নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালনা পর্ষদ বা অ্যাডহক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া বেসরকারি স্কুল-কলেজের সভাপতি পদের দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা তাঁদের প্রতিনিধিরা। উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইউএনও বা তাঁর প্রতিনিধি এবং জেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে ডিসি বা তাঁর প্রতিনিধি সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
গতকাল শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-১) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলীর সই করা অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা, ২০২৪-এর অনুচ্ছেদ ৬৯ অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক বা তাঁর প্রতিনিধির সভাপতির দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলো।
জানতে চাইলে সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আজ রোববার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব অ্যাডহক কমিটি এখনো বহাল আছে, তারা নিজেদের কাজ করবে। আর যেসব অ্যাডহক কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে বা হবে, সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দৈনন্দিন কাজ সারতে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বিল সই করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বা তাঁদের প্রতিনিধিদের দায়িত্ব দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান অস্থায়ী বা অ্যাডহক কমিটি আগামী ১ ডিসেম্বর বাতিল হবে জানিয়ে সংশোধিত প্রবিধানমালা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বেসরকারি স্কুল-কলেজের নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর পরিপত্র জারি করেছিল মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, যা ৩০ অক্টোবর তিন মাসের জন্য স্থগিত হয়।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এ সংশোধন অনুযায়ী, বেসরকারি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম চার বছর মেয়াদি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে।
সংশোধিত প্রবিধানমালায় প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনা করে নবম গ্রেডের নিচের নয়—এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়—এমন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি কলেজের অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, এমবিবিএস বা প্রকৌশল বা কৃষিসহ যেকোনো কারিগরি বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রিসহ নবম গ্রেডের নিচে না—এমন কর্মকর্তা বা পঞ্চম গ্রেডের নিচে না—এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডির সভাপতি পদে মনোনয়নের জন্য শিক্ষা বোর্ডে পাঠানোর বিধান সংযোজন করা হয়।
আগের বিধিমালায় গভর্নিং বডির সভাপতি পদে শিক্ষা বোর্ডের মনোনয়ন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে কমিটির অন্য সদস্যদের ভোটে নির্বাচনের বিধান থাকলেও প্রবিধানমালার সংশোধনে এই দুই পদেই শিক্ষা বোর্ডের মনোনয়নের বিধান করা হয়।
ওই সংশোধিত প্রবিধানমালা ও নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ গঠনের নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করে রিট মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী মোকলেসুর রহমান আবির।
গেল ২২ অক্টোবর শুনানি নিয়ে প্রবিধানমালা সংশোধনের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সংশোধনের আলোকে সভাপতি পদে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ-সংক্রান্ত বিধি দুই মাসের জন্য স্থগিত করার বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে জানান আইনজীবী এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও মোকছেদুর রহমান আবির।

অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালনা পর্ষদ বা অ্যাডহক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া বেসরকারি স্কুল-কলেজের সভাপতি পদের দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা তাঁদের প্রতিনিধিরা। উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইউএনও বা তাঁর প্রতিনিধি এবং জেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে ডিসি বা তাঁর প্রতিনিধি সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
গতকাল শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-১) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলীর সই করা অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা, ২০২৪-এর অনুচ্ছেদ ৬৯ অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক বা তাঁর প্রতিনিধির সভাপতির দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলো।
জানতে চাইলে সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আজ রোববার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব অ্যাডহক কমিটি এখনো বহাল আছে, তারা নিজেদের কাজ করবে। আর যেসব অ্যাডহক কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে বা হবে, সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দৈনন্দিন কাজ সারতে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বিল সই করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বা তাঁদের প্রতিনিধিদের দায়িত্ব দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান অস্থায়ী বা অ্যাডহক কমিটি আগামী ১ ডিসেম্বর বাতিল হবে জানিয়ে সংশোধিত প্রবিধানমালা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বেসরকারি স্কুল-কলেজের নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর পরিপত্র জারি করেছিল মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, যা ৩০ অক্টোবর তিন মাসের জন্য স্থগিত হয়।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এ সংশোধন অনুযায়ী, বেসরকারি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম চার বছর মেয়াদি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে।
সংশোধিত প্রবিধানমালায় প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনা করে নবম গ্রেডের নিচের নয়—এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়—এমন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি কলেজের অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, এমবিবিএস বা প্রকৌশল বা কৃষিসহ যেকোনো কারিগরি বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রিসহ নবম গ্রেডের নিচে না—এমন কর্মকর্তা বা পঞ্চম গ্রেডের নিচে না—এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডির সভাপতি পদে মনোনয়নের জন্য শিক্ষা বোর্ডে পাঠানোর বিধান সংযোজন করা হয়।
আগের বিধিমালায় গভর্নিং বডির সভাপতি পদে শিক্ষা বোর্ডের মনোনয়ন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে কমিটির অন্য সদস্যদের ভোটে নির্বাচনের বিধান থাকলেও প্রবিধানমালার সংশোধনে এই দুই পদেই শিক্ষা বোর্ডের মনোনয়নের বিধান করা হয়।
ওই সংশোধিত প্রবিধানমালা ও নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ গঠনের নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করে রিট মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী মোকলেসুর রহমান আবির।
গেল ২২ অক্টোবর শুনানি নিয়ে প্রবিধানমালা সংশোধনের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সংশোধনের আলোকে সভাপতি পদে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ-সংক্রান্ত বিধি দুই মাসের জন্য স্থগিত করার বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে জানান আইনজীবী এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও মোকছেদুর রহমান আবির।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালনা পর্ষদ বা অ্যাডহক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া বেসরকারি স্কুল-কলেজের সভাপতি পদের দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা তাঁদের প্রতিনিধিরা। উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইউএনও বা তাঁর প্রতিনিধি এবং জেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে ডিসি বা তাঁর প্রতিনিধি সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
গতকাল শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-১) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলীর সই করা অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা, ২০২৪-এর অনুচ্ছেদ ৬৯ অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক বা তাঁর প্রতিনিধির সভাপতির দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলো।
জানতে চাইলে সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আজ রোববার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব অ্যাডহক কমিটি এখনো বহাল আছে, তারা নিজেদের কাজ করবে। আর যেসব অ্যাডহক কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে বা হবে, সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দৈনন্দিন কাজ সারতে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বিল সই করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বা তাঁদের প্রতিনিধিদের দায়িত্ব দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান অস্থায়ী বা অ্যাডহক কমিটি আগামী ১ ডিসেম্বর বাতিল হবে জানিয়ে সংশোধিত প্রবিধানমালা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বেসরকারি স্কুল-কলেজের নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর পরিপত্র জারি করেছিল মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, যা ৩০ অক্টোবর তিন মাসের জন্য স্থগিত হয়।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এ সংশোধন অনুযায়ী, বেসরকারি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম চার বছর মেয়াদি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে।
সংশোধিত প্রবিধানমালায় প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনা করে নবম গ্রেডের নিচের নয়—এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়—এমন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি কলেজের অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, এমবিবিএস বা প্রকৌশল বা কৃষিসহ যেকোনো কারিগরি বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রিসহ নবম গ্রেডের নিচে না—এমন কর্মকর্তা বা পঞ্চম গ্রেডের নিচে না—এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডির সভাপতি পদে মনোনয়নের জন্য শিক্ষা বোর্ডে পাঠানোর বিধান সংযোজন করা হয়।
আগের বিধিমালায় গভর্নিং বডির সভাপতি পদে শিক্ষা বোর্ডের মনোনয়ন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে কমিটির অন্য সদস্যদের ভোটে নির্বাচনের বিধান থাকলেও প্রবিধানমালার সংশোধনে এই দুই পদেই শিক্ষা বোর্ডের মনোনয়নের বিধান করা হয়।
ওই সংশোধিত প্রবিধানমালা ও নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ গঠনের নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করে রিট মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী মোকলেসুর রহমান আবির।
গেল ২২ অক্টোবর শুনানি নিয়ে প্রবিধানমালা সংশোধনের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সংশোধনের আলোকে সভাপতি পদে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ-সংক্রান্ত বিধি দুই মাসের জন্য স্থগিত করার বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে জানান আইনজীবী এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও মোকছেদুর রহমান আবির।

অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালনা পর্ষদ বা অ্যাডহক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া বেসরকারি স্কুল-কলেজের সভাপতি পদের দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা তাঁদের প্রতিনিধিরা। উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইউএনও বা তাঁর প্রতিনিধি এবং জেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে ডিসি বা তাঁর প্রতিনিধি সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
গতকাল শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-১) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলীর সই করা অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা, ২০২৪-এর অনুচ্ছেদ ৬৯ অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক বা তাঁর প্রতিনিধির সভাপতির দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলো।
জানতে চাইলে সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আজ রোববার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব অ্যাডহক কমিটি এখনো বহাল আছে, তারা নিজেদের কাজ করবে। আর যেসব অ্যাডহক কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে বা হবে, সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দৈনন্দিন কাজ সারতে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বিল সই করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বা তাঁদের প্রতিনিধিদের দায়িত্ব দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান অস্থায়ী বা অ্যাডহক কমিটি আগামী ১ ডিসেম্বর বাতিল হবে জানিয়ে সংশোধিত প্রবিধানমালা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বেসরকারি স্কুল-কলেজের নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর পরিপত্র জারি করেছিল মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, যা ৩০ অক্টোবর তিন মাসের জন্য স্থগিত হয়।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এ সংশোধন অনুযায়ী, বেসরকারি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম চার বছর মেয়াদি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে।
সংশোধিত প্রবিধানমালায় প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনা করে নবম গ্রেডের নিচের নয়—এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়—এমন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি কলেজের অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, এমবিবিএস বা প্রকৌশল বা কৃষিসহ যেকোনো কারিগরি বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রিসহ নবম গ্রেডের নিচে না—এমন কর্মকর্তা বা পঞ্চম গ্রেডের নিচে না—এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডির সভাপতি পদে মনোনয়নের জন্য শিক্ষা বোর্ডে পাঠানোর বিধান সংযোজন করা হয়।
আগের বিধিমালায় গভর্নিং বডির সভাপতি পদে শিক্ষা বোর্ডের মনোনয়ন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে কমিটির অন্য সদস্যদের ভোটে নির্বাচনের বিধান থাকলেও প্রবিধানমালার সংশোধনে এই দুই পদেই শিক্ষা বোর্ডের মনোনয়নের বিধান করা হয়।
ওই সংশোধিত প্রবিধানমালা ও নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ গঠনের নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করে রিট মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী মোকলেসুর রহমান আবির।
গেল ২২ অক্টোবর শুনানি নিয়ে প্রবিধানমালা সংশোধনের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সংশোধনের আলোকে সভাপতি পদে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ-সংক্রান্ত বিধি দুই মাসের জন্য স্থগিত করার বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে জানান আইনজীবী এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও মোকছেদুর রহমান আবির।

সারা দেশে সব সরকারি কলেজে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি পালন করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকেরা।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ রোববার এই তথ্য জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি এখন তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্প। সময়ের সঙ্গে এই খাত পেরিয়েছে নানা চড়াই-উতরাই, অর্জন করেছে বিশ্বের নজরকাড়া সাফল্য। আজ এই শিল্প শুধু রপ্তানির প্রধান উৎস নয়, বরং তরুণদের জন্য সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের জগৎ। প্রশ্ন হলো, এই সম্ভাবনাকে আমরা কতটা কাজে লাগাচ্ছি...
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশে সব সরকারি কলেজে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি পালন করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকেরা।আজ রোববার সারা দেশের শিক্ষা ক্যাডারের ৩২তম থেকে ৩৭তম ব্যাচ এ কর্মসূচি পালন করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কর্মসূচির ফলে সারা দেশের বেশির ভাগ সরকারি কলেজে বন্ধ ছিল পাঠদান। অনুষ্ঠিত হয়নি ইনকোর্স, ক্লাস টেস্টসহ বিভিন্ন পরীক্ষা।
পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকদের অভিযোগ, বিগত ১২ বছর ধরে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের প্রভাষক পদে কর্মরত শত শত কর্মকর্তা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
জানা যায়, ৩২তম ও ৩৩তম বিসিএস ব্যাচের চার শতাধিক প্রভাষক চাকরিতে যোগদানের এক যুগ পরও প্রথম পদোন্নতি পাননি। এ ছাড়া ৩৪তম বিসিএস ১০ বছর, ৩৫তম বিসিএস ৯ বছর, ৩৬তম বিসিএস ৮ বছর, ৩৭তম বিসিএস ৭ বছর পার করলেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না।

সারা দেশে সব সরকারি কলেজে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি পালন করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকেরা।আজ রোববার সারা দেশের শিক্ষা ক্যাডারের ৩২তম থেকে ৩৭তম ব্যাচ এ কর্মসূচি পালন করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কর্মসূচির ফলে সারা দেশের বেশির ভাগ সরকারি কলেজে বন্ধ ছিল পাঠদান। অনুষ্ঠিত হয়নি ইনকোর্স, ক্লাস টেস্টসহ বিভিন্ন পরীক্ষা।
পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকদের অভিযোগ, বিগত ১২ বছর ধরে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের প্রভাষক পদে কর্মরত শত শত কর্মকর্তা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
জানা যায়, ৩২তম ও ৩৩তম বিসিএস ব্যাচের চার শতাধিক প্রভাষক চাকরিতে যোগদানের এক যুগ পরও প্রথম পদোন্নতি পাননি। এ ছাড়া ৩৪তম বিসিএস ১০ বছর, ৩৫তম বিসিএস ৯ বছর, ৩৬তম বিসিএস ৮ বছর, ৩৭তম বিসিএস ৭ বছর পার করলেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না।

অফিস আদেশে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা, ২০২৪-এর অনুচ্ছেদ ৬৯ অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক...
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ রোববার এই তথ্য জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি এখন তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্প। সময়ের সঙ্গে এই খাত পেরিয়েছে নানা চড়াই-উতরাই, অর্জন করেছে বিশ্বের নজরকাড়া সাফল্য। আজ এই শিল্প শুধু রপ্তানির প্রধান উৎস নয়, বরং তরুণদের জন্য সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের জগৎ। প্রশ্ন হলো, এই সম্ভাবনাকে আমরা কতটা কাজে লাগাচ্ছি...
১৮ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর দুপুর ১২টা থেকে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। ১৬ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে অনলাইনে আবেদন শেষ হওয়ার কথা ছিল।
বর্ধিত সময় অনুযায়ী, ১৯ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৬ নভেম্বর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এ অবস্থায়, ফলাফল পরিবর্তনের ফলে নতুনভাবে আবেদনের যোগ্যতা অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়, সে পরিপ্রেক্ষিতে ভর্তি-সংক্রান্ত অন্য সব তারিখ অপরিবর্তিত রেখে অনলাইনে আবেদনের সময়সীমা তিন দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে।
চলতি শিক্ষাবর্ষে ঢাবির পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে’ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিটগুলো হচ্ছে ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’ ‘চারুকলা ইউনিট’ এবং আইবিএ ইউনিট।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর দুপুর ১২টা থেকে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। ১৬ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে অনলাইনে আবেদন শেষ হওয়ার কথা ছিল।
বর্ধিত সময় অনুযায়ী, ১৯ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৬ নভেম্বর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এ অবস্থায়, ফলাফল পরিবর্তনের ফলে নতুনভাবে আবেদনের যোগ্যতা অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়, সে পরিপ্রেক্ষিতে ভর্তি-সংক্রান্ত অন্য সব তারিখ অপরিবর্তিত রেখে অনলাইনে আবেদনের সময়সীমা তিন দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে।
চলতি শিক্ষাবর্ষে ঢাবির পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে’ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিটগুলো হচ্ছে ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’ ‘চারুকলা ইউনিট’ এবং আইবিএ ইউনিট।

অফিস আদেশে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা, ২০২৪-এর অনুচ্ছেদ ৬৯ অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক...
৮ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে সব সরকারি কলেজে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি পালন করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকেরা।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ রোববার এই তথ্য জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি এখন তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্প। সময়ের সঙ্গে এই খাত পেরিয়েছে নানা চড়াই-উতরাই, অর্জন করেছে বিশ্বের নজরকাড়া সাফল্য। আজ এই শিল্প শুধু রপ্তানির প্রধান উৎস নয়, বরং তরুণদের জন্য সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের জগৎ। প্রশ্ন হলো, এই সম্ভাবনাকে আমরা কতটা কাজে লাগাচ্ছি...
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ রোববার এই তথ্য জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফল রোববার সকাল ১০টায় বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি আবেদনকারীদের মোবাইল নম্বরে এসএমএস পাঠিয়েও ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। ফলাফল ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
একইভাবে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, আলিম পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফলও একই সময়ে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। যারা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন, তাঁদের মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানানো হবে।
এইচএসসি পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষা ফলাফল:
শিক্ষা বোর্ড-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য রেকর্ডসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে ২ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী ৪ লাখ ২৮ হাজার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক আবেদন পড়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এবং সবচেয়ে কম বরিশাল বোর্ডে।
বিষয়ভিত্তিক সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে। ১৬ অক্টোবর ফল প্রকাশের পরদিন ১৭ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত সাত দিন আবেদন গ্রহণ করা হয়। শিক্ষার্থীরা প্রতি বিষয়ে ১৫০ টাকা ফি দিয়ে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেন।
আলিম পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষা ফলাফল:
উল্লেখ্য, এ বছর সারা দেশের ৯ হাজার ১৯৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন, পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন (৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ)। ছাত্রীদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।

২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ রোববার এই তথ্য জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফল রোববার সকাল ১০টায় বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি আবেদনকারীদের মোবাইল নম্বরে এসএমএস পাঠিয়েও ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। ফলাফল ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
একইভাবে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, আলিম পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফলও একই সময়ে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। যারা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন, তাঁদের মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানানো হবে।
এইচএসসি পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষা ফলাফল:
শিক্ষা বোর্ড-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য রেকর্ডসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে ২ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী ৪ লাখ ২৮ হাজার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক আবেদন পড়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এবং সবচেয়ে কম বরিশাল বোর্ডে।
বিষয়ভিত্তিক সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে। ১৬ অক্টোবর ফল প্রকাশের পরদিন ১৭ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত সাত দিন আবেদন গ্রহণ করা হয়। শিক্ষার্থীরা প্রতি বিষয়ে ১৫০ টাকা ফি দিয়ে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেন।
আলিম পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষা ফলাফল:
উল্লেখ্য, এ বছর সারা দেশের ৯ হাজার ১৯৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন, পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন (৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ)। ছাত্রীদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।

অফিস আদেশে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা, ২০২৪-এর অনুচ্ছেদ ৬৯ অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক...
৮ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে সব সরকারি কলেজে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি পালন করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকেরা।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি এখন তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্প। সময়ের সঙ্গে এই খাত পেরিয়েছে নানা চড়াই-উতরাই, অর্জন করেছে বিশ্বের নজরকাড়া সাফল্য। আজ এই শিল্প শুধু রপ্তানির প্রধান উৎস নয়, বরং তরুণদের জন্য সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের জগৎ। প্রশ্ন হলো, এই সম্ভাবনাকে আমরা কতটা কাজে লাগাচ্ছি...
১৮ ঘণ্টা আগেদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি এখন তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্প। সময়ের সঙ্গে এই খাত পেরিয়েছে নানা চড়াই-উতরাই, অর্জন করেছে বিশ্বের নজরকাড়া সাফল্য। আজ এই শিল্প শুধু রপ্তানির প্রধান উৎস নয়, বরং তরুণদের জন্য সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের জগৎ। প্রশ্ন হলো, এই সম্ভাবনাকে আমরা কতটা কাজে লাগাচ্ছি? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন বুনন বি-এর প্রতিষ্ঠাতা মো. সালাউদ্দিন।
মো. আশিকুর রহমান

কেন এই খাত তরুণদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল থেকে। অথচ এত বড় শিল্পে এখনো দক্ষ মানবসম্পদের ঘাটতি স্পষ্ট। এই ঘাটতি পূরণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন আজকের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অনেক তরুণ ক্যারিয়ারের শুরুতে নিজেদের কমফোর্ট জোনে আটকে থাকেন। তাঁরা নির্দিষ্ট পদে সীমাবদ্ধ থেকে যান, পুরো শিল্পের গতিবিধি বোঝার আগ্রহ দেখান না। অথচ এই খাতে সাফল্যের জন্য প্রয়োজন বাস্তব অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবনী মনোভাব।
বই ও ক্লাসরুম আপনাকে জ্ঞানের ভিত্তি দেবে, কিন্তু বাজার শেখাবে টিকে থাকার কৌশল। তাই টেক্সটাইল বা গার্মেন্টস খাতে সফল হতে চাইলে এখন থেকে হাতে-কলমে শেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সম্ভব হলে নিজের উদ্যোগে ছোট কোনো প্রকল্প শুরু করা; যেমন ৫০টি পণ্য তৈরি, কাপড়ের স্যাম্পল বানানো কিংবা স্থানীয় বাজারে বিক্রির অভিজ্ঞতা নেওয়া। এই বাস্তব চর্চা আপনাকে আলাদা করবে অন্যদের থেকে।
ক্যারিয়ারের নতুন দিগন্ত
গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্প মানে এখন শুধু উৎপাদন নয়। এই খাতের বাইরেও রয়েছে অসংখ্য সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল ম্যানুফ্যাকচারিং, ফ্যাশন ডিজাইন ও ইনোভেশন, সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিকস ম্যানেজমেন্ট, কমপ্লায়েন্স, ইএসজি (Environmental, Social & Governance) ও গ্রিন বিল্ডিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন, টেক্সটাইল গবেষণা এবং সাস্টেইনেবল প্রোডাকশন টেকনোলজি—প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন তরুণদের জন্য নতুন দরজা খুলে যাচ্ছে। বিশেষ করে যাঁরা উদ্যোক্তা হতে চান, তাঁদের জন্য এটি সেরা সময়। তবে বাজারের বাস্তব চাহিদা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও বৈশ্বিক পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন না হলে এই প্রতিযোগিতামূলক শিল্পে টিকে থাকা কঠিন হবে।
চাকরি, না উদ্যোক্তা
অনেকে ভাবেন, চাকরি করব নাকি উদ্যোক্তা হব। বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের প্রায় ৭০ শতাংশ সফল গার্মেন্টস উদ্যোক্তা একসময় এই খাতে চাকরি করেছিলেন। চাকরির অভিজ্ঞতা তাঁদের উদ্যোক্তা হওয়ার মজবুত ভিত্তি তৈরি করেছে। তবে চাকরি বদলের ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তা জরুরি। যদি নতুন কর্মস্থলে আপনার দক্ষতা ও শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন হয়, তবে সেই সুযোগ গ্রহণ করুন। নিজের কিছু গড়ার পরিকল্পনা থাকলে বারবার চাকরি বদল না করাই ভালো। অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করতে শিখুন। দেখবেন, সেই অভিজ্ঞতা একদিন পুঁজিতে রূপ নেবে।
অচেনা নায়কেরা
আমরা প্রায় সময় এই শিল্পের মালিক বা শ্রমিকদের গল্প শুনি। কিন্তু এর আড়ালে কাজ করা অসংখ্য পেশাজীবীর কথা খুব কম বলা হয়। মার্চেন্ডাইজার, প্রোডাকশন প্ল্যানার, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজার ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল কর্মকর্তাদের নিঃশব্দ পরিশ্রমে প্রতিটি রপ্তানি অর্ডার সময়মতো সম্পন্ন হয়। এই মধ্যম স্তরের পেশাজীবীরা পুরো সাপ্লাই চেইনের ভারসাম্য ধরে রাখেন। তাঁদের অবদান মূল্যায়ন না করলে এই শিল্পের স্থায়িত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
একসময়ের অনিশ্চয়তা থেকে আজকের সাফল্য
১৯৭০-এর দশকের শেষ দিকে এই খাত ছিল প্রায় অচেনা। শিক্ষিত তরুণেরা গার্মেন্টসে কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন না। অথচ আজ টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস খাত দেশের সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র। বিশ্বব্যাপী নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে এই শিল্প যে স্থিতিশীলতা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অর্জন করেছে, তা বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়।
সফলতার সূত্র
শিক্ষা আপনাকে দেবে জ্ঞান; কিন্তু অভিজ্ঞতা শেখাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া, সমস্যা সমাধান ও নেতৃত্বের দক্ষতা। এই দুইয়ের সমন্বয়ে তৈরি হবে ভবিষ্যতের সফল পেশাজীবী। মনে রাখবেন, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা মানে শুধু মেশিন বা কাঁচামালের জ্ঞান নয়, বরং বোঝার ও বোঝানোর ক্ষমতা। এই ক্ষমতা একদিন আপনাকে নেতা হিসেবে গড়ে তুলবে। আমরা সেই প্রজন্ম, যারা এই শিল্পে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ছোঁয়া এনেছি। তাই নিজেকে ‘বেকার’ নয়, ‘প্রস্তুতপ্রার্থী’ ভাবুন। গর্ব করে বলুন, ‘আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি, আমার সময় আসছে।’

কেন এই খাত তরুণদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল থেকে। অথচ এত বড় শিল্পে এখনো দক্ষ মানবসম্পদের ঘাটতি স্পষ্ট। এই ঘাটতি পূরণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন আজকের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অনেক তরুণ ক্যারিয়ারের শুরুতে নিজেদের কমফোর্ট জোনে আটকে থাকেন। তাঁরা নির্দিষ্ট পদে সীমাবদ্ধ থেকে যান, পুরো শিল্পের গতিবিধি বোঝার আগ্রহ দেখান না। অথচ এই খাতে সাফল্যের জন্য প্রয়োজন বাস্তব অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবনী মনোভাব।
বই ও ক্লাসরুম আপনাকে জ্ঞানের ভিত্তি দেবে, কিন্তু বাজার শেখাবে টিকে থাকার কৌশল। তাই টেক্সটাইল বা গার্মেন্টস খাতে সফল হতে চাইলে এখন থেকে হাতে-কলমে শেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সম্ভব হলে নিজের উদ্যোগে ছোট কোনো প্রকল্প শুরু করা; যেমন ৫০টি পণ্য তৈরি, কাপড়ের স্যাম্পল বানানো কিংবা স্থানীয় বাজারে বিক্রির অভিজ্ঞতা নেওয়া। এই বাস্তব চর্চা আপনাকে আলাদা করবে অন্যদের থেকে।
ক্যারিয়ারের নতুন দিগন্ত
গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্প মানে এখন শুধু উৎপাদন নয়। এই খাতের বাইরেও রয়েছে অসংখ্য সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল ম্যানুফ্যাকচারিং, ফ্যাশন ডিজাইন ও ইনোভেশন, সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিকস ম্যানেজমেন্ট, কমপ্লায়েন্স, ইএসজি (Environmental, Social & Governance) ও গ্রিন বিল্ডিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন, টেক্সটাইল গবেষণা এবং সাস্টেইনেবল প্রোডাকশন টেকনোলজি—প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন তরুণদের জন্য নতুন দরজা খুলে যাচ্ছে। বিশেষ করে যাঁরা উদ্যোক্তা হতে চান, তাঁদের জন্য এটি সেরা সময়। তবে বাজারের বাস্তব চাহিদা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও বৈশ্বিক পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন না হলে এই প্রতিযোগিতামূলক শিল্পে টিকে থাকা কঠিন হবে।
চাকরি, না উদ্যোক্তা
অনেকে ভাবেন, চাকরি করব নাকি উদ্যোক্তা হব। বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের প্রায় ৭০ শতাংশ সফল গার্মেন্টস উদ্যোক্তা একসময় এই খাতে চাকরি করেছিলেন। চাকরির অভিজ্ঞতা তাঁদের উদ্যোক্তা হওয়ার মজবুত ভিত্তি তৈরি করেছে। তবে চাকরি বদলের ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তা জরুরি। যদি নতুন কর্মস্থলে আপনার দক্ষতা ও শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন হয়, তবে সেই সুযোগ গ্রহণ করুন। নিজের কিছু গড়ার পরিকল্পনা থাকলে বারবার চাকরি বদল না করাই ভালো। অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করতে শিখুন। দেখবেন, সেই অভিজ্ঞতা একদিন পুঁজিতে রূপ নেবে।
অচেনা নায়কেরা
আমরা প্রায় সময় এই শিল্পের মালিক বা শ্রমিকদের গল্প শুনি। কিন্তু এর আড়ালে কাজ করা অসংখ্য পেশাজীবীর কথা খুব কম বলা হয়। মার্চেন্ডাইজার, প্রোডাকশন প্ল্যানার, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজার ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল কর্মকর্তাদের নিঃশব্দ পরিশ্রমে প্রতিটি রপ্তানি অর্ডার সময়মতো সম্পন্ন হয়। এই মধ্যম স্তরের পেশাজীবীরা পুরো সাপ্লাই চেইনের ভারসাম্য ধরে রাখেন। তাঁদের অবদান মূল্যায়ন না করলে এই শিল্পের স্থায়িত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
একসময়ের অনিশ্চয়তা থেকে আজকের সাফল্য
১৯৭০-এর দশকের শেষ দিকে এই খাত ছিল প্রায় অচেনা। শিক্ষিত তরুণেরা গার্মেন্টসে কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন না। অথচ আজ টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস খাত দেশের সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র। বিশ্বব্যাপী নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে এই শিল্প যে স্থিতিশীলতা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অর্জন করেছে, তা বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়।
সফলতার সূত্র
শিক্ষা আপনাকে দেবে জ্ঞান; কিন্তু অভিজ্ঞতা শেখাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া, সমস্যা সমাধান ও নেতৃত্বের দক্ষতা। এই দুইয়ের সমন্বয়ে তৈরি হবে ভবিষ্যতের সফল পেশাজীবী। মনে রাখবেন, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা মানে শুধু মেশিন বা কাঁচামালের জ্ঞান নয়, বরং বোঝার ও বোঝানোর ক্ষমতা। এই ক্ষমতা একদিন আপনাকে নেতা হিসেবে গড়ে তুলবে। আমরা সেই প্রজন্ম, যারা এই শিল্পে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ছোঁয়া এনেছি। তাই নিজেকে ‘বেকার’ নয়, ‘প্রস্তুতপ্রার্থী’ ভাবুন। গর্ব করে বলুন, ‘আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি, আমার সময় আসছে।’

অফিস আদেশে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা, ২০২৪-এর অনুচ্ছেদ ৬৯ অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক...
৮ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে সব সরকারি কলেজে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি পালন করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকেরা।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ রোববার এই তথ্য জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার।
১৬ ঘণ্টা আগে