের বিষয়ে মানুষ ভোটে দেবে, সেগুলো আলাদা আলাদা এবং একসঙ্গে প্রচার করা হবে। নির্বাচন পর্যন্ত এ প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন, সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ এবং পিআরে উচ্চকক্ষ গঠিত হলে রাষ্ট্র কাঠামোয় যে জবাবদিহি নিশ্চিত হবে, প্রচারে সেগুলো তুলে ধরা হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারই সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো এই আদেশের সরাসরি বিরোধিতা না করলেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে গণভোটের সময় ও প্রশ্নসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তনের দাবি তুলেছে। তবে সরকার বলেছে, গণভোটের প্রশ্ন পরিবর্তন করার সম্ভাবনা আপাতত নেই। ভোটের সময় পরিবর্তনেরও চিন্তা নেই সরকারের।
১৩ নভেম্বর জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ জারি করে সরকার। এই আদেশের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। একটি প্রশ্নে চারটি বিষয়ের ওপর জনগণ হ্যাঁ বা না ভোট দিতে পারবে।
গণভোটের প্রশ্নে সংশোধনী এনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নোট অব ডিসেন্ট না রাখার বিষয়টি স্পষ্ট করতে বলেছে। আর জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলোর দাবি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হোক। তবে ভোটের আগে গণভোট নিয়ে জামায়াত শেষ পর্যন্ত অনড় অবস্থানে থাকবে না বলে সূত্রে জানা গেছে।
গণভোটের প্রশ্ন ও দিনক্ষণ পরিবর্তনে সরকারের কোনো চিন্তাভাবনা নেই বলে জানান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে তারিখ (গণভোট) ঘোষিত হয়েছে এবং আয়োজনের সুবিধার্থে সরকার সে তারিখকেই বাস্তবসম্মত মনে করছে। প্রশ্ন পরিবর্তনের বিষয়েও সরকার কিছু চিন্তা করছে না।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘বিএনপি-এনসিপির দাবি অনুযায়ী গণভোটের প্রশ্ন পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছি না। এ ক্ষেত্রে সরকার একটি বিষয়ে পরিবর্তন করলে, অনেক বিষয় পরিবর্তন করতে হবে। তখন জামায়াতের দাবি অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট করতে হবে। তাই আদেশের সিদ্ধান্ত থেকে সরকারের সরে আসার সম্ভাবনা দেখি না।’
গণভোটের ফলাফল ইতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সরকারের দায়িত্বশীলেরা। একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বিএনপি তো গণভোটে ‘না’ ভোটের প্রচার করতে পারবে না। যদি করে তখন তারা সংস্কারবিরোধী হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিতি পাবে। অন্যদিকে ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হলে বাস্তবায়নে বিএনপির ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি হবে, সেটি নিয়ে তারা চিন্তিত।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গণভোটের প্রশ্ন নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। তারা প্রশ্নের সরাসরি সমালোচনা করতে পারবে না। আবার সমর্থনও করতে পারছে না। বিরোধিতা করলে ভাবমূর্তি সংকটে পড়তে পারে। অন্যদিকে, গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় জটিলতায় পড়ার আশঙ্কা করছে দলটি। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গণভোট প্রশ্নের ‘ক’ ও ‘খ’ ধারা নিয়ে আপত্তি আছে। যেখানে ‘ক’ ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী হবে, যেখানে প্রক্রিয়া বলতে আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) রাখা হয়নি। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ন্যায়পাল, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), ন্যায়পাল, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিয়োগে সাংবিধানিক কমিটি গঠনে বিএনপির আপত্তি রয়েছে।
অন্যদিকে ‘খ’ ধারায় দুই কক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) উচ্চকক্ষ ও উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদনে সংবিধান সংশোধনের বিধানেও বিএনপির আপত্তি আছে। যেখানে আদেশ মানলে বিএনপিকে ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে ভোট দিতে হবে। ‘ক’ ও ‘খ’ ধারাটি পরিবর্তনের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানানো হবে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে প্রশ্নের ‘গ’ ও ‘ঘ’ ধারা নিয়ে বিএনপির আপত্তি নেই।
বিষয়টি নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা স্বাক্ষরিত জুলাই সনদকেই রাষ্ট্র সংস্কারের ভিত্তি হিসেবে দেখছি। সেখানে গণভোটে যেসব বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে, যেসব বিষয়ে গণভোট আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। সেসব বিষয়ের সঙ্গে স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের কোনো সাংঘর্ষিক অবস্থা থাকলে, তা পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হবে।’
গণভোটের মূল প্রশ্ন নিয়ে এনসিপির আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার। তবে প্রশ্নের অতিরিক্ত ধারাগুলো নিয়ে দলটির আপত্তি রয়েছে। বিশেষ করে ‘ক’ ধারাটি স্পষ্ট করার দাবি তাদের। সেখানে বলা আছে, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে। এটাকে এমনভাবে বলা হয়েছে, যে সরকার আসবে, তারা দলীয় অবস্থান অনুযায়ী ব্যাখ্যা করতে পারবে। বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে।
সরোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গণভোটের মূল প্রশ্নটা ঠিক আছে। সেখানে কোনো অস্পষ্টতা নেই। কিন্তু ব্যাখ্যামূলক (ক, খ, গ ও ঘ) প্রশ্নে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে, সেগুলো দূর করা উচিত।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরও বলেন, অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। সেটার মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পড়বে কি? পড়বে না? এটা তো ফাঁকা রাখলে সমস্যা। আবার বলা হয়েছে, স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের কথা বলা আছে। সে ক্ষেত্রে কোন কোন দল বলতে পারে, আমরা যেহেতু আপত্তিসহ (নোট অব ডিসেন্ট) স্বাক্ষর করেছি। তাই সেটি কার্যকর হবে। গণভোটে আপত্তিগুলো কার্যকর হবে না—সেটি পরিষ্কার হয়নি।
জামায়াতের পক্ষ থেকে গণভোটের বিষয়ে সরকারকে প্রচার চালানোর অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রের কোন কোন সেক্টরে পরিবর্তন হবে, সেগুলো তুলে ধরার আহ্বান জানানো হচ্ছে। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল রোববার এক কর্মসূচিতে বলেন, নির্বাচন কমিশন তার ওয়েবসাইটে পাবলিক করতে পারে, সরকারি প্রচারপত্র বিলি করে, জাতীয় প্রচারমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করে, জনগণ যেন এই সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ বলতে পারে। তার প্রয়োজনীয় উৎসাহ দেওয়া, প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে জিনিসটাকে সহজ করা দরকার। তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্যে যেভাবে বলেছেন, সাধারণ স্বল্পশিক্ষিত মানুষ সংস্কারের ইন্টারনাল এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ খুব কমই বোঝে। এটাকে অতি সহজ করে, কিসে আমরা “হ্যাঁ” বলতে যাচ্ছি—সংস্কারে গৃহীত সব বিষয়কে অতি সহজ করে ভোটারদের কাছে, দেশবাসীর কাছে সরকারকে পেশ করতে হবে।’
গণভোটের বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভিডিও তথ্যচিত্র, পোস্টার বানানোসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টেলিভিশন, পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ছাড়াও দেয়ালে টানানো হতে পারে। সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, সেখানে গণভোটে কোন সংস্কারের বিষয়ে মানুষ ভোটে দেবে, সেগুলো আলাদা আলাদা এবং একসঙ্গে প্রচার করা হবে। নির্বাচন পর্যন্ত এ প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন, সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ এবং পিআরে উচ্চকক্ষ গঠিত হলে রাষ্ট্র কাঠামোয় যে জবাবদিহি নিশ্চিত হবে, প্রচারে সেগুলো তুলে ধরা হবে।

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগসংক্রান্ত বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া মেমো স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হওয়া মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ সোমবার। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করবেন।
১ ঘণ্টা আগে
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএসের সব ধাপ শেষ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব করতে চায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। চলতি বছর তিনটি (৪৪, ৪৮ ও ৪৯) বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে জট অনেকটা কাটিয়ে ওঠায় ৫০তম বিসিএস থেকেই এটি কার্যকরের আশা করছে পিএসসি।
১ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য রাজস্ব খাতে অস্থায়ীভাবে ৩ হাজার ৪৮০টি সিনিয়র স্টাফ নার্সের পদ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে সরকার। এ ছাড়া বিমানবাহিনীর জন্য এয়ার রেজিমেন্ট ও ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিনের সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করতে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে ৩৫১ নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেমানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হওয়া মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ সোমবার। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করবেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলাগুলোর মধ্যে প্রথম কোনো মামলার রায় হচ্ছে আজ। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালেরও প্রথম রায় হবে এটি। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের চার মাস পর এই মামলার বিচারকাজ শেষ হয়। রায় ঘোষণার কার্যক্রম টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, সুপ্রিম কোর্ট এলাকাসহ আশপাশে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্য- বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তাঁদের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা চৌধুরী মামুন এই মামলায় অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হিসেবে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণের দাবি করে তাঁদের সর্বোচ্চ সাজা (মৃত্যুদণ্ড) প্রত্যাশা করেছে। তবে চৌধুরী মামুন রাজসাক্ষী হওয়ায় তাঁর সাজার বিষয়ে প্রসিকিউশন কোনো আবেদন না জানিয়ে বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান খালাস পাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী। এদিকে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে গতকাল রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় মিছিল করেছেন বিএনপিপন্থী শতাধিক আইনজীবী।
ট্রাইব্যুনাল-১-এর অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এই মামলায় গত ২৩ অক্টোবর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের জন্য গত বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিন রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
চলতি বছরের ১ জুন এই মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। সেদিন অভিযোগ আমলে নিয়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হওয়ায় হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে ১৬ জুন নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। বিজ্ঞপ্তি জারির পরও হাজির না হলে ২৪ জুন দুজনের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর সাবেক বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী আমির হোসেনকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ গঠনের আগে জানতে চাইলে ট্রাইব্যুনালে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে আবেদন করেন চৌধুরী মামুন। পরে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দিও দেন।
৩ আগস্ট অ্যাটর্নি জেনারেল ও চিফ প্রসিকিউটরের সূচনা বক্তব্যের পর এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষ্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের দিন (৫ আগস্ট) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে আহত ও মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যাওয়া খোকন চন্দ্র বর্মণ। ২৮ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক এবং এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর। এই মামলায় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী, প্রত্যক্ষদর্শীসহ মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। পাশাপাশি অডিও, ভিডিও, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন, জব্দ করা গুলি ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়।
আজ ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে গতকাল ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের জানান প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। তিনি বলেন, প্রসিকিউশন দাবি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেছে। শুধু তা-ই নয়, এই আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ভিকটিম, শহীদ, আহতদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্যও প্রার্থনা করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। দেশে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ছবিতে কয়েক মাস আগে ভারতের কলকাতায় আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেখা গেছে। তবে বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে থাকা অন্য মামলার বিষয়ে প্রসিকিউটর তামিম বলেন, এই মামলায় যে পাঁচটি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হচ্ছে, সেই পাঁচটি অভিযোগে অন্য কোথাও কোনো মামলা করা যাবে না। যদি মামলা থাকে, সেটা আর চলবে না। কারণ, একই অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে দুবার শাস্তি দেওয়া বা দুবার বিচার করা যাবে না। শেখ হাসিনা নারী হওয়ায় বিশেষ সুবিধা পাবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিআরপিসিতে জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে নারী, অসুস্থ, শিশুদের প্রিভিলেজ দেওয়া আছে। কিন্তু রায়ের ক্ষেত্রে নারীকে কোনো প্রিভিলেজ দেওয়া হয়নি। ট্রাইব্যুনাল আইনেও কোনো প্রিভিলেজ নেই। রায়ে আসামির অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে শাস্তি দেওয়া হবে।
রায়-পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পর্কে এই প্রসিকিউটর বলেন, রায় দেওয়ার পর থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয়। পলাতক আসামির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী আপিল করতে পারবেন না। তবে আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার বা আত্মসমর্পণ করার পর আপিল করতে পারবেন, যদি আপিল বিভাগ বিলম্ব মার্জনা করেন। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনাল প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছিল। রায়ে শাস্তি হলে তাঁরা আরেকটি কনভিকশন ওয়ারেন্টের আবেদন ইন্টারপোলে পাঠাবেন তাঁর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য।
আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শনিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে সেনাসদরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের সূত্র আজকের পত্রিকাকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।
গুম-নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় কয়েক সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাসহ কয়েকটি মামলার তদন্ত চলছে। ট্রাইব্যুনাল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অসংখ্য মামলা রয়েছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৪ বছরে দুই ট্রাইব্যুনাল মোট ৫৫টি রায় দেন। ২০২৩ সালের ১৩ জুন ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার অবসরে গেলে বিচারকাজ বন্ধ ছিল। গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ৩০ হাজার মানুষের আহত হওয়ার ঘটনার বিচার করতে গত বছরের ১৪ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে তিনজনকে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মাধ্যমে শুরু হয় ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম। পরবর্তীকালে ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করা হয়।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হওয়া মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ সোমবার। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করবেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলাগুলোর মধ্যে প্রথম কোনো মামলার রায় হচ্ছে আজ। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালেরও প্রথম রায় হবে এটি। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের চার মাস পর এই মামলার বিচারকাজ শেষ হয়। রায় ঘোষণার কার্যক্রম টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, সুপ্রিম কোর্ট এলাকাসহ আশপাশে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্য- বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তাঁদের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা চৌধুরী মামুন এই মামলায় অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হিসেবে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণের দাবি করে তাঁদের সর্বোচ্চ সাজা (মৃত্যুদণ্ড) প্রত্যাশা করেছে। তবে চৌধুরী মামুন রাজসাক্ষী হওয়ায় তাঁর সাজার বিষয়ে প্রসিকিউশন কোনো আবেদন না জানিয়ে বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান খালাস পাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী। এদিকে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে গতকাল রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় মিছিল করেছেন বিএনপিপন্থী শতাধিক আইনজীবী।
ট্রাইব্যুনাল-১-এর অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এই মামলায় গত ২৩ অক্টোবর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের জন্য গত বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিন রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
চলতি বছরের ১ জুন এই মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। সেদিন অভিযোগ আমলে নিয়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হওয়ায় হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে ১৬ জুন নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। বিজ্ঞপ্তি জারির পরও হাজির না হলে ২৪ জুন দুজনের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর সাবেক বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী আমির হোসেনকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ গঠনের আগে জানতে চাইলে ট্রাইব্যুনালে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে আবেদন করেন চৌধুরী মামুন। পরে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দিও দেন।
৩ আগস্ট অ্যাটর্নি জেনারেল ও চিফ প্রসিকিউটরের সূচনা বক্তব্যের পর এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষ্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের দিন (৫ আগস্ট) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে আহত ও মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যাওয়া খোকন চন্দ্র বর্মণ। ২৮ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক এবং এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর। এই মামলায় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী, প্রত্যক্ষদর্শীসহ মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। পাশাপাশি অডিও, ভিডিও, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন, জব্দ করা গুলি ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়।
আজ ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে গতকাল ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের জানান প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। তিনি বলেন, প্রসিকিউশন দাবি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেছে। শুধু তা-ই নয়, এই আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ভিকটিম, শহীদ, আহতদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্যও প্রার্থনা করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। দেশে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ছবিতে কয়েক মাস আগে ভারতের কলকাতায় আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেখা গেছে। তবে বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে থাকা অন্য মামলার বিষয়ে প্রসিকিউটর তামিম বলেন, এই মামলায় যে পাঁচটি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হচ্ছে, সেই পাঁচটি অভিযোগে অন্য কোথাও কোনো মামলা করা যাবে না। যদি মামলা থাকে, সেটা আর চলবে না। কারণ, একই অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে দুবার শাস্তি দেওয়া বা দুবার বিচার করা যাবে না। শেখ হাসিনা নারী হওয়ায় বিশেষ সুবিধা পাবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিআরপিসিতে জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে নারী, অসুস্থ, শিশুদের প্রিভিলেজ দেওয়া আছে। কিন্তু রায়ের ক্ষেত্রে নারীকে কোনো প্রিভিলেজ দেওয়া হয়নি। ট্রাইব্যুনাল আইনেও কোনো প্রিভিলেজ নেই। রায়ে আসামির অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে শাস্তি দেওয়া হবে।
রায়-পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পর্কে এই প্রসিকিউটর বলেন, রায় দেওয়ার পর থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয়। পলাতক আসামির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী আপিল করতে পারবেন না। তবে আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার বা আত্মসমর্পণ করার পর আপিল করতে পারবেন, যদি আপিল বিভাগ বিলম্ব মার্জনা করেন। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনাল প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছিল। রায়ে শাস্তি হলে তাঁরা আরেকটি কনভিকশন ওয়ারেন্টের আবেদন ইন্টারপোলে পাঠাবেন তাঁর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য।
আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শনিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে সেনাসদরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের সূত্র আজকের পত্রিকাকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।
গুম-নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় কয়েক সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাসহ কয়েকটি মামলার তদন্ত চলছে। ট্রাইব্যুনাল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অসংখ্য মামলা রয়েছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৪ বছরে দুই ট্রাইব্যুনাল মোট ৫৫টি রায় দেন। ২০২৩ সালের ১৩ জুন ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার অবসরে গেলে বিচারকাজ বন্ধ ছিল। গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ৩০ হাজার মানুষের আহত হওয়ার ঘটনার বিচার করতে গত বছরের ১৪ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে তিনজনকে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মাধ্যমে শুরু হয় ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম। পরবর্তীকালে ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করা হয়।

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগসংক্রান্ত বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া মেমো স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারই সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো এই আদেশের সরাসরি বিরোধিতা না করলেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে গণভোটের সময় ও প্রশ্নসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তনের দাবি তুলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএসের সব ধাপ শেষ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব করতে চায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। চলতি বছর তিনটি (৪৪, ৪৮ ও ৪৯) বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে জট অনেকটা কাটিয়ে ওঠায় ৫০তম বিসিএস থেকেই এটি কার্যকরের আশা করছে পিএসসি।
১ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য রাজস্ব খাতে অস্থায়ীভাবে ৩ হাজার ৪৮০টি সিনিয়র স্টাফ নার্সের পদ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে সরকার। এ ছাড়া বিমানবাহিনীর জন্য এয়ার রেজিমেন্ট ও ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিনের সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করতে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে ৩৫১ নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেরাহুল শর্মা, ঢাকা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএসের সব ধাপ শেষ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব করতে চায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। চলতি বছর তিনটি (৪৪, ৪৮ ও ৪৯) বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে জট অনেকটা কাটিয়ে ওঠায় ৫০তম বিসিএস থেকেই এটি কার্যকরের আশা করছে পিএসসি। মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ১০০ থেকে কমিয়ে ৫০ করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
পিএসসি বলছে, বিসিএস-ভিত্তিক রোডম্যাপ তৈরি, সার্কুলার পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন, মৌখিক পরীক্ষায় ইন্সট্যান্ট ওএমআর স্ক্যানিং (আইওএস) পদ্ধতি চালু ইত্যাদি কারণে দীর্ঘদিনের বিসিএস জট কাটছে। এসব উদ্যোগের ফলে চলতি বছর ৪৪, ৪৮ ও ৪৯তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে। আগামী মাসে (ডিসেম্বর) ৪৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ও ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ডিসেম্বরে নাগাদ। ফলে আগামী বছর থেকে বিসিএসে তেমন কোনো জট থাকবে না। এতে প্রতিবছর একটি বিসিএস শেষ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় ১ হাজার ৬৭৬ জন ক্যাডার পদে, ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএসে সহকারী সার্জন পদে ২ হাজার ৮২০ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০০ জন এবং ৪৯তম (বিশেষ) বিসিএসে ৬৬৮ জন শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছেন।
জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার আকাঙ্ক্ষা বছরে একটি বিসিএস। কয়েকটি বিসিএস আটকে থাকায় এত দিন তা সম্ভব হয়নি। তবে চলতি বছর আমরা বিসিএস জট অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছি। ৫০তম বিসিএস থেকেই নিয়মিতভাবে বছরে একটি বিসিএস শেষ করা সম্ভব হবে।’ তিনি বলেন, আগামী বছরের ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই সব ধাপ (নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা) সম্পন্ন করে ৫০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।
পিএসসি থেকে জানা যায়, চলতি মাসে ৫০তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এই বিসিএসে ক্যাডারে শূন্য পদের সংখ্যা ১ হাজার ৭৬০টি। এই বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক বছরের মধ্যেই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে চায় পিএসসি।
পিএসসির সূত্র জানায়, মৌখিক পরীক্ষায় আইওএস পদ্ধতি চালুর ফলে প্রতিদিনের মৌখিক পরীক্ষার ওএমআর শিট ওই দিনই স্ক্যানিং করা হয়। ফলে দ্রুত চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। আগে সব প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ওএমআর স্ক্যানিং করা হতো। ৪৬তম বিসিএস থেকে পিএসসিতে বসে সার্কুলার পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এতে মাত্র দুই মাসেই লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা শেষ করা গেছে। আগে লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখতে ৮ থেকে ১০ মাস লাগত।
সূত্র আরও জানায়, বিসিএসে নিয়োগ সুপারিশ করার পর যেন কোনো প্রার্থীকে অযাচিতভাবে বাদ দেওয়া না হয়, সে জন্য পিএসসি প্রাক্-যাচাই বিধিমালার খসড়া তৈরি করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, পিএসসি নিজ উদ্যোগে প্রার্থীবান্ধব প্রাক্-যাচাই বিধিমালার খসড়া প্রণয়ন করে অন্তত ৬ মাস আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এটি বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের রিভিউ এবং অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এই বিধিমালা জারি হলে কাউকে অযাচিতভাবে বাদ দেওয়া যাবে না। আবার কাউকে যৌক্তিক কারণে বাদ দিলেও তিনি এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। এর লক্ষ্য হচ্ছে, কেউ যেন কোনো কারণে অবিচারের শিকার না হন।
মৌখিক পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানান পিএসসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এখন নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে মোট ১১টি ধাপ অনুসরণ করা হয়। প্রতিটি ধাপে আলাদা স্কোর রেঞ্জ নির্ধারণ করা হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডের সদস্যরা যৌথভাবে গ্রেড নির্ধারণ করেন। মৌখিক পরীক্ষার মোট নম্বর ১০০ থেকে কমিয়ে ৫০ করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
পিএসসির সূত্র জানায়, বিসিএসের সিলেবাস পরিবর্তনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি কাজ শুরু করেছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম বলেন, সিলেবাস পরিবর্তন তাঁরা এমনভাবে করবেন, যাতে চাকরিপ্রার্থীরা সমস্যায় না পড়েন। সিলেবাস পরিবর্তন হবে ধীরে ধীরে।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএসের সব ধাপ শেষ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব করতে চায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। চলতি বছর তিনটি (৪৪, ৪৮ ও ৪৯) বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে জট অনেকটা কাটিয়ে ওঠায় ৫০তম বিসিএস থেকেই এটি কার্যকরের আশা করছে পিএসসি। মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ১০০ থেকে কমিয়ে ৫০ করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
পিএসসি বলছে, বিসিএস-ভিত্তিক রোডম্যাপ তৈরি, সার্কুলার পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন, মৌখিক পরীক্ষায় ইন্সট্যান্ট ওএমআর স্ক্যানিং (আইওএস) পদ্ধতি চালু ইত্যাদি কারণে দীর্ঘদিনের বিসিএস জট কাটছে। এসব উদ্যোগের ফলে চলতি বছর ৪৪, ৪৮ ও ৪৯তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে। আগামী মাসে (ডিসেম্বর) ৪৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ও ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ডিসেম্বরে নাগাদ। ফলে আগামী বছর থেকে বিসিএসে তেমন কোনো জট থাকবে না। এতে প্রতিবছর একটি বিসিএস শেষ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় ১ হাজার ৬৭৬ জন ক্যাডার পদে, ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএসে সহকারী সার্জন পদে ২ হাজার ৮২০ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০০ জন এবং ৪৯তম (বিশেষ) বিসিএসে ৬৬৮ জন শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছেন।
জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার আকাঙ্ক্ষা বছরে একটি বিসিএস। কয়েকটি বিসিএস আটকে থাকায় এত দিন তা সম্ভব হয়নি। তবে চলতি বছর আমরা বিসিএস জট অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছি। ৫০তম বিসিএস থেকেই নিয়মিতভাবে বছরে একটি বিসিএস শেষ করা সম্ভব হবে।’ তিনি বলেন, আগামী বছরের ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই সব ধাপ (নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা) সম্পন্ন করে ৫০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।
পিএসসি থেকে জানা যায়, চলতি মাসে ৫০তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এই বিসিএসে ক্যাডারে শূন্য পদের সংখ্যা ১ হাজার ৭৬০টি। এই বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক বছরের মধ্যেই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে চায় পিএসসি।
পিএসসির সূত্র জানায়, মৌখিক পরীক্ষায় আইওএস পদ্ধতি চালুর ফলে প্রতিদিনের মৌখিক পরীক্ষার ওএমআর শিট ওই দিনই স্ক্যানিং করা হয়। ফলে দ্রুত চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। আগে সব প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ওএমআর স্ক্যানিং করা হতো। ৪৬তম বিসিএস থেকে পিএসসিতে বসে সার্কুলার পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এতে মাত্র দুই মাসেই লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা শেষ করা গেছে। আগে লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখতে ৮ থেকে ১০ মাস লাগত।
সূত্র আরও জানায়, বিসিএসে নিয়োগ সুপারিশ করার পর যেন কোনো প্রার্থীকে অযাচিতভাবে বাদ দেওয়া না হয়, সে জন্য পিএসসি প্রাক্-যাচাই বিধিমালার খসড়া তৈরি করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, পিএসসি নিজ উদ্যোগে প্রার্থীবান্ধব প্রাক্-যাচাই বিধিমালার খসড়া প্রণয়ন করে অন্তত ৬ মাস আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এটি বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের রিভিউ এবং অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এই বিধিমালা জারি হলে কাউকে অযাচিতভাবে বাদ দেওয়া যাবে না। আবার কাউকে যৌক্তিক কারণে বাদ দিলেও তিনি এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। এর লক্ষ্য হচ্ছে, কেউ যেন কোনো কারণে অবিচারের শিকার না হন।
মৌখিক পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানান পিএসসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এখন নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে মোট ১১টি ধাপ অনুসরণ করা হয়। প্রতিটি ধাপে আলাদা স্কোর রেঞ্জ নির্ধারণ করা হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডের সদস্যরা যৌথভাবে গ্রেড নির্ধারণ করেন। মৌখিক পরীক্ষার মোট নম্বর ১০০ থেকে কমিয়ে ৫০ করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
পিএসসির সূত্র জানায়, বিসিএসের সিলেবাস পরিবর্তনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি কাজ শুরু করেছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম বলেন, সিলেবাস পরিবর্তন তাঁরা এমনভাবে করবেন, যাতে চাকরিপ্রার্থীরা সমস্যায় না পড়েন। সিলেবাস পরিবর্তন হবে ধীরে ধীরে।

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগসংক্রান্ত বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া মেমো স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারই সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো এই আদেশের সরাসরি বিরোধিতা না করলেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে গণভোটের সময় ও প্রশ্নসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তনের দাবি তুলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হওয়া মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ সোমবার। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করবেন।
১ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য রাজস্ব খাতে অস্থায়ীভাবে ৩ হাজার ৪৮০টি সিনিয়র স্টাফ নার্সের পদ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে সরকার। এ ছাড়া বিমানবাহিনীর জন্য এয়ার রেজিমেন্ট ও ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিনের সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করতে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে ৩৫১ নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য রাজস্ব খাতে অস্থায়ীভাবে ৩ হাজার ৪৮০টি সিনিয়র স্টাফ নার্সের পদ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে সরকার। এ ছাড়া বিমানবাহিনীর জন্য এয়ার রেজিমেন্ট ও ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিনের সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করতে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে ৩৫১ নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে আগামীকাল মঙ্গলবার প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় এসব প্রস্তাব উত্থাপনের কথা রয়েছে।
৩ হাজার ৪৮০টি সিনিয়র স্টাফ নার্সের পদ সৃষ্টির প্রস্তাবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বলেছে, সরকারি হাসপাতালের জন্য সিনিয়র স্টাফ নার্সের ৪৩ হাজার ৪০৯টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড এবং ক্রমবর্ধমান রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সরকারি হাসপাতালগুলোর মোট অনুমোদিত শয্যার বিপরীতে নার্সের সংখ্যা একেবারেই কম।
এর আগে রাজস্ব খাতে অস্থায়ীভাবে ৫ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্সের পদ সৃষ্টি করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৯৪১টি, ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ১ হাজার ২৪৮টি এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ১ হাজার ২৯১টি পদসহ মোট ৩ হাজার ৪৮০টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এসব পদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ৫০১ এয়ার রেজিমেন্টের সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করতে প্রথম ধাপে ২২৪টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাসের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে। ৭৬৩টি পদ নিয়ে এই এয়ার রেজিমেন্ট গঠন করা হবে।
এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অতিসংবেদনশীল স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তাবিধান, এয়ার ফিল্ডগুলোকে সার্বক্ষণিক সচল রাখা এবং সিভিল এভিয়েশনকে সহায়তা করতে বিশেষায়িত দল হিসেবে ফোর্স প্রোটেকশন স্কোয়াড্রন, গ্রাউন্ড বেইজড এয়ার ডিফেন্স স্কোয়াড্রন, রানওয়ে মেইনটেন্যান্স ও রিপেয়ার স্কোয়াড্রন এবং এয়ারগার্ড সম্মিলিতভাবে এয়ার রেজিমেন্ট গঠন করা প্রয়োজন।
বিমানবাহিনীর ৫০১ এয়ার রেজিমেন্টের সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করতে ৭৬৩টি পদের মধ্যে প্রথম ধাপে ২৪৫টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রাজস্ব খাতে স্থায়ীভাবে ২৩৯টি পদ সৃষ্টিতে সম্মতি দেয়। এরপর অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ রাজস্ব খাতে ২২৪টি পদ সৃষ্টিতে সায় দিয়েছে। অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগ ২০৪টি সামরিক পদ এবং বাস্তবায়ন অনুবিভাগ ২০টি বেসামরিক পদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিয়েছে।
এদিকে বিমানবাহিনীর ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিনের সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করতে ১২৭টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব পাসের জন্য সচিব কমিটিতে উত্থাপনের কথা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিমানবাহিনীর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমন্বয়, প্রশিক্ষণের ধরন নিরূপণ, পুস্তক প্রকাশনা, যুগোপযোগী পলিসি ও ডকট্রিন প্রণয়নের মাধ্যমে সার্বিক প্রশিক্ষণের গুণগত মান নিশ্চিতকল্পে ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (ট্রাডক) প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এ জন্য বিমানবাহিনীর ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (ট্রাডক)-এর সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করতে ১৩৯টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রাজস্ব খাতে স্থায়ীভাবে ১৩৬টি পদ সৃষ্টিতে সম্মতি দেয়। এরপর অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ রাজস্ব খাতে ১২৭টি পদ সৃষ্টিতে সম্মতি দেয়। অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগ ১০৫টি সামরিক পদ এবং বাস্তবায়ন অনুবিভাগ ২২টি বেসামরিক পদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিয়েছে।

বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য রাজস্ব খাতে অস্থায়ীভাবে ৩ হাজার ৪৮০টি সিনিয়র স্টাফ নার্সের পদ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে সরকার। এ ছাড়া বিমানবাহিনীর জন্য এয়ার রেজিমেন্ট ও ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিনের সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করতে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে ৩৫১ নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে আগামীকাল মঙ্গলবার প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় এসব প্রস্তাব উত্থাপনের কথা রয়েছে।
৩ হাজার ৪৮০টি সিনিয়র স্টাফ নার্সের পদ সৃষ্টির প্রস্তাবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বলেছে, সরকারি হাসপাতালের জন্য সিনিয়র স্টাফ নার্সের ৪৩ হাজার ৪০৯টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড এবং ক্রমবর্ধমান রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সরকারি হাসপাতালগুলোর মোট অনুমোদিত শয্যার বিপরীতে নার্সের সংখ্যা একেবারেই কম।
এর আগে রাজস্ব খাতে অস্থায়ীভাবে ৫ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্সের পদ সৃষ্টি করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৯৪১টি, ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ১ হাজার ২৪৮টি এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ১ হাজার ২৯১টি পদসহ মোট ৩ হাজার ৪৮০টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এসব পদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ৫০১ এয়ার রেজিমেন্টের সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করতে প্রথম ধাপে ২২৪টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাসের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে। ৭৬৩টি পদ নিয়ে এই এয়ার রেজিমেন্ট গঠন করা হবে।
এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অতিসংবেদনশীল স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তাবিধান, এয়ার ফিল্ডগুলোকে সার্বক্ষণিক সচল রাখা এবং সিভিল এভিয়েশনকে সহায়তা করতে বিশেষায়িত দল হিসেবে ফোর্স প্রোটেকশন স্কোয়াড্রন, গ্রাউন্ড বেইজড এয়ার ডিফেন্স স্কোয়াড্রন, রানওয়ে মেইনটেন্যান্স ও রিপেয়ার স্কোয়াড্রন এবং এয়ারগার্ড সম্মিলিতভাবে এয়ার রেজিমেন্ট গঠন করা প্রয়োজন।
বিমানবাহিনীর ৫০১ এয়ার রেজিমেন্টের সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করতে ৭৬৩টি পদের মধ্যে প্রথম ধাপে ২৪৫টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রাজস্ব খাতে স্থায়ীভাবে ২৩৯টি পদ সৃষ্টিতে সম্মতি দেয়। এরপর অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ রাজস্ব খাতে ২২৪টি পদ সৃষ্টিতে সায় দিয়েছে। অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগ ২০৪টি সামরিক পদ এবং বাস্তবায়ন অনুবিভাগ ২০টি বেসামরিক পদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিয়েছে।
এদিকে বিমানবাহিনীর ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিনের সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করতে ১২৭টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব পাসের জন্য সচিব কমিটিতে উত্থাপনের কথা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিমানবাহিনীর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমন্বয়, প্রশিক্ষণের ধরন নিরূপণ, পুস্তক প্রকাশনা, যুগোপযোগী পলিসি ও ডকট্রিন প্রণয়নের মাধ্যমে সার্বিক প্রশিক্ষণের গুণগত মান নিশ্চিতকল্পে ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (ট্রাডক) প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এ জন্য বিমানবাহিনীর ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (ট্রাডক)-এর সাংগঠনিক কাঠামো গঠন করতে ১৩৯টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রাজস্ব খাতে স্থায়ীভাবে ১৩৬টি পদ সৃষ্টিতে সম্মতি দেয়। এরপর অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ রাজস্ব খাতে ১২৭টি পদ সৃষ্টিতে সম্মতি দেয়। অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগ ১০৫টি সামরিক পদ এবং বাস্তবায়ন অনুবিভাগ ২২টি বেসামরিক পদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিয়েছে।

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগসংক্রান্ত বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া মেমো স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারই সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো এই আদেশের সরাসরি বিরোধিতা না করলেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে গণভোটের সময় ও প্রশ্নসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তনের দাবি তুলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হওয়া মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ সোমবার। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করবেন।
১ ঘণ্টা আগে
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএসের সব ধাপ শেষ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব করতে চায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। চলতি বছর তিনটি (৪৪, ৪৮ ও ৪৯) বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে জট অনেকটা কাটিয়ে ওঠায় ৫০তম বিসিএস থেকেই এটি কার্যকরের আশা করছে পিএসসি।
১ ঘণ্টা আগে