Ajker Patrika

যেভাবে উদ্ধার হলো মন্ত্রীর ফোন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২১, ১৫: ৪৭
যেভাবে উদ্ধার হলো মন্ত্রীর ফোন

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের চুরি যাওয়া আইফোন অবশেষে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্য একটি ফোন উদ্ধারে অভিযান চালাতে গিয়ে রাজধানীর আদাবর থেকে রোববার রাতে মন্ত্রীর ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। চার হাত ঘুরে যাঁর কাছে ফোনটি ছিল, ফোনের লক খুলে সেখানে মন্ত্রীর ছবি দেখে তিনি সেটি আর বিক্রি করেননি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান আজ সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে মন্ত্রীর ফোন উদ্ধারের আদ্যোপান্ত সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, ঢাকার রাস্তায় যাঁরা চলাচল করেন যানজটের কারণে যানবাহনগুলো শ্লথ গতিতে চলে। এর সুযোগ নিয়ে কিছু কিছু ঘটনা ঘটে। মানুষের মূল্যবান সামগ্রী সোনার গয়না, মোবাইল ছিনতাই হয়। মোবাইল ছিনতাই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাজ্জাদুর জানান, ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের মাথায় ১২ জুলাই দুজন মোটরসাইকেল আরোহী এক রিকশাযাত্রীর ভ্যানিটি ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে মো. সগির ও মো. সুমন মিয়াকে তাঁদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়। আটক দুজন জানান, মো. জাকির নামে একজনের কাছে ফোনটি বিক্রি করেছেন। পরে জাকিরকে আটক করা হয়।

জাকির পুলিশকে জানান, প্রযুক্তিতে খুব দক্ষ মো. হামিদ আহমেদ সোহাগ ওরফে আরিফের কাছে তিনি ফোনটি বিক্রি করেছেন। পরে আরিফকে গ্রেপ্তার করে সাত মসজিদ রোড থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইলের সঙ্গে একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। ওই ল্যাপটপ তল্লাশি করে সেখানে পরিকল্পনামন্ত্রীর মোবাইলের ছবি দেখতে পান পুলিশ কর্মকর্তারা।

সাজ্জাদুর বলেন, ‘তখন আমরা এটা নিয়ে কাজ করি। মন্ত্রীর মোবাইলটি কোথায় আছে জানতে চাই। আরিফ পুরো তথ্য জানাতে না পারলেও একপর্যায়ে মন্ত্রীর মোবাইলের কথা স্বীকার করে একটা ঠিকানা দেন। তাঁর দেওয়া ঠিকানা থেকে মো. জীবন নামের একজনের কাছ থেকে মন্ত্রীর মোবাইল উদ্ধার করেছি। এটা আমাদের টার্গেট ছিল না, এটা আমাদের মামলা না। একটি চক্রকে ধরতে গিয়ে মন্ত্রীর ফোনটি উদ্ধার করেছি। ঢাকার চোরাই হওয়া মোবাইলের একটি বড় অংশ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করে বিক্রি করে দেন। তবে ফোনে মন্ত্রীর ছবি দেখে সেটি আর বিক্রি করেননি কেউ।’

গাড়ির জানালা খোলা থাকায় গত ৩০ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয় সরণিতে পরিকল্পনামন্ত্রীর মোবাইল ছিনতাই হয়। মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা পিছু নিয়েও ছিনতাইকারীকে ধরতে পারেননি। এ ঘটনায় গত ১ জুন কাফরুল থানায় একটি মামলা হয়। ফোন ছিনতাইয়ের ৫০ দিন পর সেটি উদ্ধার হলো।

মন্ত্রীর মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের মিরপুর বিভাগ একজনকে আটক করেছে বলে তথ্য দিয়েও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি সাজ্জাদুর। তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তাররা ফোনগুলোর লক খুলে তা বিক্রি করে দেয়। এর আগে তারা যেসব মোবাইল বিক্রি করেছে, আমরা সেগুলো নিয়ে তদন্ত করছি। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। জীবন ও আরিফের কাছ থেকে পাওয়া ঠিকানাগুলোয় তল্লাশি চালিয়ে ১০টি ফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত