Ajker Patrika

একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতায় বাংলাদেশকে পাশে চায় চীন : রাষ্ট্রদূত

বাসস, ঢাকা
একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতায় বাংলাদেশকে পাশে চায় চীন : রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, উন্মুক্ত বৈশ্বিক অর্থনীতির পক্ষে কথা বলার সময় ‘একতরফা অংশের’ বিরোধিতায় ঢাকাকে পাশে চায় বেইজিং। গতকাল শনিবার রাজধানীতে একটি সিম্পোজিয়ামে তিনি বলেন, ‘আমাদের সংরক্ষণবাদিতা, দেয়াল ও অন্তরায় নির্মাণ, বিচ্ছিন্নতা, একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করা উচিত।’ কসমস ফাউন্ডেশন একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক এই সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে। 

রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশের উচিত উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে তাদের সম্পর্ককে বন্ধুত্বের একটি মডেল হিসেবে গড়ে তোলা এবং অভিন্ন ভবিষ্যতের সঙ্গে মানব সমাজ গঠনে অবদান রাখা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের উচিত সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতাকে রক্ষা করা, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৃহত্তর গণতন্ত্রকে উন্নীত করা এবং বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থাকে আরও ন্যায্য ও পক্ষপাতশূন্য করার জন্য একসঙ্গে কাজ করা। আমরা একটি উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতির পক্ষে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উদারীকরণ এবং সুবিধার প্রচারের ওপর জোর দিয়েছি। চীন ও বাংলাদেশের উচিত সহযোগিতার জন্য কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও গভীর এবং নতুন প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্র অন্বেষণ করা।

বেইজিং গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই), গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ (জিএসআই) এবং গ্লোবাল সিভিলাইজেশন ইনিশিয়েটিভ (জিসিআই) এর অধীনে সহযোগিতার সুযোগ অন্বেষণ চালিয়ে যেতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা বাংলাদেশে শিল্পের মানোন্নয়ন এবং ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার প্রচার করতে ইচ্ছুক এবং  ‘মেড ইন বাংলাদেশ’-এর মান ও প্রতিযোগিতার উন্নতি করতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, চীন সম্প্রতি প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক’ লক্ষ্য করেছে এবং বিশ্বাস করে যে এর অনেক ধারণা চীনের সঙ্গে মিল রয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন তার স্বাধীনতার পররাষ্ট্রনীতি রক্ষা করে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আরও সক্রিয় এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে বাংলাদেশকে সমর্থন করে।

রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে অটলভাবে মধ্যস্থতা করছে। তিনি বলেন, ‘এক স্থানীয় বন্ধু একবার আমাকে আন্তরিকভাবে বলেছিলেন যে অনেক লোক অনেক কথা বললেও, কেবল চীনই প্রত্যাবাসন এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাস্তবে কাজ করছে। বেইজিং বিপুল ত্যাগ স্বীকার করে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে।’

কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সিম্পোজিয়ামে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত