নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এই অবস্থায় চূড়ান্ত বাজেটে তা বাদ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বলছি না যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে খুব ভালো কিছু করেছি। সমাজে যদি এটা নিয়ে আপত্তি থাকে, আমরা অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। আগের দিন সোমবার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা দাবি করেন, তাঁর দেওয়া বাজেট বিপ্লবী না হলেও শতভাগ বাস্তবায়নযোগ্য। মূল্যস্ফীতি কমাতে নেওয়া উদ্যোগে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বৈষম্য হ্রাসে প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো হয়েছে। করারোপে সবাইকে খুশি রাখা সম্ভব নয়, তবে সরকার বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান তিনি। তাঁর ভাষায়, ‘এক বাজেটে সব করা সম্ভব নয়, যতটা পারি করব; বাকিটা নতুন সরকারের জন্য পদচিহ্ন রেখে যাব।’
৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার উচ্চ রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া বাজেটে বাড়তি করারোপ ও করছাড় হ্রাসের মতো সাহসী পদক্ষেপ নেন অর্থ উপদেষ্টা। বাজেট ঘোষণার পরপরই এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এসব প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবং বাজেটের পক্ষে সরকারের ব্যাখ্যা দিতে সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন অর্থ উপদেষ্টা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন; বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, অর্থসচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসিনি, দায়িত্ব নিয়েছি; তা-ও দেশের এক ক্রান্তিকালে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে বলেছিলেন দেশ যেন আইসিইউতে ছিল, অর্থনীতি খাদের কিনারে পৌঁছেছিল, বিশেষ করে আর্থিক ব্যবস্থাপনায়। সেই অবস্থায় আমরা দায়িত্ব না নিলে কী হতো, বলা কঠিন। তবে সবাই মিলে এখন অন্তত একটি স্থিতিশীল অবস্থানে আনতে পেরেছি।’
সম্পদ সীমিত, চাহিদা বিপুল। বৈশ্বিক চাপ, ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের দুর্বলতা, আইনশৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ—সব মিলিয়ে এক বিশৃঙ্খল প্রেক্ষাপটে কাজ করতে হচ্ছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এই বাস্তবতায় আমরা কিছু সংস্কার শুরু করেছি। যতটা সম্ভব বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এত দিন প্রবৃদ্ধির নানা বয়ান শুনেছেন, কিন্তু সেই প্রবৃদ্ধির সুফল কে পেয়েছে? এবার আমরা চেয়েছি মানুষের জীবনমান, ক্রয়ক্ষমতা এবং ব্যবসার গতিশীলতা—এসব বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে বাজেট সাজাতে।’
জনগণের চাহিদা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উদ্যোগ এবং এনবিআর সংস্কার চলছে। এ কথা জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে করছি, এটি একটি জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব বাজেট। কেউ কেউ বলেছেন, আমরা আগের ধারা অনুসরণ করেছি; কিন্তু হঠাৎ করে বিপ্লবী কোনো বাজেট দিয়ে বড় রাজস্ব এনে ফেলা সম্ভব নয়। তাই কিছু পুরোনো পথ অনুসরণ করেই এগোচ্ছি।’
কালোটাকা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত
প্রশ্নোত্তর পর্বে অর্থ উপদেষ্টার কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান—যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান ও স্বচ্ছ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে কালোটাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখা সেই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ? এর জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এটা আসলে কালোটাকা নয়, বরং অপ্রদর্শিত অর্থ। কোনো কারণে কারও যদি এমন অর্থ থেকে থাকে, সেটিকে বৈধ করতে ৫ গুণ জরিমানা দিয়ে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে।’
তবে এই ব্যবস্থায় আপত্তি থাকলে চূড়ান্ত বাজেটে তা বাদ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনা হবে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি না যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে খুব ভালো কিছু করেছি। সমাজে যদি এটা নিয়ে আপত্তি থাকে, আমরা অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখলেও তা সীমিত পরিসরে এবং কঠোর শর্তে দেওয়া হয়েছে। ফ্ল্যাট বা জমি কেনার ক্ষেত্রে নির্ধারিত হারে অতিরিক্ত কর দিলে এনবিআর তা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে না। তবে অন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো চাইলে ওই আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবে।
দাম বাড়ার বাস্তবতা এবং বাজেট-বাজার সম্পর্ক
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাজেট ঘোষণার পর সবকিছুর দাম কমে যাবে, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। বিশ্বের যেকোনো দেশেই বাজেটের পরে পণ্যের দাম বাড়ে বা কমে। তবে আমি বলছি না, দাম বাড়া ভালো।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বহুমুখী উদ্যোগ
ফাওজুল কবির খান জানান, মূল্যস্ফীতি কমাতে জ্বালানির দাম কমানো হয়েছে। এলপিজির দাম কমেছে, জ্বালানি তেলের দামেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সড়ক পরিবহনে চাঁদাবাজি রোধেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজকেই (গতকাল) একটি বাস কোম্পানি ঈদের বাড়ি ফেরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছিল। আমরা তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্ট পাঠিয়ে জরিমানা করেছি।’
কৃষি উপদেষ্টা জানান, সবজির অফ সিজনে সরবরাহ ঠিক রাখতে ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ১০০টি কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ করছে। এতে শীত ও গ্রীষ্মের মাঝামাঝি আলু, পেঁয়াজসহ মৌসুমি সবজির দাম স্থিতিশীল থাকবে।
তবে কৃষকের প্রাপ্য অধিকার নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভোক্তার স্বার্থ নিয়ে যতটা কথা বলা হয়, কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিয়ে ততটা বলা হয় না। তবু সামগ্রিকভাবে ঈদ ও রোজার বাজার বিশ্লেষণ করলে তিনি বর্তমান বাজার পরিস্থিতিকে ‘স্বস্তিদায়ক’ বলে অভিহিত করেন।
বাজেটের দুর্বল দিক নিয়ে খোলামেলা স্বীকারোক্তি
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্পদ যদি আরও বেশি পেতাম, কর-ভ্যাট ফাঁকি না থাকত, রাজস্ব আদায় বাড়ানো যেত, দুর্নীতি না হতো, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে পারতাম; তাহলে আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংকের কাছে বাজেট সাপোর্ট চাইতে হতো না। সেই অর্থ দিয়েই বাজেট বাস্তবায়ন করা যেত। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমরা সেটি পারিনি। যাঁরা টাকা পাচার করেন, তাঁরা খুবই চতুর। তাঁদের অর্থ ফেরত আনা সহজ কাজ নয়।’
তবে অর্থ উপদেষ্টা জানান, দ্রুত অর্থ ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে ১২টি মামলা করা হয়েছে এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এসব মামলার মাধ্যমে অর্থ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
আমানতের নিরাপত্তা ও ব্যাংক খাতের বাস্তবতা
ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলা ও বেশি মাত্রার ঋণ গ্রহণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আশ্বস্ত করেন, আমানতকারীদের অর্থ কখনোই খেয়ানত হবে না। তবে তিনি একই সঙ্গে ব্যাংক খাতের গভীর অসংগতির চিত্রও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই, যেখানে ডাকাতি করে গ্রাহকের টাকার ৭০ শতাংশ আত্মসাৎ করে মালিকেরা বিদেশে পালিয়ে গেছেন। ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১৫ হাজার কোটিই বের করে নেওয়া হয়েছে। সেই অবস্থা থেকে ব্যাংক খাতকে বের করে আনা হয়েছে। আমরা স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছি।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এই অবস্থায় চূড়ান্ত বাজেটে তা বাদ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বলছি না যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে খুব ভালো কিছু করেছি। সমাজে যদি এটা নিয়ে আপত্তি থাকে, আমরা অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। আগের দিন সোমবার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা দাবি করেন, তাঁর দেওয়া বাজেট বিপ্লবী না হলেও শতভাগ বাস্তবায়নযোগ্য। মূল্যস্ফীতি কমাতে নেওয়া উদ্যোগে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বৈষম্য হ্রাসে প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো হয়েছে। করারোপে সবাইকে খুশি রাখা সম্ভব নয়, তবে সরকার বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান তিনি। তাঁর ভাষায়, ‘এক বাজেটে সব করা সম্ভব নয়, যতটা পারি করব; বাকিটা নতুন সরকারের জন্য পদচিহ্ন রেখে যাব।’
৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার উচ্চ রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া বাজেটে বাড়তি করারোপ ও করছাড় হ্রাসের মতো সাহসী পদক্ষেপ নেন অর্থ উপদেষ্টা। বাজেট ঘোষণার পরপরই এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এসব প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবং বাজেটের পক্ষে সরকারের ব্যাখ্যা দিতে সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন অর্থ উপদেষ্টা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন; বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, অর্থসচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসিনি, দায়িত্ব নিয়েছি; তা-ও দেশের এক ক্রান্তিকালে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে বলেছিলেন দেশ যেন আইসিইউতে ছিল, অর্থনীতি খাদের কিনারে পৌঁছেছিল, বিশেষ করে আর্থিক ব্যবস্থাপনায়। সেই অবস্থায় আমরা দায়িত্ব না নিলে কী হতো, বলা কঠিন। তবে সবাই মিলে এখন অন্তত একটি স্থিতিশীল অবস্থানে আনতে পেরেছি।’
সম্পদ সীমিত, চাহিদা বিপুল। বৈশ্বিক চাপ, ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের দুর্বলতা, আইনশৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ—সব মিলিয়ে এক বিশৃঙ্খল প্রেক্ষাপটে কাজ করতে হচ্ছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এই বাস্তবতায় আমরা কিছু সংস্কার শুরু করেছি। যতটা সম্ভব বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এত দিন প্রবৃদ্ধির নানা বয়ান শুনেছেন, কিন্তু সেই প্রবৃদ্ধির সুফল কে পেয়েছে? এবার আমরা চেয়েছি মানুষের জীবনমান, ক্রয়ক্ষমতা এবং ব্যবসার গতিশীলতা—এসব বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে বাজেট সাজাতে।’
জনগণের চাহিদা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উদ্যোগ এবং এনবিআর সংস্কার চলছে। এ কথা জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে করছি, এটি একটি জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব বাজেট। কেউ কেউ বলেছেন, আমরা আগের ধারা অনুসরণ করেছি; কিন্তু হঠাৎ করে বিপ্লবী কোনো বাজেট দিয়ে বড় রাজস্ব এনে ফেলা সম্ভব নয়। তাই কিছু পুরোনো পথ অনুসরণ করেই এগোচ্ছি।’
কালোটাকা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত
প্রশ্নোত্তর পর্বে অর্থ উপদেষ্টার কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান—যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান ও স্বচ্ছ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে কালোটাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখা সেই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ? এর জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এটা আসলে কালোটাকা নয়, বরং অপ্রদর্শিত অর্থ। কোনো কারণে কারও যদি এমন অর্থ থেকে থাকে, সেটিকে বৈধ করতে ৫ গুণ জরিমানা দিয়ে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে।’
তবে এই ব্যবস্থায় আপত্তি থাকলে চূড়ান্ত বাজেটে তা বাদ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনা হবে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি না যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে খুব ভালো কিছু করেছি। সমাজে যদি এটা নিয়ে আপত্তি থাকে, আমরা অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখলেও তা সীমিত পরিসরে এবং কঠোর শর্তে দেওয়া হয়েছে। ফ্ল্যাট বা জমি কেনার ক্ষেত্রে নির্ধারিত হারে অতিরিক্ত কর দিলে এনবিআর তা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে না। তবে অন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো চাইলে ওই আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবে।
দাম বাড়ার বাস্তবতা এবং বাজেট-বাজার সম্পর্ক
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাজেট ঘোষণার পর সবকিছুর দাম কমে যাবে, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। বিশ্বের যেকোনো দেশেই বাজেটের পরে পণ্যের দাম বাড়ে বা কমে। তবে আমি বলছি না, দাম বাড়া ভালো।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বহুমুখী উদ্যোগ
ফাওজুল কবির খান জানান, মূল্যস্ফীতি কমাতে জ্বালানির দাম কমানো হয়েছে। এলপিজির দাম কমেছে, জ্বালানি তেলের দামেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সড়ক পরিবহনে চাঁদাবাজি রোধেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজকেই (গতকাল) একটি বাস কোম্পানি ঈদের বাড়ি ফেরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছিল। আমরা তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্ট পাঠিয়ে জরিমানা করেছি।’
কৃষি উপদেষ্টা জানান, সবজির অফ সিজনে সরবরাহ ঠিক রাখতে ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ১০০টি কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ করছে। এতে শীত ও গ্রীষ্মের মাঝামাঝি আলু, পেঁয়াজসহ মৌসুমি সবজির দাম স্থিতিশীল থাকবে।
তবে কৃষকের প্রাপ্য অধিকার নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভোক্তার স্বার্থ নিয়ে যতটা কথা বলা হয়, কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিয়ে ততটা বলা হয় না। তবু সামগ্রিকভাবে ঈদ ও রোজার বাজার বিশ্লেষণ করলে তিনি বর্তমান বাজার পরিস্থিতিকে ‘স্বস্তিদায়ক’ বলে অভিহিত করেন।
বাজেটের দুর্বল দিক নিয়ে খোলামেলা স্বীকারোক্তি
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্পদ যদি আরও বেশি পেতাম, কর-ভ্যাট ফাঁকি না থাকত, রাজস্ব আদায় বাড়ানো যেত, দুর্নীতি না হতো, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে পারতাম; তাহলে আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংকের কাছে বাজেট সাপোর্ট চাইতে হতো না। সেই অর্থ দিয়েই বাজেট বাস্তবায়ন করা যেত। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমরা সেটি পারিনি। যাঁরা টাকা পাচার করেন, তাঁরা খুবই চতুর। তাঁদের অর্থ ফেরত আনা সহজ কাজ নয়।’
তবে অর্থ উপদেষ্টা জানান, দ্রুত অর্থ ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে ১২টি মামলা করা হয়েছে এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এসব মামলার মাধ্যমে অর্থ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
আমানতের নিরাপত্তা ও ব্যাংক খাতের বাস্তবতা
ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলা ও বেশি মাত্রার ঋণ গ্রহণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আশ্বস্ত করেন, আমানতকারীদের অর্থ কখনোই খেয়ানত হবে না। তবে তিনি একই সঙ্গে ব্যাংক খাতের গভীর অসংগতির চিত্রও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই, যেখানে ডাকাতি করে গ্রাহকের টাকার ৭০ শতাংশ আত্মসাৎ করে মালিকেরা বিদেশে পালিয়ে গেছেন। ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১৫ হাজার কোটিই বের করে নেওয়া হয়েছে। সেই অবস্থা থেকে ব্যাংক খাতকে বের করে আনা হয়েছে। আমরা স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছি।’

হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
৪৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
সচিবালয়ে গতকাল সোমবার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুরে এক পুলিশ সদস্যের মা-বাবাকে হত্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রংপুরে যে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের এক সন্তান পুলিশে, আরেকজন র্যাবে কর্মরত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের আগে এসব হত্যার ঘটনা ঘটছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক। তখন তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে না, এ ধরনের ঘটনা তো ঘটছে, আমি তো অস্বীকার করি না। আর নির্বাচনের আগে যে এগুলোর সব বন্ধ হয়ে যাবে, তা-ও আমি বলতে পারি না। যদি আমার কাছে কোনো ম্যাজিক থাকত বা লাইট অন-অফের মতো কোনো সুইচ থাকত, তাহলে আমি করে দিতাম; লাইট অফ, এখন আর কোনো কিলিং-টিলিং কোনো কিছু হবে না। আমার কাছে তো ও রকম কোনো ম্যাজিক নেই।’
নির্বাচনের প্রস্তুতি খুবই ভালো জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সব বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণ কেমন হচ্ছে, তা দেখার জন্য আমরা যাব। আশা করছি, জানুয়ারির মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ হবে। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যত ধরনের প্রস্তুতি দরকার, সবকিছুই নিচ্ছি। নির্বাচনের জন্য বডি ক্যামেরা কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে বডি ক্যামেরা থাকবে।’
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বেড়েছে। সূর্যের আলোর পরেও ভোট গ্রহণ করতে হবে। যে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, সেখানে কী ব্যবস্থা করা যায়; যেখানে বিদ্যুৎ আছে, সেখানে যেন বিদ্যুৎ থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
জাতীয় পার্টিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামতে দিচ্ছে না জানিয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (প্রতিযোগিতার সমান সুযোগ) সবার জন্য নিশ্চিত করা হবে কি না; জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কে মাঠে নামতে দিচ্ছে না? সবাই মাঠেই তো। পুরো মাঠ তো তারাই গরম করে রেখেছে। সবাই আছে। কে কী বলে, তা তো না। অনেকে আছে ঘর থেকে বের হতেই চায় না। বলে, আমি বের হতে পারছি না, কিন্তু তার শরীরের অবস্থা এ রকম যে বের হলেই ঠান্ডা লাগবে। সে এ জন্য বের হতে চায় না। তাদের (জাতীয় পার্টি) কার্যালয় নিয়েই তো তাদের ঝামেলা। সেটা তো আপনারাও জানেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাদুঘর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আগে আমরা এর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলাপ করেছি, যাতে দর্শনার্থীরা নিরাপদে জাদুঘরে আসা-যাওয়া করতে পারে। লুট হওয়া অস্ত্র প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে।’

হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
সচিবালয়ে গতকাল সোমবার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুরে এক পুলিশ সদস্যের মা-বাবাকে হত্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রংপুরে যে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের এক সন্তান পুলিশে, আরেকজন র্যাবে কর্মরত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের আগে এসব হত্যার ঘটনা ঘটছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক। তখন তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে না, এ ধরনের ঘটনা তো ঘটছে, আমি তো অস্বীকার করি না। আর নির্বাচনের আগে যে এগুলোর সব বন্ধ হয়ে যাবে, তা-ও আমি বলতে পারি না। যদি আমার কাছে কোনো ম্যাজিক থাকত বা লাইট অন-অফের মতো কোনো সুইচ থাকত, তাহলে আমি করে দিতাম; লাইট অফ, এখন আর কোনো কিলিং-টিলিং কোনো কিছু হবে না। আমার কাছে তো ও রকম কোনো ম্যাজিক নেই।’
নির্বাচনের প্রস্তুতি খুবই ভালো জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সব বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণ কেমন হচ্ছে, তা দেখার জন্য আমরা যাব। আশা করছি, জানুয়ারির মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ হবে। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যত ধরনের প্রস্তুতি দরকার, সবকিছুই নিচ্ছি। নির্বাচনের জন্য বডি ক্যামেরা কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে বডি ক্যামেরা থাকবে।’
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বেড়েছে। সূর্যের আলোর পরেও ভোট গ্রহণ করতে হবে। যে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, সেখানে কী ব্যবস্থা করা যায়; যেখানে বিদ্যুৎ আছে, সেখানে যেন বিদ্যুৎ থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
জাতীয় পার্টিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামতে দিচ্ছে না জানিয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (প্রতিযোগিতার সমান সুযোগ) সবার জন্য নিশ্চিত করা হবে কি না; জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কে মাঠে নামতে দিচ্ছে না? সবাই মাঠেই তো। পুরো মাঠ তো তারাই গরম করে রেখেছে। সবাই আছে। কে কী বলে, তা তো না। অনেকে আছে ঘর থেকে বের হতেই চায় না। বলে, আমি বের হতে পারছি না, কিন্তু তার শরীরের অবস্থা এ রকম যে বের হলেই ঠান্ডা লাগবে। সে এ জন্য বের হতে চায় না। তাদের (জাতীয় পার্টি) কার্যালয় নিয়েই তো তাদের ঝামেলা। সেটা তো আপনারাও জানেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাদুঘর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আগে আমরা এর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলাপ করেছি, যাতে দর্শনার্থীরা নিরাপদে জাদুঘরে আসা-যাওয়া করতে পারে। লুট হওয়া অস্ত্র প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এই অবস্থায় চূড়ান্ত বাজেটে তা বাদ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বলছি না যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে খুব ভালো কিছু করেছি।
০৪ জুন ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশ নোয়াখালীর। এ ছাড়া সিলেট, ফেনী, শরিয়তপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা রয়েছেন।
ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে প্রায় ৬০ ঘণ্টা হাতে হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে দেশে আনা হয়। ঢাকা বিমানবন্দরে এনে তাঁদের শিকলমুক্ত করা হয়। এর আগে চলতি বছরে ২২৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। তাঁদের বেশির ভাগকে একইভাবে হাতকড়া ও শিকল পরানো হয়েছিল।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ‘দেশে ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি, এই ৩১ জনের মধ্যে অন্তত সাতজন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে ব্রাজিল গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য আবেদন করলে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নথিপত্রহীন কাউকে ফেরত পাঠানোটা হয়তো স্বাভাবিক, কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরিয়ে রাখার ঘটনা অমানবিক।’
শরিফুল হাসান আরও বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, ব্রাজিলে যাঁদের কাজের নামে পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশ ব্রাজিল থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। এ জন্য একেকজন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা খরচ করছেন, কিন্তু ফিরছেন শূন্য হাতে। যে এজেন্সি তাঁদের পাঠিয়েছিল এবং যাঁরা এই অনুমোদনপ্রক্রিয়ায় ছিলেন, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। নতুন করে ব্রাজিলে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার আগে সরকারের সতর্ক হওয়া জরুরি।’
এদিকে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও জোরদার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৩৯ জন ও ৮ জুন আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। তারও আগে চলতি বছরের ৬ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত একাধিক ফ্লাইটে আরও অন্তত ৩৪ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
২০২৪ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির সংখ্যা ২২০ ছাড়িয়েছে।
মার্কিন অভিবাসন আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থানকারী অভিবাসীদের আদালতের রায় বা প্রশাসনিক আদেশে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। আশ্রয়ের আবেদন ব্যর্থ হলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) তাঁদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশ নোয়াখালীর। এ ছাড়া সিলেট, ফেনী, শরিয়তপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা রয়েছেন।
ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে প্রায় ৬০ ঘণ্টা হাতে হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে দেশে আনা হয়। ঢাকা বিমানবন্দরে এনে তাঁদের শিকলমুক্ত করা হয়। এর আগে চলতি বছরে ২২৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। তাঁদের বেশির ভাগকে একইভাবে হাতকড়া ও শিকল পরানো হয়েছিল।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ‘দেশে ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি, এই ৩১ জনের মধ্যে অন্তত সাতজন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে ব্রাজিল গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য আবেদন করলে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নথিপত্রহীন কাউকে ফেরত পাঠানোটা হয়তো স্বাভাবিক, কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরিয়ে রাখার ঘটনা অমানবিক।’
শরিফুল হাসান আরও বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, ব্রাজিলে যাঁদের কাজের নামে পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশ ব্রাজিল থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। এ জন্য একেকজন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা খরচ করছেন, কিন্তু ফিরছেন শূন্য হাতে। যে এজেন্সি তাঁদের পাঠিয়েছিল এবং যাঁরা এই অনুমোদনপ্রক্রিয়ায় ছিলেন, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। নতুন করে ব্রাজিলে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার আগে সরকারের সতর্ক হওয়া জরুরি।’
এদিকে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও জোরদার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৩৯ জন ও ৮ জুন আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। তারও আগে চলতি বছরের ৬ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত একাধিক ফ্লাইটে আরও অন্তত ৩৪ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
২০২৪ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির সংখ্যা ২২০ ছাড়িয়েছে।
মার্কিন অভিবাসন আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থানকারী অভিবাসীদের আদালতের রায় বা প্রশাসনিক আদেশে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। আশ্রয়ের আবেদন ব্যর্থ হলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) তাঁদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এই অবস্থায় চূড়ান্ত বাজেটে তা বাদ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বলছি না যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে খুব ভালো কিছু করেছি।
০৪ জুন ২০২৫
হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
৪৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এ বিষয়ে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।
সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের যাচাইপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সিআইবি ডেটাবেইসে প্রার্থীদের ঋণ, শ্রেণীকরণ অবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সঠিকভাবে আপডেট করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সিআইবি প্রতিবেদনে পুরোনো পরিচয় তথ্য, অসম্পূর্ণ কেওয়াইসি-ই-কেওয়াইসি, ক্রেডিট কার্ড ফি বকেয়া থেকে ভুল শ্রেণীকরণ এবং অমন্দ ঋণকে মন্দ দেখানোর মতো ঘাটতি রয়েছে, যা সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংকগুলোকে ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী, খেলাপির সংজ্ঞা কঠোরভাবে মানতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য দ্রুত হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি সিআইবি-সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের বিচারাধীন মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি এবং যেসব মামলার রায় হয়েছে বা মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেগুলোর তথ্য দ্রুত সিআইবিতে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এ বিষয়ে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।
সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের যাচাইপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সিআইবি ডেটাবেইসে প্রার্থীদের ঋণ, শ্রেণীকরণ অবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সঠিকভাবে আপডেট করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সিআইবি প্রতিবেদনে পুরোনো পরিচয় তথ্য, অসম্পূর্ণ কেওয়াইসি-ই-কেওয়াইসি, ক্রেডিট কার্ড ফি বকেয়া থেকে ভুল শ্রেণীকরণ এবং অমন্দ ঋণকে মন্দ দেখানোর মতো ঘাটতি রয়েছে, যা সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংকগুলোকে ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী, খেলাপির সংজ্ঞা কঠোরভাবে মানতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য দ্রুত হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি সিআইবি-সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের বিচারাধীন মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি এবং যেসব মামলার রায় হয়েছে বা মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেগুলোর তথ্য দ্রুত সিআইবিতে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এই অবস্থায় চূড়ান্ত বাজেটে তা বাদ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বলছি না যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে খুব ভালো কিছু করেছি।
০৪ জুন ২০২৫
হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
৪৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিংস্টক ব্যবস্থাপনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। মোট ১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে আরও দুজন কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। তাঁরা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অনুদানে পরিচালিত এ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণটি ৯ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোরিয়া রেল ওয়ার্কশপে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে প্রকল্পের অংশ হিসেবে পাহাড়তলী ডিজেল ওয়ার্কশপে দুই দফায় ৬০ জন কর্মীকে কোরিয়ান বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে নেওয়া মূল্যায়নের ভিত্তিতেই বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য এই কর্মীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের শুভকামনা জানিয়ে বলেন, প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে রেলওয়ের সক্ষমতা আরও বাড়বে।
রেলসংশ্লিষ্টদের মতে, কর্মী পর্যায়ে বিদেশে প্রশিক্ষণ কর্মীদের কাজে উৎসাহ জোগাবে এবং সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের সেবা ও রক্ষণাবেক্ষণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। তাঁরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিংস্টক ব্যবস্থাপনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। মোট ১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে আরও দুজন কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। তাঁরা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অনুদানে পরিচালিত এ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণটি ৯ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোরিয়া রেল ওয়ার্কশপে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে প্রকল্পের অংশ হিসেবে পাহাড়তলী ডিজেল ওয়ার্কশপে দুই দফায় ৬০ জন কর্মীকে কোরিয়ান বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে নেওয়া মূল্যায়নের ভিত্তিতেই বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য এই কর্মীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের শুভকামনা জানিয়ে বলেন, প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে রেলওয়ের সক্ষমতা আরও বাড়বে।
রেলসংশ্লিষ্টদের মতে, কর্মী পর্যায়ে বিদেশে প্রশিক্ষণ কর্মীদের কাজে উৎসাহ জোগাবে এবং সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের সেবা ও রক্ষণাবেক্ষণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। তাঁরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এই অবস্থায় চূড়ান্ত বাজেটে তা বাদ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বলছি না যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে খুব ভালো কিছু করেছি।
০৪ জুন ২০২৫
হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
৪৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন।
৩ ঘণ্টা আগে