রাশেদ নিজাম, ঢাকা

দুই দিনের ব্যবধানে ফাঁকা বাসাটি হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও লোকজনের চলাচল তেমন নেই, তবুও সামনে দিয়ে যেই যাচ্ছেন উৎসুক চোখে তাকাচ্ছেন। সামনে ছোটখাটো জটলা। বাড়ির সামনে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) ও পুলিশের গাড়ি। চারদিকে করা হয়েছে অস্থায়ী চেকপোস্ট।
বনানী থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে কুড়িল ফ্লাইওভারে ওঠার বাঁ পাশেই নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার প্রবেশপথ। বাইরে থেকেই বোঝা যাচ্ছে লোকজনের আনাগোনা। ঢোকার পথে নিরাপত্তা প্রহরীকে জিজ্ঞেস করার আগেই বলে উঠলেন, ‘রাষ্ট্রপতির বাড়িতে যাইবেন? ওই যে দুইটা বাড়ি পরেই।’
নিকুঞ্জ-১-এর ৩ নম্বর সড়ক লাগোয়া, ৬ লেক ড্রাইভ। তিনতলা ভবনটি দেখে বোঝার উপায় নেই—এখানেই আছেন দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সময় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে আসীন থাকা ব্যক্তিটি। আবাসিক এলাকার অন্য ভবনগুলোর মতো আকর্ষণীয় নয়। তবে ২৪ এপ্রিল থেকে বাড়ির বাসিন্দার কারণে হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গভবন থেকে নিজ বাড়িতেই উঠেছেন সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তাঁর স্ত্রী রাশিদা খানম।
চারদিকে চারটি অস্থায়ী চেকপোস্টে সার্বক্ষণিক থাকছেন একজন করে পুলিশ সদস্য। বাসায় ঢোকার মুখে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) এবং এসএসএফ সদস্যরা। এসবির একজন পরিদর্শকের নেতৃত্ব ২৪ ঘণ্টায় তিন শিফটে ছয়জন করে দায়িত্ব পালন করছেন। খিলক্ষেত ও ক্যান্টনমেন্ট থানা থেকে টহলে ঘুরে যাচ্ছেন পুলিশের সদস্যরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, আট ঘণ্টার শিফটে চারজন করে পিজিআর সদস্য নিরাপত্তা দিচ্ছেন ১০ বছর ৪১ দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা হাওরের সন্তান আবদুল হামিদকে। একইভাবে রয়েছেন এসএসএফের সদস্যরাও। তবে নিরাপত্তা ইস্যুতে তাঁদের সংখ্যা উল্লেখ করা যাচ্ছে না।
১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকায় এই তিন কাঠা জমি পান আবদুল হামিদ। ২০০০ সালের শেষ দিকে সেখানে শুরু হয় বাড়ির কাজ। নির্মাণের পরে ফাঁকাই থাকত বলে জানান দীর্ঘদিন বাড়িটি দেখাশোনা করা ইসমাইল। জানান, মাঝেমধ্যে একদিনের জন্য পরিবার নিয়ে থাকতে আসতেন পরিবারের কর্তা আবদুল হামিদ। এ ছাড়া তাঁর ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনও কিছুদিন থেকেছেন। তবে মাঝে বহুদিন বাসিন্দাহীন ছিল বাড়িটি।
বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ডেসকোর গাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁরা বিদ্যুতের সংযোগগুলো ঠিকঠাক আছে কি না, তা পরখ করতে এসেছিলেন। নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) বসানো হয়েছে। এ ছাড়া যেন কখনো অন্ধকারে থাকতে না হয় সাবেক রাষ্ট্রপতিকে, তাই নিকুঞ্জের দুই অংশের বিদ্যুতের সংযোগই দেওয়া হয়েছে এখানে।
দুজনকে দেখা গেল ইউনিলিভারের পিউর ইট থেকে এসেছেন খাবার পানির সংযোগের জন্য। ভেতর থেকে অনুমতির পরে শেষ হলো তাঁদের অপেক্ষার পালা। স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান পাঠিয়েছিলেন এক স্যানিটারি মিস্ত্রিকে। একবার ভেতরে ঢুকে কিছু কাজ করেছেন পরে আবারও ঢোকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
আবদুল হামিদের ৬ নম্বর বাড়ির একপাশে রাস্তা, লাগোয়া ৭ নম্বর বাড়িটি সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী (লিটন) ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমানের (নিক্সন চৌধুরী) ভাই নাসির আহমেদ চৌধুরীর। তিনিই সাবেক রাষ্ট্রপতির একমাত্র প্রতিবেশী। পেছনের প্লটটি ফাঁকা। পাশের সড়ক লাগোয়া ২ নম্বর বাড়িটি আবদুল হামিদের পরিবারেরই, তবে এখন ভাড়া দেওয়া বলে জানা যায়।
দীর্ঘদিন বঙ্গভবনে থাকা মানুষটি এখন কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন। ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আসছেন, সাক্ষাৎ করছেন। এ ছাড়া দিনের বেশির ভাগ সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই কাটাচ্ছেন মা-বাবা। আমিসহ অন্য ভাইদের বাসা থেকে, স্বজনের বাসা থেকে আসা খাবারই এখন খাচ্ছেন তাঁরা। তবে এসএসএফ সদস্যরা আগে তা পরখ করে নিচ্ছেন। অনেকেই এমনি দেখা করতে আসছেন, কিন্তু নিরাপত্তার কারণে পারছেন না।’
গত দুই দিন ওই বাসার সামনে দায়িত্ব পালন করা এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলও তিনতলার বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন স্যার (আবদুল হামিদ)। ওনার মতো মাটির মানুষকে আমাদের এত সব নিয়মকানুনে আটকে রাখা কষ্টের।’
ডিএমপির ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) খন্দকার রেজাউল হাসান জানান, পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (আইওএম) থেকে প্রতিদিন দুই শিফটে ১০ জন করে পুলিশ সদস্য থাকছেন বাসার সামনের নিরাপত্তায়। পাঁচজন নারী ও পাঁচজন পুরুষ। এ ছাড়া কিছুক্ষণ পরপরই বিভাগীয় ও থানা থেকে টহল টিম পরিদর্শন করে যাচ্ছে।
কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ২৪ তারিখ থেকেই কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার নেতারা আসছেন সাবেক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে। যার অনুমতি মিলছে, তিনিই ভেতরে যাচ্ছেন। গতকাল উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম এসেছিলেন।
শেষ জীবন কেমন কাটাবেন? বঙ্গভবন থেকে বিদায় নেওয়ার সময় আবদুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি তো এখন রিটায়ার্ড হয়ে গেছি। দোজ হু আর টায়ার্ড, দে গো ফর রিটায়ার্ড। অনেক সময় বলেছি, আমি বন্দী জীবনে আছি। এর থেকে আমি মুক্তি পাচ্ছি। এখন সাধারণ নাগরিক হিসেবে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারব। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ।’

দুই দিনের ব্যবধানে ফাঁকা বাসাটি হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও লোকজনের চলাচল তেমন নেই, তবুও সামনে দিয়ে যেই যাচ্ছেন উৎসুক চোখে তাকাচ্ছেন। সামনে ছোটখাটো জটলা। বাড়ির সামনে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) ও পুলিশের গাড়ি। চারদিকে করা হয়েছে অস্থায়ী চেকপোস্ট।
বনানী থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে কুড়িল ফ্লাইওভারে ওঠার বাঁ পাশেই নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার প্রবেশপথ। বাইরে থেকেই বোঝা যাচ্ছে লোকজনের আনাগোনা। ঢোকার পথে নিরাপত্তা প্রহরীকে জিজ্ঞেস করার আগেই বলে উঠলেন, ‘রাষ্ট্রপতির বাড়িতে যাইবেন? ওই যে দুইটা বাড়ি পরেই।’
নিকুঞ্জ-১-এর ৩ নম্বর সড়ক লাগোয়া, ৬ লেক ড্রাইভ। তিনতলা ভবনটি দেখে বোঝার উপায় নেই—এখানেই আছেন দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সময় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে আসীন থাকা ব্যক্তিটি। আবাসিক এলাকার অন্য ভবনগুলোর মতো আকর্ষণীয় নয়। তবে ২৪ এপ্রিল থেকে বাড়ির বাসিন্দার কারণে হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গভবন থেকে নিজ বাড়িতেই উঠেছেন সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তাঁর স্ত্রী রাশিদা খানম।
চারদিকে চারটি অস্থায়ী চেকপোস্টে সার্বক্ষণিক থাকছেন একজন করে পুলিশ সদস্য। বাসায় ঢোকার মুখে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) এবং এসএসএফ সদস্যরা। এসবির একজন পরিদর্শকের নেতৃত্ব ২৪ ঘণ্টায় তিন শিফটে ছয়জন করে দায়িত্ব পালন করছেন। খিলক্ষেত ও ক্যান্টনমেন্ট থানা থেকে টহলে ঘুরে যাচ্ছেন পুলিশের সদস্যরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, আট ঘণ্টার শিফটে চারজন করে পিজিআর সদস্য নিরাপত্তা দিচ্ছেন ১০ বছর ৪১ দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা হাওরের সন্তান আবদুল হামিদকে। একইভাবে রয়েছেন এসএসএফের সদস্যরাও। তবে নিরাপত্তা ইস্যুতে তাঁদের সংখ্যা উল্লেখ করা যাচ্ছে না।
১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকায় এই তিন কাঠা জমি পান আবদুল হামিদ। ২০০০ সালের শেষ দিকে সেখানে শুরু হয় বাড়ির কাজ। নির্মাণের পরে ফাঁকাই থাকত বলে জানান দীর্ঘদিন বাড়িটি দেখাশোনা করা ইসমাইল। জানান, মাঝেমধ্যে একদিনের জন্য পরিবার নিয়ে থাকতে আসতেন পরিবারের কর্তা আবদুল হামিদ। এ ছাড়া তাঁর ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনও কিছুদিন থেকেছেন। তবে মাঝে বহুদিন বাসিন্দাহীন ছিল বাড়িটি।
বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ডেসকোর গাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁরা বিদ্যুতের সংযোগগুলো ঠিকঠাক আছে কি না, তা পরখ করতে এসেছিলেন। নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) বসানো হয়েছে। এ ছাড়া যেন কখনো অন্ধকারে থাকতে না হয় সাবেক রাষ্ট্রপতিকে, তাই নিকুঞ্জের দুই অংশের বিদ্যুতের সংযোগই দেওয়া হয়েছে এখানে।
দুজনকে দেখা গেল ইউনিলিভারের পিউর ইট থেকে এসেছেন খাবার পানির সংযোগের জন্য। ভেতর থেকে অনুমতির পরে শেষ হলো তাঁদের অপেক্ষার পালা। স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান পাঠিয়েছিলেন এক স্যানিটারি মিস্ত্রিকে। একবার ভেতরে ঢুকে কিছু কাজ করেছেন পরে আবারও ঢোকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
আবদুল হামিদের ৬ নম্বর বাড়ির একপাশে রাস্তা, লাগোয়া ৭ নম্বর বাড়িটি সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী (লিটন) ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমানের (নিক্সন চৌধুরী) ভাই নাসির আহমেদ চৌধুরীর। তিনিই সাবেক রাষ্ট্রপতির একমাত্র প্রতিবেশী। পেছনের প্লটটি ফাঁকা। পাশের সড়ক লাগোয়া ২ নম্বর বাড়িটি আবদুল হামিদের পরিবারেরই, তবে এখন ভাড়া দেওয়া বলে জানা যায়।
দীর্ঘদিন বঙ্গভবনে থাকা মানুষটি এখন কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন। ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আসছেন, সাক্ষাৎ করছেন। এ ছাড়া দিনের বেশির ভাগ সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই কাটাচ্ছেন মা-বাবা। আমিসহ অন্য ভাইদের বাসা থেকে, স্বজনের বাসা থেকে আসা খাবারই এখন খাচ্ছেন তাঁরা। তবে এসএসএফ সদস্যরা আগে তা পরখ করে নিচ্ছেন। অনেকেই এমনি দেখা করতে আসছেন, কিন্তু নিরাপত্তার কারণে পারছেন না।’
গত দুই দিন ওই বাসার সামনে দায়িত্ব পালন করা এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলও তিনতলার বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন স্যার (আবদুল হামিদ)। ওনার মতো মাটির মানুষকে আমাদের এত সব নিয়মকানুনে আটকে রাখা কষ্টের।’
ডিএমপির ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) খন্দকার রেজাউল হাসান জানান, পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (আইওএম) থেকে প্রতিদিন দুই শিফটে ১০ জন করে পুলিশ সদস্য থাকছেন বাসার সামনের নিরাপত্তায়। পাঁচজন নারী ও পাঁচজন পুরুষ। এ ছাড়া কিছুক্ষণ পরপরই বিভাগীয় ও থানা থেকে টহল টিম পরিদর্শন করে যাচ্ছে।
কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ২৪ তারিখ থেকেই কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার নেতারা আসছেন সাবেক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে। যার অনুমতি মিলছে, তিনিই ভেতরে যাচ্ছেন। গতকাল উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম এসেছিলেন।
শেষ জীবন কেমন কাটাবেন? বঙ্গভবন থেকে বিদায় নেওয়ার সময় আবদুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি তো এখন রিটায়ার্ড হয়ে গেছি। দোজ হু আর টায়ার্ড, দে গো ফর রিটায়ার্ড। অনেক সময় বলেছি, আমি বন্দী জীবনে আছি। এর থেকে আমি মুক্তি পাচ্ছি। এখন সাধারণ নাগরিক হিসেবে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারব। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ।’
রাশেদ নিজাম, ঢাকা

দুই দিনের ব্যবধানে ফাঁকা বাসাটি হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও লোকজনের চলাচল তেমন নেই, তবুও সামনে দিয়ে যেই যাচ্ছেন উৎসুক চোখে তাকাচ্ছেন। সামনে ছোটখাটো জটলা। বাড়ির সামনে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) ও পুলিশের গাড়ি। চারদিকে করা হয়েছে অস্থায়ী চেকপোস্ট।
বনানী থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে কুড়িল ফ্লাইওভারে ওঠার বাঁ পাশেই নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার প্রবেশপথ। বাইরে থেকেই বোঝা যাচ্ছে লোকজনের আনাগোনা। ঢোকার পথে নিরাপত্তা প্রহরীকে জিজ্ঞেস করার আগেই বলে উঠলেন, ‘রাষ্ট্রপতির বাড়িতে যাইবেন? ওই যে দুইটা বাড়ি পরেই।’
নিকুঞ্জ-১-এর ৩ নম্বর সড়ক লাগোয়া, ৬ লেক ড্রাইভ। তিনতলা ভবনটি দেখে বোঝার উপায় নেই—এখানেই আছেন দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সময় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে আসীন থাকা ব্যক্তিটি। আবাসিক এলাকার অন্য ভবনগুলোর মতো আকর্ষণীয় নয়। তবে ২৪ এপ্রিল থেকে বাড়ির বাসিন্দার কারণে হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গভবন থেকে নিজ বাড়িতেই উঠেছেন সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তাঁর স্ত্রী রাশিদা খানম।
চারদিকে চারটি অস্থায়ী চেকপোস্টে সার্বক্ষণিক থাকছেন একজন করে পুলিশ সদস্য। বাসায় ঢোকার মুখে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) এবং এসএসএফ সদস্যরা। এসবির একজন পরিদর্শকের নেতৃত্ব ২৪ ঘণ্টায় তিন শিফটে ছয়জন করে দায়িত্ব পালন করছেন। খিলক্ষেত ও ক্যান্টনমেন্ট থানা থেকে টহলে ঘুরে যাচ্ছেন পুলিশের সদস্যরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, আট ঘণ্টার শিফটে চারজন করে পিজিআর সদস্য নিরাপত্তা দিচ্ছেন ১০ বছর ৪১ দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা হাওরের সন্তান আবদুল হামিদকে। একইভাবে রয়েছেন এসএসএফের সদস্যরাও। তবে নিরাপত্তা ইস্যুতে তাঁদের সংখ্যা উল্লেখ করা যাচ্ছে না।
১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকায় এই তিন কাঠা জমি পান আবদুল হামিদ। ২০০০ সালের শেষ দিকে সেখানে শুরু হয় বাড়ির কাজ। নির্মাণের পরে ফাঁকাই থাকত বলে জানান দীর্ঘদিন বাড়িটি দেখাশোনা করা ইসমাইল। জানান, মাঝেমধ্যে একদিনের জন্য পরিবার নিয়ে থাকতে আসতেন পরিবারের কর্তা আবদুল হামিদ। এ ছাড়া তাঁর ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনও কিছুদিন থেকেছেন। তবে মাঝে বহুদিন বাসিন্দাহীন ছিল বাড়িটি।
বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ডেসকোর গাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁরা বিদ্যুতের সংযোগগুলো ঠিকঠাক আছে কি না, তা পরখ করতে এসেছিলেন। নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) বসানো হয়েছে। এ ছাড়া যেন কখনো অন্ধকারে থাকতে না হয় সাবেক রাষ্ট্রপতিকে, তাই নিকুঞ্জের দুই অংশের বিদ্যুতের সংযোগই দেওয়া হয়েছে এখানে।
দুজনকে দেখা গেল ইউনিলিভারের পিউর ইট থেকে এসেছেন খাবার পানির সংযোগের জন্য। ভেতর থেকে অনুমতির পরে শেষ হলো তাঁদের অপেক্ষার পালা। স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান পাঠিয়েছিলেন এক স্যানিটারি মিস্ত্রিকে। একবার ভেতরে ঢুকে কিছু কাজ করেছেন পরে আবারও ঢোকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
আবদুল হামিদের ৬ নম্বর বাড়ির একপাশে রাস্তা, লাগোয়া ৭ নম্বর বাড়িটি সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী (লিটন) ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমানের (নিক্সন চৌধুরী) ভাই নাসির আহমেদ চৌধুরীর। তিনিই সাবেক রাষ্ট্রপতির একমাত্র প্রতিবেশী। পেছনের প্লটটি ফাঁকা। পাশের সড়ক লাগোয়া ২ নম্বর বাড়িটি আবদুল হামিদের পরিবারেরই, তবে এখন ভাড়া দেওয়া বলে জানা যায়।
দীর্ঘদিন বঙ্গভবনে থাকা মানুষটি এখন কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন। ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আসছেন, সাক্ষাৎ করছেন। এ ছাড়া দিনের বেশির ভাগ সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই কাটাচ্ছেন মা-বাবা। আমিসহ অন্য ভাইদের বাসা থেকে, স্বজনের বাসা থেকে আসা খাবারই এখন খাচ্ছেন তাঁরা। তবে এসএসএফ সদস্যরা আগে তা পরখ করে নিচ্ছেন। অনেকেই এমনি দেখা করতে আসছেন, কিন্তু নিরাপত্তার কারণে পারছেন না।’
গত দুই দিন ওই বাসার সামনে দায়িত্ব পালন করা এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলও তিনতলার বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন স্যার (আবদুল হামিদ)। ওনার মতো মাটির মানুষকে আমাদের এত সব নিয়মকানুনে আটকে রাখা কষ্টের।’
ডিএমপির ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) খন্দকার রেজাউল হাসান জানান, পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (আইওএম) থেকে প্রতিদিন দুই শিফটে ১০ জন করে পুলিশ সদস্য থাকছেন বাসার সামনের নিরাপত্তায়। পাঁচজন নারী ও পাঁচজন পুরুষ। এ ছাড়া কিছুক্ষণ পরপরই বিভাগীয় ও থানা থেকে টহল টিম পরিদর্শন করে যাচ্ছে।
কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ২৪ তারিখ থেকেই কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার নেতারা আসছেন সাবেক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে। যার অনুমতি মিলছে, তিনিই ভেতরে যাচ্ছেন। গতকাল উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম এসেছিলেন।
শেষ জীবন কেমন কাটাবেন? বঙ্গভবন থেকে বিদায় নেওয়ার সময় আবদুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি তো এখন রিটায়ার্ড হয়ে গেছি। দোজ হু আর টায়ার্ড, দে গো ফর রিটায়ার্ড। অনেক সময় বলেছি, আমি বন্দী জীবনে আছি। এর থেকে আমি মুক্তি পাচ্ছি। এখন সাধারণ নাগরিক হিসেবে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারব। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ।’

দুই দিনের ব্যবধানে ফাঁকা বাসাটি হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও লোকজনের চলাচল তেমন নেই, তবুও সামনে দিয়ে যেই যাচ্ছেন উৎসুক চোখে তাকাচ্ছেন। সামনে ছোটখাটো জটলা। বাড়ির সামনে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) ও পুলিশের গাড়ি। চারদিকে করা হয়েছে অস্থায়ী চেকপোস্ট।
বনানী থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে কুড়িল ফ্লাইওভারে ওঠার বাঁ পাশেই নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার প্রবেশপথ। বাইরে থেকেই বোঝা যাচ্ছে লোকজনের আনাগোনা। ঢোকার পথে নিরাপত্তা প্রহরীকে জিজ্ঞেস করার আগেই বলে উঠলেন, ‘রাষ্ট্রপতির বাড়িতে যাইবেন? ওই যে দুইটা বাড়ি পরেই।’
নিকুঞ্জ-১-এর ৩ নম্বর সড়ক লাগোয়া, ৬ লেক ড্রাইভ। তিনতলা ভবনটি দেখে বোঝার উপায় নেই—এখানেই আছেন দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সময় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে আসীন থাকা ব্যক্তিটি। আবাসিক এলাকার অন্য ভবনগুলোর মতো আকর্ষণীয় নয়। তবে ২৪ এপ্রিল থেকে বাড়ির বাসিন্দার কারণে হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গভবন থেকে নিজ বাড়িতেই উঠেছেন সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তাঁর স্ত্রী রাশিদা খানম।
চারদিকে চারটি অস্থায়ী চেকপোস্টে সার্বক্ষণিক থাকছেন একজন করে পুলিশ সদস্য। বাসায় ঢোকার মুখে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) এবং এসএসএফ সদস্যরা। এসবির একজন পরিদর্শকের নেতৃত্ব ২৪ ঘণ্টায় তিন শিফটে ছয়জন করে দায়িত্ব পালন করছেন। খিলক্ষেত ও ক্যান্টনমেন্ট থানা থেকে টহলে ঘুরে যাচ্ছেন পুলিশের সদস্যরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, আট ঘণ্টার শিফটে চারজন করে পিজিআর সদস্য নিরাপত্তা দিচ্ছেন ১০ বছর ৪১ দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা হাওরের সন্তান আবদুল হামিদকে। একইভাবে রয়েছেন এসএসএফের সদস্যরাও। তবে নিরাপত্তা ইস্যুতে তাঁদের সংখ্যা উল্লেখ করা যাচ্ছে না।
১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকায় এই তিন কাঠা জমি পান আবদুল হামিদ। ২০০০ সালের শেষ দিকে সেখানে শুরু হয় বাড়ির কাজ। নির্মাণের পরে ফাঁকাই থাকত বলে জানান দীর্ঘদিন বাড়িটি দেখাশোনা করা ইসমাইল। জানান, মাঝেমধ্যে একদিনের জন্য পরিবার নিয়ে থাকতে আসতেন পরিবারের কর্তা আবদুল হামিদ। এ ছাড়া তাঁর ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনও কিছুদিন থেকেছেন। তবে মাঝে বহুদিন বাসিন্দাহীন ছিল বাড়িটি।
বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ডেসকোর গাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁরা বিদ্যুতের সংযোগগুলো ঠিকঠাক আছে কি না, তা পরখ করতে এসেছিলেন। নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) বসানো হয়েছে। এ ছাড়া যেন কখনো অন্ধকারে থাকতে না হয় সাবেক রাষ্ট্রপতিকে, তাই নিকুঞ্জের দুই অংশের বিদ্যুতের সংযোগই দেওয়া হয়েছে এখানে।
দুজনকে দেখা গেল ইউনিলিভারের পিউর ইট থেকে এসেছেন খাবার পানির সংযোগের জন্য। ভেতর থেকে অনুমতির পরে শেষ হলো তাঁদের অপেক্ষার পালা। স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান পাঠিয়েছিলেন এক স্যানিটারি মিস্ত্রিকে। একবার ভেতরে ঢুকে কিছু কাজ করেছেন পরে আবারও ঢোকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
আবদুল হামিদের ৬ নম্বর বাড়ির একপাশে রাস্তা, লাগোয়া ৭ নম্বর বাড়িটি সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী (লিটন) ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমানের (নিক্সন চৌধুরী) ভাই নাসির আহমেদ চৌধুরীর। তিনিই সাবেক রাষ্ট্রপতির একমাত্র প্রতিবেশী। পেছনের প্লটটি ফাঁকা। পাশের সড়ক লাগোয়া ২ নম্বর বাড়িটি আবদুল হামিদের পরিবারেরই, তবে এখন ভাড়া দেওয়া বলে জানা যায়।
দীর্ঘদিন বঙ্গভবনে থাকা মানুষটি এখন কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন। ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আসছেন, সাক্ষাৎ করছেন। এ ছাড়া দিনের বেশির ভাগ সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই কাটাচ্ছেন মা-বাবা। আমিসহ অন্য ভাইদের বাসা থেকে, স্বজনের বাসা থেকে আসা খাবারই এখন খাচ্ছেন তাঁরা। তবে এসএসএফ সদস্যরা আগে তা পরখ করে নিচ্ছেন। অনেকেই এমনি দেখা করতে আসছেন, কিন্তু নিরাপত্তার কারণে পারছেন না।’
গত দুই দিন ওই বাসার সামনে দায়িত্ব পালন করা এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলও তিনতলার বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন স্যার (আবদুল হামিদ)। ওনার মতো মাটির মানুষকে আমাদের এত সব নিয়মকানুনে আটকে রাখা কষ্টের।’
ডিএমপির ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) খন্দকার রেজাউল হাসান জানান, পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (আইওএম) থেকে প্রতিদিন দুই শিফটে ১০ জন করে পুলিশ সদস্য থাকছেন বাসার সামনের নিরাপত্তায়। পাঁচজন নারী ও পাঁচজন পুরুষ। এ ছাড়া কিছুক্ষণ পরপরই বিভাগীয় ও থানা থেকে টহল টিম পরিদর্শন করে যাচ্ছে।
কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ২৪ তারিখ থেকেই কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার নেতারা আসছেন সাবেক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে। যার অনুমতি মিলছে, তিনিই ভেতরে যাচ্ছেন। গতকাল উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম এসেছিলেন।
শেষ জীবন কেমন কাটাবেন? বঙ্গভবন থেকে বিদায় নেওয়ার সময় আবদুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি তো এখন রিটায়ার্ড হয়ে গেছি। দোজ হু আর টায়ার্ড, দে গো ফর রিটায়ার্ড। অনেক সময় বলেছি, আমি বন্দী জীবনে আছি। এর থেকে আমি মুক্তি পাচ্ছি। এখন সাধারণ নাগরিক হিসেবে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারব। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
১৭ মিনিট আগে
এক বছর পার হতেই বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইনের একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে গেল। আগেরবার হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও এবার একজন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুজন আহত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামোতে একই ধরনের প্রাণহানিকর ঘটনা মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
২২ মিনিট আগে
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে আত্মসাৎ হওয়া প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকেরা।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও পরিচালক এম এ খালেকের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। পরে তাঁরা দুদকে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের টাকার ন্যায্য প্রাপ্তি চাই। যারা প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
কোম্পানির রিকভারি সেকশনের ইনচার্জ মাসুদ বলেন, নজরুল-খালেক চক্র নজিরবিহীন লুটপাট চালিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। টাকা পাচার করে তারা বিদেশে নিয়ে গেছে। এখন আইনের ফাঁকফোকর গলে বাঁচার চেষ্টা করছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তাঁদের অবদানে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের তহবিলে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা জমা পড়ে। কিন্তু তৎকালীন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও পরিচালক এম এ খালেক ভুয়া বিনিয়োগ, কাগুজে খরচ ও কারসাজির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। এর বড় অংশ বিদেশে পাচার করা হয়।
বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহক তাঁদের প্রাপ্য অর্থ না পেয়ে প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ঘুরছেন বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
গত ৩১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির বাদী হয়ে নজরুল ইসলামসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার নজরুল ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা ঢাকার তোপখানা রোডের একটি স্থাপনা ২০৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকায় অনিয়মের মাধ্যমে কেনাবেচা করে।
এর মধ্যে ৪৫ কোটি টাকা নজরুল ইসলাম, এম এ খালেক ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে আসে।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে আত্মসাৎ হওয়া প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকেরা।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও পরিচালক এম এ খালেকের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। পরে তাঁরা দুদকে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের টাকার ন্যায্য প্রাপ্তি চাই। যারা প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
কোম্পানির রিকভারি সেকশনের ইনচার্জ মাসুদ বলেন, নজরুল-খালেক চক্র নজিরবিহীন লুটপাট চালিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। টাকা পাচার করে তারা বিদেশে নিয়ে গেছে। এখন আইনের ফাঁকফোকর গলে বাঁচার চেষ্টা করছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তাঁদের অবদানে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের তহবিলে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা জমা পড়ে। কিন্তু তৎকালীন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও পরিচালক এম এ খালেক ভুয়া বিনিয়োগ, কাগুজে খরচ ও কারসাজির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। এর বড় অংশ বিদেশে পাচার করা হয়।
বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহক তাঁদের প্রাপ্য অর্থ না পেয়ে প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ঘুরছেন বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
গত ৩১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির বাদী হয়ে নজরুল ইসলামসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার নজরুল ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা ঢাকার তোপখানা রোডের একটি স্থাপনা ২০৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকায় অনিয়মের মাধ্যমে কেনাবেচা করে।
এর মধ্যে ৪৫ কোটি টাকা নজরুল ইসলাম, এম এ খালেক ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে আসে।

দুই দিনের ব্যবধানে ফাঁকা বাসাটি হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও লোকজনের চলাচল তেমন নেই, তবুও সামনে দিয়ে যেই যাচ্ছেন উৎসুক চোখে তাকাচ্ছেন। সামনে ছোটখাটো জটলা। বাড়ির সামনে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) ও পুলিশের গাড়ি। চারদিকে করা হয়েছে অস্থায়ী চেকপোস্ট।
২৬ এপ্রিল ২০২৩
এক বছর পার হতেই বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইনের একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে গেল। আগেরবার হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও এবার একজন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুজন আহত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামোতে একই ধরনের প্রাণহানিকর ঘটনা মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
২২ মিনিট আগে
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক বছর পার হতেই বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইনের একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে গেল। আগেরবার হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও এবার একজন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুজন আহত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামোতে একই ধরনের প্রাণহানিকর ঘটনা মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। প্রথমবার ত্রুটি ধরার পর মেট্রোরেল কি আদৌ কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিল? কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে থাকলে এই প্রাণহানির দায় কার? শুধু ক্ষতিপূরণ দিলেই দায় শেষ করবে কর্তৃপক্ষ?
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট স্টেশনের ঠিক পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছে। ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, গত বছর যে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল, সেটি ছিল ৪৩০ নম্বর পিলার। একই জায়গায় না হলেও কাছাকাছি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মেট্রোরেলে (মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত) মোট পিলার আছে ৬২০টি। প্রতিটি পিলারে চারটি করে বিয়ারিং প্যাড আছে। সে হিসেবে মেট্রোরেলে মোট বিয়ারিং প্যাড আছে ২ হাজার ৪৮০টি।
‘বিয়ারিং প্যাড’ হচ্ছে রাবার ও ইস্পাতের মিশ্রণে তৈরি আয়তাকার একধরনের প্যাড, যা ম্যাট্রেসের মতো ব্যবহৃত হয়। মেট্রোরেলের ভায়াডাক্ট বা উড়ালপথের ওপরই রেললাইনসহ যাবতীয় স্থাপনা বসানো হয়। ভায়াডাক্ট বসানো হয় স্তম্ভ বা পিলারের ওপর। এই স্তম্ভকে প্রকৌশলের ভাষায় পিয়ার বলা হয়।
কংক্রিটের তৈরি ৩০ থেকে ৪০ মিটার লম্বা একেকটি স্প্যান জোড়া দিয়ে মেট্রোরেলের উড়ালপথ তৈরি করা হয়েছে। ভায়াডাক্ট ও পিয়ার দুটিই কংক্রিটের হওয়ায় দুটি কংক্রিটের বস্তুর মধ্যে ঘর্ষণ থেকে ক্ষয় ও স্থানচ্যুতি ঠেকাতে ভায়াডাক্ট ও পিলারের মাঝখানে রাবার ও স্টিলের তৈরি বিয়ারিং প্যাড দেওয়া হয়, যা স্থাপনাটির সুরক্ষায় কাজ করে।
দুই পিলারের মাঝখানের প্রতিটি স্প্যানের জন্য চারটি করে বিয়ারিং প্যাড রয়েছে; অর্থাৎ একেকটি পিলারের আছে চারটি করে রাবার প্যাড। এগুলোর স্তরে স্তরে রাবার ও বিশেষ স্টিল দিয়ে তৈরি। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজন এই বিয়ারিং প্যাডের। সেটি সরাসরি এক পথচারীর মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল। তখনও প্রায় ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মেট্রোরেল নির্মাণের খরচ কয়েকগুণ বেশি। এই মাত্রাতিরিক্ত ব্যয়ের ব্যাখ্যা হিসেবে মেট্রোরেল নির্মাণে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান জাইকা ‘উচ্চ গুণগত মান’ রক্ষার কথা বলেছিল। সংস্থাটি বলেছিল, প্রাথমিক নির্মাণ ব্যয় বেশি হলেও রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতে ব্যয় কম হবে। তাহলে উচ্চ গুণ–মানসম্পন্ন মেট্রোরেল থেকে দ্বিতীয়বার ‘ভবনের ইট খুলে পড়ার মতো’ বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে কেন— সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রকৌশলী কল্লোল মুস্তফা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা হচ্ছে।

জাপানের কোম্পানি উচ্চ গুণ–মানের দাবি করলেও এই ঘটনার পেছনে ‘নকশাগত ত্রুটিকে’ দায়ী করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ড. হদিউজ্জামান। আগেরবার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, মেট্রোরেলের যেখান থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে গেছে সেই জায়গাটিতে বাঁক আছে। ট্রেন যখন সেই জায়গাটি অতিক্রম করে তখন লাইনের একপাশে বাড়তি চাপ তৈরি হয়। তখন বিয়ারিং প্যাডের একদিকে বাড়তি চাপ পড়লে অন্য রাবারের বিয়ারিং প্যাড ছিটকে বেরিয়ে আসে।
তিনি বলেন, ‘এসব বাঁকে বাড়তি চাপ মাথায় রেখে লাইনে বিয়ারিং প্যাড ধরে রাখার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে হয়। কিন্ত এই মেট্রোরেলের নকশায় বাঁকের মধ্যে বাড়তি চাপের বিষয়টি বিবেচনা না করেই ভায়াডাক্ট বসানো হয়েছে। সেখানে রাবারের বিয়ারিং প্যাডকে ধরে রাখার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। ফলে বাড়তি চাপ নিতে না পেরে রাবারের প্যাড খুলে গেছে।’
মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে উত্তরা অংশের নির্মাণকাজের সঙ্গে এক পূরকৌশলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে বিয়ারিং প্যাডটি খুলে নিচে পড়ে গেছে, তার পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলের সঠিক অবস্থানে সেটা বসানো হয়নি। সুষমভাবে ভরবণ্টন মাথায় রেখে সেটা বসানো ছিল না। ছিটকে পড়ে যাওয়া বিয়ারিং প্যাডের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আয়তাকার প্যাডের এক কোণে ভর বেশি ছিল।’
আগেরবার ঘটনার পর সমাধান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায় হিসেবে পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড আটকে রাখার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই সাথে রাবারের বিয়ারিং বাদ দিয়ে টেকসই ও অধিক চাপ সহনশীল ‘পড বিয়ারিং’ ব্যবহার করার কথাও বলেছিলেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হাদী। ওই সময় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষও ভবিষ্যৎ দুর্ঘটনা এড়াতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিল।
প্রকৌশলী কল্লোল মুস্তফা ফেসবুকে প্রশ্ন তুলেছেন, এক বছরের বেশি সময় পার করে সেই ফার্মগেট এলাকাতেই আবারও বিয়ারিং প্যাড কেন খুলে পড়ে গেল। বুয়েটের পরামর্শ মতো মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কি পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড আটকে রাখার কোনো ব্যবস্থা করেছিল।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এ ব্যাপারে জাপানের জাইকা ও মেট্রোরেলের নকশা ও নির্মাণের সাথে যুক্ত কোম্পানিগুলোই বা কি পদক্ষেপ নিয়েছিল? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া দরকার। সদ্য নির্মিত মেট্রোরেল থেকে এক বছরের ব্যবধানে দুইবার বিয়ারিং প্যাড খুলে যাওয়ার ঘটনা মেট্রোরেলের নিরাপত্তা বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। জাপান বেশি টাকা নেয়ার যুক্তি হিসেবে উচ্চগুণগত মানের যে যুক্তি দিয়েছিলো সেই যুক্তিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।’
তাই শুধু জাপানের উপর ভরসা না করে ‘অবিলম্বে স্বাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মেট্রোরেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করা প্রয়োজন’ বলে এই প্রকৌশলীর দাবি।

এক বছর পার হতেই বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইনের একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে গেল। আগেরবার হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও এবার একজন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুজন আহত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামোতে একই ধরনের প্রাণহানিকর ঘটনা মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। প্রথমবার ত্রুটি ধরার পর মেট্রোরেল কি আদৌ কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিল? কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে থাকলে এই প্রাণহানির দায় কার? শুধু ক্ষতিপূরণ দিলেই দায় শেষ করবে কর্তৃপক্ষ?
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট স্টেশনের ঠিক পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছে। ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, গত বছর যে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল, সেটি ছিল ৪৩০ নম্বর পিলার। একই জায়গায় না হলেও কাছাকাছি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মেট্রোরেলে (মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত) মোট পিলার আছে ৬২০টি। প্রতিটি পিলারে চারটি করে বিয়ারিং প্যাড আছে। সে হিসেবে মেট্রোরেলে মোট বিয়ারিং প্যাড আছে ২ হাজার ৪৮০টি।
‘বিয়ারিং প্যাড’ হচ্ছে রাবার ও ইস্পাতের মিশ্রণে তৈরি আয়তাকার একধরনের প্যাড, যা ম্যাট্রেসের মতো ব্যবহৃত হয়। মেট্রোরেলের ভায়াডাক্ট বা উড়ালপথের ওপরই রেললাইনসহ যাবতীয় স্থাপনা বসানো হয়। ভায়াডাক্ট বসানো হয় স্তম্ভ বা পিলারের ওপর। এই স্তম্ভকে প্রকৌশলের ভাষায় পিয়ার বলা হয়।
কংক্রিটের তৈরি ৩০ থেকে ৪০ মিটার লম্বা একেকটি স্প্যান জোড়া দিয়ে মেট্রোরেলের উড়ালপথ তৈরি করা হয়েছে। ভায়াডাক্ট ও পিয়ার দুটিই কংক্রিটের হওয়ায় দুটি কংক্রিটের বস্তুর মধ্যে ঘর্ষণ থেকে ক্ষয় ও স্থানচ্যুতি ঠেকাতে ভায়াডাক্ট ও পিলারের মাঝখানে রাবার ও স্টিলের তৈরি বিয়ারিং প্যাড দেওয়া হয়, যা স্থাপনাটির সুরক্ষায় কাজ করে।
দুই পিলারের মাঝখানের প্রতিটি স্প্যানের জন্য চারটি করে বিয়ারিং প্যাড রয়েছে; অর্থাৎ একেকটি পিলারের আছে চারটি করে রাবার প্যাড। এগুলোর স্তরে স্তরে রাবার ও বিশেষ স্টিল দিয়ে তৈরি। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজন এই বিয়ারিং প্যাডের। সেটি সরাসরি এক পথচারীর মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল। তখনও প্রায় ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মেট্রোরেল নির্মাণের খরচ কয়েকগুণ বেশি। এই মাত্রাতিরিক্ত ব্যয়ের ব্যাখ্যা হিসেবে মেট্রোরেল নির্মাণে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান জাইকা ‘উচ্চ গুণগত মান’ রক্ষার কথা বলেছিল। সংস্থাটি বলেছিল, প্রাথমিক নির্মাণ ব্যয় বেশি হলেও রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতে ব্যয় কম হবে। তাহলে উচ্চ গুণ–মানসম্পন্ন মেট্রোরেল থেকে দ্বিতীয়বার ‘ভবনের ইট খুলে পড়ার মতো’ বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে কেন— সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রকৌশলী কল্লোল মুস্তফা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা হচ্ছে।

জাপানের কোম্পানি উচ্চ গুণ–মানের দাবি করলেও এই ঘটনার পেছনে ‘নকশাগত ত্রুটিকে’ দায়ী করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ড. হদিউজ্জামান। আগেরবার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, মেট্রোরেলের যেখান থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে গেছে সেই জায়গাটিতে বাঁক আছে। ট্রেন যখন সেই জায়গাটি অতিক্রম করে তখন লাইনের একপাশে বাড়তি চাপ তৈরি হয়। তখন বিয়ারিং প্যাডের একদিকে বাড়তি চাপ পড়লে অন্য রাবারের বিয়ারিং প্যাড ছিটকে বেরিয়ে আসে।
তিনি বলেন, ‘এসব বাঁকে বাড়তি চাপ মাথায় রেখে লাইনে বিয়ারিং প্যাড ধরে রাখার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে হয়। কিন্ত এই মেট্রোরেলের নকশায় বাঁকের মধ্যে বাড়তি চাপের বিষয়টি বিবেচনা না করেই ভায়াডাক্ট বসানো হয়েছে। সেখানে রাবারের বিয়ারিং প্যাডকে ধরে রাখার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। ফলে বাড়তি চাপ নিতে না পেরে রাবারের প্যাড খুলে গেছে।’
মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে উত্তরা অংশের নির্মাণকাজের সঙ্গে এক পূরকৌশলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে বিয়ারিং প্যাডটি খুলে নিচে পড়ে গেছে, তার পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলের সঠিক অবস্থানে সেটা বসানো হয়নি। সুষমভাবে ভরবণ্টন মাথায় রেখে সেটা বসানো ছিল না। ছিটকে পড়ে যাওয়া বিয়ারিং প্যাডের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আয়তাকার প্যাডের এক কোণে ভর বেশি ছিল।’
আগেরবার ঘটনার পর সমাধান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায় হিসেবে পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড আটকে রাখার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই সাথে রাবারের বিয়ারিং বাদ দিয়ে টেকসই ও অধিক চাপ সহনশীল ‘পড বিয়ারিং’ ব্যবহার করার কথাও বলেছিলেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হাদী। ওই সময় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষও ভবিষ্যৎ দুর্ঘটনা এড়াতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিল।
প্রকৌশলী কল্লোল মুস্তফা ফেসবুকে প্রশ্ন তুলেছেন, এক বছরের বেশি সময় পার করে সেই ফার্মগেট এলাকাতেই আবারও বিয়ারিং প্যাড কেন খুলে পড়ে গেল। বুয়েটের পরামর্শ মতো মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কি পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড আটকে রাখার কোনো ব্যবস্থা করেছিল।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এ ব্যাপারে জাপানের জাইকা ও মেট্রোরেলের নকশা ও নির্মাণের সাথে যুক্ত কোম্পানিগুলোই বা কি পদক্ষেপ নিয়েছিল? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া দরকার। সদ্য নির্মিত মেট্রোরেল থেকে এক বছরের ব্যবধানে দুইবার বিয়ারিং প্যাড খুলে যাওয়ার ঘটনা মেট্রোরেলের নিরাপত্তা বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। জাপান বেশি টাকা নেয়ার যুক্তি হিসেবে উচ্চগুণগত মানের যে যুক্তি দিয়েছিলো সেই যুক্তিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।’
তাই শুধু জাপানের উপর ভরসা না করে ‘অবিলম্বে স্বাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মেট্রোরেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করা প্রয়োজন’ বলে এই প্রকৌশলীর দাবি।

দুই দিনের ব্যবধানে ফাঁকা বাসাটি হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও লোকজনের চলাচল তেমন নেই, তবুও সামনে দিয়ে যেই যাচ্ছেন উৎসুক চোখে তাকাচ্ছেন। সামনে ছোটখাটো জটলা। বাড়ির সামনে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) ও পুলিশের গাড়ি। চারদিকে করা হয়েছে অস্থায়ী চেকপোস্ট।
২৬ এপ্রিল ২০২৩
আজ রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
১৭ মিনিট আগে
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক কর্মীর প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমানসহ তিনজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রৌনক জাহান তাকি এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
তিনি বলেন, আসামি তিনজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া অন্য দুজন হলেন গ্রামীণফোনের ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক ও চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার সায়িদা হোসেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের ২৬ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০০৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোন কোম্পানি লিমিটেডে চাকরি করতেন রাকিবুল আজম। চাকরিরত অবস্থায় ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আউটসোর্সিংয়ের রক্ষিত টাকা কর্মচারীদের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই আউটসোর্সিংয়ের কাজের জন্য কোম্পানির কাছে বাদীর ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৮ টাকা পাওনা হয়।
গত বছরের ১০ নভেম্বর বাদীকে তাঁর পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। টাকা আনতে গেলে আসামিরা ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে বাদীর স্বাক্ষর নেন। কিন্তু বাদীর পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেন আসামি তিনজন।

সাবেক কর্মীর প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমানসহ তিনজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রৌনক জাহান তাকি এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
তিনি বলেন, আসামি তিনজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া অন্য দুজন হলেন গ্রামীণফোনের ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক ও চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার সায়িদা হোসেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের ২৬ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০০৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোন কোম্পানি লিমিটেডে চাকরি করতেন রাকিবুল আজম। চাকরিরত অবস্থায় ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আউটসোর্সিংয়ের রক্ষিত টাকা কর্মচারীদের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই আউটসোর্সিংয়ের কাজের জন্য কোম্পানির কাছে বাদীর ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৮ টাকা পাওনা হয়।
গত বছরের ১০ নভেম্বর বাদীকে তাঁর পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। টাকা আনতে গেলে আসামিরা ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে বাদীর স্বাক্ষর নেন। কিন্তু বাদীর পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেন আসামি তিনজন।

দুই দিনের ব্যবধানে ফাঁকা বাসাটি হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও লোকজনের চলাচল তেমন নেই, তবুও সামনে দিয়ে যেই যাচ্ছেন উৎসুক চোখে তাকাচ্ছেন। সামনে ছোটখাটো জটলা। বাড়ির সামনে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) ও পুলিশের গাড়ি। চারদিকে করা হয়েছে অস্থায়ী চেকপোস্ট।
২৬ এপ্রিল ২০২৩
আজ রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
১৭ মিনিট আগে
এক বছর পার হতেই বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইনের একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে গেল। আগেরবার হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও এবার একজন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুজন আহত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামোতে একই ধরনের প্রাণহানিকর ঘটনা মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
২২ মিনিট আগে
ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘জনবান্ধব ভূমিসেবায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান ভূমিসচিব। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) উদ্যোগে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অটোমেটেড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এই সেমিনারের আয়োজন করে।
ভূমিসচিব বলেন, ‘ভূমিসেবার বিভিন্ন পর্যায়ে দালাল রয়েছে। কিন্তু ভূমির সব কাজ ভূমি মন্ত্রণালয় করে না, আইন মন্ত্রণালয়ও করে। কিন্তু অভিযোগের তীর আমাদের দিকেই আসে। মানুষ ভূমি অফিসে হয়রানির শিকার হয়—এটা স্বীকার করছি। তাই আমরা ভেবেছি, কীভাবে ঘরে বসে সেবা নিশ্চিত করা যায়। তাহলেই অফিসভিত্তিক হয়রানি কমবে।’
সারা দেশে বর্তমানে ৮১৭টি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র চালু রয়েছে জানিয়ে সালেহ আহমেদ বলেন, ‘নাগরিকের চাওয়া-পাওয়ার অনেকটাই পূরণ হয়েছে। আমরা অনেক কাজ করেছি, তবে এখনো অনেক দূর যেতে হবে। দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে জনগণ সহজে ভূমিসেবা পেতে পারেন।’
ভূমিসচিব জানান, সারা দেশে ভূমিসংক্রান্ত প্রায় ১০ লাখ মামলা রয়েছে এবং প্রতিদিন কয়েক হাজার মামলা হচ্ছে। ভূমিসংক্রান্ত মামলার প্রায় ৮০ শতাংশই জরিপকেন্দ্রিক। সিএস জরিপ করতে ৫২ বছর লেগেছিল। এখন জরিপ করতে এত সময় লাগবে না, জোনিং করা হয়েছে। বালুমহালের জন্য আলাদা ইউনিট করা হয়েছে। ফলে বালুমহাল নিয়ে সব অপরাধ বন্ধ না হলেও কমে এসেছে।
সালেহ আহমেদ বলেন, ‘আমরা অ্যাপ চালু করেছি, যার মাধ্যমে পরচা সংগ্রহ, নকশা পাওয়া, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ সবই ঘরে বসে করা যায়। একসময় বালুমহাল নিয়ে বিশৃঙ্খলা ছিল, এখন একটি শাখার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পুরোপুরি শৃঙ্খলা না ফিরলেও অনেকটাই কমেছে।’
সেমিনারে ভূমিসংক্রান্ত ডিজিটাল সেবার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এমদাদুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অটোমেটেড ভূমিসেবার সুফল ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে। মানুষ এখন ঘরে বসে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পারছেন। ফলে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ৩৭৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৮৬ কোটি টাকা।’
সেমিনারে জানানো হয়, ১৬১২২ হটলাইনের নম্বরের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা ভূমিসংক্রান্ত সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই কল সেন্টার দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার কল গ্রহণ করছে। আগের অর্থবছরের থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ২২ কোটি টাকা বেড়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে। আর চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৭৩ কেটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে।
বিএসআরএফ সভাপতি মাসউদুল হকের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল সেমিনার সঞ্চালনা করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সেমিনারে উপস্থিতি ছিলেন।

ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘জনবান্ধব ভূমিসেবায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান ভূমিসচিব। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) উদ্যোগে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অটোমেটেড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এই সেমিনারের আয়োজন করে।
ভূমিসচিব বলেন, ‘ভূমিসেবার বিভিন্ন পর্যায়ে দালাল রয়েছে। কিন্তু ভূমির সব কাজ ভূমি মন্ত্রণালয় করে না, আইন মন্ত্রণালয়ও করে। কিন্তু অভিযোগের তীর আমাদের দিকেই আসে। মানুষ ভূমি অফিসে হয়রানির শিকার হয়—এটা স্বীকার করছি। তাই আমরা ভেবেছি, কীভাবে ঘরে বসে সেবা নিশ্চিত করা যায়। তাহলেই অফিসভিত্তিক হয়রানি কমবে।’
সারা দেশে বর্তমানে ৮১৭টি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র চালু রয়েছে জানিয়ে সালেহ আহমেদ বলেন, ‘নাগরিকের চাওয়া-পাওয়ার অনেকটাই পূরণ হয়েছে। আমরা অনেক কাজ করেছি, তবে এখনো অনেক দূর যেতে হবে। দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে জনগণ সহজে ভূমিসেবা পেতে পারেন।’
ভূমিসচিব জানান, সারা দেশে ভূমিসংক্রান্ত প্রায় ১০ লাখ মামলা রয়েছে এবং প্রতিদিন কয়েক হাজার মামলা হচ্ছে। ভূমিসংক্রান্ত মামলার প্রায় ৮০ শতাংশই জরিপকেন্দ্রিক। সিএস জরিপ করতে ৫২ বছর লেগেছিল। এখন জরিপ করতে এত সময় লাগবে না, জোনিং করা হয়েছে। বালুমহালের জন্য আলাদা ইউনিট করা হয়েছে। ফলে বালুমহাল নিয়ে সব অপরাধ বন্ধ না হলেও কমে এসেছে।
সালেহ আহমেদ বলেন, ‘আমরা অ্যাপ চালু করেছি, যার মাধ্যমে পরচা সংগ্রহ, নকশা পাওয়া, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ সবই ঘরে বসে করা যায়। একসময় বালুমহাল নিয়ে বিশৃঙ্খলা ছিল, এখন একটি শাখার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পুরোপুরি শৃঙ্খলা না ফিরলেও অনেকটাই কমেছে।’
সেমিনারে ভূমিসংক্রান্ত ডিজিটাল সেবার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এমদাদুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অটোমেটেড ভূমিসেবার সুফল ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে। মানুষ এখন ঘরে বসে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পারছেন। ফলে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ৩৭৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৮৬ কোটি টাকা।’
সেমিনারে জানানো হয়, ১৬১২২ হটলাইনের নম্বরের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা ভূমিসংক্রান্ত সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই কল সেন্টার দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার কল গ্রহণ করছে। আগের অর্থবছরের থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ২২ কোটি টাকা বেড়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে। আর চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৭৩ কেটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে।
বিএসআরএফ সভাপতি মাসউদুল হকের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল সেমিনার সঞ্চালনা করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সেমিনারে উপস্থিতি ছিলেন।

দুই দিনের ব্যবধানে ফাঁকা বাসাটি হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও লোকজনের চলাচল তেমন নেই, তবুও সামনে দিয়ে যেই যাচ্ছেন উৎসুক চোখে তাকাচ্ছেন। সামনে ছোটখাটো জটলা। বাড়ির সামনে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) ও পুলিশের গাড়ি। চারদিকে করা হয়েছে অস্থায়ী চেকপোস্ট।
২৬ এপ্রিল ২০২৩
আজ রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
১৭ মিনিট আগে
এক বছর পার হতেই বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইনের একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে গেল। আগেরবার হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও এবার একজন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুজন আহত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামোতে একই ধরনের প্রাণহানিকর ঘটনা মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
২২ মিনিট আগে
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
১ ঘণ্টা আগে