আশিকুর রিমেল, ঢাকা
‘গণ-অভ্যুত্থান’ আমার কাছে নবজন্ম। যেমন ভেজা–নরম মাটির গভীর থেকে বীজের শরীর চিড়ে বেরিয়ে আসা একঝাঁক নাজুক চারার প্রথম সূর্য দর্শন। বুকে তাদের সোনালি ফসলের স্বপ্ন। গণ-অভ্যুত্থান না দেখা আমার কাছে অনুভূতিটা এমনই।
আমাদের কাছে গণ-অভ্যুত্থান বলতেই উনসত্তর। আমরা যারা সে সময়ের সাক্ষী নই; ইতিহাসের পাতাই যাদের সম্বল, তারা জেনেছি, দেশভাগের পরই প্রথম আঘাতটি আসে ভাষার ওপর। এরপর থেকে সেই যে অবহেলা, বঞ্চনার শুরু, সেটা শেষ হলো ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে।
ইতিহাস বলে, বাঙালির অধিকারের সুস্পষ্ট লিখিত দাবি ১৯৬৬ সালের ৬ দফা। পরে ১৯৬৯, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা দাবি আরও পূর্ণতা দেয়।
১৭ জানুয়ারি দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দিলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ২০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা আসাদ নিহত হলে আন্দোলন আরও তীব্র হয়। প্রাপ্য অধিকারের বদলে খুন! এ দেশের আবাল বৃদ্ধ বনিতার হৃৎস্পন্দন এক হলো। ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আরও স্পষ্ট হয় ২৪ জানুয়ারি।
বছর ঘুরে দিনটি এলেই আমি চোখ বন্ধ করে নিজের মতো ছবি আঁকি: ব্যস্ত সড়ক, টং দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় শপিং কমপ্লেক্সগুলো রঙিন আলোকসজ্জায় সজ্জিত। যত দূর চোখ যায়, কর্মচঞ্চল, উদাস অথবা শান্ত দুপুরে অলস মানুষগুলোর মস্তিষ্কে বুদ্বুদের ঐকতান। দেয়াল পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষগুলোর অস্তিত্বে টান দিয়েছে কোনো দানব।
হঠাৎ কোত্থেকে কানাঘুষা শুরু হলো, ধীরে ধীরে চড়ছে হাজারো গলার অস্ফুট স্বর, থেমে যাচ্ছে গাড়ি, সশব্দে নেমে যাচ্ছে দোকানগুলোর শাটার, ছন্দ পেতে শুরু করেছে এলোমেলো স্বরগুলো, ক্রমে জোরালো হচ্ছে, ধীরে ধীরে যূথবদ্ধ হচ্ছে মানুষ, বিক্ষিপ্ত আওয়াজগুলো হয়ে উঠছে কোরাস, তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে...একটা অভ্যুত্থান!
‘অগ্ন্যুৎপাত’ শব্দটার একটা দৃশ্যপট ভেসে। মূলত গলিত শিলার বিস্ফোরণ। সহজ করে বললে, সাধারণত প্রথমে মাটি বা পাথরের গভীর তল থেকে ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসা বিশাল গনগনে কুণ্ডলী। অগ্ন্যুৎপাত আমাদের এই ভূমিতে পরিচিত নয়। কিন্তু অভ্যুত্থান! অভ্যুত্থান আমাকে বাংলাদেশের জন্ম প্রক্রিয়া বলে দেয়।
ইতিহাস বলে ১৯৬৯–এর ২৪ জানুয়ারিও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর দমন–পীড়ন ও সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করেছিল সংগ্রামী জনতা। মিছিলে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। সেদিনও ঢাকায় নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান ও রুস্তমের রক্ত ঝরল। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গেটে শিক্ষক ড. সামসুজ্জোহাসহ ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ৩০ লাখ শহীদ। অতঃপর বাংলাদেশের অভ্যুদয়।
‘গণ-অভ্যুত্থান’ আমার কাছে নবজন্ম। যেমন ভেজা–নরম মাটির গভীর থেকে বীজের শরীর চিড়ে বেরিয়ে আসা একঝাঁক নাজুক চারার প্রথম সূর্য দর্শন। বুকে তাদের সোনালি ফসলের স্বপ্ন। গণ-অভ্যুত্থান না দেখা আমার কাছে অনুভূতিটা এমনই।
আমাদের কাছে গণ-অভ্যুত্থান বলতেই উনসত্তর। আমরা যারা সে সময়ের সাক্ষী নই; ইতিহাসের পাতাই যাদের সম্বল, তারা জেনেছি, দেশভাগের পরই প্রথম আঘাতটি আসে ভাষার ওপর। এরপর থেকে সেই যে অবহেলা, বঞ্চনার শুরু, সেটা শেষ হলো ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে।
ইতিহাস বলে, বাঙালির অধিকারের সুস্পষ্ট লিখিত দাবি ১৯৬৬ সালের ৬ দফা। পরে ১৯৬৯, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা দাবি আরও পূর্ণতা দেয়।
১৭ জানুয়ারি দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দিলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ২০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা আসাদ নিহত হলে আন্দোলন আরও তীব্র হয়। প্রাপ্য অধিকারের বদলে খুন! এ দেশের আবাল বৃদ্ধ বনিতার হৃৎস্পন্দন এক হলো। ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আরও স্পষ্ট হয় ২৪ জানুয়ারি।
বছর ঘুরে দিনটি এলেই আমি চোখ বন্ধ করে নিজের মতো ছবি আঁকি: ব্যস্ত সড়ক, টং দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় শপিং কমপ্লেক্সগুলো রঙিন আলোকসজ্জায় সজ্জিত। যত দূর চোখ যায়, কর্মচঞ্চল, উদাস অথবা শান্ত দুপুরে অলস মানুষগুলোর মস্তিষ্কে বুদ্বুদের ঐকতান। দেয়াল পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষগুলোর অস্তিত্বে টান দিয়েছে কোনো দানব।
হঠাৎ কোত্থেকে কানাঘুষা শুরু হলো, ধীরে ধীরে চড়ছে হাজারো গলার অস্ফুট স্বর, থেমে যাচ্ছে গাড়ি, সশব্দে নেমে যাচ্ছে দোকানগুলোর শাটার, ছন্দ পেতে শুরু করেছে এলোমেলো স্বরগুলো, ক্রমে জোরালো হচ্ছে, ধীরে ধীরে যূথবদ্ধ হচ্ছে মানুষ, বিক্ষিপ্ত আওয়াজগুলো হয়ে উঠছে কোরাস, তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে...একটা অভ্যুত্থান!
‘অগ্ন্যুৎপাত’ শব্দটার একটা দৃশ্যপট ভেসে। মূলত গলিত শিলার বিস্ফোরণ। সহজ করে বললে, সাধারণত প্রথমে মাটি বা পাথরের গভীর তল থেকে ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসা বিশাল গনগনে কুণ্ডলী। অগ্ন্যুৎপাত আমাদের এই ভূমিতে পরিচিত নয়। কিন্তু অভ্যুত্থান! অভ্যুত্থান আমাকে বাংলাদেশের জন্ম প্রক্রিয়া বলে দেয়।
ইতিহাস বলে ১৯৬৯–এর ২৪ জানুয়ারিও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর দমন–পীড়ন ও সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করেছিল সংগ্রামী জনতা। মিছিলে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। সেদিনও ঢাকায় নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান ও রুস্তমের রক্ত ঝরল। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গেটে শিক্ষক ড. সামসুজ্জোহাসহ ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ৩০ লাখ শহীদ। অতঃপর বাংলাদেশের অভ্যুদয়।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৬ মে থেকে দূরপাল্লার বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবেন বাসমালিকেরা। ২৯ মে থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত যাত্রার টিকিট এই অগ্রিম বিক্রির আওতায় থাকবে। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২১ মিনিট আগেআগামী সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ধাপের সংলাপ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করে আলী রীয়াজ বলেন, শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ হবে এবং দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করবে কমিশন।
২৩ মিনিট আগেআওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর অনলাইন কার্যক্রম বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব সংগঠনের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি দিয়েছে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি।
৩০ মিনিট আগেক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি. লিট ডিগ্রি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে...
১ ঘণ্টা আগে