তানিম আহমেদ, ঢাকা
সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে নতুন প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে উপস্থাপন করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্মকমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সম্পর্কিত পৃথক প্রস্তাব দলগুলোর কাছে আজ মঙ্গলবারের বৈঠকে তোলা হবে। যেখানে স্পিকারের নেতৃত্বে বাছাই কমিটি পদগুলোতে নিয়োগ দেবে।
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) প্রস্তাব করেছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে নয় সদস্যের ওই কমিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের পাশাপাশি অ্যাটর্নি জেনারেল, প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রধানসহ আইন দ্বারা নির্ধারিত পদের নিয়োগ দেবে।
বিএনপিসহ কয়েকটি দলের বিরোধিতা মুখে গত ২৫ জুন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে এনসিসির পরিবর্তে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি নামে নতুন প্রস্তাব করে কমিশন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, সরকারি কর্ম কমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন এবং আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ দেবে। বিএনপি ও সমমনা পাঁচটি দল এ প্রস্তাবেরও বিরোধিতা করে। তারা মনে করে, এর মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগের হাত-পা বেঁধে দেওয়া হবে।
তবে এরই মধ্যে জাতীয় কমিশন সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের বিষয়টি সংবিধান সংবিধানের রাখার বিষয়ে কমিশনকে জোর দিতে বলেছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। কমিশনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের বিষয়টি গুরুত্ব বিবেচনা করে বিকল্প প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে উপস্থাপনের চেষ্টা চলছে। সংশোধিত সে প্রস্তাব আমরা দেব। কারণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের বিষয়টি সংবিধানে না থাকলে তা নির্বাহী বিভাগের হাতে জিম্মি থাকবে। তাতে ভবিষ্যতে সংকট দেখা দেবে। তাই বিষয়টিকে মৌলিক সংস্কার হিসেবে দেখছি।
সূত্রে জানা গেছে, কমিশন আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্মকমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ন্যায়পাল নিয়োগ সম্পর্কিত বিধান পৃথকভাবে পৃথকভাবে সংবিধানে যুক্ত করা প্রস্তাব করবে-যা বাছাই কমিটি নামে থাকবে।
নির্বাচন কমিশনের বাছাই কমিটির প্রধান হবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। কমিটিতে আরও থাকবেন—ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দল), সংসদ নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা, তৃতীয় বৃহত্তম দল বা বিরোধী দলের বাইরের অন্য দলগুলোর একজন প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি (নির্দলীয় ও আইন দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা সম্পন্ন) এবং প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের বিচারপতি।
এই কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষের ৯০ দিন আগে আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছে আইন দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ইচ্ছাপত্র ও জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করবে। সেই সঙ্গে উপযুক্ত প্রার্থীর অনুসন্ধান কাজ পরিচালনা করবে। প্রাপ্ত নাম থেকে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) ও চারজন নির্বাচন কমিশনারের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতি তাঁদের পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেবেন।
নির্বাচন কমিশনার অপসারণের বিষয়ে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের কোনো বিচারক যে পদ্ধতিতে অপসারিত হবেন, নির্বাচন কমিশনারও একইভাবে অপসারণ হবেন।
সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য (পিএসসি) নিয়োগের বিষয়েও নির্বাচন কমিশনের মতো স্পিকারের নেতৃত্ব বাছাই কমিটির প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটি একজন চেয়ারম্যান ও অনধিক সাতজন সদস্য নিয়োগের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে করবে। মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, ন্যায়পাল নিয়োগে একই পদ্ধতি অনুসরণ করে বাছাই কমিটি করার কথা বলা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) নিয়োগের বিষয় বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি ছাড়া আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি হবেন এই বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান। এ ছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় সংসদের সংসদ নেতা কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার মনোনীত একজন প্রতিনিধি এবং প্রধান বিচারপতির মনোনীত একজন নাগরিক প্রতিনিধি দুর্নীতি বিরোধী ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগ করবেন। বাছাই কমিটি নির্বাচন কমিশনের নিয়োগর মতো করে নাম আহ্বান করে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে নিয়োগ দেবে।
আরও খবর পড়ুন:
সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে নতুন প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে উপস্থাপন করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্মকমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সম্পর্কিত পৃথক প্রস্তাব দলগুলোর কাছে আজ মঙ্গলবারের বৈঠকে তোলা হবে। যেখানে স্পিকারের নেতৃত্বে বাছাই কমিটি পদগুলোতে নিয়োগ দেবে।
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) প্রস্তাব করেছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে নয় সদস্যের ওই কমিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের পাশাপাশি অ্যাটর্নি জেনারেল, প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রধানসহ আইন দ্বারা নির্ধারিত পদের নিয়োগ দেবে।
বিএনপিসহ কয়েকটি দলের বিরোধিতা মুখে গত ২৫ জুন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে এনসিসির পরিবর্তে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি নামে নতুন প্রস্তাব করে কমিশন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, সরকারি কর্ম কমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন এবং আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ দেবে। বিএনপি ও সমমনা পাঁচটি দল এ প্রস্তাবেরও বিরোধিতা করে। তারা মনে করে, এর মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগের হাত-পা বেঁধে দেওয়া হবে।
তবে এরই মধ্যে জাতীয় কমিশন সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের বিষয়টি সংবিধান সংবিধানের রাখার বিষয়ে কমিশনকে জোর দিতে বলেছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। কমিশনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের বিষয়টি গুরুত্ব বিবেচনা করে বিকল্প প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে উপস্থাপনের চেষ্টা চলছে। সংশোধিত সে প্রস্তাব আমরা দেব। কারণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের বিষয়টি সংবিধানে না থাকলে তা নির্বাহী বিভাগের হাতে জিম্মি থাকবে। তাতে ভবিষ্যতে সংকট দেখা দেবে। তাই বিষয়টিকে মৌলিক সংস্কার হিসেবে দেখছি।
সূত্রে জানা গেছে, কমিশন আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্মকমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ন্যায়পাল নিয়োগ সম্পর্কিত বিধান পৃথকভাবে পৃথকভাবে সংবিধানে যুক্ত করা প্রস্তাব করবে-যা বাছাই কমিটি নামে থাকবে।
নির্বাচন কমিশনের বাছাই কমিটির প্রধান হবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। কমিটিতে আরও থাকবেন—ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দল), সংসদ নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা, তৃতীয় বৃহত্তম দল বা বিরোধী দলের বাইরের অন্য দলগুলোর একজন প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি (নির্দলীয় ও আইন দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা সম্পন্ন) এবং প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের বিচারপতি।
এই কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষের ৯০ দিন আগে আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছে আইন দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ইচ্ছাপত্র ও জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করবে। সেই সঙ্গে উপযুক্ত প্রার্থীর অনুসন্ধান কাজ পরিচালনা করবে। প্রাপ্ত নাম থেকে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) ও চারজন নির্বাচন কমিশনারের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতি তাঁদের পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেবেন।
নির্বাচন কমিশনার অপসারণের বিষয়ে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের কোনো বিচারক যে পদ্ধতিতে অপসারিত হবেন, নির্বাচন কমিশনারও একইভাবে অপসারণ হবেন।
সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য (পিএসসি) নিয়োগের বিষয়েও নির্বাচন কমিশনের মতো স্পিকারের নেতৃত্ব বাছাই কমিটির প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটি একজন চেয়ারম্যান ও অনধিক সাতজন সদস্য নিয়োগের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে করবে। মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, ন্যায়পাল নিয়োগে একই পদ্ধতি অনুসরণ করে বাছাই কমিটি করার কথা বলা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) নিয়োগের বিষয় বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি ছাড়া আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি হবেন এই বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান। এ ছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় সংসদের সংসদ নেতা কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার মনোনীত একজন প্রতিনিধি এবং প্রধান বিচারপতির মনোনীত একজন নাগরিক প্রতিনিধি দুর্নীতি বিরোধী ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগ করবেন। বাছাই কমিটি নির্বাচন কমিশনের নিয়োগর মতো করে নাম আহ্বান করে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে নিয়োগ দেবে।
আরও খবর পড়ুন:
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আহতদের দেশে-বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বিমান বিধ্বস্তের কারণ খুঁজতে সাত দিনের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
৭ মিনিট আগেমাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে সাহায্য পাঠানো যাবে। প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, যারা অর্থ সাহায্য করতে চান তাঁরা ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের নম্বরে জমা দিতে পারবেন।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গুরুতর আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা করতে সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আসছে। এমনটাই জানিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় শোকপ্রস্তাব করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সরকারের প্রতি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা প্রদানের অনুরোধ জানানো হয় প্রস্তাবে।
৩ ঘণ্টা আগে