Ajker Patrika

সাশ্রয়ী জ্বালানি যোগান দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাশ্রয়ী জ্বালানি যোগান দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ

দেশে গ্যাসের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে দাবি করে দ্রুত জোরেশোরে এর অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী। আজ রোববার ‘বঙ্গবন্ধুর জ্বালানি নীতি ও আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তা’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। 

রোববার অনুষ্ঠিত এ ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় দেশে সাশ্রয়ী দামে জ্বালানি সরবরাহ ও চাহিদা অনুযায়ী জোগান নিশ্চিত করাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিমত জানিয়েছেন জ্বালানি খাত বিশেষজ্ঞরা। 

আলোচনায় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু যখন পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র কিনে নেন, তখন জ্বালানি নিয়ে আলোচনা ছিল না। দেশে তখন আলোচনা ছিল খাদ্য সংকট নিয়ে। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বঙ্গবন্ধু গ্যাসক্ষেত্র কেনেন। ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালে দেশে বিদ্যুৎ খাতে উন্নতি হয়েছে, কিন্তু জ্বালানি খাত পিছিয়ে পড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে জ্বালানি খাতে চ্যালেঞ্জ অনেক। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সাশ্রয়ী দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। জ্বালানি বিভাগকে বিষয়টি মাথায় রেখে নানা মেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে শিগগিরই।’ 

বিদ্যুৎ বিভাগের নীতি-গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই মুহূর্তে তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে—প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ, সবার চাহিদা পূরণ ও সাশ্রয়ী দামে জ্বালানি সরবরাহ করা। 

দেশের জ্বালানি পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে নেই জানিয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘দেশের শিল্পের যেটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তার পেছনে মূল নিয়ামক কম দামে গ্যাস প্রাপ্তি। কিন্তু দিনে দিনে এর দাম বাড়ছে। গত এক দশকে গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম প্রত্যাশিত পর্যায়ে হয়নি। এই কাজে যারা জড়িত, তাঁরা যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন, তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন। যারা বলছেন, গ্যাস অনুসন্ধান করলে পাওয়া যাবে না, তাঁরা দেশ ছেড়ে চলে যান।’ 

আলোচনায় দেশে গ্যাসের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে দাবি করে দ্রুত জোরেশোরে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানান মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘দেশে গ্যাস খাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে এবং সাশ্রয়ী দামে গ্যাস সরবরাহ করতে যে ধরনের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন দরকার, তা নেই। এটি আরও ২০ বছর আগে হওয়া দরকার ছিল। দেরিতে হলেও আমরা গ্যাস খাতের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে কাজ করছি।’ 

গ্যাস আমদানির যৌক্তিকতা তুলে ধরে নসরুল হামিদ বলেন, ‘অনুসন্ধান করলে আমি হয়তো ২০ থেকে ৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাব। কিন্তু চাহিদার তুলনায় ঘাটতি ১০০ কোটি ঘনফুট। এ কারণেই গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া বিপুল পরিমাণের গ্যাস উত্তোলনের জন্য গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান চালাতে হবে। কিন্তু এতে ঝুঁকি বেশি হওয়ায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ করতে রাজি হচ্ছে না।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাগল বেশে রাস্তায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর সম্পর্কে যা জানা গেল

হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা

এনসিটিবিতে দুর্নীতির অভিযোগে এনসিপি নেতা তানভীরের নাম, সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়

‘হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা পালিয়েছে, আমি ফিরেছি’

পাগল বেশে মেয়েদের উত্ত্যক্তকারী সেই তরুণ গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত