নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে বাছাই কমিটি ব্যর্থ হলে বিচার বিভাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়ে একমত বিএনপি ও জামায়াত। তবে এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলনসহ কিছু দল এর বিরোধিতা করেছে। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও নতুন জট তৈরি হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার ১৭তম দিনের আলোচনায় এমন জট তৈরি হয়।
সংলাপে জাতীয় সংসদের স্পিকারের নেতৃত্বে বাছাই কমিটির মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগের প্রস্তাব করে কমিশন। কমিটির বিষয়ে দলগুলো একমতও ছিল। আজকের আলোচনায় বিএনপির পক্ষ থেকে সংশোধিত প্রস্তাব দেওয়া হয়।
প্রস্তাব দেওয়ার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, কমিটির মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ না করে গেলে সংবিধানের ১৩তম সংশোধনীর বিধান বলবৎ হবে। তবে সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে বাদ রাখা হবে। অর্থাৎ কোনোভাবেই রাষ্ট্রপতি প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিতে পারবেন না। ১৩তম সংশোধনীতে বিচার বিভাগ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের কথা বলা আছে। এই ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াত একমত।
তবে বিএনপি-জামায়াতের অবস্থানের বিপরীতে সংলাপের মধ্যাহ্ন বিরতিতে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন ও কারা এই সরকারে প্রধান হবেন—সেই ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী একমত হয়ে যাওয়ার কারণে অন্যান্য দলের নতুন প্রস্তাব চাপা পড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত কিছু দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে একটা প্রস্তাব এসেছিল—বিচার বিভাগ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান না আনা। এখানে যুক্তি ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচার বিভাগ থেকে রাখা হলে বিচার বিভাগের দলীয়করণের ঘটনা ঘটতে পারে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়কে (প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে) রাষ্ট্রপতিকে রাখা হলে কী হয়, সেটা আমরা অতীতে দেখেছি, ১/১১ সরকারের আবির্ভাব ঘটেছে। ফলে বিগত দিনে এখানে একটা ঐকমত্যের জায়গা এসেছিল। বিএনপি বিচার বিভাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টা না রাখার বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেছিল এবং জামায়াত রাষ্ট্রপতিকে না রাখার কথা বলেছিল।’
রুবেল আরও বলেন, ‘এরপর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যখন নতুন প্রস্তাব এল, তখন আমরা দেখলাম—বিএনপি একটা নতুন প্রস্তাব এনেছে। সেখানে বিচার বিভাগকে রাখার বিষয়ে সংবিধানের যে ত্রয়োদশ সংশোধনী ছিল, সেটাতে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত একমত হয়ে গেছে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার কীভাবে গঠিত হবে, কারা প্রধান উপদেষ্টা হতে পারবেন—এই বিষয়ে বিএনপি-জামায়াত একমত হয়েছে উল্লেখ করে গণসংহতির এই নেতা বলেন, ‘ফলে, আমরা যারা নতুন ব্যবস্থা চাচ্ছি, তাদের প্রস্তাবগুলো চাপা পড়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবগুলো সামনে নিয়ে আসার জন্য আবারও আলোচনায় তুলব।’ এ সময় তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের অতীত উদাহরণ টেনে বলেন, ‘তাই এ দুটিকে বাদ রেখে র্যাঙ্কিং পদ্ধতির কথা বলেছি। আর সব পদ্ধতি যদি ব্যর্থ হয়, তখন শুধু সাবেক প্রধান বিচারপতির অপশন না রেখে বিচার বিভাগের অন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের রেখে একটা প্যানেল করা যেতে পারে। এটা হবে একেবারে শেষ অপশন।’
আবুল হাসান রুবেল জানান, কমিশনের প্রস্তাব ছিল—প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান এক ব্যক্তি হতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ দল একমত হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা একজন হতে পারবেন। তাই এখানে যাঁদের ভিন্নমত আছে, তাঁরা সেই ভিন্নমত রেখে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরও খবর পড়ুন:
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে বাছাই কমিটি ব্যর্থ হলে বিচার বিভাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়ে একমত বিএনপি ও জামায়াত। তবে এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলনসহ কিছু দল এর বিরোধিতা করেছে। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও নতুন জট তৈরি হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার ১৭তম দিনের আলোচনায় এমন জট তৈরি হয়।
সংলাপে জাতীয় সংসদের স্পিকারের নেতৃত্বে বাছাই কমিটির মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগের প্রস্তাব করে কমিশন। কমিটির বিষয়ে দলগুলো একমতও ছিল। আজকের আলোচনায় বিএনপির পক্ষ থেকে সংশোধিত প্রস্তাব দেওয়া হয়।
প্রস্তাব দেওয়ার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, কমিটির মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ না করে গেলে সংবিধানের ১৩তম সংশোধনীর বিধান বলবৎ হবে। তবে সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে বাদ রাখা হবে। অর্থাৎ কোনোভাবেই রাষ্ট্রপতি প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিতে পারবেন না। ১৩তম সংশোধনীতে বিচার বিভাগ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের কথা বলা আছে। এই ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াত একমত।
তবে বিএনপি-জামায়াতের অবস্থানের বিপরীতে সংলাপের মধ্যাহ্ন বিরতিতে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন ও কারা এই সরকারে প্রধান হবেন—সেই ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী একমত হয়ে যাওয়ার কারণে অন্যান্য দলের নতুন প্রস্তাব চাপা পড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত কিছু দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে একটা প্রস্তাব এসেছিল—বিচার বিভাগ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান না আনা। এখানে যুক্তি ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচার বিভাগ থেকে রাখা হলে বিচার বিভাগের দলীয়করণের ঘটনা ঘটতে পারে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়কে (প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে) রাষ্ট্রপতিকে রাখা হলে কী হয়, সেটা আমরা অতীতে দেখেছি, ১/১১ সরকারের আবির্ভাব ঘটেছে। ফলে বিগত দিনে এখানে একটা ঐকমত্যের জায়গা এসেছিল। বিএনপি বিচার বিভাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টা না রাখার বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেছিল এবং জামায়াত রাষ্ট্রপতিকে না রাখার কথা বলেছিল।’
রুবেল আরও বলেন, ‘এরপর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যখন নতুন প্রস্তাব এল, তখন আমরা দেখলাম—বিএনপি একটা নতুন প্রস্তাব এনেছে। সেখানে বিচার বিভাগকে রাখার বিষয়ে সংবিধানের যে ত্রয়োদশ সংশোধনী ছিল, সেটাতে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত একমত হয়ে গেছে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার কীভাবে গঠিত হবে, কারা প্রধান উপদেষ্টা হতে পারবেন—এই বিষয়ে বিএনপি-জামায়াত একমত হয়েছে উল্লেখ করে গণসংহতির এই নেতা বলেন, ‘ফলে, আমরা যারা নতুন ব্যবস্থা চাচ্ছি, তাদের প্রস্তাবগুলো চাপা পড়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবগুলো সামনে নিয়ে আসার জন্য আবারও আলোচনায় তুলব।’ এ সময় তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের অতীত উদাহরণ টেনে বলেন, ‘তাই এ দুটিকে বাদ রেখে র্যাঙ্কিং পদ্ধতির কথা বলেছি। আর সব পদ্ধতি যদি ব্যর্থ হয়, তখন শুধু সাবেক প্রধান বিচারপতির অপশন না রেখে বিচার বিভাগের অন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের রেখে একটা প্যানেল করা যেতে পারে। এটা হবে একেবারে শেষ অপশন।’
আবুল হাসান রুবেল জানান, কমিশনের প্রস্তাব ছিল—প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান এক ব্যক্তি হতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ দল একমত হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা একজন হতে পারবেন। তাই এখানে যাঁদের ভিন্নমত আছে, তাঁরা সেই ভিন্নমত রেখে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরও খবর পড়ুন:
পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে একটি ব্যাংক লকারের সন্ধান পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)। আজ বুধবার সকালে লকারটি জব্দ করা হয়েছে।
৩৬ মিনিট আগেগার্মেন্টস ও নির্মাণ খাতে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভনে কিরগিজস্তানে যাওয়ার পরে সেখানে কাজ না পাওয়া ও প্রতারণার শিকার হওয়া ১৮০ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিশেষ এক ফ্লাইটে দেশটির রাজধানী বিশকেক থেকে দেশে ফিরেছেন। আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোররাত সাড়ে ৩টায় এক বিশেষ ফ্লাইটে তাঁরা ঢাকার হযরত...
২ ঘণ্টা আগেচিকিৎসক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স আগের মতো সাধারণ প্রার্থীদের থেকে দুই বছর বেশি (৩৪ বছর) নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে বিভিন্ন করপোরেশন ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে পঞ্চম ও ষষ্ঠ গ্রেডসহ বিশেষায়িত কিছু পদে সরাসরি নিয়োগের বয়সসীমাও আগের মতো...
১২ ঘণ্টা আগেনেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্যদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো, নূর আলম এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৪ ঘণ্টা আগে