আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে স্টারবাকস কর্মীরা। এই ধর্মঘটের প্রতি সংহতি জানিয়ে স্টারবাকসকে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি। গত বৃহস্পতিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে স্টারবাকস বারিস্তারা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করলে মামদানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ধর্মঘট চলাকালে তিনি স্টারবাকস থেকে কোনো কফি কিনবেন না এবং সবাইকে একই কাজ করার অনুরোধ করেন।
মামদানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে লেখেন, ‘স্টারবাকস কর্মীরা সারা দেশে অন্যায় শ্রমচর্চার বিরুদ্ধে ন্যায্য চুক্তির দাবিতে ধর্মঘট করছে। শ্রমিকেরা যখন ধর্মঘটে, আমিও স্টারবাকস কিনব না। আপনাদেরও আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে বলছি। চুক্তি না হলে স্টারবাকসের কফি নয়।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টারবাকস ওয়ার্কার্স ইউনাইটেড নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে বারিস্তারা ধর্মঘটে নেমেছেন। শ্রমিক সংগঠনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছে, এই দেশের বিভিন্ন শহরের বারিস্তারা অন্যায় শ্রমচর্চাবিরোধী ধর্মঘট শুরু করেছেন। এটি স্টারবাকসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এবং দীর্ঘতম ধর্মঘটে পরিণত হতে পারে।
সংগঠনটি এক্সে লিখেছে, ‘আজ থেকে স্টারবাকসের কর্মীরা আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মঘট শুরু করেছে। এটি স্টারবাকসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এবং দীর্ঘতম অন্যায় শ্রমচর্চাবিরোধী ধর্মঘট হতে পারে। চুক্তি না হলে কফি নয়; এই আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন। ধর্মঘট চলাকালে স্টারবাকস কিনবেন না।’
স্টারবাকসের কর্মীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন। এই আন্দোলনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেড কাপ রেবেলিয়ন’।
এদিকে, ধর্মঘটটি স্টারবাকসের বার্ষিক ‘রেড কাপ ডে’-এর দিনেই শুরু হয়েছে। এই দিনে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের বিনা মূল্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য ছুটির থিমের কাপ দেয়। সাধারণত এদিন স্টোরগুলোতে লম্বা লাইন পড়ে এবং এটি কোম্পানির অন্যতম ব্যস্ততম দিন হিসেবে বিবেচিত হয়।
স্টারবাকস ওয়ার্কার্স ইউনাইটেড দাবি করেছে, স্টারবাকস সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো বড় কোম্পানির তুলনায় বেশি শ্রম আইন ভেঙেছে। তারা উল্লেখ করেছে, ন্যাশনাল লেবার রিলেশনস বোর্ডের প্রশাসনিক আইন বিচারকেরা স্টারবাকসের বিরুদ্ধে ৪০০-এর বেশি শ্রম আইন লঙ্ঘনসংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছেন।
ধর্মঘটে যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টিরও বেশি শহর থেকে স্টারবাকস কর্মীরা যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে, নিউইয়র্ক, ডালাস, সিয়াটল, ওহাইও, মিনিয়াপোলিস এবং ফিলাডেলফিয়াসহ অন্যান্য বড় শহর।
স্টারবাকসের বারিস্তাদের এই আন্দোলনে মামদানির সংহতি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি ইতিমধ্যে নিউইয়র্কে বিনা মূল্যে বাসযাত্রা ও ফ্রি চাইল্ড কেয়ারের মতো কিছু সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিকভাবে মামদানির ক্রমবর্ধমান প্রভাব বারিস্তাদের দাবি আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে স্টারবাকস কর্মীরা। এই ধর্মঘটের প্রতি সংহতি জানিয়ে স্টারবাকসকে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি। গত বৃহস্পতিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে স্টারবাকস বারিস্তারা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করলে মামদানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ধর্মঘট চলাকালে তিনি স্টারবাকস থেকে কোনো কফি কিনবেন না এবং সবাইকে একই কাজ করার অনুরোধ করেন।
মামদানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে লেখেন, ‘স্টারবাকস কর্মীরা সারা দেশে অন্যায় শ্রমচর্চার বিরুদ্ধে ন্যায্য চুক্তির দাবিতে ধর্মঘট করছে। শ্রমিকেরা যখন ধর্মঘটে, আমিও স্টারবাকস কিনব না। আপনাদেরও আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে বলছি। চুক্তি না হলে স্টারবাকসের কফি নয়।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টারবাকস ওয়ার্কার্স ইউনাইটেড নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে বারিস্তারা ধর্মঘটে নেমেছেন। শ্রমিক সংগঠনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছে, এই দেশের বিভিন্ন শহরের বারিস্তারা অন্যায় শ্রমচর্চাবিরোধী ধর্মঘট শুরু করেছেন। এটি স্টারবাকসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এবং দীর্ঘতম ধর্মঘটে পরিণত হতে পারে।
সংগঠনটি এক্সে লিখেছে, ‘আজ থেকে স্টারবাকসের কর্মীরা আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মঘট শুরু করেছে। এটি স্টারবাকসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এবং দীর্ঘতম অন্যায় শ্রমচর্চাবিরোধী ধর্মঘট হতে পারে। চুক্তি না হলে কফি নয়; এই আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন। ধর্মঘট চলাকালে স্টারবাকস কিনবেন না।’
স্টারবাকসের কর্মীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন। এই আন্দোলনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেড কাপ রেবেলিয়ন’।
এদিকে, ধর্মঘটটি স্টারবাকসের বার্ষিক ‘রেড কাপ ডে’-এর দিনেই শুরু হয়েছে। এই দিনে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের বিনা মূল্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য ছুটির থিমের কাপ দেয়। সাধারণত এদিন স্টোরগুলোতে লম্বা লাইন পড়ে এবং এটি কোম্পানির অন্যতম ব্যস্ততম দিন হিসেবে বিবেচিত হয়।
স্টারবাকস ওয়ার্কার্স ইউনাইটেড দাবি করেছে, স্টারবাকস সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো বড় কোম্পানির তুলনায় বেশি শ্রম আইন ভেঙেছে। তারা উল্লেখ করেছে, ন্যাশনাল লেবার রিলেশনস বোর্ডের প্রশাসনিক আইন বিচারকেরা স্টারবাকসের বিরুদ্ধে ৪০০-এর বেশি শ্রম আইন লঙ্ঘনসংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছেন।
ধর্মঘটে যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টিরও বেশি শহর থেকে স্টারবাকস কর্মীরা যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে, নিউইয়র্ক, ডালাস, সিয়াটল, ওহাইও, মিনিয়াপোলিস এবং ফিলাডেলফিয়াসহ অন্যান্য বড় শহর।
স্টারবাকসের বারিস্তাদের এই আন্দোলনে মামদানির সংহতি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি ইতিমধ্যে নিউইয়র্কে বিনা মূল্যে বাসযাত্রা ও ফ্রি চাইল্ড কেয়ারের মতো কিছু সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিকভাবে মামদানির ক্রমবর্ধমান প্রভাব বারিস্তাদের দাবি আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এমন ভরাডুবি রাজ্য নেতা ও জোটসঙ্গীদের কাছে স্পষ্ট করেছে যে, কংগ্রেসের হাইকমান্ড ভোটে জয়ের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ‘নৈতিক আধিপত্য’ বা দর-কষাকষির ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। বিপরীতে আঞ্চলিক নেতাদের ক্ষমতা আরও বাড়ছে, যেখানে তাঁদের নিজস্ব রাজ্য-রাজনীতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ
৩১ মিনিট আগে
‘স্নেকহেড’ তথা শোল, টাকি ও গজার মাছ বাংলাদেশে সুপরিচিত হলেও শ্রীলঙ্কায় এরা একেবারেই নতুন। এই প্রজাতির মাছ এখন দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দেদুরু ওয়া জলাধারের স্থানীয় জেলে ও কৃষক পরিবারগুলোর জীবিকায় বড় ধরনের হুমকি তৈরি করেছে। তবে সংকটের মাঝেও নতুন সম্ভাবনা খুঁজছেন স্থানীয়রা।
১ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্ণৌয়ের ব্যস্ত হযরতগঞ্জ বাজার থেকে সামান্য হাঁটা দূরত্বে খাণ্ডারি বাজারের সরু গলিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি তিনতলা হলুদ রঙের বাড়ি। কাঠের দরজার বাইরে লোহার গ্রিল। গত তিন দিন ধরে এই বাড়ির সামনেই ভিড় করে ছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের সদস্যরা।
২ ঘণ্টা আগে
বিহারের ১৮তম বিধানসভা এবার বেশ কিছু দিক থেকে নতুন চিত্র সামনে এনেছে। ক্ষমতাসীন বিজেপির এনডিএ জোট ২৪৩ সদস্যের নিম্নকক্ষে ২০২টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে। নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নতুন বিধানসভা সম্পদে সমৃদ্ধ এবং আগের তুলনায় বয়সে বড়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল কংগ্রেসের কাঠামোগত দুর্বলতাকে আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এটি আগামী বছর চারটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা নির্বাচনে আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে কংগ্রেসের দলীয় হাইকমান্ডের প্রভাবকে সীমিত করবে।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তৎপরতা—দেশজুড়ে শোরগোল করে সফর, প্রচার কোনোটিই আসন বাড়াতে কাজে লাগছে না। এর কারণ রাজ্য পর্যায়ে সংগঠন দুর্বল এবং প্রার্থী বাছাই ও প্রচারে আঞ্চলিক নেতাদের আধিপত্য ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
আর বারবার এমন ভরাডুবি রাজ্য নেতা ও জোটসঙ্গীদের কাছে স্পষ্ট করেছে যে, কংগ্রেসের হাইকমান্ড ভোটে জয়ের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ‘নৈতিক আধিপত্য’ বা দর-কষাকষির ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। বিপরীতে আঞ্চলিক নেতাদের ক্ষমতা আরও বাড়ছে, যেখানে তাঁদের নিজস্ব রাজ্য রাজনীতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই চলছে।
বিহার সেই বাস্তবতাকে আরও পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ও বাম—দুই দিক থেকেই চাপ
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের মতে, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে এখন রাজ্য ইউনিটের সিদ্ধান্তেই চলতে হবে। কিছুদিন আগে খবর এসেছিল, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি করতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য কংগ্রেসে পরিবর্তন এনেছে। অনেকে বলছেন, মমতার বিরুদ্ধে তির্যক বক্তব্যের কারণে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সরিয়ে ‘নরম স্বভাবের’ শুভংকর সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শুভংকর সরকারকে অনেকে নমনীয় ও সমন্বয়কারী মুখ হিসেবে দেখছেন। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন—রাজ্য রাজনীতিতে তিনি কোনো জাতীয় মিত্রকে গুরুত্ব দিতে চান না। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর সম্পর্ক কিছুটা সৌহার্দ্যপূর্ণ হলেও রাহুল গান্ধীর প্রতি তাঁর মনোভাব অনেকটাই শীতল।
অন্যদিকে বামফ্রন্ট কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের জোট। তবে তারাও এখন একা লড়াইয়ের কথা ভাবছে। দীর্ঘদিন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ফল না পাওয়ায় বাম শিবিরের ভেতরে অসন্তোষ বেড়েছে। কংগ্রেসের অভিজ্ঞ নেতারাও বলছেন—আগামী দিনগুলো আরও কঠিন হবে।
আসামে জোটসঙ্গীদের দাবি আরও বেশি
আসামে বিহারের ফলাফল কংগ্রেসের অবস্থান আরও দুর্বল করে দিয়েছে। এখানে বদরুদ্দিন আজমলের নেতৃত্বাধীন এআইইউডিএফ ও কংগ্রেস মাঝে মাঝে নির্বাচনী সমঝোতায় এলেও তা সব সময় ফলপ্রসূ হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবার রাজ্যের মিত্র দলগুলো আসন বণ্টন থেকে প্রচার কৌশল—সবক্ষেত্রেই আরও স্বাধীনতা দাবি করবে।
তামিলনাড়ুতে কংগ্রেস ‘কনিষ্ঠ অংশীদার’
তামিলনাড়ুর রাজনীতি বহুলাংশেই আঞ্চলিক। ডিএমকে বা এআইএডিএমকের মতো দ্রাবিড় দলগুলোই এখানে প্রভাবশালী। ফলে কংগ্রেসকে তারা মূলত ‘মৌসুমি মিত্র’ বলেই বিবেচনা করে।
বিহারের ফলাফলের পর ডিএমকে আরও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেবে—কংগ্রেস কেবল কনিষ্ঠ অংশীদারই থাকবে। আসন বণ্টন বা প্রচারের কৌশল কোনো ক্ষেত্রেই কংগ্রেসের দর-কষাকষির সুযোগ নেই। ডিএমকে (দ্রাবিড় মুন্নেত্র কাজাগম) নেতৃত্ব ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে, কংগ্রেস যেন নতুন কোনো মিত্র, যেমন অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ থালাপতি বিজয়ের দল তামিলাগা ভেটরি কাজগমের দিকে ঝুঁকতে না পারে।
সম্প্রতি তামিলনাড়ুর উপমুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্টালিনের মন্তব্য—হাত (কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতীক) তাদের ছেড়ে যাচ্ছে না—ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন তুলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, বার্তা পরিষ্কার—ডিএমকের ছায়া থেকে বের হওয়ার ক্ষমতা কংগ্রেসের নেই।
কেরালার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত কংগ্রেস
রাজনৈতিক বিশ্লেষক টি জে শ্রীলালের মতে, কেরালায় বিজেপি এখনো কোনো ভিত্তি খুঁজে পায়নি। তাই কেরালায় বিজেপি কোনো হুমকি নয়। ২০২৬ সালের নির্বাচনে মূলত ক্ষমতাসীন বাম গণতান্ত্রিক জোট (এলডিএফ) ও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত গণতান্ত্রিক জোটের (ইউডিএফ) সরাসরি লড়াই হবে।
কিন্তু কেরালায় কংগ্রেসের ভেতরে এখন নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব তীব্র। বহু নেতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেস এমপি শশী থারুর জুলাই মাসে একটি জরিপ শেয়ার করেছিলেন, যেখানে ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চান বলে উল্লেখ ছিল। এতে নেতৃত্বের টানাপোড়েন আরও প্রকাশ্যে আসে।
এ ছাড়া মল্লিকার্জুন খাড়গেকে সভাপতি প্রার্থী করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পর থেকে থারুরের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বিষয়টি সামনে এনে কংগ্রেস নেতা কে মুরলিধরন মন্তব্য করেছিলেন—‘থারুর আগে ঠিক করুন, আপনি কোন দলের!’
টি জে শ্রীলালের মতে, রমেশ চেন্নিথালা ও কেসি বেণুগোপালও মুখ্যমন্ত্রী হতে চান।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, ‘কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হওয়ার জন্য তাদের হাতে আসা কোনো সুযোগই কাজে লাগাতে পারেনি। এলডিএফ যদি পরপর তৃতীয় মেয়াদে কেরালার ক্ষমতায় ফিরে আসে, তবে আমি অবাক হব না।’ বিহারের ফল স্পষ্ট করে দিয়েছে, রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ এখন আর নয়াদিল্লির ঘোষণার ওপর নয়, বরং দলটি কত দ্রুত ও কার্যকরভাবে তাদের রাজ্য স্তরের সাংগঠনিক কাঠামোকে ঠিক করবে, তার ওপরই বেশি নির্ভর করবে।
আইএএনএস থেকে সংক্ষেপে অনূদিত

২০২৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল কংগ্রেসের কাঠামোগত দুর্বলতাকে আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এটি আগামী বছর চারটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা নির্বাচনে আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে কংগ্রেসের দলীয় হাইকমান্ডের প্রভাবকে সীমিত করবে।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তৎপরতা—দেশজুড়ে শোরগোল করে সফর, প্রচার কোনোটিই আসন বাড়াতে কাজে লাগছে না। এর কারণ রাজ্য পর্যায়ে সংগঠন দুর্বল এবং প্রার্থী বাছাই ও প্রচারে আঞ্চলিক নেতাদের আধিপত্য ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
আর বারবার এমন ভরাডুবি রাজ্য নেতা ও জোটসঙ্গীদের কাছে স্পষ্ট করেছে যে, কংগ্রেসের হাইকমান্ড ভোটে জয়ের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ‘নৈতিক আধিপত্য’ বা দর-কষাকষির ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। বিপরীতে আঞ্চলিক নেতাদের ক্ষমতা আরও বাড়ছে, যেখানে তাঁদের নিজস্ব রাজ্য রাজনীতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই চলছে।
বিহার সেই বাস্তবতাকে আরও পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ও বাম—দুই দিক থেকেই চাপ
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের মতে, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে এখন রাজ্য ইউনিটের সিদ্ধান্তেই চলতে হবে। কিছুদিন আগে খবর এসেছিল, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি করতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য কংগ্রেসে পরিবর্তন এনেছে। অনেকে বলছেন, মমতার বিরুদ্ধে তির্যক বক্তব্যের কারণে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সরিয়ে ‘নরম স্বভাবের’ শুভংকর সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শুভংকর সরকারকে অনেকে নমনীয় ও সমন্বয়কারী মুখ হিসেবে দেখছেন। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন—রাজ্য রাজনীতিতে তিনি কোনো জাতীয় মিত্রকে গুরুত্ব দিতে চান না। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর সম্পর্ক কিছুটা সৌহার্দ্যপূর্ণ হলেও রাহুল গান্ধীর প্রতি তাঁর মনোভাব অনেকটাই শীতল।
অন্যদিকে বামফ্রন্ট কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের জোট। তবে তারাও এখন একা লড়াইয়ের কথা ভাবছে। দীর্ঘদিন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ফল না পাওয়ায় বাম শিবিরের ভেতরে অসন্তোষ বেড়েছে। কংগ্রেসের অভিজ্ঞ নেতারাও বলছেন—আগামী দিনগুলো আরও কঠিন হবে।
আসামে জোটসঙ্গীদের দাবি আরও বেশি
আসামে বিহারের ফলাফল কংগ্রেসের অবস্থান আরও দুর্বল করে দিয়েছে। এখানে বদরুদ্দিন আজমলের নেতৃত্বাধীন এআইইউডিএফ ও কংগ্রেস মাঝে মাঝে নির্বাচনী সমঝোতায় এলেও তা সব সময় ফলপ্রসূ হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবার রাজ্যের মিত্র দলগুলো আসন বণ্টন থেকে প্রচার কৌশল—সবক্ষেত্রেই আরও স্বাধীনতা দাবি করবে।
তামিলনাড়ুতে কংগ্রেস ‘কনিষ্ঠ অংশীদার’
তামিলনাড়ুর রাজনীতি বহুলাংশেই আঞ্চলিক। ডিএমকে বা এআইএডিএমকের মতো দ্রাবিড় দলগুলোই এখানে প্রভাবশালী। ফলে কংগ্রেসকে তারা মূলত ‘মৌসুমি মিত্র’ বলেই বিবেচনা করে।
বিহারের ফলাফলের পর ডিএমকে আরও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেবে—কংগ্রেস কেবল কনিষ্ঠ অংশীদারই থাকবে। আসন বণ্টন বা প্রচারের কৌশল কোনো ক্ষেত্রেই কংগ্রেসের দর-কষাকষির সুযোগ নেই। ডিএমকে (দ্রাবিড় মুন্নেত্র কাজাগম) নেতৃত্ব ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে, কংগ্রেস যেন নতুন কোনো মিত্র, যেমন অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ থালাপতি বিজয়ের দল তামিলাগা ভেটরি কাজগমের দিকে ঝুঁকতে না পারে।
সম্প্রতি তামিলনাড়ুর উপমুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্টালিনের মন্তব্য—হাত (কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতীক) তাদের ছেড়ে যাচ্ছে না—ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন তুলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, বার্তা পরিষ্কার—ডিএমকের ছায়া থেকে বের হওয়ার ক্ষমতা কংগ্রেসের নেই।
কেরালার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত কংগ্রেস
রাজনৈতিক বিশ্লেষক টি জে শ্রীলালের মতে, কেরালায় বিজেপি এখনো কোনো ভিত্তি খুঁজে পায়নি। তাই কেরালায় বিজেপি কোনো হুমকি নয়। ২০২৬ সালের নির্বাচনে মূলত ক্ষমতাসীন বাম গণতান্ত্রিক জোট (এলডিএফ) ও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত গণতান্ত্রিক জোটের (ইউডিএফ) সরাসরি লড়াই হবে।
কিন্তু কেরালায় কংগ্রেসের ভেতরে এখন নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব তীব্র। বহু নেতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেস এমপি শশী থারুর জুলাই মাসে একটি জরিপ শেয়ার করেছিলেন, যেখানে ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চান বলে উল্লেখ ছিল। এতে নেতৃত্বের টানাপোড়েন আরও প্রকাশ্যে আসে।
এ ছাড়া মল্লিকার্জুন খাড়গেকে সভাপতি প্রার্থী করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পর থেকে থারুরের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বিষয়টি সামনে এনে কংগ্রেস নেতা কে মুরলিধরন মন্তব্য করেছিলেন—‘থারুর আগে ঠিক করুন, আপনি কোন দলের!’
টি জে শ্রীলালের মতে, রমেশ চেন্নিথালা ও কেসি বেণুগোপালও মুখ্যমন্ত্রী হতে চান।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, ‘কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হওয়ার জন্য তাদের হাতে আসা কোনো সুযোগই কাজে লাগাতে পারেনি। এলডিএফ যদি পরপর তৃতীয় মেয়াদে কেরালার ক্ষমতায় ফিরে আসে, তবে আমি অবাক হব না।’ বিহারের ফল স্পষ্ট করে দিয়েছে, রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ এখন আর নয়াদিল্লির ঘোষণার ওপর নয়, বরং দলটি কত দ্রুত ও কার্যকরভাবে তাদের রাজ্য স্তরের সাংগঠনিক কাঠামোকে ঠিক করবে, তার ওপরই বেশি নির্ভর করবে।
আইএএনএস থেকে সংক্ষেপে অনূদিত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে লেখেন, ‘স্টারবাকস কর্মীরা সারা দেশে অন্যায় শ্রমচর্চার বিরুদ্ধে ন্যায্য চুক্তির দাবিতে ধর্মঘট করছে। শ্রমিকেরা যখন ধর্মঘটে, আমিও স্টারবাকস কিনব না। আপনাদেরও আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে বলছি। চুক্তি না হলে, স্টারবাকসের কফি নয়।’
৪ ঘণ্টা আগে
‘স্নেকহেড’ তথা শোল, টাকি ও গজার মাছ বাংলাদেশে সুপরিচিত হলেও শ্রীলঙ্কায় এরা একেবারেই নতুন। এই প্রজাতির মাছ এখন দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দেদুরু ওয়া জলাধারের স্থানীয় জেলে ও কৃষক পরিবারগুলোর জীবিকায় বড় ধরনের হুমকি তৈরি করেছে। তবে সংকটের মাঝেও নতুন সম্ভাবনা খুঁজছেন স্থানীয়রা।
১ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্ণৌয়ের ব্যস্ত হযরতগঞ্জ বাজার থেকে সামান্য হাঁটা দূরত্বে খাণ্ডারি বাজারের সরু গলিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি তিনতলা হলুদ রঙের বাড়ি। কাঠের দরজার বাইরে লোহার গ্রিল। গত তিন দিন ধরে এই বাড়ির সামনেই ভিড় করে ছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের সদস্যরা।
২ ঘণ্টা আগে
বিহারের ১৮তম বিধানসভা এবার বেশ কিছু দিক থেকে নতুন চিত্র সামনে এনেছে। ক্ষমতাসীন বিজেপির এনডিএ জোট ২৪৩ সদস্যের নিম্নকক্ষে ২০২টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে। নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নতুন বিধানসভা সম্পদে সমৃদ্ধ এবং আগের তুলনায় বয়সে বড়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘স্নেকহেড’ তথা শোল, টাকি ও গজার মাছ বাংলাদেশে সুপরিচিত হলেও শ্রীলঙ্কায় এরা একেবারেই নতুন। এই প্রজাতির মাছ এখন দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দেদুরু ওয়া জলাধারের স্থানীয় জেলে ও কৃষক পরিবারগুলোর জীবিকায় বড় ধরনের হুমকি তৈরি করেছে। তবে সংকটের মাঝেও নতুন সম্ভাবনা খুঁজছেন স্থানীয়রা।
রোববার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে—গত দুই বছরে দেদুরু ওয়া জলাধারের জেলেরা লক্ষ্য করেছেন, তাঁদের জালে আগের মতো আর স্থানীয় মাছ বা চিংড়ি ধরা পড়ছে না। বরং অচেনা স্নেকহেড মাছ বিপুল সংখ্যায় দেখা দিতে শুরু করেছে।
এই মাছ এর আগে শ্রীলঙ্কায় কখনো ছিল না। কর্তৃপক্ষের ধারণা—থাইল্যান্ড বা ইন্দোনেশিয়া থেকে শখের অ্যাকোরিয়ামের জন্য আমদানি করা এসব মাছ যখন বড় হয়ে যায়, তখন মালিকেরা সেগুলো জলাধারে ছেড়ে দেন। সেখান থেকেই শুরু হয় অনিয়ন্ত্রিত বিস্তার। দ্রুত বংশবৃদ্ধির কারণে এসব মাছ স্থানীয় মাছ ও চিংড়ি প্রজাতিগুলোকে হুমকির মুখে ফেলছে।
গবেষক ড. কেলুম উইজনায়েকে জানান, শ্রীলঙ্কার জলাশয়গুলোতে স্নেকহেড মাছগুলোকে খেয়ে ফেলবে বা বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করবে এমন কোনো প্রাকৃতিক শিকারি নেই। শিকারি না থাকা আর স্থানীয় মাছগুলোকে খাদ্য হিসেবে পেয়ে স্নেকহেড মাছ দেদুরু ওয়া জলাধারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠেছে। এরা পানির ওপরে উঠে অক্সিজেন নিতে পারে এবং খুব অল্প পানিতেও টিকে থাকে। তাদের ধারালো দাঁত, শক্ত চোয়াল এবং ব্যাপক খাওয়ার প্রবণতা স্থানীয় জীববৈচিত্র্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্থানীয় মাছ যেখানে সাধারণত এক কেজির কম হয়, সেখানে সাত কেজি ওজন পর্যন্ত স্নেকহেড ধরা পড়েছে।
জেলে রঞ্জিত কুমারা বলেন, ‘২০১৬ সালে যখন মাছ ধরা শুরু করি, তখন নানা জাতের চিংড়ি ও মূল্যবান মাছ পাওয়া যেত। এখন সেগুলো প্রায় বিরল। স্নেকহেড জালে ধরা যায় না—শুধু অ্যাংলিংয়ের (ছিপ দিয়ে) মাধ্যমেই ধরা সম্ভব।’

সংকট মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষ ছিপ দিয়ে মাছ ধরা প্রতিযোগিতারও আয়োজন করেছিল। তারপরও স্নেকহেড নিয়ন্ত্রণে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তবে স্থানীয়রা আশা হারাতে চান না। রঞ্জিত কুমারা প্রস্তাব দিয়েছেন—সরকার যদি অ্যাংলিং টুরিজম চালু করে, তবে একদিকে স্নেকহেড নিয়ন্ত্রণ হবে, অন্যদিকে জেলে ও কৃষক পরিবারগুলোর জন্য নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি হবে।
এদিকে স্থানীয় জেলে সুজিওয়া করিয়াওয়াসাম স্নেকহেড মাছ শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করছেন, যা বাজারে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘চাহিদা বাড়ছে। যত বেশি স্নেকহেড ধরা পড়বে, ততই এর বিস্তার কমবে।’
সংকটের মধ্যেও এভাবেই নতুন সম্ভাবনার পথে এগোতে চাইছে দেদুরু ওয়া গ্রামের মানুষ।

‘স্নেকহেড’ তথা শোল, টাকি ও গজার মাছ বাংলাদেশে সুপরিচিত হলেও শ্রীলঙ্কায় এরা একেবারেই নতুন। এই প্রজাতির মাছ এখন দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দেদুরু ওয়া জলাধারের স্থানীয় জেলে ও কৃষক পরিবারগুলোর জীবিকায় বড় ধরনের হুমকি তৈরি করেছে। তবে সংকটের মাঝেও নতুন সম্ভাবনা খুঁজছেন স্থানীয়রা।
রোববার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে—গত দুই বছরে দেদুরু ওয়া জলাধারের জেলেরা লক্ষ্য করেছেন, তাঁদের জালে আগের মতো আর স্থানীয় মাছ বা চিংড়ি ধরা পড়ছে না। বরং অচেনা স্নেকহেড মাছ বিপুল সংখ্যায় দেখা দিতে শুরু করেছে।
এই মাছ এর আগে শ্রীলঙ্কায় কখনো ছিল না। কর্তৃপক্ষের ধারণা—থাইল্যান্ড বা ইন্দোনেশিয়া থেকে শখের অ্যাকোরিয়ামের জন্য আমদানি করা এসব মাছ যখন বড় হয়ে যায়, তখন মালিকেরা সেগুলো জলাধারে ছেড়ে দেন। সেখান থেকেই শুরু হয় অনিয়ন্ত্রিত বিস্তার। দ্রুত বংশবৃদ্ধির কারণে এসব মাছ স্থানীয় মাছ ও চিংড়ি প্রজাতিগুলোকে হুমকির মুখে ফেলছে।
গবেষক ড. কেলুম উইজনায়েকে জানান, শ্রীলঙ্কার জলাশয়গুলোতে স্নেকহেড মাছগুলোকে খেয়ে ফেলবে বা বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করবে এমন কোনো প্রাকৃতিক শিকারি নেই। শিকারি না থাকা আর স্থানীয় মাছগুলোকে খাদ্য হিসেবে পেয়ে স্নেকহেড মাছ দেদুরু ওয়া জলাধারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠেছে। এরা পানির ওপরে উঠে অক্সিজেন নিতে পারে এবং খুব অল্প পানিতেও টিকে থাকে। তাদের ধারালো দাঁত, শক্ত চোয়াল এবং ব্যাপক খাওয়ার প্রবণতা স্থানীয় জীববৈচিত্র্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্থানীয় মাছ যেখানে সাধারণত এক কেজির কম হয়, সেখানে সাত কেজি ওজন পর্যন্ত স্নেকহেড ধরা পড়েছে।
জেলে রঞ্জিত কুমারা বলেন, ‘২০১৬ সালে যখন মাছ ধরা শুরু করি, তখন নানা জাতের চিংড়ি ও মূল্যবান মাছ পাওয়া যেত। এখন সেগুলো প্রায় বিরল। স্নেকহেড জালে ধরা যায় না—শুধু অ্যাংলিংয়ের (ছিপ দিয়ে) মাধ্যমেই ধরা সম্ভব।’

সংকট মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষ ছিপ দিয়ে মাছ ধরা প্রতিযোগিতারও আয়োজন করেছিল। তারপরও স্নেকহেড নিয়ন্ত্রণে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তবে স্থানীয়রা আশা হারাতে চান না। রঞ্জিত কুমারা প্রস্তাব দিয়েছেন—সরকার যদি অ্যাংলিং টুরিজম চালু করে, তবে একদিকে স্নেকহেড নিয়ন্ত্রণ হবে, অন্যদিকে জেলে ও কৃষক পরিবারগুলোর জন্য নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি হবে।
এদিকে স্থানীয় জেলে সুজিওয়া করিয়াওয়াসাম স্নেকহেড মাছ শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করছেন, যা বাজারে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘চাহিদা বাড়ছে। যত বেশি স্নেকহেড ধরা পড়বে, ততই এর বিস্তার কমবে।’
সংকটের মধ্যেও এভাবেই নতুন সম্ভাবনার পথে এগোতে চাইছে দেদুরু ওয়া গ্রামের মানুষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে লেখেন, ‘স্টারবাকস কর্মীরা সারা দেশে অন্যায় শ্রমচর্চার বিরুদ্ধে ন্যায্য চুক্তির দাবিতে ধর্মঘট করছে। শ্রমিকেরা যখন ধর্মঘটে, আমিও স্টারবাকস কিনব না। আপনাদেরও আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে বলছি। চুক্তি না হলে, স্টারবাকসের কফি নয়।’
৪ ঘণ্টা আগে
এমন ভরাডুবি রাজ্য নেতা ও জোটসঙ্গীদের কাছে স্পষ্ট করেছে যে, কংগ্রেসের হাইকমান্ড ভোটে জয়ের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ‘নৈতিক আধিপত্য’ বা দর-কষাকষির ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। বিপরীতে আঞ্চলিক নেতাদের ক্ষমতা আরও বাড়ছে, যেখানে তাঁদের নিজস্ব রাজ্য-রাজনীতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ
৩১ মিনিট আগে
লক্ষ্ণৌয়ের ব্যস্ত হযরতগঞ্জ বাজার থেকে সামান্য হাঁটা দূরত্বে খাণ্ডারি বাজারের সরু গলিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি তিনতলা হলুদ রঙের বাড়ি। কাঠের দরজার বাইরে লোহার গ্রিল। গত তিন দিন ধরে এই বাড়ির সামনেই ভিড় করে ছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের সদস্যরা।
২ ঘণ্টা আগে
বিহারের ১৮তম বিধানসভা এবার বেশ কিছু দিক থেকে নতুন চিত্র সামনে এনেছে। ক্ষমতাসীন বিজেপির এনডিএ জোট ২৪৩ সদস্যের নিম্নকক্ষে ২০২টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে। নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নতুন বিধানসভা সম্পদে সমৃদ্ধ এবং আগের তুলনায় বয়সে বড়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লক্ষ্ণৌয়ের ব্যস্ত হযরতগঞ্জ বাজার থেকে সামান্য হাঁটা দূরত্বে খাণ্ডারি বাজারের সরু গলিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি তিনতলা হলুদ রঙের বাড়ি। কাঠের দরজার বাইরে লোহার গ্রিল। গত তিন দিন ধরে এই বাড়ির সামনেই ভিড় করে ছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের সদস্যরা।
গত শুক্রবার থেকে এই বাড়ির বাইরে একজন নারী কনস্টেবলসহ দুজন পুলিশ সদস্য পাহারা দিচ্ছেন। সাদা পোশাকের এক কনস্টেবল বলেন, এই পরিবারের লোকেরা খুব কমই গেট খোলেন বা কারও সঙ্গে কথা বলার জন্য বাইরে আসেন।
এই বাড়িতেই থাকতেন শাহীন শহীদ আনসারী (৪৪) ও তাঁর ছোট ভাই পারভেজ আনসারী (৩৮)। গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ কর্তৃক ফাঁস হওয়া কথিত ‘আন্তদেশীয় ও আন্তরাজ্য’ জঙ্গি মডিউলের (ট্রান্সন্যাশনাল ও ইন্টারস্টেট টেরর মডিউল) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটকের পর শাহীনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আর পারভেজকে আটক রাখা হয়েছে।
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিনিধি দরজায় কড়া নাড়লে বেশ কয়েক মিনিট কেউ উত্তর দেয় না। অবশেষে তিন ভাই-বোনের মধ্যে বড় মোহাম্মদ শোয়েব (৪৮) গ্রিলের পেছন থেকে কথা বলতে রাজি হন।
শোয়েব জানান, তাঁদের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সৈয়দ আহমেদ (৮০) সন্তানদের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার কখনো এসবে আগ্রহ ছিল না। তাই আমার বাবা শাহীন ও পারভেজের ওপর মনোযোগ দেন। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার জন্য তাদের কোচিংয়ে ভর্তি করান এবং শেষ পর্যন্ত তারা সফলও হয়। কিন্তু আমরা কখনো ভাবিনি যে, পরিস্থিতি এমন মোড় নিতে পারে।’
শোয়েব আরও বলেন, ‘কিছু ব্যক্তিগত মতপার্থক্যের কারণে আমি ২০২১ সাল থেকে তাদের (শাহীন ও পারভেজ) সঙ্গে যোগাযোগ রাখিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর পর থেকে তারা বাড়িতে আসা বন্ধ করে দেয়। আমি অনেক দিন শাহীনের সঙ্গে কথা বলিনি, পুলিশ গ্রেপ্তার করার আগে সে কোথায় ছিল বা কী কাজ করছিল, তা আমি সত্যি জানতাম না।’
পরিবারের তথ্যমতে, শাহীন তাঁদের বাড়ির কাছেই লালবাগ গার্লস ইন্টার কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন আর পারভেজ ছিলেন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজে।
এরপর শাহীন এলাহাবাদের এসআরএন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ও এমডি সম্পন্ন করেন। তিনি ২০০৬ সালে ইউপিপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে কানপুরের জিএসভিএম মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে ফার্মাকোলজির সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তবে ২০১৩ সালে তিনি কাউকে না জানিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন এবং বারবার নোটিশের উত্তর না দেওয়ায় সে বছরই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ স্কুল অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে যোগ দেন।
অন্যদিকে, পারভেজ লক্ষ্ণৌয়ের এরা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং আগ্রার একটি কলেজ থেকে মেডিসিনে এমডি সম্পন্ন করেন। তিনি ২০২১ সালে ইন্টিগ্রাল ইউনিভার্সিটিতে সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দেন। এরপর ওই বছরের ৬ নভেম্বর পদত্যাগ করেন।
শোয়েব জানান, শাহীন ২০১৩-১৪ সালের দিকে প্রায় আড়াই বছর সৌদি আরবে ছিলেন। পারভেজও ২০১৬ সালে চাকরির জন্য মালদ্বীপ যান। এরপর দুজনই ২০১৭ সালের দিকে ভারতে ফিরে আসেন।
শোয়েব আরও জানান, দুজনেরই বিয়ে হয়েছিল। শাহীন ২০০৩ সালে চক্ষু সার্জন জাফর হায়াতকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের দুটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু ২০১৩ সালে বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে তাঁদের সম্পর্ক শেষ হয়। চিকিৎসক হায়াত এখন কানপুরের একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত।
পারভেজ বিহারের এক নারীকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের একটি মেয়ে রয়েছে। তবে শোয়েব জানান, তাঁর ছোট ভাই বিয়ের পরেই দূরে সরে যান এবং এখন আর তাঁদের সঙ্গে থাকেন না।
শোয়েব বলেন, ‘আমার মা ইয়াসমিন পারভীনের ডায়াবেটিস ছিল। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মা মারা যাওয়ার পর শাহীন বাড়িতে আসা আরও কমিয়ে দেয়।’
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, চলতি মাসে ফাঁস হওয়া জঙ্গি মডিউলের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন শাহীন। অন্যরা হলেন রেড ফোর্টে গাড়ি বিস্ফোরণে জড়িত আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওমর নবী, তাঁর সহকর্মী চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ এবং সাহারানপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী আদিল মজিদ। শাহীনও আল-ফালাহতে কাজ করতেন।
সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, শাহীন ‘হোয়াইট কালার অপরাধী’ গোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছিলেন। জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে তাঁদের যোগসাজশ রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন মুজাম্মিলকে তাঁর গাড়ি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন, যা ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত পাঁচ বছরে শাহীন তাঁর পরিবার থেকে অনেক দূরে সরে গেছেন। পারভেজও ক্রমশ নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন।
পুলিশ ও অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস) এখন এই পরিবারের দুই ভাই-বোনের জীবন, শিক্ষা, পরিচিত মানুষ, পারিবারিক সম্পর্ক এবং সৌদি আরব ও মালদ্বীপে অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। পারভেজের ডিভাইসগুলোও তাঁর লক্ষ্ণৌয়ের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
খাণ্ডারি বাজারের অনেকে এই পরিবারকে চেনেন, কিন্তু তাঁরা প্রকাশ্যে কিছু বলছিলেন না। একজন ফিসফিস করে ওই পরিবারের কথা বলেন। তাঁকে ওই বাড়ির কথা জিজ্ঞাসা করলে নাম না নিয়ে কেবল ইশারা করেন। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউই স্বীকার করতে চায় না যে তারা এই ভাই-বোনদের বা তাঁদের পরিবারকে চিনত। তাঁরা যখন ছোট ছিল, শুধু তখনকার কথাই মনে আছে। গত কয়েক বছরে দুই ভাই-বোন ধীরে ধীরে সবার থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছে।

লক্ষ্ণৌয়ের ব্যস্ত হযরতগঞ্জ বাজার থেকে সামান্য হাঁটা দূরত্বে খাণ্ডারি বাজারের সরু গলিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি তিনতলা হলুদ রঙের বাড়ি। কাঠের দরজার বাইরে লোহার গ্রিল। গত তিন দিন ধরে এই বাড়ির সামনেই ভিড় করে ছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের সদস্যরা।
গত শুক্রবার থেকে এই বাড়ির বাইরে একজন নারী কনস্টেবলসহ দুজন পুলিশ সদস্য পাহারা দিচ্ছেন। সাদা পোশাকের এক কনস্টেবল বলেন, এই পরিবারের লোকেরা খুব কমই গেট খোলেন বা কারও সঙ্গে কথা বলার জন্য বাইরে আসেন।
এই বাড়িতেই থাকতেন শাহীন শহীদ আনসারী (৪৪) ও তাঁর ছোট ভাই পারভেজ আনসারী (৩৮)। গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ কর্তৃক ফাঁস হওয়া কথিত ‘আন্তদেশীয় ও আন্তরাজ্য’ জঙ্গি মডিউলের (ট্রান্সন্যাশনাল ও ইন্টারস্টেট টেরর মডিউল) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটকের পর শাহীনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আর পারভেজকে আটক রাখা হয়েছে।
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিনিধি দরজায় কড়া নাড়লে বেশ কয়েক মিনিট কেউ উত্তর দেয় না। অবশেষে তিন ভাই-বোনের মধ্যে বড় মোহাম্মদ শোয়েব (৪৮) গ্রিলের পেছন থেকে কথা বলতে রাজি হন।
শোয়েব জানান, তাঁদের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সৈয়দ আহমেদ (৮০) সন্তানদের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার কখনো এসবে আগ্রহ ছিল না। তাই আমার বাবা শাহীন ও পারভেজের ওপর মনোযোগ দেন। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার জন্য তাদের কোচিংয়ে ভর্তি করান এবং শেষ পর্যন্ত তারা সফলও হয়। কিন্তু আমরা কখনো ভাবিনি যে, পরিস্থিতি এমন মোড় নিতে পারে।’
শোয়েব আরও বলেন, ‘কিছু ব্যক্তিগত মতপার্থক্যের কারণে আমি ২০২১ সাল থেকে তাদের (শাহীন ও পারভেজ) সঙ্গে যোগাযোগ রাখিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর পর থেকে তারা বাড়িতে আসা বন্ধ করে দেয়। আমি অনেক দিন শাহীনের সঙ্গে কথা বলিনি, পুলিশ গ্রেপ্তার করার আগে সে কোথায় ছিল বা কী কাজ করছিল, তা আমি সত্যি জানতাম না।’
পরিবারের তথ্যমতে, শাহীন তাঁদের বাড়ির কাছেই লালবাগ গার্লস ইন্টার কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন আর পারভেজ ছিলেন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজে।
এরপর শাহীন এলাহাবাদের এসআরএন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ও এমডি সম্পন্ন করেন। তিনি ২০০৬ সালে ইউপিপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে কানপুরের জিএসভিএম মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে ফার্মাকোলজির সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তবে ২০১৩ সালে তিনি কাউকে না জানিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন এবং বারবার নোটিশের উত্তর না দেওয়ায় সে বছরই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ স্কুল অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে যোগ দেন।
অন্যদিকে, পারভেজ লক্ষ্ণৌয়ের এরা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং আগ্রার একটি কলেজ থেকে মেডিসিনে এমডি সম্পন্ন করেন। তিনি ২০২১ সালে ইন্টিগ্রাল ইউনিভার্সিটিতে সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দেন। এরপর ওই বছরের ৬ নভেম্বর পদত্যাগ করেন।
শোয়েব জানান, শাহীন ২০১৩-১৪ সালের দিকে প্রায় আড়াই বছর সৌদি আরবে ছিলেন। পারভেজও ২০১৬ সালে চাকরির জন্য মালদ্বীপ যান। এরপর দুজনই ২০১৭ সালের দিকে ভারতে ফিরে আসেন।
শোয়েব আরও জানান, দুজনেরই বিয়ে হয়েছিল। শাহীন ২০০৩ সালে চক্ষু সার্জন জাফর হায়াতকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের দুটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু ২০১৩ সালে বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে তাঁদের সম্পর্ক শেষ হয়। চিকিৎসক হায়াত এখন কানপুরের একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত।
পারভেজ বিহারের এক নারীকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের একটি মেয়ে রয়েছে। তবে শোয়েব জানান, তাঁর ছোট ভাই বিয়ের পরেই দূরে সরে যান এবং এখন আর তাঁদের সঙ্গে থাকেন না।
শোয়েব বলেন, ‘আমার মা ইয়াসমিন পারভীনের ডায়াবেটিস ছিল। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মা মারা যাওয়ার পর শাহীন বাড়িতে আসা আরও কমিয়ে দেয়।’
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, চলতি মাসে ফাঁস হওয়া জঙ্গি মডিউলের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন শাহীন। অন্যরা হলেন রেড ফোর্টে গাড়ি বিস্ফোরণে জড়িত আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওমর নবী, তাঁর সহকর্মী চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ এবং সাহারানপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী আদিল মজিদ। শাহীনও আল-ফালাহতে কাজ করতেন।
সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, শাহীন ‘হোয়াইট কালার অপরাধী’ গোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছিলেন। জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে তাঁদের যোগসাজশ রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন মুজাম্মিলকে তাঁর গাড়ি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন, যা ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত পাঁচ বছরে শাহীন তাঁর পরিবার থেকে অনেক দূরে সরে গেছেন। পারভেজও ক্রমশ নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন।
পুলিশ ও অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস) এখন এই পরিবারের দুই ভাই-বোনের জীবন, শিক্ষা, পরিচিত মানুষ, পারিবারিক সম্পর্ক এবং সৌদি আরব ও মালদ্বীপে অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। পারভেজের ডিভাইসগুলোও তাঁর লক্ষ্ণৌয়ের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
খাণ্ডারি বাজারের অনেকে এই পরিবারকে চেনেন, কিন্তু তাঁরা প্রকাশ্যে কিছু বলছিলেন না। একজন ফিসফিস করে ওই পরিবারের কথা বলেন। তাঁকে ওই বাড়ির কথা জিজ্ঞাসা করলে নাম না নিয়ে কেবল ইশারা করেন। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউই স্বীকার করতে চায় না যে তারা এই ভাই-বোনদের বা তাঁদের পরিবারকে চিনত। তাঁরা যখন ছোট ছিল, শুধু তখনকার কথাই মনে আছে। গত কয়েক বছরে দুই ভাই-বোন ধীরে ধীরে সবার থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে লেখেন, ‘স্টারবাকস কর্মীরা সারা দেশে অন্যায় শ্রমচর্চার বিরুদ্ধে ন্যায্য চুক্তির দাবিতে ধর্মঘট করছে। শ্রমিকেরা যখন ধর্মঘটে, আমিও স্টারবাকস কিনব না। আপনাদেরও আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে বলছি। চুক্তি না হলে, স্টারবাকসের কফি নয়।’
৪ ঘণ্টা আগে
এমন ভরাডুবি রাজ্য নেতা ও জোটসঙ্গীদের কাছে স্পষ্ট করেছে যে, কংগ্রেসের হাইকমান্ড ভোটে জয়ের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ‘নৈতিক আধিপত্য’ বা দর-কষাকষির ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। বিপরীতে আঞ্চলিক নেতাদের ক্ষমতা আরও বাড়ছে, যেখানে তাঁদের নিজস্ব রাজ্য-রাজনীতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ
৩১ মিনিট আগে
‘স্নেকহেড’ তথা শোল, টাকি ও গজার মাছ বাংলাদেশে সুপরিচিত হলেও শ্রীলঙ্কায় এরা একেবারেই নতুন। এই প্রজাতির মাছ এখন দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দেদুরু ওয়া জলাধারের স্থানীয় জেলে ও কৃষক পরিবারগুলোর জীবিকায় বড় ধরনের হুমকি তৈরি করেছে। তবে সংকটের মাঝেও নতুন সম্ভাবনা খুঁজছেন স্থানীয়রা।
১ ঘণ্টা আগে
বিহারের ১৮তম বিধানসভা এবার বেশ কিছু দিক থেকে নতুন চিত্র সামনে এনেছে। ক্ষমতাসীন বিজেপির এনডিএ জোট ২৪৩ সদস্যের নিম্নকক্ষে ২০২টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে। নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নতুন বিধানসভা সম্পদে সমৃদ্ধ এবং আগের তুলনায় বয়সে বড়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে বিহারের ১৮তম বিধানসভা এবার বেশ কিছু দিক থেকে নতুন চিত্র সামনে এনেছে। ক্ষমতাসীন বিজেপির এনডিএ জোট ২৪৩ সদস্যের নিম্নকক্ষে ২০২টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে। নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নতুন বিধানসভা সম্পদে সমৃদ্ধ এবং আগের তুলনায় বয়সে বড়।
রোববার (১৬ নভেম্বর) দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, এবার ১১১ জন বিধায়ক পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় বিধানসভার গড় বয়স বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ বছরে (২০২০ সালে ছিল ৫২ বছর)। সবচেয়ে কম বয়সী বিধায়ক হয়েছেন বিজেপির ২৫ বছর বয়সী মৈথিলী ঠাকুর। তিনি প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলিনগর আসন থেকে জয় পেয়েছেন। মৈথিলীসহ ৩০ বছরের নিচে মাত্র দুজন বিধায়ক রয়েছেন। অন্যদিকে ৭৯ বছর বয়সী বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদব (জেডিইউ) এবার নির্বাচিত সবচেয়ে প্রবীণ বিধায়ক।
এ ছাড়া এবার নারী ভোটারদের রেকর্ড উপস্থিতির পরও বিধানসভায় নারীদের সংখ্যা মাত্র তিনজন বেড়ে ২৬ থেকে ২৯ হয়েছে। এর মধ্যে এনডিএ থেকে ২৬ জন ও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধনের পক্ষ থেকে ২৪ নারীকে মনোনয়ন দিলেও মাত্র তিনজন জিতেছেন। বিএসপি, জন সুরাজ, ভিআইপি—কোনো দলই নারী জয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের (এডিআর) পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, নবনির্বাচিত বিধায়কদের গড় সম্পদ এবার দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ২০২০ সালে নির্বাচিত বিধায়কদের গড় সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৩২ লাখ রুপি। এবার তা বেড়ে ৯ কোটি ২ লাখে পৌঁছেছে। এবার নির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে বিজেপির কুমার প্রণয় সবচেয়ে ধনী। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৭০ কোটি ৮২ লাখ রুপি। সবচেয়ে কম সম্পদ বিজেপির মুরারী পশানের। তাঁর সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৬ লাখ ৫০ হাজার রুপি।
এদিকে মামলা আছে এমন বিধায়কের সংখ্যা ২০২০ সালের ১৬৩ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৩০-এ, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪২ শতাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধে খুন ও নারী নির্যাতনের মতো গুরুতর মামলার অভিযোগ নেই। এই তালিকায় ৫৪ জন বিধায়ক নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বিজেপি শিবির। আর বিজেপির শরিক দল জেডিইউর নেতা অনন্ত সিং একাই সর্বোচ্চ ২৮টি মামলায় অভিযুক্ত।

ভারতে বিহারের ১৮তম বিধানসভা এবার বেশ কিছু দিক থেকে নতুন চিত্র সামনে এনেছে। ক্ষমতাসীন বিজেপির এনডিএ জোট ২৪৩ সদস্যের নিম্নকক্ষে ২০২টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে। নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নতুন বিধানসভা সম্পদে সমৃদ্ধ এবং আগের তুলনায় বয়সে বড়।
রোববার (১৬ নভেম্বর) দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, এবার ১১১ জন বিধায়ক পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় বিধানসভার গড় বয়স বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ বছরে (২০২০ সালে ছিল ৫২ বছর)। সবচেয়ে কম বয়সী বিধায়ক হয়েছেন বিজেপির ২৫ বছর বয়সী মৈথিলী ঠাকুর। তিনি প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলিনগর আসন থেকে জয় পেয়েছেন। মৈথিলীসহ ৩০ বছরের নিচে মাত্র দুজন বিধায়ক রয়েছেন। অন্যদিকে ৭৯ বছর বয়সী বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদব (জেডিইউ) এবার নির্বাচিত সবচেয়ে প্রবীণ বিধায়ক।
এ ছাড়া এবার নারী ভোটারদের রেকর্ড উপস্থিতির পরও বিধানসভায় নারীদের সংখ্যা মাত্র তিনজন বেড়ে ২৬ থেকে ২৯ হয়েছে। এর মধ্যে এনডিএ থেকে ২৬ জন ও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধনের পক্ষ থেকে ২৪ নারীকে মনোনয়ন দিলেও মাত্র তিনজন জিতেছেন। বিএসপি, জন সুরাজ, ভিআইপি—কোনো দলই নারী জয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের (এডিআর) পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, নবনির্বাচিত বিধায়কদের গড় সম্পদ এবার দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ২০২০ সালে নির্বাচিত বিধায়কদের গড় সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৩২ লাখ রুপি। এবার তা বেড়ে ৯ কোটি ২ লাখে পৌঁছেছে। এবার নির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে বিজেপির কুমার প্রণয় সবচেয়ে ধনী। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৭০ কোটি ৮২ লাখ রুপি। সবচেয়ে কম সম্পদ বিজেপির মুরারী পশানের। তাঁর সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৬ লাখ ৫০ হাজার রুপি।
এদিকে মামলা আছে এমন বিধায়কের সংখ্যা ২০২০ সালের ১৬৩ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৩০-এ, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪২ শতাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধে খুন ও নারী নির্যাতনের মতো গুরুতর মামলার অভিযোগ নেই। এই তালিকায় ৫৪ জন বিধায়ক নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বিজেপি শিবির। আর বিজেপির শরিক দল জেডিইউর নেতা অনন্ত সিং একাই সর্বোচ্চ ২৮টি মামলায় অভিযুক্ত।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে লেখেন, ‘স্টারবাকস কর্মীরা সারা দেশে অন্যায় শ্রমচর্চার বিরুদ্ধে ন্যায্য চুক্তির দাবিতে ধর্মঘট করছে। শ্রমিকেরা যখন ধর্মঘটে, আমিও স্টারবাকস কিনব না। আপনাদেরও আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে বলছি। চুক্তি না হলে, স্টারবাকসের কফি নয়।’
৪ ঘণ্টা আগে
এমন ভরাডুবি রাজ্য নেতা ও জোটসঙ্গীদের কাছে স্পষ্ট করেছে যে, কংগ্রেসের হাইকমান্ড ভোটে জয়ের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ‘নৈতিক আধিপত্য’ বা দর-কষাকষির ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। বিপরীতে আঞ্চলিক নেতাদের ক্ষমতা আরও বাড়ছে, যেখানে তাঁদের নিজস্ব রাজ্য-রাজনীতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ
৩১ মিনিট আগে
‘স্নেকহেড’ তথা শোল, টাকি ও গজার মাছ বাংলাদেশে সুপরিচিত হলেও শ্রীলঙ্কায় এরা একেবারেই নতুন। এই প্রজাতির মাছ এখন দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দেদুরু ওয়া জলাধারের স্থানীয় জেলে ও কৃষক পরিবারগুলোর জীবিকায় বড় ধরনের হুমকি তৈরি করেছে। তবে সংকটের মাঝেও নতুন সম্ভাবনা খুঁজছেন স্থানীয়রা।
১ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্ণৌয়ের ব্যস্ত হযরতগঞ্জ বাজার থেকে সামান্য হাঁটা দূরত্বে খাণ্ডারি বাজারের সরু গলিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি তিনতলা হলুদ রঙের বাড়ি। কাঠের দরজার বাইরে লোহার গ্রিল। গত তিন দিন ধরে এই বাড়ির সামনেই ভিড় করে ছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের সদস্যরা।
২ ঘণ্টা আগে