বাসস, ঢাকা
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী বালু ও মাটি রপ্তানির সুযোগ থাকলেও এত দিন এর সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া নির্ধারিত ছিল না। অবশেষে সেই প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়া চূড়ান্তকরণের মাধ্যমে এই নতুন সুযোগ তৈরি হতে চলেছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে আজ শনিবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বিষয়ে একটি অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে অনিবার্য কারণে সেটি পিছিয়ে আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১’ হালনাগাদ করার বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দীর্ঘদিনের পুরোনো হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের ভিত্তিতে দেওয়া ইজারাধীন বালুমহালগুলোর ক্ষেত্রে নতুন করে ইজারা কার্যক্রম শুরুর আগে আবার হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ সম্পন্ন করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এ ছাড়া, সূর্যাস্তের পর বালু উত্তোলন বন্ধ করা এবং অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু নিলামে বিক্রি না করে সরকারি নির্মাণকাজে ব্যবহারের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ ’-এর আওতায় জারিকৃত ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১’ হালনাগাদ করার বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তারা খসড়া বিধিমালাটি চূড়ান্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের মতামত নিচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, বাংলাদেশ থেকে বালু ও মাটি রপ্তানির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে রপ্তানির বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও রপ্তানির পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল না। সেখানে বলা হয়েছিল, বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এটি নির্ধারণ করা হবে। তবে ২০১১ সালে প্রণীত বিধিমালাতেও বিষয়টি অনুপস্থিত ছিল। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন বিধিমালায় অবশেষে সেই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
দেশের প্রধান নদী যেমন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় বর্তমানে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। বালুর চরের কারণে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে যেতে বসেছে। প্রতি বছর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলো সচল রাখতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। এই প্রেক্ষাপটে, নদীগুলোর অতিরিক্ত বালু রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশ এ বিষয়ে আগ্রহও দেখিয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সূত্র আরও জানায়, বিগত সময়ে সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে বালু আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। তবে পরবর্তীতে সেই উদ্যোগগুলো আলোর মুখ দেখেনি। খসড়া বিধিমালায় বালু বা মাটি রপ্তানির বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সরকারের সময়ে প্রণীত রপ্তানি নীতি ও আদেশে বালু ও মাটি রপ্তানির বিধান থাকা সাপেক্ষে বাংলাদেশ থেকে বালু বা মাটি বিদেশে রপ্তানির প্রতিটি প্রস্তাব ভূমি মন্ত্রণালয় এই বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
নতুন বিধিতে আরও বলা হয়েছে, নদীর কোনো ডুবোচর বা চর যেখানে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ অনুযায়ী উত্তোলনযোগ্য বালু বা মাটি বিদ্যমান এবং সেই স্থান থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করলে পরিবেশ, প্রতিবেশ, নদী ভাঙন, নদীর গতিপথের পরিবর্তন বা সরকারি কোনো স্থাপনার ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে, সে ক্ষেত্রে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার ইতিবাচক মতামত থাকতে হবে। কেবল সেসব স্থান থেকেই বালু বা মাটি উত্তোলন করে বিদেশে রপ্তানির জন্য আবেদন করা যাবে।
বালু বা মাটি রপ্তানিতে আগ্রহী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেশের আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ফরমে আবেদন দাখিল করতে হবে। সেই আবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে, ভূমি মন্ত্রণালয় কেবল তখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে খসড়া বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আবেদন পাওয়ার পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রাথমিকভাবে তা যাচাই-বাছাই করবে। আবেদনটি যথাযথ বিবেচিত হলে, পরীক্ষা করে সুপারিশ ও মতামত দেওয়ার জন্য তা সুপারিশ প্রেরণ কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হবে। এই নতুন নীতিমালা দেশের অর্থনীতিতে একটি নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী বালু ও মাটি রপ্তানির সুযোগ থাকলেও এত দিন এর সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া নির্ধারিত ছিল না। অবশেষে সেই প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়া চূড়ান্তকরণের মাধ্যমে এই নতুন সুযোগ তৈরি হতে চলেছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে আজ শনিবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বিষয়ে একটি অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে অনিবার্য কারণে সেটি পিছিয়ে আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১’ হালনাগাদ করার বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দীর্ঘদিনের পুরোনো হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের ভিত্তিতে দেওয়া ইজারাধীন বালুমহালগুলোর ক্ষেত্রে নতুন করে ইজারা কার্যক্রম শুরুর আগে আবার হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ সম্পন্ন করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এ ছাড়া, সূর্যাস্তের পর বালু উত্তোলন বন্ধ করা এবং অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু নিলামে বিক্রি না করে সরকারি নির্মাণকাজে ব্যবহারের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ ’-এর আওতায় জারিকৃত ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১১’ হালনাগাদ করার বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তারা খসড়া বিধিমালাটি চূড়ান্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের মতামত নিচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, বাংলাদেশ থেকে বালু ও মাটি রপ্তানির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে রপ্তানির বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও রপ্তানির পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল না। সেখানে বলা হয়েছিল, বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এটি নির্ধারণ করা হবে। তবে ২০১১ সালে প্রণীত বিধিমালাতেও বিষয়টি অনুপস্থিত ছিল। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন বিধিমালায় অবশেষে সেই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
দেশের প্রধান নদী যেমন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় বর্তমানে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। বালুর চরের কারণে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে যেতে বসেছে। প্রতি বছর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলো সচল রাখতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। এই প্রেক্ষাপটে, নদীগুলোর অতিরিক্ত বালু রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশ এ বিষয়ে আগ্রহও দেখিয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সূত্র আরও জানায়, বিগত সময়ে সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে বালু আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। তবে পরবর্তীতে সেই উদ্যোগগুলো আলোর মুখ দেখেনি। খসড়া বিধিমালায় বালু বা মাটি রপ্তানির বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সরকারের সময়ে প্রণীত রপ্তানি নীতি ও আদেশে বালু ও মাটি রপ্তানির বিধান থাকা সাপেক্ষে বাংলাদেশ থেকে বালু বা মাটি বিদেশে রপ্তানির প্রতিটি প্রস্তাব ভূমি মন্ত্রণালয় এই বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
নতুন বিধিতে আরও বলা হয়েছে, নদীর কোনো ডুবোচর বা চর যেখানে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ অনুযায়ী উত্তোলনযোগ্য বালু বা মাটি বিদ্যমান এবং সেই স্থান থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করলে পরিবেশ, প্রতিবেশ, নদী ভাঙন, নদীর গতিপথের পরিবর্তন বা সরকারি কোনো স্থাপনার ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে, সে ক্ষেত্রে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার ইতিবাচক মতামত থাকতে হবে। কেবল সেসব স্থান থেকেই বালু বা মাটি উত্তোলন করে বিদেশে রপ্তানির জন্য আবেদন করা যাবে।
বালু বা মাটি রপ্তানিতে আগ্রহী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেশের আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে নির্ধারিত ফরমে আবেদন দাখিল করতে হবে। সেই আবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে, ভূমি মন্ত্রণালয় কেবল তখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে খসড়া বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আবেদন পাওয়ার পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রাথমিকভাবে তা যাচাই-বাছাই করবে। আবেদনটি যথাযথ বিবেচিত হলে, পরীক্ষা করে সুপারিশ ও মতামত দেওয়ার জন্য তা সুপারিশ প্রেরণ কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হবে। এই নতুন নীতিমালা দেশের অর্থনীতিতে একটি নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি, সংসদীয় আসন কিশোরগঞ্জ-৬ এর সাবেক সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনের দুর্নীতির অনুসন্ধানে শুরু করে বিসিবি। তার ধারাবাহিকতায় বিসিবিতে ২৭ ধরনের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠায় সংস্থাটি
৪ ঘণ্টা আগেপবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটির কারণে কর্ম ঘণ্টা পুষিয়ে নিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও আজ ১৭ মে দেশের সব সরকারি অফিস খোলা রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেধর্ষণ মামলার বিচার ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার ধারণাটি নিঃসন্দেহে একটি সাহসী পদক্ষেপ। দ্রুত বিচার ভুক্তভোগীদের দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং অপরাধীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করবে। এর ফলে সমাজে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ কমতে পারে এবং আইনি ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা বাড়বে।
৬ ঘণ্টা আগেসব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কাজে কর্মরতদের পদ-পদবি ও বেতন স্কেল একসময় একই ছিল। তিন দশক আগে সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম বদলে দিয়ে তাঁদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার। পরে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের এভাবে সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা ‘প্রভাবশালী’ ওই তিন
১৪ ঘণ্টা আগে