নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
মোদিকে খুশি করতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ নিয়ে পোস্ট করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
আজ শুক্রবার সিলেটে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (এসপিপি) সিলেটের উদ্যোগে বিকেলে নগরের কুমারপাড়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আজকে ট্রাম্প সাহেবের খুব মাথা ব্যথা হচ্ছে। আরে ভাই, ৫ নভেম্বর তোমার নির্বাচন ওইটা করো। তুমি ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর যা করতে পারো করো। তোমার দরদ উথলাইয়া পড়ল, কোথায় আমাদের (বাংলাদেশে) দেশে নাকি হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানদের ভাই-বোনদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। এখানে অনেক হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ভাইয়েরা আছেন। আমরা গত দুর্গাপূজায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশে দুর্গোৎসব দেখেছি। কোথাও কোনো গন্ডগোল হয়েছে? বরং পত্রিকা খুলে দেখেন, দীপাবলির প্রোগ্রামে পার্শ্ববর্তী (ভারতে) দেশে মানুষ খুন হয়েছে।’
ট্রাম্প অবশ্য এমন সব কথা বলারই কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প বলেছে, মোদি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। কাজেই মোদিকে খুশি করার জন্যই বলেছে। কারণ আমেরিকায় যে হিন্দু ভোট রয়েছে, তাঁদের মন জয় করতে যদি পারা যায়, তাহলেই কেবল তাঁর ভোটের রাজনীতি হবে। কমলার পূর্বপুরুষ নাকি ভারতীয় ছিলেন। এ জন্য ট্রাম্প দুটো ভয় পাচ্ছেন। ভারতীয়দের ভোট যদি কমলার বাক্সে চলে যায়; আরেকটি হচ্ছে এটা বলাতে যদি হিন্দু ভোটারদের মন জয় করতে পারে।’
আমেরিকানরা তাঁর দেশকে ভালোবাসে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনি (ডোনাল্ড ট্রাম্প) শক্তিশালী আমেরিকা চান; আমরাও চাই। বাট জজ ওয়াশিংটনের ডেমোক্রেসির ‘‘অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল’’—এই ঘোষণা থেকে আপনি সরে গেলে আগামী প্রজন্ম আপনাকে ক্ষমা করবে বলে আমার মনে হয় না। কাজেই নিজের দেশের স্কুল-কলেজে যখন বাচ্চাদের গুলিতে মেরে ফেলে, সেটা নিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরু নাই। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন আমরা সবাই বাংলাদেশি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস জাতির ঐক্যের দিন। এই চেতনাকে আবার পুনঃস্থাপিত করতে হবে। খাতাপত্র থেকে মুছে ফেলা হলেও দেশের মানুষের মন থেকে মুছে দেওয়া যায়নি। ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের অগ্রগতি উন্নয়নের সূচনা। ৭ নভেম্বরকে মনেপ্রাণে ধারণা করতে হবে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াকে এ দেশের মানুষ ভালোবাসে বলেই সিপাহি জনতা বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশের কল্যাণ-অগ্রগতির জন্য। নতুন প্রজন্মের কাছে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে।’
আলোচনা সভায় এসপিপি সিলেটের আহ্বায়ক ডা. শামীমুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব প্রফেসর ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব প্রফেসর ড. মো. মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. ছিদ্দিকুল ইসলাম। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের পর জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
আরও বক্তব্য রাখেন—বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের শামীম, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, ডা. নাজমুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী আশিক উদ্দিন, সাংবাদিক বদরুদ্দোজা বদর প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—প্রফেসর ড. সাজেদুল করিম, প্রফেসর প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ ইকবাল, ডা. জিয়াউর রহমান চৌধুরী, সাংবাদিক খালেদ আহমদ, অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, প্রফেসর ড. রাশেদ হাসনাত, প্রফেসর এমদাদুল হক, প্রফেসর ড. মাহবুব ইকবাল, প্রফেসর ড. সালমা আক্তার, প্রফেসর আবদুল আজিজ, অ্যাডিশনাল পিপি আল আসলাম মুমিন, ডা. জামিল আহমদসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের বিপুল সদস্যরা।
মোদিকে খুশি করতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ নিয়ে পোস্ট করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
আজ শুক্রবার সিলেটে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (এসপিপি) সিলেটের উদ্যোগে বিকেলে নগরের কুমারপাড়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আজকে ট্রাম্প সাহেবের খুব মাথা ব্যথা হচ্ছে। আরে ভাই, ৫ নভেম্বর তোমার নির্বাচন ওইটা করো। তুমি ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর যা করতে পারো করো। তোমার দরদ উথলাইয়া পড়ল, কোথায় আমাদের (বাংলাদেশে) দেশে নাকি হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানদের ভাই-বোনদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। এখানে অনেক হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ভাইয়েরা আছেন। আমরা গত দুর্গাপূজায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশে দুর্গোৎসব দেখেছি। কোথাও কোনো গন্ডগোল হয়েছে? বরং পত্রিকা খুলে দেখেন, দীপাবলির প্রোগ্রামে পার্শ্ববর্তী (ভারতে) দেশে মানুষ খুন হয়েছে।’
ট্রাম্প অবশ্য এমন সব কথা বলারই কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প বলেছে, মোদি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। কাজেই মোদিকে খুশি করার জন্যই বলেছে। কারণ আমেরিকায় যে হিন্দু ভোট রয়েছে, তাঁদের মন জয় করতে যদি পারা যায়, তাহলেই কেবল তাঁর ভোটের রাজনীতি হবে। কমলার পূর্বপুরুষ নাকি ভারতীয় ছিলেন। এ জন্য ট্রাম্প দুটো ভয় পাচ্ছেন। ভারতীয়দের ভোট যদি কমলার বাক্সে চলে যায়; আরেকটি হচ্ছে এটা বলাতে যদি হিন্দু ভোটারদের মন জয় করতে পারে।’
আমেরিকানরা তাঁর দেশকে ভালোবাসে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনি (ডোনাল্ড ট্রাম্প) শক্তিশালী আমেরিকা চান; আমরাও চাই। বাট জজ ওয়াশিংটনের ডেমোক্রেসির ‘‘অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল’’—এই ঘোষণা থেকে আপনি সরে গেলে আগামী প্রজন্ম আপনাকে ক্ষমা করবে বলে আমার মনে হয় না। কাজেই নিজের দেশের স্কুল-কলেজে যখন বাচ্চাদের গুলিতে মেরে ফেলে, সেটা নিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরু নাই। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন আমরা সবাই বাংলাদেশি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস জাতির ঐক্যের দিন। এই চেতনাকে আবার পুনঃস্থাপিত করতে হবে। খাতাপত্র থেকে মুছে ফেলা হলেও দেশের মানুষের মন থেকে মুছে দেওয়া যায়নি। ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের অগ্রগতি উন্নয়নের সূচনা। ৭ নভেম্বরকে মনেপ্রাণে ধারণা করতে হবে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াকে এ দেশের মানুষ ভালোবাসে বলেই সিপাহি জনতা বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশের কল্যাণ-অগ্রগতির জন্য। নতুন প্রজন্মের কাছে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে।’
আলোচনা সভায় এসপিপি সিলেটের আহ্বায়ক ডা. শামীমুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব প্রফেসর ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব প্রফেসর ড. মো. মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. ছিদ্দিকুল ইসলাম। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের পর জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
আরও বক্তব্য রাখেন—বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের শামীম, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, ডা. নাজমুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী আশিক উদ্দিন, সাংবাদিক বদরুদ্দোজা বদর প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—প্রফেসর ড. সাজেদুল করিম, প্রফেসর প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ ইকবাল, ডা. জিয়াউর রহমান চৌধুরী, সাংবাদিক খালেদ আহমদ, অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, প্রফেসর ড. রাশেদ হাসনাত, প্রফেসর এমদাদুল হক, প্রফেসর ড. মাহবুব ইকবাল, প্রফেসর ড. সালমা আক্তার, প্রফেসর আবদুল আজিজ, অ্যাডিশনাল পিপি আল আসলাম মুমিন, ডা. জামিল আহমদসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের বিপুল সদস্যরা।
জুলাই ঘোষণাপত্রকে ‘বাস্তবতা’ বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান মাহফুজ আলম।
১০ মিনিট আগেঐকমত্য কমিশনে নারী আসন বিষয়ে গত ১৪ জুলাই থেকে অন্তত চার দিন আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় বিএনপি, জামায়াত, সিপিবি, বাসদ, এলডিপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল নারী প্রতিনিধি ছাড়াই অংশ নিয়েছে। কমিশনের আলোচনায় এনসিপি, জেএসডি, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বাসদ
৬ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ৫ আগস্ট জুলাই জাতীয় সনদ ঘোষণা করতে চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সে অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই পর্বের সংলাপ শেষে সনদ প্রণয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। খসড়া চূড়ান্ত করে দলগুলোর মতামত ও স্বাক্ষর নেওয়ার কাজটুকুই এখন বাকি। তবে সনদের বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া
৭ ঘণ্টা আগেদর-কষাকষির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কমিয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, ‘ফল দেখলেই বুঝবেন, কাজটা ঠিক হয়েছে কি না। আমরা তো ফল আনলাম এবং যেটা আনলাম, আমাদের প্রতিযোগীদের যে রেঞ্জে, সেই রেঞ্জে।’ ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা
৮ ঘণ্টা আগে