এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ ও পদোন্নতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সংস্কার কমিশন বলছে, অ্যাটর্নি সার্ভিসের মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ দিলে মামলায় প্রকৃত আসামিদের সাজার হার বাড়বে। দেওয়ানি মামলায় রাষ্ট্র লাভবান হবে।
সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে সব ধরনের মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্তত একজন আইনজীবী থাকেন। অস্থায়ী ভিত্তিতে এই আইনজীবীদের নিয়োগ দেয় সরকার। অভিযোগ রয়েছে, সব সরকারের আমলেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগে দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য পেয়েছে। এ কারণে অতীতে যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক আইনজীবী এই নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবীর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাবে রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় হেরে যাওয়ার অনেক নজিরও রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অধস্তন আদালতে পিপি, এপিপি, জিপি, এজিপি এবং উচ্চ আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন আইনজীবীরা। তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোনো সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। প্রতিটি সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ করেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আইনজীবীদের দাবিকে আমলে নিয়েছে। ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করা হয়। এতে আইনজীবী নিয়োগ, পদোন্নতির রূপরেখাও তুলে ধরা হয়েছে। বেতনকাঠামো, নিয়োগপ্রক্রিয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় অস্থায়ী ভিত্তিতে আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ মামলা পরিচালনায় প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারেনি। স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মামলা নিষ্পত্তির হারের সঙ্গে গুণগত মানও বাড়বে। এখন মামলায় সাজার হার মাত্র ৮ শতাংশ। এর মধ্যে অনেকে থাকে নির্দোষ। এতে করে প্রসিকিউশনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। তিনি বলেন, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। এখন প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেওয়া হবে। সেখানে আরও বিস্তারিত থাকবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ওই সুপারিশে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সব স্তরের আইন কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং অপ্রতুল আইনি কাঠামোর আওতায়। আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জবাবদিহির কোনো আইনি কাঠামো নেই। যোগ্যতা বা দক্ষতা বা সততা নয়, মূলত আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগকে বিবেচনা করা হয় রাজনৈতিক আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে। সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের মান মোটেও সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে। এমন অ্যাটর্নি সার্ভিস বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও ফৌজদারি মামলার বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বন্ধে অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন করা উচিত। দলীয় সরকার নিয়োগ দেওয়ায় দলের প্রতি দুর্বলতা থাকে। তাই দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে বিচারক নিয়োগ যেভাবে হয়, সেভাবেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ হতে হবে। তাহলে বিচারকের মতো প্রসিকিউটরও নিরপেক্ষ থাকবেন। তিনি দলের প্রসিকিউটর হবেন না। এতে বিচারপ্রার্থীদের উপকার হবে, মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি সার্ভিস হবে স্থায়ী পেনশনযোগ্য সরকারি চাকরি। এই সার্ভিসের জন্য সুনির্দিষ্ট কাঠামো, নিয়োগপদ্ধতি, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, বেতনকাঠামোসহ আর্থিক সুবিধাদি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে যথাযথ বিধানসংবলিত আইন থাকবে। প্রস্তাবিত সার্ভিসের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট ও জেলা ইউনিট থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে থাকবেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও অ্যাটর্নি জেনারেল। জেলা ইউনিটে থাকবেন সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি ও জেলা অ্যাটর্নি। জেলা ইউনিটের কর্মকর্তাদের আন্তজেলায় বদলি, জেলা ইউনিট থেকে সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে বদলি ও পদোন্নতির সুযোগ থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন অ্যাটর্নি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করতে পারবেন। অ্যাটর্নি সার্ভিসের প্রশাসনিক, আর্থিক, অবকাঠামো, সহায়ক জনবলসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ের দায়িত্ব থাকবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের একটি পৃথক ইউনিটের ওপর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৪৪ বছর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হতে পারবেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের অবসরের বয়সসীমা হবে ৬৫ বছর। সহকারী জেলা অ্যাটর্নি নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি পদে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি থেকে যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি হতে ৪ বছর, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি হতে পূর্ববর্তী পদে ৩ বছর এবং সেখান থেকে জেলা অ্যাটর্নি হিসেবে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। জেলা অ্যাটর্নির অবসরের বয়সসীমাও হবে ৬৫ বছর।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে হবে। এ জন্য অ্যাটর্নি সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে বিচার বিভাগ সচিবালয়ের হাতে।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ ও পদোন্নতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সংস্কার কমিশন বলছে, অ্যাটর্নি সার্ভিসের মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ দিলে মামলায় প্রকৃত আসামিদের সাজার হার বাড়বে। দেওয়ানি মামলায় রাষ্ট্র লাভবান হবে।
সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে সব ধরনের মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্তত একজন আইনজীবী থাকেন। অস্থায়ী ভিত্তিতে এই আইনজীবীদের নিয়োগ দেয় সরকার। অভিযোগ রয়েছে, সব সরকারের আমলেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগে দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য পেয়েছে। এ কারণে অতীতে যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক আইনজীবী এই নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবীর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাবে রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় হেরে যাওয়ার অনেক নজিরও রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অধস্তন আদালতে পিপি, এপিপি, জিপি, এজিপি এবং উচ্চ আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন আইনজীবীরা। তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোনো সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। প্রতিটি সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ করেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আইনজীবীদের দাবিকে আমলে নিয়েছে। ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করা হয়। এতে আইনজীবী নিয়োগ, পদোন্নতির রূপরেখাও তুলে ধরা হয়েছে। বেতনকাঠামো, নিয়োগপ্রক্রিয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় অস্থায়ী ভিত্তিতে আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ মামলা পরিচালনায় প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারেনি। স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মামলা নিষ্পত্তির হারের সঙ্গে গুণগত মানও বাড়বে। এখন মামলায় সাজার হার মাত্র ৮ শতাংশ। এর মধ্যে অনেকে থাকে নির্দোষ। এতে করে প্রসিকিউশনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। তিনি বলেন, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। এখন প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেওয়া হবে। সেখানে আরও বিস্তারিত থাকবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ওই সুপারিশে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সব স্তরের আইন কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং অপ্রতুল আইনি কাঠামোর আওতায়। আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জবাবদিহির কোনো আইনি কাঠামো নেই। যোগ্যতা বা দক্ষতা বা সততা নয়, মূলত আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগকে বিবেচনা করা হয় রাজনৈতিক আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে। সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের মান মোটেও সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে। এমন অ্যাটর্নি সার্ভিস বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও ফৌজদারি মামলার বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বন্ধে অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন করা উচিত। দলীয় সরকার নিয়োগ দেওয়ায় দলের প্রতি দুর্বলতা থাকে। তাই দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে বিচারক নিয়োগ যেভাবে হয়, সেভাবেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ হতে হবে। তাহলে বিচারকের মতো প্রসিকিউটরও নিরপেক্ষ থাকবেন। তিনি দলের প্রসিকিউটর হবেন না। এতে বিচারপ্রার্থীদের উপকার হবে, মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি সার্ভিস হবে স্থায়ী পেনশনযোগ্য সরকারি চাকরি। এই সার্ভিসের জন্য সুনির্দিষ্ট কাঠামো, নিয়োগপদ্ধতি, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, বেতনকাঠামোসহ আর্থিক সুবিধাদি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে যথাযথ বিধানসংবলিত আইন থাকবে। প্রস্তাবিত সার্ভিসের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট ও জেলা ইউনিট থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে থাকবেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও অ্যাটর্নি জেনারেল। জেলা ইউনিটে থাকবেন সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি ও জেলা অ্যাটর্নি। জেলা ইউনিটের কর্মকর্তাদের আন্তজেলায় বদলি, জেলা ইউনিট থেকে সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে বদলি ও পদোন্নতির সুযোগ থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন অ্যাটর্নি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করতে পারবেন। অ্যাটর্নি সার্ভিসের প্রশাসনিক, আর্থিক, অবকাঠামো, সহায়ক জনবলসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ের দায়িত্ব থাকবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের একটি পৃথক ইউনিটের ওপর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৪৪ বছর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হতে পারবেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের অবসরের বয়সসীমা হবে ৬৫ বছর। সহকারী জেলা অ্যাটর্নি নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি পদে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি থেকে যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি হতে ৪ বছর, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি হতে পূর্ববর্তী পদে ৩ বছর এবং সেখান থেকে জেলা অ্যাটর্নি হিসেবে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। জেলা অ্যাটর্নির অবসরের বয়সসীমাও হবে ৬৫ বছর।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে হবে। এ জন্য অ্যাটর্নি সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে বিচার বিভাগ সচিবালয়ের হাতে।
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ ও পদোন্নতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সংস্কার কমিশন বলছে, অ্যাটর্নি সার্ভিসের মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ দিলে মামলায় প্রকৃত আসামিদের সাজার হার বাড়বে। দেওয়ানি মামলায় রাষ্ট্র লাভবান হবে।
সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে সব ধরনের মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্তত একজন আইনজীবী থাকেন। অস্থায়ী ভিত্তিতে এই আইনজীবীদের নিয়োগ দেয় সরকার। অভিযোগ রয়েছে, সব সরকারের আমলেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগে দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য পেয়েছে। এ কারণে অতীতে যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক আইনজীবী এই নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবীর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাবে রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় হেরে যাওয়ার অনেক নজিরও রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অধস্তন আদালতে পিপি, এপিপি, জিপি, এজিপি এবং উচ্চ আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন আইনজীবীরা। তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোনো সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। প্রতিটি সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ করেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আইনজীবীদের দাবিকে আমলে নিয়েছে। ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করা হয়। এতে আইনজীবী নিয়োগ, পদোন্নতির রূপরেখাও তুলে ধরা হয়েছে। বেতনকাঠামো, নিয়োগপ্রক্রিয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় অস্থায়ী ভিত্তিতে আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ মামলা পরিচালনায় প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারেনি। স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মামলা নিষ্পত্তির হারের সঙ্গে গুণগত মানও বাড়বে। এখন মামলায় সাজার হার মাত্র ৮ শতাংশ। এর মধ্যে অনেকে থাকে নির্দোষ। এতে করে প্রসিকিউশনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। তিনি বলেন, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। এখন প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেওয়া হবে। সেখানে আরও বিস্তারিত থাকবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ওই সুপারিশে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সব স্তরের আইন কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং অপ্রতুল আইনি কাঠামোর আওতায়। আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জবাবদিহির কোনো আইনি কাঠামো নেই। যোগ্যতা বা দক্ষতা বা সততা নয়, মূলত আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগকে বিবেচনা করা হয় রাজনৈতিক আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে। সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের মান মোটেও সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে। এমন অ্যাটর্নি সার্ভিস বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও ফৌজদারি মামলার বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বন্ধে অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন করা উচিত। দলীয় সরকার নিয়োগ দেওয়ায় দলের প্রতি দুর্বলতা থাকে। তাই দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে বিচারক নিয়োগ যেভাবে হয়, সেভাবেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ হতে হবে। তাহলে বিচারকের মতো প্রসিকিউটরও নিরপেক্ষ থাকবেন। তিনি দলের প্রসিকিউটর হবেন না। এতে বিচারপ্রার্থীদের উপকার হবে, মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি সার্ভিস হবে স্থায়ী পেনশনযোগ্য সরকারি চাকরি। এই সার্ভিসের জন্য সুনির্দিষ্ট কাঠামো, নিয়োগপদ্ধতি, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, বেতনকাঠামোসহ আর্থিক সুবিধাদি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে যথাযথ বিধানসংবলিত আইন থাকবে। প্রস্তাবিত সার্ভিসের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট ও জেলা ইউনিট থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে থাকবেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও অ্যাটর্নি জেনারেল। জেলা ইউনিটে থাকবেন সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি ও জেলা অ্যাটর্নি। জেলা ইউনিটের কর্মকর্তাদের আন্তজেলায় বদলি, জেলা ইউনিট থেকে সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে বদলি ও পদোন্নতির সুযোগ থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন অ্যাটর্নি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করতে পারবেন। অ্যাটর্নি সার্ভিসের প্রশাসনিক, আর্থিক, অবকাঠামো, সহায়ক জনবলসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ের দায়িত্ব থাকবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের একটি পৃথক ইউনিটের ওপর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৪৪ বছর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হতে পারবেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের অবসরের বয়সসীমা হবে ৬৫ বছর। সহকারী জেলা অ্যাটর্নি নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি পদে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি থেকে যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি হতে ৪ বছর, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি হতে পূর্ববর্তী পদে ৩ বছর এবং সেখান থেকে জেলা অ্যাটর্নি হিসেবে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। জেলা অ্যাটর্নির অবসরের বয়সসীমাও হবে ৬৫ বছর।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে হবে। এ জন্য অ্যাটর্নি সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে বিচার বিভাগ সচিবালয়ের হাতে।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ ও পদোন্নতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সংস্কার কমিশন বলছে, অ্যাটর্নি সার্ভিসের মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ দিলে মামলায় প্রকৃত আসামিদের সাজার হার বাড়বে। দেওয়ানি মামলায় রাষ্ট্র লাভবান হবে।
সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে সব ধরনের মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্তত একজন আইনজীবী থাকেন। অস্থায়ী ভিত্তিতে এই আইনজীবীদের নিয়োগ দেয় সরকার। অভিযোগ রয়েছে, সব সরকারের আমলেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগে দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য পেয়েছে। এ কারণে অতীতে যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক আইনজীবী এই নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবীর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাবে রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় হেরে যাওয়ার অনেক নজিরও রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অধস্তন আদালতে পিপি, এপিপি, জিপি, এজিপি এবং উচ্চ আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন আইনজীবীরা। তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোনো সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। প্রতিটি সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ করেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আইনজীবীদের দাবিকে আমলে নিয়েছে। ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করা হয়। এতে আইনজীবী নিয়োগ, পদোন্নতির রূপরেখাও তুলে ধরা হয়েছে। বেতনকাঠামো, নিয়োগপ্রক্রিয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় অস্থায়ী ভিত্তিতে আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ মামলা পরিচালনায় প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারেনি। স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মামলা নিষ্পত্তির হারের সঙ্গে গুণগত মানও বাড়বে। এখন মামলায় সাজার হার মাত্র ৮ শতাংশ। এর মধ্যে অনেকে থাকে নির্দোষ। এতে করে প্রসিকিউশনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। তিনি বলেন, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। এখন প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেওয়া হবে। সেখানে আরও বিস্তারিত থাকবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ওই সুপারিশে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সব স্তরের আইন কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং অপ্রতুল আইনি কাঠামোর আওতায়। আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জবাবদিহির কোনো আইনি কাঠামো নেই। যোগ্যতা বা দক্ষতা বা সততা নয়, মূলত আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগকে বিবেচনা করা হয় রাজনৈতিক আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে। সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের মান মোটেও সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে। এমন অ্যাটর্নি সার্ভিস বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও ফৌজদারি মামলার বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বন্ধে অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন করা উচিত। দলীয় সরকার নিয়োগ দেওয়ায় দলের প্রতি দুর্বলতা থাকে। তাই দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে বিচারক নিয়োগ যেভাবে হয়, সেভাবেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ হতে হবে। তাহলে বিচারকের মতো প্রসিকিউটরও নিরপেক্ষ থাকবেন। তিনি দলের প্রসিকিউটর হবেন না। এতে বিচারপ্রার্থীদের উপকার হবে, মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি সার্ভিস হবে স্থায়ী পেনশনযোগ্য সরকারি চাকরি। এই সার্ভিসের জন্য সুনির্দিষ্ট কাঠামো, নিয়োগপদ্ধতি, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, বেতনকাঠামোসহ আর্থিক সুবিধাদি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে যথাযথ বিধানসংবলিত আইন থাকবে। প্রস্তাবিত সার্ভিসের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট ও জেলা ইউনিট থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে থাকবেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও অ্যাটর্নি জেনারেল। জেলা ইউনিটে থাকবেন সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি ও জেলা অ্যাটর্নি। জেলা ইউনিটের কর্মকর্তাদের আন্তজেলায় বদলি, জেলা ইউনিট থেকে সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে বদলি ও পদোন্নতির সুযোগ থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন অ্যাটর্নি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করতে পারবেন। অ্যাটর্নি সার্ভিসের প্রশাসনিক, আর্থিক, অবকাঠামো, সহায়ক জনবলসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ের দায়িত্ব থাকবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের একটি পৃথক ইউনিটের ওপর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৪৪ বছর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হতে পারবেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের অবসরের বয়সসীমা হবে ৬৫ বছর। সহকারী জেলা অ্যাটর্নি নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি পদে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি থেকে যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি হতে ৪ বছর, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি হতে পূর্ববর্তী পদে ৩ বছর এবং সেখান থেকে জেলা অ্যাটর্নি হিসেবে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। জেলা অ্যাটর্নির অবসরের বয়সসীমাও হবে ৬৫ বছর।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে হবে। এ জন্য অ্যাটর্নি সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে বিচার বিভাগ সচিবালয়ের হাতে।

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
৩ ঘণ্টা আগে
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
৭ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৮ ঘণ্টা আগেকমিশনের বৈঠক
তানিম আহমেদ, ঢাকা

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। নতুন সংসদ নির্ধারিত ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়েও একটি বিকল্প ভাবা হচ্ছে।
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যে নতুন সংসদ সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে করণীয় কী হবে, তা গতকাল রাত বা আজ (সোমবার) সকালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। আজ সকালে কমিশনের আবার বৈঠকের মাধ্যমে সুপারিশ চূড়ান্ত করে দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে করা হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের এই পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিকভাবে এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তী সময়ে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের সর্বসম্মত ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের উল্লেখ থাকবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছি। কমিশন আশা করছে, আগামীকালের (আজ সোমবার) মধ্যে সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।’
দ্বিকক্ষের সংসদ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত আছে। বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দল পিআর ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের দাবি জানিয়েছে। আবার জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দল উভয় কক্ষেই পিআরের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপি পিআরে উচ্চকক্ষ মানলে নিম্নকক্ষের পিআরের দাবি থেকে দলগুলো সরে যাবে। বিষয়টি আদেশে আলাদা করে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, গণভোটে যদি সনদ বেশি ‘হ্যাঁ’ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়, তাহলে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন বাধ্যতামূলক হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আদেশে আলাদা করে লেখা থাকবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদেও সংস্কার প্রস্তাব পাস হলে এর পরের ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলো তাদের উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
আগামী সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়ে কমিশন নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। গতকাল বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, গণভোটে সংস্কার প্রস্তাবগুলো পাস হলে আগামী সংসদে সেগুলো বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক হবে। কমিশন এটিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এর বাইরে কোনো নিশ্চয়তা বিধান করা যায় কি না, তা-ও কমিশনের বিবেচনায় আছে।
সংসদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেহেতু রাজনৈতিক দলিল, তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। রাজনীতিকদের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।’
কমিশনের পক্ষ থেকে আদেশের সঙ্গে বিকল্প একটি প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। কমিশন সরকারকে গণভোট নিয়ে একটি আইন তৈরি করতে বলার কথা ভেবেছে। এতে সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো থাকবে। সে ক্ষেত্রে সব প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি আইন বানাতে হবে। গণভোটে এটা উঠবে। সমন্বিত আইনটি পাস হয়ে গেলে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান পরিষদ পুরো বাস্তবায়ন না করতে পারলেও আইনটি সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। তবে কমিশনের এই প্রস্তাবে বিশেষজ্ঞদের সায় নেই বলে জানা গেছে।
এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কমিশনের বিকল্প প্রস্তাবে বিষয়টি থাকবে। তবে আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আমরা এটা সমর্থন করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না’ এবং ‘সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চান কি না’—গণভোটে এ রকম প্রশ্ন রাখার কথা বিবেচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে। এখানে কোনো দলের ভিন্নমত গুরুত্ব পাবে না।
গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে মতবিরোধ আছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গণভোটের দিন-তারিখ কবে হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ রাষ্ট্রপতি, নাকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল তাদের সংসদ ভবনের কার্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। জাতীয় ঐকমত্য গঠনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। নতুন সংসদ নির্ধারিত ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়েও একটি বিকল্প ভাবা হচ্ছে।
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যে নতুন সংসদ সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে করণীয় কী হবে, তা গতকাল রাত বা আজ (সোমবার) সকালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। আজ সকালে কমিশনের আবার বৈঠকের মাধ্যমে সুপারিশ চূড়ান্ত করে দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে করা হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের এই পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিকভাবে এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তী সময়ে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের সর্বসম্মত ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের উল্লেখ থাকবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছি। কমিশন আশা করছে, আগামীকালের (আজ সোমবার) মধ্যে সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।’
দ্বিকক্ষের সংসদ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত আছে। বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দল পিআর ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের দাবি জানিয়েছে। আবার জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দল উভয় কক্ষেই পিআরের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপি পিআরে উচ্চকক্ষ মানলে নিম্নকক্ষের পিআরের দাবি থেকে দলগুলো সরে যাবে। বিষয়টি আদেশে আলাদা করে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, গণভোটে যদি সনদ বেশি ‘হ্যাঁ’ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়, তাহলে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন বাধ্যতামূলক হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আদেশে আলাদা করে লেখা থাকবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদেও সংস্কার প্রস্তাব পাস হলে এর পরের ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলো তাদের উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
আগামী সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়ে কমিশন নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। গতকাল বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, গণভোটে সংস্কার প্রস্তাবগুলো পাস হলে আগামী সংসদে সেগুলো বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক হবে। কমিশন এটিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এর বাইরে কোনো নিশ্চয়তা বিধান করা যায় কি না, তা-ও কমিশনের বিবেচনায় আছে।
সংসদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেহেতু রাজনৈতিক দলিল, তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। রাজনীতিকদের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।’
কমিশনের পক্ষ থেকে আদেশের সঙ্গে বিকল্প একটি প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। কমিশন সরকারকে গণভোট নিয়ে একটি আইন তৈরি করতে বলার কথা ভেবেছে। এতে সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো থাকবে। সে ক্ষেত্রে সব প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি আইন বানাতে হবে। গণভোটে এটা উঠবে। সমন্বিত আইনটি পাস হয়ে গেলে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান পরিষদ পুরো বাস্তবায়ন না করতে পারলেও আইনটি সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। তবে কমিশনের এই প্রস্তাবে বিশেষজ্ঞদের সায় নেই বলে জানা গেছে।
এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কমিশনের বিকল্প প্রস্তাবে বিষয়টি থাকবে। তবে আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আমরা এটা সমর্থন করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না’ এবং ‘সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চান কি না’—গণভোটে এ রকম প্রশ্ন রাখার কথা বিবেচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে। এখানে কোনো দলের ভিন্নমত গুরুত্ব পাবে না।
গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে মতবিরোধ আছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গণভোটের দিন-তারিখ কবে হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ রাষ্ট্রপতি, নাকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল তাদের সংসদ ভবনের কার্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। জাতীয় ঐকমত্য গঠনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
৭ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
৭ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৮ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
৩ ঘণ্টা আগে
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
৩ ঘণ্টা আগে
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
৭ ঘণ্টা আগে