আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বেক্সিমকোর টেক্সটাইল উৎপাদন আবার চালু হতে যাচ্ছে। জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ রিভাইভাল গ্রুপ লিজ নিয়ে কারখানাগুলো চালু করবে। এর ফলে জীবিকা হারানো শ্রমিকদের জন্য আবার কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হলো। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনাবাসী বাংলাদেশি পেশাজীবীদের প্রতিষ্ঠান ‘ইকোমিলি’ এই উদ্যোগে অর্থায়ন করছে। আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে সফলভাবে চলা বেক্সিমকো টেক্সটাইল ‘ঋণখেলাপির কারণে’ বন্ধ হয়ে গেলে হাজারো শ্রমিক রাতারাতি বেকার হয়ে পড়েন, ছোট ব্যবসাগুলো ভেঙে পড়ে এবং পুরো শিল্পাঞ্চলে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। রিভাইভালের দীর্ঘমেয়াদি লিজের সিদ্ধান্ত সেই পরিবারগুলোর জন্য নতুন আশার বার্তা নিয়ে এসেছে।
গত ৮ অক্টোবর রিভাইভাল প্রজেক্টস লিমিটেড, বেক্সিমকো ও জনতা ব্যাংকের মধ্যে এ বিষয়ে খসড়া চুক্তি হয়। আগামী মঙ্গলবার জনতা ব্যাংকের বৈঠকে খসড়া চুক্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এটি পাস হলে এই মাসেই আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে রিভাইভাল ও ইকোমিলির শীর্ষ প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসতে পারেন।
রিভাইভালের সিইও ও সহপ্রতিষ্ঠাতা হুদা মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘এটি শুধু একটি কারখানা চালুর ঘটনা নয়; এটি হাজারো পরিবারের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের যাত্রা।’
২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, লক্ষ্য ১০০ মিলিয়ন
প্রথম ধাপে রিভাইভাল ও ইকোমিলি মিলে ২০ মিলিয়ন ডলার ব্যাক টু ব্যাক এলসি (ঋণপত্র) সহায়তা দেবে, যা পরে ১০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানো হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই কারখানা ফের চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে ২৫ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজে ফিরতে পারেন।
রিভাইভাল বলছে, ২০২৭ সালের মধ্যে প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকা লাভ করতে পারবে বেক্সিমকো টেক্সটাইল। এটি পুরোনো ঋণ শোধে সহায়তা করবে এবং ব্র্যান্ডকে দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীল করবে।
ইকোমিলির প্রেসিডেন্ট ফারহান এস করিম বলেন, ‘এটি ব্রেইন ড্রেন নয়—ব্রেইন গেইন। দেশের অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের হৃদয়ের বন্ধন জড়িয়ে আছে।’
জাপানি ব্যবস্থাপনায় এই পুনঃউৎপাদনে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারখানা পুরোপুরি চালু হলে আগের ব্যবস্থাপনা দলকে ফিরিয়ে আনা হবে, পুরো শ্রমিক বাহিনীকে ফিরিয়ে আনা হবে এবং জাপানের অভিজ্ঞ সি-সুইট কর্মকর্তারা এসে পুরো পদ্ধতি বাস্তবায়ন করবেন।
এ ছাড়া স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মানের একটি শীর্ষস্থানীয় অডিট প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হবে।
স্থানীয় নকশায় বিশ্ব জয়
রিভাইভালের পরিকল্পনা হলো—বেক্সিমকো টেক্সটাইলকে আবার আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে যুক্ত করা এবং নতুন বৈশ্বিক অংশীদারত্ব তৈরি করা। তাদের দর্শন— দেশে নকশা, বিদেশে বিক্রি, যার লক্ষ্য সস্তা পণ্যকে উন্নতমানের নকশানির্ভর বৈশ্বিক ব্র্যান্ডে পরিণত করা।
তরুণ ডিজাইনারদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন প্রোগ্রামও চালু করা হবে।
বেক্সিমকো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান কায়সার চৌধুরী জানান, ৩২টি কারখানার নামে ঋণ নেওয়া হলেও বাস্তবে ১৬টি কারখানা ছিল। আর্থিক সংকটের পরেও তাঁরা যন্ত্রপাতি সচল রেখেছিলেন, যাতে সুযোগ পেলে মুহূর্তেই পুনরায় উৎপাদন শুরু করা যায়।
বেক্সিমকোর শিল্পপার্কে অস্থিত্বহীন প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ২৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছিল, যার ১২ হাজার কোটি টাকা জনতা ব্যাংকের। ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বেক্সিমকো শিল্পগোষ্ঠীর মধ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়; ১৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও শ্রম মন্ত্রণালয় একাধিক বৈঠক করে।
বেক্সিমকো টেক্সটাইলের প্রধান গ্রাহকদের মধ্যে ছিল জারা, মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার, টার্গেট, আমেরিকান ইগল, পুল অ্যান্ড বেয়ার, বেস্ট সেলার ইত্যাদি।
কারখানা চালুর পর প্রথম তিন মাসের অপারেশনাল খরচ মেটাতে নতুন অর্থায়ন প্রয়োজন হবে। কোম্পানির হিসাব অনুযায়ী, মাসে ১০০ কোটি টাকা পরিচালন ব্যয় লাগবে।
রিভাইভাল বলছে, জাপানের নিখুঁত পরিকল্পনা, যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সক্ষমতা ও বাংলাদেশের শ্রমিকদের দৃঢ়তা—এই তিন শক্তির সমন্বয়ে বেক্সিমকো টেক্সটাইলের পুনর্জাগরণ বাংলাদেশের শিল্প পুনরুদ্ধারের প্রতীক হয়ে উঠবে।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বেক্সিমকোর টেক্সটাইল উৎপাদন আবার চালু হতে যাচ্ছে। জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ রিভাইভাল গ্রুপ লিজ নিয়ে কারখানাগুলো চালু করবে। এর ফলে জীবিকা হারানো শ্রমিকদের জন্য আবার কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হলো। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনাবাসী বাংলাদেশি পেশাজীবীদের প্রতিষ্ঠান ‘ইকোমিলি’ এই উদ্যোগে অর্থায়ন করছে। আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে সফলভাবে চলা বেক্সিমকো টেক্সটাইল ‘ঋণখেলাপির কারণে’ বন্ধ হয়ে গেলে হাজারো শ্রমিক রাতারাতি বেকার হয়ে পড়েন, ছোট ব্যবসাগুলো ভেঙে পড়ে এবং পুরো শিল্পাঞ্চলে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। রিভাইভালের দীর্ঘমেয়াদি লিজের সিদ্ধান্ত সেই পরিবারগুলোর জন্য নতুন আশার বার্তা নিয়ে এসেছে।
গত ৮ অক্টোবর রিভাইভাল প্রজেক্টস লিমিটেড, বেক্সিমকো ও জনতা ব্যাংকের মধ্যে এ বিষয়ে খসড়া চুক্তি হয়। আগামী মঙ্গলবার জনতা ব্যাংকের বৈঠকে খসড়া চুক্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এটি পাস হলে এই মাসেই আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে রিভাইভাল ও ইকোমিলির শীর্ষ প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসতে পারেন।
রিভাইভালের সিইও ও সহপ্রতিষ্ঠাতা হুদা মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘এটি শুধু একটি কারখানা চালুর ঘটনা নয়; এটি হাজারো পরিবারের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের যাত্রা।’
২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, লক্ষ্য ১০০ মিলিয়ন
প্রথম ধাপে রিভাইভাল ও ইকোমিলি মিলে ২০ মিলিয়ন ডলার ব্যাক টু ব্যাক এলসি (ঋণপত্র) সহায়তা দেবে, যা পরে ১০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানো হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই কারখানা ফের চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে ২৫ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজে ফিরতে পারেন।
রিভাইভাল বলছে, ২০২৭ সালের মধ্যে প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকা লাভ করতে পারবে বেক্সিমকো টেক্সটাইল। এটি পুরোনো ঋণ শোধে সহায়তা করবে এবং ব্র্যান্ডকে দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীল করবে।
ইকোমিলির প্রেসিডেন্ট ফারহান এস করিম বলেন, ‘এটি ব্রেইন ড্রেন নয়—ব্রেইন গেইন। দেশের অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের হৃদয়ের বন্ধন জড়িয়ে আছে।’
জাপানি ব্যবস্থাপনায় এই পুনঃউৎপাদনে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারখানা পুরোপুরি চালু হলে আগের ব্যবস্থাপনা দলকে ফিরিয়ে আনা হবে, পুরো শ্রমিক বাহিনীকে ফিরিয়ে আনা হবে এবং জাপানের অভিজ্ঞ সি-সুইট কর্মকর্তারা এসে পুরো পদ্ধতি বাস্তবায়ন করবেন।
এ ছাড়া স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মানের একটি শীর্ষস্থানীয় অডিট প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হবে।
স্থানীয় নকশায় বিশ্ব জয়
রিভাইভালের পরিকল্পনা হলো—বেক্সিমকো টেক্সটাইলকে আবার আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে যুক্ত করা এবং নতুন বৈশ্বিক অংশীদারত্ব তৈরি করা। তাদের দর্শন— দেশে নকশা, বিদেশে বিক্রি, যার লক্ষ্য সস্তা পণ্যকে উন্নতমানের নকশানির্ভর বৈশ্বিক ব্র্যান্ডে পরিণত করা।
তরুণ ডিজাইনারদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন প্রোগ্রামও চালু করা হবে।
বেক্সিমকো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান কায়সার চৌধুরী জানান, ৩২টি কারখানার নামে ঋণ নেওয়া হলেও বাস্তবে ১৬টি কারখানা ছিল। আর্থিক সংকটের পরেও তাঁরা যন্ত্রপাতি সচল রেখেছিলেন, যাতে সুযোগ পেলে মুহূর্তেই পুনরায় উৎপাদন শুরু করা যায়।
বেক্সিমকোর শিল্পপার্কে অস্থিত্বহীন প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ২৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছিল, যার ১২ হাজার কোটি টাকা জনতা ব্যাংকের। ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বেক্সিমকো শিল্পগোষ্ঠীর মধ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়; ১৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও শ্রম মন্ত্রণালয় একাধিক বৈঠক করে।
বেক্সিমকো টেক্সটাইলের প্রধান গ্রাহকদের মধ্যে ছিল জারা, মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার, টার্গেট, আমেরিকান ইগল, পুল অ্যান্ড বেয়ার, বেস্ট সেলার ইত্যাদি।
কারখানা চালুর পর প্রথম তিন মাসের অপারেশনাল খরচ মেটাতে নতুন অর্থায়ন প্রয়োজন হবে। কোম্পানির হিসাব অনুযায়ী, মাসে ১০০ কোটি টাকা পরিচালন ব্যয় লাগবে।
রিভাইভাল বলছে, জাপানের নিখুঁত পরিকল্পনা, যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সক্ষমতা ও বাংলাদেশের শ্রমিকদের দৃঢ়তা—এই তিন শক্তির সমন্বয়ে বেক্সিমকো টেক্সটাইলের পুনর্জাগরণ বাংলাদেশের শিল্প পুনরুদ্ধারের প্রতীক হয়ে উঠবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বেক্সিমকোর টেক্সটাইল উৎপাদন আবার চালু হতে যাচ্ছে। জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ রিভাইভাল গ্রুপ লিজ নিয়ে কারখানাগুলো চালু করবে। এর ফলে জীবিকা হারানো শ্রমিকদের জন্য আবার কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হলো। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনাবাসী বাংলাদেশি পেশাজীবীদের প্রতিষ্ঠান ‘ইকোমিলি’ এই উদ্যোগে অর্থায়ন করছে। আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে সফলভাবে চলা বেক্সিমকো টেক্সটাইল ‘ঋণখেলাপির কারণে’ বন্ধ হয়ে গেলে হাজারো শ্রমিক রাতারাতি বেকার হয়ে পড়েন, ছোট ব্যবসাগুলো ভেঙে পড়ে এবং পুরো শিল্পাঞ্চলে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। রিভাইভালের দীর্ঘমেয়াদি লিজের সিদ্ধান্ত সেই পরিবারগুলোর জন্য নতুন আশার বার্তা নিয়ে এসেছে।
গত ৮ অক্টোবর রিভাইভাল প্রজেক্টস লিমিটেড, বেক্সিমকো ও জনতা ব্যাংকের মধ্যে এ বিষয়ে খসড়া চুক্তি হয়। আগামী মঙ্গলবার জনতা ব্যাংকের বৈঠকে খসড়া চুক্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এটি পাস হলে এই মাসেই আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে রিভাইভাল ও ইকোমিলির শীর্ষ প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসতে পারেন।
রিভাইভালের সিইও ও সহপ্রতিষ্ঠাতা হুদা মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘এটি শুধু একটি কারখানা চালুর ঘটনা নয়; এটি হাজারো পরিবারের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের যাত্রা।’
২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, লক্ষ্য ১০০ মিলিয়ন
প্রথম ধাপে রিভাইভাল ও ইকোমিলি মিলে ২০ মিলিয়ন ডলার ব্যাক টু ব্যাক এলসি (ঋণপত্র) সহায়তা দেবে, যা পরে ১০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানো হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই কারখানা ফের চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে ২৫ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজে ফিরতে পারেন।
রিভাইভাল বলছে, ২০২৭ সালের মধ্যে প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকা লাভ করতে পারবে বেক্সিমকো টেক্সটাইল। এটি পুরোনো ঋণ শোধে সহায়তা করবে এবং ব্র্যান্ডকে দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীল করবে।
ইকোমিলির প্রেসিডেন্ট ফারহান এস করিম বলেন, ‘এটি ব্রেইন ড্রেন নয়—ব্রেইন গেইন। দেশের অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের হৃদয়ের বন্ধন জড়িয়ে আছে।’
জাপানি ব্যবস্থাপনায় এই পুনঃউৎপাদনে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারখানা পুরোপুরি চালু হলে আগের ব্যবস্থাপনা দলকে ফিরিয়ে আনা হবে, পুরো শ্রমিক বাহিনীকে ফিরিয়ে আনা হবে এবং জাপানের অভিজ্ঞ সি-সুইট কর্মকর্তারা এসে পুরো পদ্ধতি বাস্তবায়ন করবেন।
এ ছাড়া স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মানের একটি শীর্ষস্থানীয় অডিট প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হবে।
স্থানীয় নকশায় বিশ্ব জয়
রিভাইভালের পরিকল্পনা হলো—বেক্সিমকো টেক্সটাইলকে আবার আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে যুক্ত করা এবং নতুন বৈশ্বিক অংশীদারত্ব তৈরি করা। তাদের দর্শন— দেশে নকশা, বিদেশে বিক্রি, যার লক্ষ্য সস্তা পণ্যকে উন্নতমানের নকশানির্ভর বৈশ্বিক ব্র্যান্ডে পরিণত করা।
তরুণ ডিজাইনারদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন প্রোগ্রামও চালু করা হবে।
বেক্সিমকো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান কায়সার চৌধুরী জানান, ৩২টি কারখানার নামে ঋণ নেওয়া হলেও বাস্তবে ১৬টি কারখানা ছিল। আর্থিক সংকটের পরেও তাঁরা যন্ত্রপাতি সচল রেখেছিলেন, যাতে সুযোগ পেলে মুহূর্তেই পুনরায় উৎপাদন শুরু করা যায়।
বেক্সিমকোর শিল্পপার্কে অস্থিত্বহীন প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ২৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছিল, যার ১২ হাজার কোটি টাকা জনতা ব্যাংকের। ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বেক্সিমকো শিল্পগোষ্ঠীর মধ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়; ১৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও শ্রম মন্ত্রণালয় একাধিক বৈঠক করে।
বেক্সিমকো টেক্সটাইলের প্রধান গ্রাহকদের মধ্যে ছিল জারা, মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার, টার্গেট, আমেরিকান ইগল, পুল অ্যান্ড বেয়ার, বেস্ট সেলার ইত্যাদি।
কারখানা চালুর পর প্রথম তিন মাসের অপারেশনাল খরচ মেটাতে নতুন অর্থায়ন প্রয়োজন হবে। কোম্পানির হিসাব অনুযায়ী, মাসে ১০০ কোটি টাকা পরিচালন ব্যয় লাগবে।
রিভাইভাল বলছে, জাপানের নিখুঁত পরিকল্পনা, যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সক্ষমতা ও বাংলাদেশের শ্রমিকদের দৃঢ়তা—এই তিন শক্তির সমন্বয়ে বেক্সিমকো টেক্সটাইলের পুনর্জাগরণ বাংলাদেশের শিল্প পুনরুদ্ধারের প্রতীক হয়ে উঠবে।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বেক্সিমকোর টেক্সটাইল উৎপাদন আবার চালু হতে যাচ্ছে। জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ রিভাইভাল গ্রুপ লিজ নিয়ে কারখানাগুলো চালু করবে। এর ফলে জীবিকা হারানো শ্রমিকদের জন্য আবার কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হলো। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনাবাসী বাংলাদেশি পেশাজীবীদের প্রতিষ্ঠান ‘ইকোমিলি’ এই উদ্যোগে অর্থায়ন করছে। আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে সফলভাবে চলা বেক্সিমকো টেক্সটাইল ‘ঋণখেলাপির কারণে’ বন্ধ হয়ে গেলে হাজারো শ্রমিক রাতারাতি বেকার হয়ে পড়েন, ছোট ব্যবসাগুলো ভেঙে পড়ে এবং পুরো শিল্পাঞ্চলে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। রিভাইভালের দীর্ঘমেয়াদি লিজের সিদ্ধান্ত সেই পরিবারগুলোর জন্য নতুন আশার বার্তা নিয়ে এসেছে।
গত ৮ অক্টোবর রিভাইভাল প্রজেক্টস লিমিটেড, বেক্সিমকো ও জনতা ব্যাংকের মধ্যে এ বিষয়ে খসড়া চুক্তি হয়। আগামী মঙ্গলবার জনতা ব্যাংকের বৈঠকে খসড়া চুক্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এটি পাস হলে এই মাসেই আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে রিভাইভাল ও ইকোমিলির শীর্ষ প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসতে পারেন।
রিভাইভালের সিইও ও সহপ্রতিষ্ঠাতা হুদা মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘এটি শুধু একটি কারখানা চালুর ঘটনা নয়; এটি হাজারো পরিবারের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের যাত্রা।’
২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, লক্ষ্য ১০০ মিলিয়ন
প্রথম ধাপে রিভাইভাল ও ইকোমিলি মিলে ২০ মিলিয়ন ডলার ব্যাক টু ব্যাক এলসি (ঋণপত্র) সহায়তা দেবে, যা পরে ১০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানো হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই কারখানা ফের চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে ২৫ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজে ফিরতে পারেন।
রিভাইভাল বলছে, ২০২৭ সালের মধ্যে প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকা লাভ করতে পারবে বেক্সিমকো টেক্সটাইল। এটি পুরোনো ঋণ শোধে সহায়তা করবে এবং ব্র্যান্ডকে দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীল করবে।
ইকোমিলির প্রেসিডেন্ট ফারহান এস করিম বলেন, ‘এটি ব্রেইন ড্রেন নয়—ব্রেইন গেইন। দেশের অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের হৃদয়ের বন্ধন জড়িয়ে আছে।’
জাপানি ব্যবস্থাপনায় এই পুনঃউৎপাদনে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারখানা পুরোপুরি চালু হলে আগের ব্যবস্থাপনা দলকে ফিরিয়ে আনা হবে, পুরো শ্রমিক বাহিনীকে ফিরিয়ে আনা হবে এবং জাপানের অভিজ্ঞ সি-সুইট কর্মকর্তারা এসে পুরো পদ্ধতি বাস্তবায়ন করবেন।
এ ছাড়া স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মানের একটি শীর্ষস্থানীয় অডিট প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হবে।
স্থানীয় নকশায় বিশ্ব জয়
রিভাইভালের পরিকল্পনা হলো—বেক্সিমকো টেক্সটাইলকে আবার আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে যুক্ত করা এবং নতুন বৈশ্বিক অংশীদারত্ব তৈরি করা। তাদের দর্শন— দেশে নকশা, বিদেশে বিক্রি, যার লক্ষ্য সস্তা পণ্যকে উন্নতমানের নকশানির্ভর বৈশ্বিক ব্র্যান্ডে পরিণত করা।
তরুণ ডিজাইনারদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন প্রোগ্রামও চালু করা হবে।
বেক্সিমকো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান কায়সার চৌধুরী জানান, ৩২টি কারখানার নামে ঋণ নেওয়া হলেও বাস্তবে ১৬টি কারখানা ছিল। আর্থিক সংকটের পরেও তাঁরা যন্ত্রপাতি সচল রেখেছিলেন, যাতে সুযোগ পেলে মুহূর্তেই পুনরায় উৎপাদন শুরু করা যায়।
বেক্সিমকোর শিল্পপার্কে অস্থিত্বহীন প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ২৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছিল, যার ১২ হাজার কোটি টাকা জনতা ব্যাংকের। ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বেক্সিমকো শিল্পগোষ্ঠীর মধ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়; ১৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও শ্রম মন্ত্রণালয় একাধিক বৈঠক করে।
বেক্সিমকো টেক্সটাইলের প্রধান গ্রাহকদের মধ্যে ছিল জারা, মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার, টার্গেট, আমেরিকান ইগল, পুল অ্যান্ড বেয়ার, বেস্ট সেলার ইত্যাদি।
কারখানা চালুর পর প্রথম তিন মাসের অপারেশনাল খরচ মেটাতে নতুন অর্থায়ন প্রয়োজন হবে। কোম্পানির হিসাব অনুযায়ী, মাসে ১০০ কোটি টাকা পরিচালন ব্যয় লাগবে।
রিভাইভাল বলছে, জাপানের নিখুঁত পরিকল্পনা, যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সক্ষমতা ও বাংলাদেশের শ্রমিকদের দৃঢ়তা—এই তিন শক্তির সমন্বয়ে বেক্সিমকো টেক্সটাইলের পুনর্জাগরণ বাংলাদেশের শিল্প পুনরুদ্ধারের প্রতীক হয়ে উঠবে।

করছাড়ের ক্ষমতা আর এনবিআর বা মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকবে না—এখন থেকে কোন খাতে কতটা করছাড় দেওয়া হবে বা আদৌ দেওয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় সংসদ। করনীতির এ পরিবর্তনের দিকটি তুলে ধরে এমন তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম আজ রোববার ইসলামপুরে এটি উদ্বোধন করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি চলতি বছরে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক অতিক্রম করে ব্যাংকিং খাতে শীর্ষে অবস্থান করছে। ব্যাংকে সুশাসন ও গ্রাহকের আস্থা ফিরে আসায় ব্যাংক এ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কার্যালয়ের সামনে আজ রোববার দুপুরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানান বিনিয়োগকারীরা। এ সময় তাঁরা বিএসইসির চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করছাড়ের ক্ষমতা আর এনবিআর বা মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকবে না—এখন থেকে কোন খাতে কতটা করছাড় দেওয়া হবে বা আদৌ দেওয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় সংসদ। করনীতির এ পরিবর্তনের দিকটি তুলে ধরে এমন তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে গতকাল রোববার আয়োজিত ‘মিট দ্য বিজনেস’ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, করব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতেই এই নতুন নীতি-কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে। তাঁর ব্যাখ্যায় উঠে আসে, রাজস্ব ব্যয় ও ট্যাক্স এক্সপেন্ডিচার নীতিমালার আলোকে আয়কর আইন ও কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট সব বিধান সংশোধন করা হয়েছে, যেখানে বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ করছাড় আর প্রশাসনিকভাবে নির্ধারিত সিদ্ধান্ত নয়; তা হবে জনগণের ম্যান্ডেট অনুযায়ী সংসদীয় নীতিনির্ধারণের মাধ্যমে।
বিদেশি উন্নয়ন অংশীদারেরা যেসব ঋণ দিয়েছে, তাদের ঋণের সুদের ওপর করমুক্তির প্রস্তাব থাকলেও বর্তমান নীতির কারণে এখন তা দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিদেশি যারা আমাদেরকে ঋণ দিয়েছে, তাদের ঋণের সুদের ওপর যে ট্যাক্স মাফ করার কথা বলা হয়েছে, এটা আপাতত আমাদের করার সুযোগ নেই। এটা আগামী পার্লামেন্টই ঠিক করবে, জনগণ ঠিক করবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান জানান, এর ফলে বিদেশি উন্নয়ন অংশীদারদের ঋণের সুদের ওপর করমুক্তি দেওয়ার যে প্রস্তাব ছিল, তা আপাতত বাস্তবায়নযোগ্য নয়; এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী জাতীয় সংসদ, অর্থাৎ জনগণের ম্যান্ডেট।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান ও বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, বন্ডের অপব্যবহারে যারা জড়িত, তাদেরই যেন শাস্তি দেওয়া হয়; কারণ এ ক্ষতির ভার বহন করতে হয় নিয়ম মেনে চলা ব্যবসায়ীদের। অপব্যবহারকারীদের পরিচয় প্রকাশ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ভুলচুক হলে সেটি বন্ডধারীর দায়, অথচ অনেক সময় শাস্তি পায় নির্দোষেরা। তিনি আরও বলেন, বন্ড লাইসেন্সে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এইচএস কোড নিয়ে অযথা জটিলতা সৃষ্টি হয়। বছর শেষে পূর্ণাঙ্গ হিসাব দেওয়া হয় যখন, তখন এইচএস কোডজনিত ভুলকে মিথ্যা ঘোষণা হিসেবে দেখা অনুচিত। তাই এইচএস কোড তুলে দেওয়ার বিষয়টি সরকার ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করতে পারে।
মোহাম্মদ হাতেম অভিযোগ করেন, রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তাদের ঘন ঘন বদলির ফলে ফাইল দীর্ঘদিন আটকে থাকে, আর ছোট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক গ্যারান্টি নেওয়াই বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ছোট উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনার অনুরোধও জানান তিনি।
এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, কারও অদক্ষতা প্রমাণ হলে চাকরিচ্যুত করা হবে। পণ্যের এইচএস কোডজনিত বিলম্ব রোধে কাস্টমস পুরোপুরি অনলাইনে আনা হবে, যা সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইউটিলাইজেশন পারমিশন (ইউপি) ইস্যুতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত ও স্বচ্ছ সেবা দেওয়ার জন্য কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিবিএমএস) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বর্তমানে তিনটি কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের মাধ্যমে ২৪টি মডিউল ব্যবহার করে সেবা দেওয়া হচ্ছে।
‘মিট দ্য বিজনেস’ আলোচনায় গার্মেন্টস, নিটওয়্যার, টেক্সটাইল, লেদারগুডস খাতের শীর্ষ সংগঠনগুলো (বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিজিএপিএমইএ, বিটিএমএ, এলএফএমইএবি) এ সিদ্ধান্তে সমর্থন জানায়। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ইউপি-সংক্রান্ত সব সেবা সিবিএমএসের মাধ্যমে বাধ্যতামূলকভাবে প্রদান করা হবে; এনবিআর শিগগিরই আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা জারি করবে।

করছাড়ের ক্ষমতা আর এনবিআর বা মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকবে না—এখন থেকে কোন খাতে কতটা করছাড় দেওয়া হবে বা আদৌ দেওয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় সংসদ। করনীতির এ পরিবর্তনের দিকটি তুলে ধরে এমন তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে গতকাল রোববার আয়োজিত ‘মিট দ্য বিজনেস’ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, করব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতেই এই নতুন নীতি-কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে। তাঁর ব্যাখ্যায় উঠে আসে, রাজস্ব ব্যয় ও ট্যাক্স এক্সপেন্ডিচার নীতিমালার আলোকে আয়কর আইন ও কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট সব বিধান সংশোধন করা হয়েছে, যেখানে বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ করছাড় আর প্রশাসনিকভাবে নির্ধারিত সিদ্ধান্ত নয়; তা হবে জনগণের ম্যান্ডেট অনুযায়ী সংসদীয় নীতিনির্ধারণের মাধ্যমে।
বিদেশি উন্নয়ন অংশীদারেরা যেসব ঋণ দিয়েছে, তাদের ঋণের সুদের ওপর করমুক্তির প্রস্তাব থাকলেও বর্তমান নীতির কারণে এখন তা দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিদেশি যারা আমাদেরকে ঋণ দিয়েছে, তাদের ঋণের সুদের ওপর যে ট্যাক্স মাফ করার কথা বলা হয়েছে, এটা আপাতত আমাদের করার সুযোগ নেই। এটা আগামী পার্লামেন্টই ঠিক করবে, জনগণ ঠিক করবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান জানান, এর ফলে বিদেশি উন্নয়ন অংশীদারদের ঋণের সুদের ওপর করমুক্তি দেওয়ার যে প্রস্তাব ছিল, তা আপাতত বাস্তবায়নযোগ্য নয়; এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী জাতীয় সংসদ, অর্থাৎ জনগণের ম্যান্ডেট।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান ও বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, বন্ডের অপব্যবহারে যারা জড়িত, তাদেরই যেন শাস্তি দেওয়া হয়; কারণ এ ক্ষতির ভার বহন করতে হয় নিয়ম মেনে চলা ব্যবসায়ীদের। অপব্যবহারকারীদের পরিচয় প্রকাশ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ভুলচুক হলে সেটি বন্ডধারীর দায়, অথচ অনেক সময় শাস্তি পায় নির্দোষেরা। তিনি আরও বলেন, বন্ড লাইসেন্সে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এইচএস কোড নিয়ে অযথা জটিলতা সৃষ্টি হয়। বছর শেষে পূর্ণাঙ্গ হিসাব দেওয়া হয় যখন, তখন এইচএস কোডজনিত ভুলকে মিথ্যা ঘোষণা হিসেবে দেখা অনুচিত। তাই এইচএস কোড তুলে দেওয়ার বিষয়টি সরকার ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করতে পারে।
মোহাম্মদ হাতেম অভিযোগ করেন, রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তাদের ঘন ঘন বদলির ফলে ফাইল দীর্ঘদিন আটকে থাকে, আর ছোট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক গ্যারান্টি নেওয়াই বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ছোট উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনার অনুরোধও জানান তিনি।
এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, কারও অদক্ষতা প্রমাণ হলে চাকরিচ্যুত করা হবে। পণ্যের এইচএস কোডজনিত বিলম্ব রোধে কাস্টমস পুরোপুরি অনলাইনে আনা হবে, যা সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইউটিলাইজেশন পারমিশন (ইউপি) ইস্যুতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত ও স্বচ্ছ সেবা দেওয়ার জন্য কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিবিএমএস) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বর্তমানে তিনটি কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের মাধ্যমে ২৪টি মডিউল ব্যবহার করে সেবা দেওয়া হচ্ছে।
‘মিট দ্য বিজনেস’ আলোচনায় গার্মেন্টস, নিটওয়্যার, টেক্সটাইল, লেদারগুডস খাতের শীর্ষ সংগঠনগুলো (বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিজিএপিএমইএ, বিটিএমএ, এলএফএমইএবি) এ সিদ্ধান্তে সমর্থন জানায়। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ইউপি-সংক্রান্ত সব সেবা সিবিএমএসের মাধ্যমে বাধ্যতামূলকভাবে প্রদান করা হবে; এনবিআর শিগগিরই আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা জারি করবে।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বেক্সিমকোর টেক্সটাইল উৎপাদন আবার চালু হতে যাচ্ছে। জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ রিভাইভাল গ্রুপ লিজ নিয়ে কারখানাগুলো চালু করবে। এর ফলে জীবিকা হারানো শ্রমিকদের জন্য আবার কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হলো। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনাবাসী বাংলাদেশি পেশাজীবীদের প্রতিষ্ঠান ‘ইকোমিলি’ এই
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম আজ রোববার ইসলামপুরে এটি উদ্বোধন করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি চলতি বছরে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক অতিক্রম করে ব্যাংকিং খাতে শীর্ষে অবস্থান করছে। ব্যাংকে সুশাসন ও গ্রাহকের আস্থা ফিরে আসায় ব্যাংক এ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কার্যালয়ের সামনে আজ রোববার দুপুরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানান বিনিয়োগকারীরা। এ সময় তাঁরা বিএসইসির চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম আজ রোববার ইসলামপুরে এটি উদ্বোধন করেন।
শাখাটির ঠিকানা বাবুলী ইসলামপুর কমপ্লেক্স, হোল্ডিং নম্বর-১, ২ নম্বর ওয়াইজঘাট এবং ৫৭-৫৮ নম্বর লয়্যাল স্ট্রিট, পাটুয়াটুলী রোড, ওয়ার্ড নম্বর-৩৭, কোতোয়ালি, ঢাকা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রেজাউল করিম, মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান, মহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চল) মোহাম্মদ রফিক নেওয়াজসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানী ঢাকায় উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম আজ রোববার ইসলামপুরে এটি উদ্বোধন করেন।
শাখাটির ঠিকানা বাবুলী ইসলামপুর কমপ্লেক্স, হোল্ডিং নম্বর-১, ২ নম্বর ওয়াইজঘাট এবং ৫৭-৫৮ নম্বর লয়্যাল স্ট্রিট, পাটুয়াটুলী রোড, ওয়ার্ড নম্বর-৩৭, কোতোয়ালি, ঢাকা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রেজাউল করিম, মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান, মহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চল) মোহাম্মদ রফিক নেওয়াজসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বেক্সিমকোর টেক্সটাইল উৎপাদন আবার চালু হতে যাচ্ছে। জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ রিভাইভাল গ্রুপ লিজ নিয়ে কারখানাগুলো চালু করবে। এর ফলে জীবিকা হারানো শ্রমিকদের জন্য আবার কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হলো। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনাবাসী বাংলাদেশি পেশাজীবীদের প্রতিষ্ঠান ‘ইকোমিলি’ এই
৯ ঘণ্টা আগে
করছাড়ের ক্ষমতা আর এনবিআর বা মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকবে না—এখন থেকে কোন খাতে কতটা করছাড় দেওয়া হবে বা আদৌ দেওয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় সংসদ। করনীতির এ পরিবর্তনের দিকটি তুলে ধরে এমন তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি চলতি বছরে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক অতিক্রম করে ব্যাংকিং খাতে শীর্ষে অবস্থান করছে। ব্যাংকে সুশাসন ও গ্রাহকের আস্থা ফিরে আসায় ব্যাংক এ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কার্যালয়ের সামনে আজ রোববার দুপুরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানান বিনিয়োগকারীরা। এ সময় তাঁরা বিএসইসির চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি চলতি বছরে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক অতিক্রম করে ব্যাংকিং খাতে শীর্ষে অবস্থান করছে। ব্যাংকে সুশাসন ও গ্রাহকের আস্থা ফিরে আসায় ব্যাংক এ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংক রেমিট্যান্স সংগ্রহেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এসব কথা বলেন। সভায় ব্যাংকের ব্যবসার কৌশলগত অগ্রগতি, শাখাভিত্তিক আমানত ও বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব; অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস; রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওমর ফারুক খাঁনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন। এ ছাড়া অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীমসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা, ১৬টি জোনের প্রধান ও করপোরেট শাখাপ্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি চলতি বছরে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক অতিক্রম করে ব্যাংকিং খাতে শীর্ষে অবস্থান করছে। ব্যাংকে সুশাসন ও গ্রাহকের আস্থা ফিরে আসায় ব্যাংক এ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংক রেমিট্যান্স সংগ্রহেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এসব কথা বলেন। সভায় ব্যাংকের ব্যবসার কৌশলগত অগ্রগতি, শাখাভিত্তিক আমানত ও বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব; অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস; রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওমর ফারুক খাঁনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন। এ ছাড়া অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীমসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা, ১৬টি জোনের প্রধান ও করপোরেট শাখাপ্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বেক্সিমকোর টেক্সটাইল উৎপাদন আবার চালু হতে যাচ্ছে। জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ রিভাইভাল গ্রুপ লিজ নিয়ে কারখানাগুলো চালু করবে। এর ফলে জীবিকা হারানো শ্রমিকদের জন্য আবার কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হলো। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনাবাসী বাংলাদেশি পেশাজীবীদের প্রতিষ্ঠান ‘ইকোমিলি’ এই
৯ ঘণ্টা আগে
করছাড়ের ক্ষমতা আর এনবিআর বা মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকবে না—এখন থেকে কোন খাতে কতটা করছাড় দেওয়া হবে বা আদৌ দেওয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় সংসদ। করনীতির এ পরিবর্তনের দিকটি তুলে ধরে এমন তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম আজ রোববার ইসলামপুরে এটি উদ্বোধন করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কার্যালয়ের সামনে আজ রোববার দুপুরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানান বিনিয়োগকারীরা। এ সময় তাঁরা বিএসইসির চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারমূল্য পুনর্নির্ধারণ, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণসহ আট দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিনিয়োগকারীদের ১০টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সম্মিলিত জোট।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানান বিনিয়োগকারীরা। এ সময় তাঁরা বিএসইসির চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ও বিএসইসির কমিশনার এবং চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পুঁজিবাজারে পতন ঘটছে। পুঁজিবাজারের করুণ দশার জন্য অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসির চেয়ারম্যানকে দায়ী করে তাঁর অপসারণ দাবি করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
এ সময় দেশের সব বিনিয়োগকারী সংগঠন ও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিনিয়োগকারীরা। বিক্ষোভ থেকে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের ১০টি সংগঠন নিয়ে নতুন জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ওই ১০ সংগঠন হলো—বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ শেয়ার ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশন, আইসিবি ইনভেস্টরস ফোরাম, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ, ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস ফোরাম, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত পরিষদ, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী স্থিতিশীল পরিষদ ও বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী কল্যাণ পরিষদ।
বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে জোটের সিনিয়র সমন্বয়ক এস এম ইকবাল হোসেন আট দফা দাবি ঘোষণা করেন।
দাবিগুলো হলো—বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের দ্রুত অপসারণ; মার্জিন ঋণ বিধিমালা, ২০২৫-এর গেজেট দ্রুত বাতিল করা; মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা, ২০২৫-এর গেজেটও দ্রুত বাতিল করা; একীভূত হতে যাওয়া পাঁচটি ব্যাংকের শেয়ারমূল্য বিনিয়োগকারীদের দ্রুত ফেরতের ব্যবস্থা করা; বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ না করার কারণে এবং পুঁজিবাজার উন্নয়নে ব্যর্থতার দায় নিয়ে বিএসইসির পুরো কমিশনের পদত্যাগ; বিএসইসির ভেতরে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে অপসারণ করা; শেয়ার মার্কেট লুটকারী ও মিউচুয়াল ফান্ড লুণ্ঠনকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির আওতায় আনা এবং পুঁজিবাজারের অস্থিতিশীলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত বাজারে লেনদেন স্থগিত রাখা।

একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারমূল্য পুনর্নির্ধারণ, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণসহ আট দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিনিয়োগকারীদের ১০টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সম্মিলিত জোট।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানান বিনিয়োগকারীরা। এ সময় তাঁরা বিএসইসির চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ও বিএসইসির কমিশনার এবং চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পুঁজিবাজারে পতন ঘটছে। পুঁজিবাজারের করুণ দশার জন্য অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসির চেয়ারম্যানকে দায়ী করে তাঁর অপসারণ দাবি করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
এ সময় দেশের সব বিনিয়োগকারী সংগঠন ও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিনিয়োগকারীরা। বিক্ষোভ থেকে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের ১০টি সংগঠন নিয়ে নতুন জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ওই ১০ সংগঠন হলো—বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ শেয়ার ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশন, আইসিবি ইনভেস্টরস ফোরাম, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ, ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস ফোরাম, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত পরিষদ, পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী স্থিতিশীল পরিষদ ও বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী কল্যাণ পরিষদ।
বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে জোটের সিনিয়র সমন্বয়ক এস এম ইকবাল হোসেন আট দফা দাবি ঘোষণা করেন।
দাবিগুলো হলো—বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের দ্রুত অপসারণ; মার্জিন ঋণ বিধিমালা, ২০২৫-এর গেজেট দ্রুত বাতিল করা; মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা, ২০২৫-এর গেজেটও দ্রুত বাতিল করা; একীভূত হতে যাওয়া পাঁচটি ব্যাংকের শেয়ারমূল্য বিনিয়োগকারীদের দ্রুত ফেরতের ব্যবস্থা করা; বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ না করার কারণে এবং পুঁজিবাজার উন্নয়নে ব্যর্থতার দায় নিয়ে বিএসইসির পুরো কমিশনের পদত্যাগ; বিএসইসির ভেতরে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে অপসারণ করা; শেয়ার মার্কেট লুটকারী ও মিউচুয়াল ফান্ড লুণ্ঠনকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির আওতায় আনা এবং পুঁজিবাজারের অস্থিতিশীলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত বাজারে লেনদেন স্থগিত রাখা।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বেক্সিমকোর টেক্সটাইল উৎপাদন আবার চালু হতে যাচ্ছে। জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ রিভাইভাল গ্রুপ লিজ নিয়ে কারখানাগুলো চালু করবে। এর ফলে জীবিকা হারানো শ্রমিকদের জন্য আবার কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হলো। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনাবাসী বাংলাদেশি পেশাজীবীদের প্রতিষ্ঠান ‘ইকোমিলি’ এই
৯ ঘণ্টা আগে
করছাড়ের ক্ষমতা আর এনবিআর বা মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকবে না—এখন থেকে কোন খাতে কতটা করছাড় দেওয়া হবে বা আদৌ দেওয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় সংসদ। করনীতির এ পরিবর্তনের দিকটি তুলে ধরে এমন তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম আজ রোববার ইসলামপুরে এটি উদ্বোধন করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি চলতি বছরে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক অতিক্রম করে ব্যাংকিং খাতে শীর্ষে অবস্থান করছে। ব্যাংকে সুশাসন ও গ্রাহকের আস্থা ফিরে আসায় ব্যাংক এ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে