ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার যে গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে, তাতে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে এই অবস্থান ব্যক্ত করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
চিঠিতে আন্তোনিও গুতেরেস জানান, প্রধান উপদেষ্টা গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকারের জন্য নিযুক্ত হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমানের মাধ্যমে যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তা তিনি ৭ ফেব্রুয়ারি হাতে পেয়েছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব চিঠিতে বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সংহতি ও আপনার নেতৃত্বে চলমান রূপান্তর প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে চাই।’
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের ফলে বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলে সৃষ্ট প্রভাব এবং রাখাইনে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট সম্পর্কে আপনার উদ্বেগের সঙ্গে আমি একমত। রোহিঙ্গাদের আতিথ্য প্রদানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় করতে থাকবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব নিজে এ বিষয়ে তাঁর সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা জারি রাখবেন জানিয়ে বলেন, ‘আমি আমার সৎ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব, যার অংশ হিসেবে মিয়ানমারের ইউনিয়ন প্রজাতন্ত্রবিষয়ক আমার বিশেষ দূতের মাধ্যমে আঞ্চলিক অংশীদার, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন (আসিয়ান) এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব। যেন মিয়ানমারের সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব হয় এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি, যেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমগুলোকে যথাযথ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। যাতে রাখাইনে মানবিক সহায়তা ও জীবিকার উন্নয়নে সর্বোচ্চ কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া যায়। জাতিসংঘ এ বিষয়ে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সম্পৃক্ত থাকবে, যার মধ্যে রয়েছে জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী এবং মিয়ানমারে জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারী (অস্থায়ী) কর্তৃক উদ্যোগ নেওয়া। যেন রাখাইনসহ মিয়ানমারের সব দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জন্য নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই ও বাধাহীন মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা যায়।’
রোহিঙ্গাসংকট নিরসন প্রসঙ্গে চিঠিতে গুতেরেস আরও লেখেন, ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন নতুন করে বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণ এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্য বহুমুখী সমাধান বিকাশে সহায়ক হবে বলে আমি আশাবাদী। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে সম্মেলনের নির্ধারিত ফলাফল ও পরিকল্পনার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি, যাতে জাতিসংঘ পদ্ধতি কীভাবে এ প্রক্রিয়াকে সর্বোত্তমভাবে সহায়তা করতে পারে তা নির্ধারণ করা যায়।’
চিঠিতে গুতেরেস আসন্ন মার্চে তাঁর বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গে বলেন, ‘আগামী মার্চে পবিত্র রমজান মাসে আমার বাংলাদেশ সফরের সময় আমাদের আলোচনা আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশায় আছি। অনুগ্রহ করে আমার সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা গ্রহণ করুন।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার যে গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে, তাতে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে এই অবস্থান ব্যক্ত করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
চিঠিতে আন্তোনিও গুতেরেস জানান, প্রধান উপদেষ্টা গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকারের জন্য নিযুক্ত হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমানের মাধ্যমে যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তা তিনি ৭ ফেব্রুয়ারি হাতে পেয়েছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব চিঠিতে বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সংহতি ও আপনার নেতৃত্বে চলমান রূপান্তর প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে চাই।’
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের ফলে বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলে সৃষ্ট প্রভাব এবং রাখাইনে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট সম্পর্কে আপনার উদ্বেগের সঙ্গে আমি একমত। রোহিঙ্গাদের আতিথ্য প্রদানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় করতে থাকবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব নিজে এ বিষয়ে তাঁর সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা জারি রাখবেন জানিয়ে বলেন, ‘আমি আমার সৎ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব, যার অংশ হিসেবে মিয়ানমারের ইউনিয়ন প্রজাতন্ত্রবিষয়ক আমার বিশেষ দূতের মাধ্যমে আঞ্চলিক অংশীদার, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন (আসিয়ান) এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব। যেন মিয়ানমারের সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব হয় এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি, যেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমগুলোকে যথাযথ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। যাতে রাখাইনে মানবিক সহায়তা ও জীবিকার উন্নয়নে সর্বোচ্চ কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া যায়। জাতিসংঘ এ বিষয়ে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সম্পৃক্ত থাকবে, যার মধ্যে রয়েছে জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী এবং মিয়ানমারে জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারী (অস্থায়ী) কর্তৃক উদ্যোগ নেওয়া। যেন রাখাইনসহ মিয়ানমারের সব দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জন্য নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই ও বাধাহীন মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা যায়।’
রোহিঙ্গাসংকট নিরসন প্রসঙ্গে চিঠিতে গুতেরেস আরও লেখেন, ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন নতুন করে বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণ এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্য বহুমুখী সমাধান বিকাশে সহায়ক হবে বলে আমি আশাবাদী। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে সম্মেলনের নির্ধারিত ফলাফল ও পরিকল্পনার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি, যাতে জাতিসংঘ পদ্ধতি কীভাবে এ প্রক্রিয়াকে সর্বোত্তমভাবে সহায়তা করতে পারে তা নির্ধারণ করা যায়।’
চিঠিতে গুতেরেস আসন্ন মার্চে তাঁর বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গে বলেন, ‘আগামী মার্চে পবিত্র রমজান মাসে আমার বাংলাদেশ সফরের সময় আমাদের আলোচনা আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশায় আছি। অনুগ্রহ করে আমার সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা গ্রহণ করুন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচারকাজ শেষে রায় ঘোষণা হতে পারে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই। একই সময়ে আরও কয়েকটি মামলার বিচারকাজ শেষ হতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেচিকিৎসক নিয়োগে ৪৮ তম বিশেষ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫ হাজার ২০৬ জন। এর মধ্যে সহকারী সার্জন ৪ হাজার ৬৯৫ জন, আর ডেন্টাল সার্জন ৫১১ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযো
৩ ঘণ্টা আগেনির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বাছাইয়ে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দলের) এবং সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি করা হবে। ওই কমিটি একজনকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে চূড়ান্ত করবে এবং রাষ্ট্রপতি তাঁকেই প্রধান উপদেষ্টা
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদ্যোগে এবং মহাপরিচালকের নির্দেশনায় ঢাকা মহানগরের আওতাধীন চারটি জোনের নিম্ন আয়ের বসতি এলাকায় নগর প্রতিরক্ষা দল (টিডিপি) মৌলিক প্রশিক্ষণের প্রথম ধাপ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে