নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজনৈতিকভাবে সমঝোতা হলে সব আসনে ব্যালটে ভোট গ্রহণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ে নিজ দপ্তরে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এর আগে মঙ্গলবার ৩৯ বিশিষ্ট নাগরিক ইভিএমে ভোট গ্রহণ অযৌক্তিক জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন। তারই প্রতিক্রিয়ায় সিইসি বুধবার এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়াই নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ভোট গ্রহণে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে কোনো সংকট দেখছি না। রাজনৈতিক অঙ্গনে যে সংকট দেখছি তা ইভিএম নিয়ে নয়, আরও মোটাদাগের সংকট। আমরা আশা করি এই সংকট কেটে যাবে। যদি ফয়সালা হয়, সব ভোট ব্যালটে হবে। রাজনৈতিকভাবে শতভাগ সমঝোতা যদি হয় অসুবিধা নেই। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
সিইসির মতে, ‘ব্যালট পেপারে নির্বাচন হলে যদি কারচুপি হয়, তারপরও কেউ মামলা করে জয়ী হয়ে সংসদে আসতে পারবেন না।’ গত ৫০ বছরে এমনটি তিনি দেখেননি বলেও জানান।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটার ভেরিফায়বল পেপার অডিট ইউনিট (ভিভিপিএটি) দিয়ে কে কাকে ভোট দিল জানা যায়, যেটা ভারতের ইভিএমে আছে। ভারতের যত নির্বাচন হয়েছে, ওই পেপার ট্রেইল দিয়ে হেরে যাওয়ার পর কেউ এমপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন, এমন নজির নেই।’
সিইসি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ব্যালটে নির্বাচন হয়েছে গত ৫০ বছরে, আদালতে মামলা করে পুনর্গণনার পর সংসদে এসেছেন এই তথ্য আছে কি না? যদি না থাকে, তাহলে এই একটা জিনিস নিয়ে আপনারা এত উঠেপড়ে লাগলেন কেন? বিগত ৫০ বছরে কোনো নির্বাচনে দেখা গেছে কী? আমাদের দেশে কারচুপি হয়, তাহলে মামলার পর কেউ তো জয়ী হয়ে আসেনি। কাজেই নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে করাটাই বড় কথা।’
সিইসি জানান, ভারত বায়োমেট্রিক দিতে পারেনি বাংলাদেশের ইভিএমের মতো। ইউরোপের কথা বলা হচ্ছে। সেটা কাজী হাবিবুল আউয়ালের জানা নেই কেন তারা ইভিএম তুলে দিয়েছে। তিনি আরও মনে করেন, ইউরোপে সভ্যতা ও নিয়মতান্ত্রিকতা এমন একটা পর্যায়ে এসেছে যে ইভিএম হলেই কি আর ব্যালট হলেই কি।
সিইসি অধ্যাপক জাফর ইকবালের মন্তব্য টেনে বলেন, ‘অনেকেই বলছেন যে, এটা দুর্বল যন্ত্র। যন্ত্র দুর্বল কী সবল, এটা আমার বিবেচনা করার বিষয় নয়। সবল হওয়ারও দরকার নেই, দুর্বল হওয়ারও দরকার নেই। যন্ত্র কাজ করছে কি না, এটাই আসল বিষয়।’
দেশে হাজার হাজার নির্বাচনে ইভিএম কোনো সমস্যা করেনি জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘ডিজিটাল জালিয়াতি সম্ভব, এই কথা তো প্রথম দিন থেকেই বলা হচ্ছে, ডিজিটাল জালিয়াতি হবে, এটা ভোট চুরির মেশিন। আমরা এটা নিরসন করার জন্য প্রচুর সময় নিয়েছি। সব দলকে প্রযুক্তিবিদ নিয়ে এসে যাচাই করে দেখতে বলেছি। কিন্তু ডিজিটাল জালিয়াতি যে সম্ভব, এর পক্ষে আমরা কোনো প্রমাণ পাইনি। দলগুলো যদি নির্দিষ্ট করে না বলতে পারে, কীভাবে জালিয়াতি সম্ভব, কেউ যদি বলতে না পারে, দেখাতে না পারে, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাচ্ছি ডিজিটাল জালিয়াতি সম্ভব নয়।’
সিইসি বলেন, ‘ইভিএমের পক্ষে যাঁরা বলেছেন, তাঁরা একেবারেই কম নয়। আমরা তাঁদের ভোটাভুটির জন্য ডাকিনি, মতামতের জন্য ডেকেছিলাম। আমরা সুবিধাগুলো তুলে ধরেছি। কারচুপি ও সহিংসতা নিঃসন্দেহে কমে যাবে। আমরা স্টাডি করেছি, ওখানে আমার ভোট আপনি, আপনার ভোট আমি দিতে পারব না। ওখানে জোরাজুরি, সহিংসতা অনেকখানি কমে যাবে।’
রাজনৈতিকভাবে সমঝোতা হলে সব আসনে ব্যালটে ভোট গ্রহণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ে নিজ দপ্তরে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এর আগে মঙ্গলবার ৩৯ বিশিষ্ট নাগরিক ইভিএমে ভোট গ্রহণ অযৌক্তিক জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন। তারই প্রতিক্রিয়ায় সিইসি বুধবার এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়াই নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ভোট গ্রহণে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে কোনো সংকট দেখছি না। রাজনৈতিক অঙ্গনে যে সংকট দেখছি তা ইভিএম নিয়ে নয়, আরও মোটাদাগের সংকট। আমরা আশা করি এই সংকট কেটে যাবে। যদি ফয়সালা হয়, সব ভোট ব্যালটে হবে। রাজনৈতিকভাবে শতভাগ সমঝোতা যদি হয় অসুবিধা নেই। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
সিইসির মতে, ‘ব্যালট পেপারে নির্বাচন হলে যদি কারচুপি হয়, তারপরও কেউ মামলা করে জয়ী হয়ে সংসদে আসতে পারবেন না।’ গত ৫০ বছরে এমনটি তিনি দেখেননি বলেও জানান।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটার ভেরিফায়বল পেপার অডিট ইউনিট (ভিভিপিএটি) দিয়ে কে কাকে ভোট দিল জানা যায়, যেটা ভারতের ইভিএমে আছে। ভারতের যত নির্বাচন হয়েছে, ওই পেপার ট্রেইল দিয়ে হেরে যাওয়ার পর কেউ এমপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন, এমন নজির নেই।’
সিইসি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ব্যালটে নির্বাচন হয়েছে গত ৫০ বছরে, আদালতে মামলা করে পুনর্গণনার পর সংসদে এসেছেন এই তথ্য আছে কি না? যদি না থাকে, তাহলে এই একটা জিনিস নিয়ে আপনারা এত উঠেপড়ে লাগলেন কেন? বিগত ৫০ বছরে কোনো নির্বাচনে দেখা গেছে কী? আমাদের দেশে কারচুপি হয়, তাহলে মামলার পর কেউ তো জয়ী হয়ে আসেনি। কাজেই নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে করাটাই বড় কথা।’
সিইসি জানান, ভারত বায়োমেট্রিক দিতে পারেনি বাংলাদেশের ইভিএমের মতো। ইউরোপের কথা বলা হচ্ছে। সেটা কাজী হাবিবুল আউয়ালের জানা নেই কেন তারা ইভিএম তুলে দিয়েছে। তিনি আরও মনে করেন, ইউরোপে সভ্যতা ও নিয়মতান্ত্রিকতা এমন একটা পর্যায়ে এসেছে যে ইভিএম হলেই কি আর ব্যালট হলেই কি।
সিইসি অধ্যাপক জাফর ইকবালের মন্তব্য টেনে বলেন, ‘অনেকেই বলছেন যে, এটা দুর্বল যন্ত্র। যন্ত্র দুর্বল কী সবল, এটা আমার বিবেচনা করার বিষয় নয়। সবল হওয়ারও দরকার নেই, দুর্বল হওয়ারও দরকার নেই। যন্ত্র কাজ করছে কি না, এটাই আসল বিষয়।’
দেশে হাজার হাজার নির্বাচনে ইভিএম কোনো সমস্যা করেনি জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘ডিজিটাল জালিয়াতি সম্ভব, এই কথা তো প্রথম দিন থেকেই বলা হচ্ছে, ডিজিটাল জালিয়াতি হবে, এটা ভোট চুরির মেশিন। আমরা এটা নিরসন করার জন্য প্রচুর সময় নিয়েছি। সব দলকে প্রযুক্তিবিদ নিয়ে এসে যাচাই করে দেখতে বলেছি। কিন্তু ডিজিটাল জালিয়াতি যে সম্ভব, এর পক্ষে আমরা কোনো প্রমাণ পাইনি। দলগুলো যদি নির্দিষ্ট করে না বলতে পারে, কীভাবে জালিয়াতি সম্ভব, কেউ যদি বলতে না পারে, দেখাতে না পারে, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাচ্ছি ডিজিটাল জালিয়াতি সম্ভব নয়।’
সিইসি বলেন, ‘ইভিএমের পক্ষে যাঁরা বলেছেন, তাঁরা একেবারেই কম নয়। আমরা তাঁদের ভোটাভুটির জন্য ডাকিনি, মতামতের জন্য ডেকেছিলাম। আমরা সুবিধাগুলো তুলে ধরেছি। কারচুপি ও সহিংসতা নিঃসন্দেহে কমে যাবে। আমরা স্টাডি করেছি, ওখানে আমার ভোট আপনি, আপনার ভোট আমি দিতে পারব না। ওখানে জোরাজুরি, সহিংসতা অনেকখানি কমে যাবে।’
জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে আনা ৫টি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
১৩ ঘণ্টা আগেআগামী ৫ দিন পর্যন্ত গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বাড়তে পারে, তবে বিপদসীমার নীচ দিয়ে তা প্রবাহিত হতে পারে। আজ শনিবার গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বাড়ছে ।
১৪ ঘণ্টা আগেছবিতে দেখা যায়, সেনাপ্রধান ও তাঁর স্ত্রী সারাহনাজ কমলিকা রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও বঙ্গবভনের কর্মকর্তারা। তাঁরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে করমর্দন ও উষ্ণ আলিঙ্গন করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেস্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) তাঁর মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
১৫ ঘণ্টা আগে