আশিকুর রিমেল
ঢাকা: মগবাজারের জ্যামে আছি, পরে ফোন দিই, স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন কাসেম। কিন্তু এই ‘পরে’ যে আর শেষ হবে না জানতেন না স্ত্রী সোহাগী বেগম।
৭ বছরের মেয়ে মীম ও স্ত্রী সোহাগীসহ আবুল কাশেম মোল্লা থাকতেন গাজীপুরে। সারা দিনের কাজ শেষে বাড়ি ফিরবে তার স্বামী এই অপেক্ষায় থাকেন স্ত্রী সোহাগী বেগম। প্রতিদিন দু–একবার মুঠোফোনে কথা হয় তাদের। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও কথা হয়েছে তাদের। কিছুক্ষণ পর টিভিতে দুর্ঘটনার সংবাদ দেখে আঁতকে ওঠেন সোহাগী। মুঠোফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ। তিনি বলেন, ‘টিভিতে গাড়ি দেইখা চিনছি। গাড়ি পুইরা শেষ। তাইলে আমার স্বামীর কিছু হইছে।’
গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর মগবাজারের শরমা হাউজে বিস্ফোরণে যাত্রীবাহী যে কয়টা বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ‘আজমেরী গ্লোরী’ তার মধ্যে একটি। নিজের কেনা এই বাসটি চালাচ্ছিলেন আবুল কাসেম (৪৫)। সেই দুর্ঘটনায় মারা যান আবুল কাসেম।
যুবক বয়স থেকেই বাস চালাতেন আবুল কাসেম মোল্লা। স্বপ্ন ছিল একদিন নিজের একটা বাস হবে, সেই বাস চালাবেন তিনি নিজেই। পরিবারের অভাব অনটন থাকবে না। সচ্ছলতায় জীবন কাটাবেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে। দেড় বছর আগে ঋণ করে কিনেও ফেলেছিলেন তিনি। অকস্মাৎ বিস্ফোরণ শেষ করে দিল সব।
অনেকগুলো মানুষকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে তথ্য পেয়ে ছুটে যান সেখানে। হাসপাতালের সবগুলো ওয়ার্ড ঘুরে কোথাও খুঁজে পেলেন না স্বামীকে। কিন্তু সেখানকার মর্গে যে ব্যক্তি আছেন তার বর্ণনা শুনে সেদিনই রাত ১০ টার দিকে নিশ্চিত হন তার স্বামী আর বেঁচে নেই।
আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে কাসেমের মরদেহ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন সোহাগী। নিয়ে যাবেন শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লায়। সেখানে কবর হবে তাঁর।
এরপর কি হবে, কীভাবে কাটবে দিন! একদিকে স্বামী হারানোর শোক অপরদিকে ঋণের বোঝা।
সোহাগী বলেন, ‘এখন আমি নিঃস্ব। এখন থেকে কেমনে সংসার চালামু! আমার মাইয়াটার কী হইব! ১২ লাখ টাকা ঋণ নিয়া গাড়িটা কিনছিল। বাস্তু শিক্ষা, ডিএসটে ও সেতু নামের ৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এখনো আট লাখ টাকা ঋণ আছে। লকডাউন না থাকলে ঋণ শোধ হইয়া যাইতো। লকডাউনের মধ্যে কিস্তি দিতে পারি নাই। তাইলে এই দুর্দশায় পরতে হইতো না।
পরিবারের একমাত্র আয় করা স্বামীর মৃত্যুর পর সোহাগী তাকিয়ে আছেন রাষ্ট্রের দিকে। তিনি বলেন, ‘এখন মন্ত্রী মহোদয় যদি কিছু করে আমাদের জন্য! নাইলে আমাদের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হইবো।’
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোগীদের পরিদর্শন করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম। এ সময় তিনি নিহতের স্বজনদের হাতে দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। সেখানে তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিকেলে ৩৮জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের অনেকেই অন্যান্য হাসপাতালে সেবা নিয়ে চলে গেছেন। হাসপাতাল থেকে চলে যাওয়ার কারণে অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে খুঁজে পাওয়াও যাচ্ছে না। তবে তাদেরও খুঁজে বের করে এই সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
ঢাকা: মগবাজারের জ্যামে আছি, পরে ফোন দিই, স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন কাসেম। কিন্তু এই ‘পরে’ যে আর শেষ হবে না জানতেন না স্ত্রী সোহাগী বেগম।
৭ বছরের মেয়ে মীম ও স্ত্রী সোহাগীসহ আবুল কাশেম মোল্লা থাকতেন গাজীপুরে। সারা দিনের কাজ শেষে বাড়ি ফিরবে তার স্বামী এই অপেক্ষায় থাকেন স্ত্রী সোহাগী বেগম। প্রতিদিন দু–একবার মুঠোফোনে কথা হয় তাদের। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও কথা হয়েছে তাদের। কিছুক্ষণ পর টিভিতে দুর্ঘটনার সংবাদ দেখে আঁতকে ওঠেন সোহাগী। মুঠোফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ। তিনি বলেন, ‘টিভিতে গাড়ি দেইখা চিনছি। গাড়ি পুইরা শেষ। তাইলে আমার স্বামীর কিছু হইছে।’
গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর মগবাজারের শরমা হাউজে বিস্ফোরণে যাত্রীবাহী যে কয়টা বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ‘আজমেরী গ্লোরী’ তার মধ্যে একটি। নিজের কেনা এই বাসটি চালাচ্ছিলেন আবুল কাসেম (৪৫)। সেই দুর্ঘটনায় মারা যান আবুল কাসেম।
যুবক বয়স থেকেই বাস চালাতেন আবুল কাসেম মোল্লা। স্বপ্ন ছিল একদিন নিজের একটা বাস হবে, সেই বাস চালাবেন তিনি নিজেই। পরিবারের অভাব অনটন থাকবে না। সচ্ছলতায় জীবন কাটাবেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে। দেড় বছর আগে ঋণ করে কিনেও ফেলেছিলেন তিনি। অকস্মাৎ বিস্ফোরণ শেষ করে দিল সব।
অনেকগুলো মানুষকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে তথ্য পেয়ে ছুটে যান সেখানে। হাসপাতালের সবগুলো ওয়ার্ড ঘুরে কোথাও খুঁজে পেলেন না স্বামীকে। কিন্তু সেখানকার মর্গে যে ব্যক্তি আছেন তার বর্ণনা শুনে সেদিনই রাত ১০ টার দিকে নিশ্চিত হন তার স্বামী আর বেঁচে নেই।
আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে কাসেমের মরদেহ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন সোহাগী। নিয়ে যাবেন শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লায়। সেখানে কবর হবে তাঁর।
এরপর কি হবে, কীভাবে কাটবে দিন! একদিকে স্বামী হারানোর শোক অপরদিকে ঋণের বোঝা।
সোহাগী বলেন, ‘এখন আমি নিঃস্ব। এখন থেকে কেমনে সংসার চালামু! আমার মাইয়াটার কী হইব! ১২ লাখ টাকা ঋণ নিয়া গাড়িটা কিনছিল। বাস্তু শিক্ষা, ডিএসটে ও সেতু নামের ৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এখনো আট লাখ টাকা ঋণ আছে। লকডাউন না থাকলে ঋণ শোধ হইয়া যাইতো। লকডাউনের মধ্যে কিস্তি দিতে পারি নাই। তাইলে এই দুর্দশায় পরতে হইতো না।
পরিবারের একমাত্র আয় করা স্বামীর মৃত্যুর পর সোহাগী তাকিয়ে আছেন রাষ্ট্রের দিকে। তিনি বলেন, ‘এখন মন্ত্রী মহোদয় যদি কিছু করে আমাদের জন্য! নাইলে আমাদের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হইবো।’
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোগীদের পরিদর্শন করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম। এ সময় তিনি নিহতের স্বজনদের হাতে দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। সেখানে তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিকেলে ৩৮জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের অনেকেই অন্যান্য হাসপাতালে সেবা নিয়ে চলে গেছেন। হাসপাতাল থেকে চলে যাওয়ার কারণে অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে খুঁজে পাওয়াও যাচ্ছে না। তবে তাদেরও খুঁজে বের করে এই সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
আশিকুর রিমেল
ঢাকা: মগবাজারের জ্যামে আছি, পরে ফোন দিই, স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন কাসেম। কিন্তু এই ‘পরে’ যে আর শেষ হবে না জানতেন না স্ত্রী সোহাগী বেগম।
৭ বছরের মেয়ে মীম ও স্ত্রী সোহাগীসহ আবুল কাশেম মোল্লা থাকতেন গাজীপুরে। সারা দিনের কাজ শেষে বাড়ি ফিরবে তার স্বামী এই অপেক্ষায় থাকেন স্ত্রী সোহাগী বেগম। প্রতিদিন দু–একবার মুঠোফোনে কথা হয় তাদের। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও কথা হয়েছে তাদের। কিছুক্ষণ পর টিভিতে দুর্ঘটনার সংবাদ দেখে আঁতকে ওঠেন সোহাগী। মুঠোফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ। তিনি বলেন, ‘টিভিতে গাড়ি দেইখা চিনছি। গাড়ি পুইরা শেষ। তাইলে আমার স্বামীর কিছু হইছে।’
গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর মগবাজারের শরমা হাউজে বিস্ফোরণে যাত্রীবাহী যে কয়টা বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ‘আজমেরী গ্লোরী’ তার মধ্যে একটি। নিজের কেনা এই বাসটি চালাচ্ছিলেন আবুল কাসেম (৪৫)। সেই দুর্ঘটনায় মারা যান আবুল কাসেম।
যুবক বয়স থেকেই বাস চালাতেন আবুল কাসেম মোল্লা। স্বপ্ন ছিল একদিন নিজের একটা বাস হবে, সেই বাস চালাবেন তিনি নিজেই। পরিবারের অভাব অনটন থাকবে না। সচ্ছলতায় জীবন কাটাবেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে। দেড় বছর আগে ঋণ করে কিনেও ফেলেছিলেন তিনি। অকস্মাৎ বিস্ফোরণ শেষ করে দিল সব।
অনেকগুলো মানুষকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে তথ্য পেয়ে ছুটে যান সেখানে। হাসপাতালের সবগুলো ওয়ার্ড ঘুরে কোথাও খুঁজে পেলেন না স্বামীকে। কিন্তু সেখানকার মর্গে যে ব্যক্তি আছেন তার বর্ণনা শুনে সেদিনই রাত ১০ টার দিকে নিশ্চিত হন তার স্বামী আর বেঁচে নেই।
আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে কাসেমের মরদেহ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন সোহাগী। নিয়ে যাবেন শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লায়। সেখানে কবর হবে তাঁর।
এরপর কি হবে, কীভাবে কাটবে দিন! একদিকে স্বামী হারানোর শোক অপরদিকে ঋণের বোঝা।
সোহাগী বলেন, ‘এখন আমি নিঃস্ব। এখন থেকে কেমনে সংসার চালামু! আমার মাইয়াটার কী হইব! ১২ লাখ টাকা ঋণ নিয়া গাড়িটা কিনছিল। বাস্তু শিক্ষা, ডিএসটে ও সেতু নামের ৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এখনো আট লাখ টাকা ঋণ আছে। লকডাউন না থাকলে ঋণ শোধ হইয়া যাইতো। লকডাউনের মধ্যে কিস্তি দিতে পারি নাই। তাইলে এই দুর্দশায় পরতে হইতো না।
পরিবারের একমাত্র আয় করা স্বামীর মৃত্যুর পর সোহাগী তাকিয়ে আছেন রাষ্ট্রের দিকে। তিনি বলেন, ‘এখন মন্ত্রী মহোদয় যদি কিছু করে আমাদের জন্য! নাইলে আমাদের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হইবো।’
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোগীদের পরিদর্শন করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম। এ সময় তিনি নিহতের স্বজনদের হাতে দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। সেখানে তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিকেলে ৩৮জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের অনেকেই অন্যান্য হাসপাতালে সেবা নিয়ে চলে গেছেন। হাসপাতাল থেকে চলে যাওয়ার কারণে অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে খুঁজে পাওয়াও যাচ্ছে না। তবে তাদেরও খুঁজে বের করে এই সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
ঢাকা: মগবাজারের জ্যামে আছি, পরে ফোন দিই, স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন কাসেম। কিন্তু এই ‘পরে’ যে আর শেষ হবে না জানতেন না স্ত্রী সোহাগী বেগম।
৭ বছরের মেয়ে মীম ও স্ত্রী সোহাগীসহ আবুল কাশেম মোল্লা থাকতেন গাজীপুরে। সারা দিনের কাজ শেষে বাড়ি ফিরবে তার স্বামী এই অপেক্ষায় থাকেন স্ত্রী সোহাগী বেগম। প্রতিদিন দু–একবার মুঠোফোনে কথা হয় তাদের। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও কথা হয়েছে তাদের। কিছুক্ষণ পর টিভিতে দুর্ঘটনার সংবাদ দেখে আঁতকে ওঠেন সোহাগী। মুঠোফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ। তিনি বলেন, ‘টিভিতে গাড়ি দেইখা চিনছি। গাড়ি পুইরা শেষ। তাইলে আমার স্বামীর কিছু হইছে।’
গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর মগবাজারের শরমা হাউজে বিস্ফোরণে যাত্রীবাহী যে কয়টা বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ‘আজমেরী গ্লোরী’ তার মধ্যে একটি। নিজের কেনা এই বাসটি চালাচ্ছিলেন আবুল কাসেম (৪৫)। সেই দুর্ঘটনায় মারা যান আবুল কাসেম।
যুবক বয়স থেকেই বাস চালাতেন আবুল কাসেম মোল্লা। স্বপ্ন ছিল একদিন নিজের একটা বাস হবে, সেই বাস চালাবেন তিনি নিজেই। পরিবারের অভাব অনটন থাকবে না। সচ্ছলতায় জীবন কাটাবেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে। দেড় বছর আগে ঋণ করে কিনেও ফেলেছিলেন তিনি। অকস্মাৎ বিস্ফোরণ শেষ করে দিল সব।
অনেকগুলো মানুষকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে তথ্য পেয়ে ছুটে যান সেখানে। হাসপাতালের সবগুলো ওয়ার্ড ঘুরে কোথাও খুঁজে পেলেন না স্বামীকে। কিন্তু সেখানকার মর্গে যে ব্যক্তি আছেন তার বর্ণনা শুনে সেদিনই রাত ১০ টার দিকে নিশ্চিত হন তার স্বামী আর বেঁচে নেই।
আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে কাসেমের মরদেহ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন সোহাগী। নিয়ে যাবেন শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লায়। সেখানে কবর হবে তাঁর।
এরপর কি হবে, কীভাবে কাটবে দিন! একদিকে স্বামী হারানোর শোক অপরদিকে ঋণের বোঝা।
সোহাগী বলেন, ‘এখন আমি নিঃস্ব। এখন থেকে কেমনে সংসার চালামু! আমার মাইয়াটার কী হইব! ১২ লাখ টাকা ঋণ নিয়া গাড়িটা কিনছিল। বাস্তু শিক্ষা, ডিএসটে ও সেতু নামের ৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এখনো আট লাখ টাকা ঋণ আছে। লকডাউন না থাকলে ঋণ শোধ হইয়া যাইতো। লকডাউনের মধ্যে কিস্তি দিতে পারি নাই। তাইলে এই দুর্দশায় পরতে হইতো না।
পরিবারের একমাত্র আয় করা স্বামীর মৃত্যুর পর সোহাগী তাকিয়ে আছেন রাষ্ট্রের দিকে। তিনি বলেন, ‘এখন মন্ত্রী মহোদয় যদি কিছু করে আমাদের জন্য! নাইলে আমাদের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হইবো।’
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোগীদের পরিদর্শন করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম। এ সময় তিনি নিহতের স্বজনদের হাতে দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। সেখানে তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিকেলে ৩৮জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের অনেকেই অন্যান্য হাসপাতালে সেবা নিয়ে চলে গেছেন। হাসপাতাল থেকে চলে যাওয়ার কারণে অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে খুঁজে পাওয়াও যাচ্ছে না। তবে তাদেরও খুঁজে বের করে এই সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
১ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
১ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৩ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা না হলে তাদের হাতে বাংলাদেশের নিরপরাধ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে, পাঁচ বছরের শিশু মারা যাবে, আনাসরা মারা যাবে, পানি বিতরণ করতে গিয়ে মুগ্ধ মারা যাবে, বুক চিতিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদরা মারা যাবে। আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি, এই দুজনের বিচার যদি ব্যাহত হয়, এই দুজনের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু-কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। সে কারণে আমরা মনে করি, আমরা যা উপস্থাপন করেছি, তা সন্দেহাতীত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন। এই আসামিদের যদি শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে তাদের হাতে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ন্যায়বিচারের সাক্ষী হতে এসেছি। ১ হাজার ৪০০ লোক মারা গেছে। ৩০ হাজার পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ দেখিয়েছে—কে নির্দেশ দিয়েছে, কাকে দিয়েছে, কে পালন করেছে, কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই খুনের পর গোটা জাতি জেগে উঠেছে। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তারা বিচারকাজ প্রতিহত করতে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেছে, তা যেকোনো দেশে, যেকোনো আদালতে উপস্থাপন করলে আসামিদের সাজা ছাড়া বিকল্প কিছু হবে না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদাহরণ এ সময় তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, ‘এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য, এখানে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। কারা ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে, তা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা মনে করি, এই আদালতে যদি আসামিদের শাস্তি না হয়, তাহলে এ দেশের খুন হওয়া মানুষ, পঙ্গুত্ব বরণ করা মানুষ, এই রাষ্ট্র অবিচারের শিকার হবে। আমরা দাঁড়িয়েছি ইতিহাসের দায় পরিশোধ করার জন্য। আপনারা ন্যায়বিচার করলে গোটা বিশ্ব দেখবে—এই দেশে ন্যায়বিচার হয়।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা না হলে তাদের হাতে বাংলাদেশের নিরপরাধ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে, পাঁচ বছরের শিশু মারা যাবে, আনাসরা মারা যাবে, পানি বিতরণ করতে গিয়ে মুগ্ধ মারা যাবে, বুক চিতিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদরা মারা যাবে। আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি, এই দুজনের বিচার যদি ব্যাহত হয়, এই দুজনের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু-কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। সে কারণে আমরা মনে করি, আমরা যা উপস্থাপন করেছি, তা সন্দেহাতীত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন। এই আসামিদের যদি শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে তাদের হাতে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ন্যায়বিচারের সাক্ষী হতে এসেছি। ১ হাজার ৪০০ লোক মারা গেছে। ৩০ হাজার পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ দেখিয়েছে—কে নির্দেশ দিয়েছে, কাকে দিয়েছে, কে পালন করেছে, কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই খুনের পর গোটা জাতি জেগে উঠেছে। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তারা বিচারকাজ প্রতিহত করতে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেছে, তা যেকোনো দেশে, যেকোনো আদালতে উপস্থাপন করলে আসামিদের সাজা ছাড়া বিকল্প কিছু হবে না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদাহরণ এ সময় তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, ‘এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য, এখানে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। কারা ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে, তা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা মনে করি, এই আদালতে যদি আসামিদের শাস্তি না হয়, তাহলে এ দেশের খুন হওয়া মানুষ, পঙ্গুত্ব বরণ করা মানুষ, এই রাষ্ট্র অবিচারের শিকার হবে। আমরা দাঁড়িয়েছি ইতিহাসের দায় পরিশোধ করার জন্য। আপনারা ন্যায়বিচার করলে গোটা বিশ্ব দেখবে—এই দেশে ন্যায়বিচার হয়।’
যুবক বয়স থেকেই বাস চালাতেন আবুল কাসেম মোল্লা। স্বপ্ন ছিল একদিন নিজের একটা বাস হবে, সেই বাস চালাবেন তিনি নিজেই। পরিবারের অভাব অনটন থাকবে না। সচ্ছলতায় জীবন কাটাবেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে। দেড় বছর আগে ঋণ করে কিনেও ফেলেছিলেন তিনি। অকস্মাৎ বিস্ফোরণ শেষ করে দিল সব
২৮ জুন ২০২১গত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
১ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৩ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগ ব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে থালাবাটি নিয়ে যমুনা অভিমুখে ভুখা মিছিল করেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। যমুনায় পৌঁছার আগেই অবশ্য তাঁদের মিছিল শাহবাগ মোড়ে আটকে দেওয়া হয়। .
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। যমুনার দিকে অগ্রসর হলে শাহবাগ মোড়ে পুলিশ তা আটকে দেয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা পরে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়।
গত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতি লেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবে, এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে ।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগ ব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে থালাবাটি নিয়ে যমুনা অভিমুখে ভুখা মিছিল করেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। যমুনায় পৌঁছার আগেই অবশ্য তাঁদের মিছিল শাহবাগ মোড়ে আটকে দেওয়া হয়। .
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। যমুনার দিকে অগ্রসর হলে শাহবাগ মোড়ে পুলিশ তা আটকে দেয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা পরে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়।
গত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতি লেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবে, এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে ।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।
যুবক বয়স থেকেই বাস চালাতেন আবুল কাসেম মোল্লা। স্বপ্ন ছিল একদিন নিজের একটা বাস হবে, সেই বাস চালাবেন তিনি নিজেই। পরিবারের অভাব অনটন থাকবে না। সচ্ছলতায় জীবন কাটাবেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে। দেড় বছর আগে ঋণ করে কিনেও ফেলেছিলেন তিনি। অকস্মাৎ বিস্ফোরণ শেষ করে দিল সব
২৮ জুন ২০২১অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
১ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৩ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেমানবতাবিরোধী অপরাধ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।
আজ আসামিদের সাজা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শেষবারের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের খালাস চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষে রায়ের দিন জানাতে পারেন আদালত। অথবা পরেও জানানো হতে পারেন।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।
আজ আসামিদের সাজা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শেষবারের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের খালাস চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষে রায়ের দিন জানাতে পারেন আদালত। অথবা পরেও জানানো হতে পারেন।
যুবক বয়স থেকেই বাস চালাতেন আবুল কাসেম মোল্লা। স্বপ্ন ছিল একদিন নিজের একটা বাস হবে, সেই বাস চালাবেন তিনি নিজেই। পরিবারের অভাব অনটন থাকবে না। সচ্ছলতায় জীবন কাটাবেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে। দেড় বছর আগে ঋণ করে কিনেও ফেলেছিলেন তিনি। অকস্মাৎ বিস্ফোরণ শেষ করে দিল সব
২৮ জুন ২০২১অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
১ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
১ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে। তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই বৈঠকে আদেশের ড্রাফট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন।
গতকালের বৈঠকে উপস্থিত এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আদেশটা কী রকম হবে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কারণ সেখানে তো অনেক খুঁটিনাটি আছে, ধারা-উপধারায় কী থাকবে, সেগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আশা করছি, পরবর্তী বৈঠকে আদেশটি চূড়ান্ত করতে পারব।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করার চেষ্টা করব।’
সূত্র জানায়, গতকালের আলোচনায় এটি মোটামুটি ঠিক হয়েছে, সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মূল ভিত্তি হবে গণ-অভ্যুত্থান। প্রাথমিক খসড়া অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়নে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। সেটার অধীনে গণভোট নিয়ে হবে একটি অধ্যাদেশ। তার ভিত্তিতে হবে গণভোট। গণভোট করার জন্য আলাদা একটি অধ্যাদেশ করতে হবে। সেখানে বলা থাকতে পারে ‘বিশেষ গণভোট’ করার জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। তবে অধ্যাদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট। আগামী সংসদ দ্বৈত ভূমিকা পালন করবে।
ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গতকালের আলোচনায় একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়া হবে। সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হবে। সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু সংসদ নির্বাচন হবে কিসের ভিত্তিতে? কারণ বিদ্যমান সংবিধানে বলা আছে, মেয়াদের আগে সংসদ ভেঙে গেলে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ইতিমধ্যে সে সময়সীমা পার হয়ে গেছে। কিন্তু এ বিষয়ে সুপারিশ করার এখতিয়ার ঐকমত্য কমিশনের আছে কি না। এটি নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ ছাড়া সংস্কার পরিষদের কাজ কী হবে, সেটাও উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। এটি নিয়ে প্রশ্ন এলেও আলোচনা এগোয়নি।
সূত্রে জানা গেছে, আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা তথা সংবিধান সংস্কার পরিষদের ৯ মাস, অর্থাৎ ২৭০ দিনের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার চিন্তা করছে কমিশন। নির্বাচনের পর গঠিত সংসদ এই ২৭০ দিনের মধ্যেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। এরপর সংসদ তার স্বাভাবিক আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে ফিরে যাবে। কমিশনের মতে, তারা এমন একটি প্রস্তাব দিতে চায়, যার মাধ্যমে আগামী নির্বাচিত সরকার এই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে না পারে।
গণভোটের প্রশ্ন কী হবে, সেটা নিয়েও সিদ্ধান্ত গতকালের বৈঠকে হয়নি বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। এক বিশেষজ্ঞ বলেন, গণভোটের প্রশ্ন নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনা করতে হবে। অন্যদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশে সনদ থাকা আপত্তিগুলোর (নোট অব ডিসেন্ট) কোন প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
গতকাল কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি সম্পর্কিত সুপারিশ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে গতকাল সভা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সভায় সনদ বাস্তবায়নের বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ নিয়েও সুদীর্ঘ আলোচনা হয়। এসব বিষয়ে কমিশন বৃহস্পতিবার সকালে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে, আবারও বেলা ২টায় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন।
জাতীয় সংসদের কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন এবং ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। এ ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে। তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই বৈঠকে আদেশের ড্রাফট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন।
গতকালের বৈঠকে উপস্থিত এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আদেশটা কী রকম হবে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কারণ সেখানে তো অনেক খুঁটিনাটি আছে, ধারা-উপধারায় কী থাকবে, সেগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আশা করছি, পরবর্তী বৈঠকে আদেশটি চূড়ান্ত করতে পারব।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করার চেষ্টা করব।’
সূত্র জানায়, গতকালের আলোচনায় এটি মোটামুটি ঠিক হয়েছে, সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মূল ভিত্তি হবে গণ-অভ্যুত্থান। প্রাথমিক খসড়া অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়নে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। সেটার অধীনে গণভোট নিয়ে হবে একটি অধ্যাদেশ। তার ভিত্তিতে হবে গণভোট। গণভোট করার জন্য আলাদা একটি অধ্যাদেশ করতে হবে। সেখানে বলা থাকতে পারে ‘বিশেষ গণভোট’ করার জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। তবে অধ্যাদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট। আগামী সংসদ দ্বৈত ভূমিকা পালন করবে।
ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গতকালের আলোচনায় একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়া হবে। সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হবে। সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু সংসদ নির্বাচন হবে কিসের ভিত্তিতে? কারণ বিদ্যমান সংবিধানে বলা আছে, মেয়াদের আগে সংসদ ভেঙে গেলে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ইতিমধ্যে সে সময়সীমা পার হয়ে গেছে। কিন্তু এ বিষয়ে সুপারিশ করার এখতিয়ার ঐকমত্য কমিশনের আছে কি না। এটি নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ ছাড়া সংস্কার পরিষদের কাজ কী হবে, সেটাও উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। এটি নিয়ে প্রশ্ন এলেও আলোচনা এগোয়নি।
সূত্রে জানা গেছে, আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা তথা সংবিধান সংস্কার পরিষদের ৯ মাস, অর্থাৎ ২৭০ দিনের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার চিন্তা করছে কমিশন। নির্বাচনের পর গঠিত সংসদ এই ২৭০ দিনের মধ্যেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। এরপর সংসদ তার স্বাভাবিক আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে ফিরে যাবে। কমিশনের মতে, তারা এমন একটি প্রস্তাব দিতে চায়, যার মাধ্যমে আগামী নির্বাচিত সরকার এই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে না পারে।
গণভোটের প্রশ্ন কী হবে, সেটা নিয়েও সিদ্ধান্ত গতকালের বৈঠকে হয়নি বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। এক বিশেষজ্ঞ বলেন, গণভোটের প্রশ্ন নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনা করতে হবে। অন্যদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশে সনদ থাকা আপত্তিগুলোর (নোট অব ডিসেন্ট) কোন প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
গতকাল কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি সম্পর্কিত সুপারিশ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে গতকাল সভা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সভায় সনদ বাস্তবায়নের বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ নিয়েও সুদীর্ঘ আলোচনা হয়। এসব বিষয়ে কমিশন বৃহস্পতিবার সকালে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে, আবারও বেলা ২টায় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন।
জাতীয় সংসদের কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন এবং ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। এ ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
যুবক বয়স থেকেই বাস চালাতেন আবুল কাসেম মোল্লা। স্বপ্ন ছিল একদিন নিজের একটা বাস হবে, সেই বাস চালাবেন তিনি নিজেই। পরিবারের অভাব অনটন থাকবে না। সচ্ছলতায় জীবন কাটাবেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে। দেড় বছর আগে ঋণ করে কিনেও ফেলেছিলেন তিনি। অকস্মাৎ বিস্ফোরণ শেষ করে দিল সব
২৮ জুন ২০২১অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
১ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
১ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৩ ঘণ্টা আগে