নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সম্প্রতি চীন সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন। এই রাজ্যগুলোকে ল্যান্ডলকড বা স্থলবেষ্টিত উল্লেখ করে তাদের সমুদ্রপথে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ‘গার্ডিয়ান’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। এ নিয়ে ভারতে রাজনৈতিক ও নীতিনির্ধারক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমান।
খলিলুর রহমান জানান, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে নেপাল, ভুটান ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য সমুদ্রপথে সারা বিশ্বে রপ্তানির সুযোগের কথা বলেন।
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান পবন খেরা এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ চীনকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ভারতকে ঘিরে ফেলার জন্য। বাংলাদেশ সরকারের এই আচরণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য খুবই বিপজ্জনক।’ এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন রাজনীতিবিদ এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে খলিলুর রহমান স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের উদ্দেশ্য সৎ এবং আঞ্চলিক উন্নয়নে সবার সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘আমরা কানেকটিভিটি (যোগাযোগ) জোর করে চাপিয়ে দেব না। দেওয়ার অবস্থাও আমাদের নেই। কেউ যদি নেয় ভালো, আর না নিলে কী করব আমি, কিছু করার নেই।’
খলিলুর রহমান বলেন, ‘দেখুন, আগেই বলেছি, কানেকটিভিটি (যোগাযোগ) এই অঞ্চলের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। বিশেষ করে যাদের জন্য সমুদ্রে অ্যাকসেস (প্রবেশ) পাওয়া খুব কঠিন। আমরা কিন্তু কানেকটিভিটি জোর করে চাপিয়ে দেব না। দেওয়ার অবস্থাও আমাদের নেই। কেউ যদি নেয় ভালো, আর না নিলে কী করব আমি, কিছু করার নেই। অত্যন্ত সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পথে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন। এখন যদি এর অন্য রকম ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, আমরা তো সেই ব্যাখ্যা ঠেকাতে পারছি না। আমরা শুধু এটুকু বলতে পারব, আমরা কানেকটিভিটি সবার ইকুইটিফুল বেনিফিটের (সমান সুবিধা) জন্য দিতে আগ্রহী আছি। কেউ নেবেন তো ভালো, না নিলে নেবেন না।’
আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলে কানেকটিভিটি অত্যন্ত প্রধান বিষয়। আঞ্চলিক সহযোগিতা ছাড়া সেটি করা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, সেটাও এই অঞ্চলের কোনো দেশ, বিশেষ করে ছোট ছোট দেশের এককভাবে তা মোকাবিলা করা অত্যন্ত কঠিন। যখন জোটবদ্ধভাবে এসব সমস্যা মোকাবিলার চেষ্টা করা হবে, তখন সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনাও তত বাড়বে।’
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো অবনতি হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নে খলিলুর রহমান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা চীন সফর করবেন কিংবা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। এগুলো কিন্তু জিরোসাম গেম নয় যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হবে। আমরা সব জায়গা থেকে আমাদের সুবিধা অনুযায়ী এবং পারস্পরিক সুবিধা অনুযায়ী যতটুকু এগোতে পারি, আমরা সেটা চেষ্টা করব। সে কারণে আমরা সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। কাউকে বাদ দিয়ে আমরা এগোতে চাই না।’
সংবাদ সম্মেলনে খলিলুর রহমান আঞ্চলিক উন্নয়ন ও যোগাযোগের বিষয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করেন এবং সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সম্প্রতি চীন সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন। এই রাজ্যগুলোকে ল্যান্ডলকড বা স্থলবেষ্টিত উল্লেখ করে তাদের সমুদ্রপথে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ‘গার্ডিয়ান’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। এ নিয়ে ভারতে রাজনৈতিক ও নীতিনির্ধারক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমান।
খলিলুর রহমান জানান, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে নেপাল, ভুটান ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য সমুদ্রপথে সারা বিশ্বে রপ্তানির সুযোগের কথা বলেন।
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান পবন খেরা এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ চীনকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ভারতকে ঘিরে ফেলার জন্য। বাংলাদেশ সরকারের এই আচরণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য খুবই বিপজ্জনক।’ এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন রাজনীতিবিদ এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে খলিলুর রহমান স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের উদ্দেশ্য সৎ এবং আঞ্চলিক উন্নয়নে সবার সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘আমরা কানেকটিভিটি (যোগাযোগ) জোর করে চাপিয়ে দেব না। দেওয়ার অবস্থাও আমাদের নেই। কেউ যদি নেয় ভালো, আর না নিলে কী করব আমি, কিছু করার নেই।’
খলিলুর রহমান বলেন, ‘দেখুন, আগেই বলেছি, কানেকটিভিটি (যোগাযোগ) এই অঞ্চলের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। বিশেষ করে যাদের জন্য সমুদ্রে অ্যাকসেস (প্রবেশ) পাওয়া খুব কঠিন। আমরা কিন্তু কানেকটিভিটি জোর করে চাপিয়ে দেব না। দেওয়ার অবস্থাও আমাদের নেই। কেউ যদি নেয় ভালো, আর না নিলে কী করব আমি, কিছু করার নেই। অত্যন্ত সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পথে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন। এখন যদি এর অন্য রকম ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, আমরা তো সেই ব্যাখ্যা ঠেকাতে পারছি না। আমরা শুধু এটুকু বলতে পারব, আমরা কানেকটিভিটি সবার ইকুইটিফুল বেনিফিটের (সমান সুবিধা) জন্য দিতে আগ্রহী আছি। কেউ নেবেন তো ভালো, না নিলে নেবেন না।’
আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলে কানেকটিভিটি অত্যন্ত প্রধান বিষয়। আঞ্চলিক সহযোগিতা ছাড়া সেটি করা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, সেটাও এই অঞ্চলের কোনো দেশ, বিশেষ করে ছোট ছোট দেশের এককভাবে তা মোকাবিলা করা অত্যন্ত কঠিন। যখন জোটবদ্ধভাবে এসব সমস্যা মোকাবিলার চেষ্টা করা হবে, তখন সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনাও তত বাড়বে।’
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো অবনতি হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নে খলিলুর রহমান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা চীন সফর করবেন কিংবা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। এগুলো কিন্তু জিরোসাম গেম নয় যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হবে। আমরা সব জায়গা থেকে আমাদের সুবিধা অনুযায়ী এবং পারস্পরিক সুবিধা অনুযায়ী যতটুকু এগোতে পারি, আমরা সেটা চেষ্টা করব। সে কারণে আমরা সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। কাউকে বাদ দিয়ে আমরা এগোতে চাই না।’
সংবাদ সম্মেলনে খলিলুর রহমান আঞ্চলিক উন্নয়ন ও যোগাযোগের বিষয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করেন এবং সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ৯০ শতাংশ ইঞ্জিনেরই (লোকোমোটিভ) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ৩০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো এসব ইঞ্জিন যাত্রাপথে বিকল হয়ে দুর্ভোগে ফেলছে যাত্রীদের। শুধু পণ্যবাহী, লোকাল বা মেইল নয়; কোনো কোনো আন্তনগর ট্রেনও চলছে কার্যকাল পেরিয়ে যাওয়া ইঞ্জিনে।
৬ ঘণ্টা আগেবিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলে আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে (নির্জন প্রকোষ্ঠ) পাঠানো হয়। মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা ‘দুবার সাজা দেওয়ার শামিল’ উল্লেখ করে এই বিধান বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিন পরই এই রায় স্থগিত করেন আপিল
৬ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ অ্যাটর্নি জেনারেল ও
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স-সেবা নিয়ে আবারও অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ঝুলে আছে। ২০২০ সালের ২৯ জুলাই থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স
৭ ঘণ্টা আগে