নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ২৩ দশমিক ২৫ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে, আর আত্মহত্যা করেছে ২২ দশমিক ৬ জন। এ ছাড়া ৭১ দশমিক ৭৫ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
এ বছরের প্রথম ৮ মাসে ২৪টি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক এবং অনলাইন পত্রিকার সংবাদ বিশ্লেষণ করে এ তথ্য দিয়েছে ‘জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম’।
আজ শুক্রবার ঢাকার প্রেসক্লাবে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে ‘জানুয়ারি-আগস্ট-২০২২ কন্যাশিশু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন’ উপস্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।
কন্যাশিশু ও নারী নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরেন সংগঠনের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আট মাসে ১৮৬ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক সহিংসতা, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের প্রমাণ না রাখাসহ বেশ কিছু কারণে এই কন্যা শিশুদের হত্যা করা হয়। এ সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৭৪ জন কন্যাশিশু। এর মধ্যে ৩৬৪ জন একক ধর্ষণ, ৮৪ জন দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং ৪৩ জন প্রতিবন্ধী কন্যাশিশু দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়।
ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ২০ জনকে। আর যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয় ৭৪ জন। প্রতি মাসে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছে ৯০০ থেকে ১ হাজার জন।
এই আট মাসে আত্মহত্যা করেছে ১৮১ জন কন্যাশিশু। গত বছর একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল ১৫৩ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ সময়ে অপহরণ ও পাচারের শিকার হয় ১৩৬ জন কন্যাশিশু। এর মধ্যে ৭৪ জনকে অপহরণের পর যৌন পেশায় নিয়োজিত করা হয়।
মাঠ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে নাছিমা আক্তার জলি জানান, ২৮টি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই সময়ে ২ হাজার ৩০১টি বাল্যবিবাহ হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে এই সংখ্যা ছিল ২৮৮ টি। তবে আশার কথা, এ সময়ে ৫৮৯টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করাও সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখিত সময়ে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয় ১৩ জন। এর মধ্যে হত্যা করা হয় পাঁচজনকে। অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার হয় ৩ জন। এই সময়ে আটজন কন্যাশিশুকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এডুকো বাংলাদেশের সহযোগিতায় ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘কন্যাশিশুর ভবিষ্যৎ মানেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাই কন্যাশিশুদের অধিকার নিশ্চিত করা না গেলে দেশের ভবিষ্যৎও অন্ধকার।’
বদিউল আলম আরও বলেন, ‘পরিবারে একটি কন্যাশিশু যখন জন্ম নেয়, তখন থেকেই তার প্রতি বৈষম্য শুরু হয়। এর অবসান ঘটাতে হলে পারিবারিক ও সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তন করতে।’
শুধু আইন করে এ ধরনের নির্যাতন প্রতিকার করা যাবে না। এ জন্য সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি নৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। নৈতিকতার জায়গায় নাড়া দিতে পারলেই এ অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব বলে সংবাদ সম্মেলনে মত দেন বাংলাদেশ ওয়াইডব্লিউসিএর জাতীয় সাধারণ সম্পাদক হেলেন মনীষা সরকার।
এ সময় এডুকো বাংলাদেশের চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড প্রোটেকশন স্পেশালিস্ট মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কন্যাশিশু ও নারীদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে, তাতে প্রায় শতভাগ নির্যাতনকারীই হলো পুরুষ। তাই এ ক্ষেত্রে পুরুষের মানসিকতায় উন্নয়ন ঘটাতে হবে।’ এ ধরনের নির্যাতন বন্ধে প্রান্তিক পর্যায়ের তথ্য তুলে আনতে গণমাধ্যম কর্মীদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
এ অবস্থায় সংগঠনটির পক্ষ ১১টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—শিশু নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচার শেষ করা; ‘যৌন হয়রানি, প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ নামে একটি আইন প্রণয়ন; ভুক্তভোগীর পরিবর্তে অভিযুক্তকে প্রশ্ন করা ও আইনের আওতায় আনা; নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আশ্রয় না দেওয়া এবং শিশু সুরক্ষায় পৃথক অধিদপ্তর গঠন।
আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীসহ আমন্ত্রিত অনেকেই অংশ নেন। তাঁরা কন্যাশিশুদের জন্য বিনিয়োগ বাড়ানোরও আহ্বান জানানো হয়।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ২৩ দশমিক ২৫ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে, আর আত্মহত্যা করেছে ২২ দশমিক ৬ জন। এ ছাড়া ৭১ দশমিক ৭৫ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
এ বছরের প্রথম ৮ মাসে ২৪টি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক এবং অনলাইন পত্রিকার সংবাদ বিশ্লেষণ করে এ তথ্য দিয়েছে ‘জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম’।
আজ শুক্রবার ঢাকার প্রেসক্লাবে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে ‘জানুয়ারি-আগস্ট-২০২২ কন্যাশিশু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন’ উপস্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।
কন্যাশিশু ও নারী নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরেন সংগঠনের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আট মাসে ১৮৬ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক সহিংসতা, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের প্রমাণ না রাখাসহ বেশ কিছু কারণে এই কন্যা শিশুদের হত্যা করা হয়। এ সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৭৪ জন কন্যাশিশু। এর মধ্যে ৩৬৪ জন একক ধর্ষণ, ৮৪ জন দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং ৪৩ জন প্রতিবন্ধী কন্যাশিশু দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়।
ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ২০ জনকে। আর যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয় ৭৪ জন। প্রতি মাসে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছে ৯০০ থেকে ১ হাজার জন।
এই আট মাসে আত্মহত্যা করেছে ১৮১ জন কন্যাশিশু। গত বছর একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল ১৫৩ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ সময়ে অপহরণ ও পাচারের শিকার হয় ১৩৬ জন কন্যাশিশু। এর মধ্যে ৭৪ জনকে অপহরণের পর যৌন পেশায় নিয়োজিত করা হয়।
মাঠ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে নাছিমা আক্তার জলি জানান, ২৮টি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই সময়ে ২ হাজার ৩০১টি বাল্যবিবাহ হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে এই সংখ্যা ছিল ২৮৮ টি। তবে আশার কথা, এ সময়ে ৫৮৯টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করাও সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখিত সময়ে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয় ১৩ জন। এর মধ্যে হত্যা করা হয় পাঁচজনকে। অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার হয় ৩ জন। এই সময়ে আটজন কন্যাশিশুকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এডুকো বাংলাদেশের সহযোগিতায় ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘কন্যাশিশুর ভবিষ্যৎ মানেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাই কন্যাশিশুদের অধিকার নিশ্চিত করা না গেলে দেশের ভবিষ্যৎও অন্ধকার।’
বদিউল আলম আরও বলেন, ‘পরিবারে একটি কন্যাশিশু যখন জন্ম নেয়, তখন থেকেই তার প্রতি বৈষম্য শুরু হয়। এর অবসান ঘটাতে হলে পারিবারিক ও সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তন করতে।’
শুধু আইন করে এ ধরনের নির্যাতন প্রতিকার করা যাবে না। এ জন্য সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি নৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। নৈতিকতার জায়গায় নাড়া দিতে পারলেই এ অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব বলে সংবাদ সম্মেলনে মত দেন বাংলাদেশ ওয়াইডব্লিউসিএর জাতীয় সাধারণ সম্পাদক হেলেন মনীষা সরকার।
এ সময় এডুকো বাংলাদেশের চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড প্রোটেকশন স্পেশালিস্ট মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কন্যাশিশু ও নারীদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে, তাতে প্রায় শতভাগ নির্যাতনকারীই হলো পুরুষ। তাই এ ক্ষেত্রে পুরুষের মানসিকতায় উন্নয়ন ঘটাতে হবে।’ এ ধরনের নির্যাতন বন্ধে প্রান্তিক পর্যায়ের তথ্য তুলে আনতে গণমাধ্যম কর্মীদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
এ অবস্থায় সংগঠনটির পক্ষ ১১টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—শিশু নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচার শেষ করা; ‘যৌন হয়রানি, প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ নামে একটি আইন প্রণয়ন; ভুক্তভোগীর পরিবর্তে অভিযুক্তকে প্রশ্ন করা ও আইনের আওতায় আনা; নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আশ্রয় না দেওয়া এবং শিশু সুরক্ষায় পৃথক অধিদপ্তর গঠন।
আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীসহ আমন্ত্রিত অনেকেই অংশ নেন। তাঁরা কন্যাশিশুদের জন্য বিনিয়োগ বাড়ানোরও আহ্বান জানানো হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ২৩ দশমিক ২৫ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে, আর আত্মহত্যা করেছে ২২ দশমিক ৬ জন। এ ছাড়া ৭১ দশমিক ৭৫ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
এ বছরের প্রথম ৮ মাসে ২৪টি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক এবং অনলাইন পত্রিকার সংবাদ বিশ্লেষণ করে এ তথ্য দিয়েছে ‘জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম’।
আজ শুক্রবার ঢাকার প্রেসক্লাবে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে ‘জানুয়ারি-আগস্ট-২০২২ কন্যাশিশু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন’ উপস্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।
কন্যাশিশু ও নারী নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরেন সংগঠনের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আট মাসে ১৮৬ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক সহিংসতা, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের প্রমাণ না রাখাসহ বেশ কিছু কারণে এই কন্যা শিশুদের হত্যা করা হয়। এ সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৭৪ জন কন্যাশিশু। এর মধ্যে ৩৬৪ জন একক ধর্ষণ, ৮৪ জন দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং ৪৩ জন প্রতিবন্ধী কন্যাশিশু দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়।
ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ২০ জনকে। আর যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয় ৭৪ জন। প্রতি মাসে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছে ৯০০ থেকে ১ হাজার জন।
এই আট মাসে আত্মহত্যা করেছে ১৮১ জন কন্যাশিশু। গত বছর একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল ১৫৩ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ সময়ে অপহরণ ও পাচারের শিকার হয় ১৩৬ জন কন্যাশিশু। এর মধ্যে ৭৪ জনকে অপহরণের পর যৌন পেশায় নিয়োজিত করা হয়।
মাঠ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে নাছিমা আক্তার জলি জানান, ২৮টি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই সময়ে ২ হাজার ৩০১টি বাল্যবিবাহ হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে এই সংখ্যা ছিল ২৮৮ টি। তবে আশার কথা, এ সময়ে ৫৮৯টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করাও সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখিত সময়ে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয় ১৩ জন। এর মধ্যে হত্যা করা হয় পাঁচজনকে। অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার হয় ৩ জন। এই সময়ে আটজন কন্যাশিশুকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এডুকো বাংলাদেশের সহযোগিতায় ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘কন্যাশিশুর ভবিষ্যৎ মানেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাই কন্যাশিশুদের অধিকার নিশ্চিত করা না গেলে দেশের ভবিষ্যৎও অন্ধকার।’
বদিউল আলম আরও বলেন, ‘পরিবারে একটি কন্যাশিশু যখন জন্ম নেয়, তখন থেকেই তার প্রতি বৈষম্য শুরু হয়। এর অবসান ঘটাতে হলে পারিবারিক ও সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তন করতে।’
শুধু আইন করে এ ধরনের নির্যাতন প্রতিকার করা যাবে না। এ জন্য সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি নৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। নৈতিকতার জায়গায় নাড়া দিতে পারলেই এ অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব বলে সংবাদ সম্মেলনে মত দেন বাংলাদেশ ওয়াইডব্লিউসিএর জাতীয় সাধারণ সম্পাদক হেলেন মনীষা সরকার।
এ সময় এডুকো বাংলাদেশের চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড প্রোটেকশন স্পেশালিস্ট মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কন্যাশিশু ও নারীদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে, তাতে প্রায় শতভাগ নির্যাতনকারীই হলো পুরুষ। তাই এ ক্ষেত্রে পুরুষের মানসিকতায় উন্নয়ন ঘটাতে হবে।’ এ ধরনের নির্যাতন বন্ধে প্রান্তিক পর্যায়ের তথ্য তুলে আনতে গণমাধ্যম কর্মীদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
এ অবস্থায় সংগঠনটির পক্ষ ১১টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—শিশু নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচার শেষ করা; ‘যৌন হয়রানি, প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ নামে একটি আইন প্রণয়ন; ভুক্তভোগীর পরিবর্তে অভিযুক্তকে প্রশ্ন করা ও আইনের আওতায় আনা; নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আশ্রয় না দেওয়া এবং শিশু সুরক্ষায় পৃথক অধিদপ্তর গঠন।
আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীসহ আমন্ত্রিত অনেকেই অংশ নেন। তাঁরা কন্যাশিশুদের জন্য বিনিয়োগ বাড়ানোরও আহ্বান জানানো হয়।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ২৩ দশমিক ২৫ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে, আর আত্মহত্যা করেছে ২২ দশমিক ৬ জন। এ ছাড়া ৭১ দশমিক ৭৫ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
এ বছরের প্রথম ৮ মাসে ২৪টি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক এবং অনলাইন পত্রিকার সংবাদ বিশ্লেষণ করে এ তথ্য দিয়েছে ‘জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম’।
আজ শুক্রবার ঢাকার প্রেসক্লাবে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে ‘জানুয়ারি-আগস্ট-২০২২ কন্যাশিশু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন’ উপস্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।
কন্যাশিশু ও নারী নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরেন সংগঠনের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আট মাসে ১৮৬ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক সহিংসতা, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের প্রমাণ না রাখাসহ বেশ কিছু কারণে এই কন্যা শিশুদের হত্যা করা হয়। এ সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৭৪ জন কন্যাশিশু। এর মধ্যে ৩৬৪ জন একক ধর্ষণ, ৮৪ জন দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং ৪৩ জন প্রতিবন্ধী কন্যাশিশু দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়।
ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ২০ জনকে। আর যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয় ৭৪ জন। প্রতি মাসে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছে ৯০০ থেকে ১ হাজার জন।
এই আট মাসে আত্মহত্যা করেছে ১৮১ জন কন্যাশিশু। গত বছর একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল ১৫৩ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ সময়ে অপহরণ ও পাচারের শিকার হয় ১৩৬ জন কন্যাশিশু। এর মধ্যে ৭৪ জনকে অপহরণের পর যৌন পেশায় নিয়োজিত করা হয়।
মাঠ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে নাছিমা আক্তার জলি জানান, ২৮টি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই সময়ে ২ হাজার ৩০১টি বাল্যবিবাহ হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে এই সংখ্যা ছিল ২৮৮ টি। তবে আশার কথা, এ সময়ে ৫৮৯টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করাও সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখিত সময়ে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয় ১৩ জন। এর মধ্যে হত্যা করা হয় পাঁচজনকে। অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার হয় ৩ জন। এই সময়ে আটজন কন্যাশিশুকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এডুকো বাংলাদেশের সহযোগিতায় ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘কন্যাশিশুর ভবিষ্যৎ মানেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাই কন্যাশিশুদের অধিকার নিশ্চিত করা না গেলে দেশের ভবিষ্যৎও অন্ধকার।’
বদিউল আলম আরও বলেন, ‘পরিবারে একটি কন্যাশিশু যখন জন্ম নেয়, তখন থেকেই তার প্রতি বৈষম্য শুরু হয়। এর অবসান ঘটাতে হলে পারিবারিক ও সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তন করতে।’
শুধু আইন করে এ ধরনের নির্যাতন প্রতিকার করা যাবে না। এ জন্য সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি নৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। নৈতিকতার জায়গায় নাড়া দিতে পারলেই এ অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব বলে সংবাদ সম্মেলনে মত দেন বাংলাদেশ ওয়াইডব্লিউসিএর জাতীয় সাধারণ সম্পাদক হেলেন মনীষা সরকার।
এ সময় এডুকো বাংলাদেশের চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড প্রোটেকশন স্পেশালিস্ট মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কন্যাশিশু ও নারীদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে, তাতে প্রায় শতভাগ নির্যাতনকারীই হলো পুরুষ। তাই এ ক্ষেত্রে পুরুষের মানসিকতায় উন্নয়ন ঘটাতে হবে।’ এ ধরনের নির্যাতন বন্ধে প্রান্তিক পর্যায়ের তথ্য তুলে আনতে গণমাধ্যম কর্মীদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
এ অবস্থায় সংগঠনটির পক্ষ ১১টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—শিশু নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচার শেষ করা; ‘যৌন হয়রানি, প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ নামে একটি আইন প্রণয়ন; ভুক্তভোগীর পরিবর্তে অভিযুক্তকে প্রশ্ন করা ও আইনের আওতায় আনা; নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আশ্রয় না দেওয়া এবং শিশু সুরক্ষায় পৃথক অধিদপ্তর গঠন।
আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীসহ আমন্ত্রিত অনেকেই অংশ নেন। তাঁরা কন্যাশিশুদের জন্য বিনিয়োগ বাড়ানোরও আহ্বান জানানো হয়।
জামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যমুনায় গেছেন।
২ মিনিট আগেভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সরকার নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ পেতে নানা হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতার মুখে পড়েন। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা কিছুই পান না। এই জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যাতে চাওয়ার আগেই ক্ষতিপূরণ পান, সে ব্যাপারে বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল।
আজ বুধবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে দলটি যমুনায় পৌঁছায়।
জামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যমুনায় গেছেন।
বৈঠকে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের সঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ থাকবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল।
আজ বুধবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে দলটি যমুনায় পৌঁছায়।
জামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যমুনায় গেছেন।
বৈঠকে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের সঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ থাকবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত আট মাসে ১৮৬ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক সহিংসতা, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের প্রমাণ না রাখাসহ বেশ কিছু কারণে এই কন্যা শিশুদের হত্যা করা হয়। এ সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৭৪ জন কন্যাশিশু।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সরকার নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ পেতে নানা হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতার মুখে পড়েন। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা কিছুই পান না। এই জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যাতে চাওয়ার আগেই ক্ষতিপূরণ পান, সে ব্যাপারে বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের সব উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এ ধরনের আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
চিঠিতে সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা, যে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা বিপর্যয় এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সব বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের সব উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এ ধরনের আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
চিঠিতে সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা, যে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা বিপর্যয় এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সব বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
গত আট মাসে ১৮৬ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক সহিংসতা, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের প্রমাণ না রাখাসহ বেশ কিছু কারণে এই কন্যা শিশুদের হত্যা করা হয়। এ সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৭৪ জন কন্যাশিশু।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২জামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যমুনায় গেছেন।
২ মিনিট আগেসড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সরকার নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ পেতে নানা হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতার মুখে পড়েন। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা কিছুই পান না। এই জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যাতে চাওয়ার আগেই ক্ষতিপূরণ পান, সে ব্যাপারে বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সরকার নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ পেতে নানা হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতার মুখে পড়েন। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা কিছুই পান না। এই জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যাতে চাওয়ার আগেই ক্ষতিপূরণ পান, সে ব্যাপারে বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন গাড়ি ডাম্পিংয়ে পাঠানো হচ্ছে এবং এই অভিযান আরও বাড়ানো হবে। তিনি গাড়ির মালিকদের ফিটনেস ঠিক রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন যানবাহন কোনো অবস্থাতেই সড়কে চলতে দেওয়া হবে না। কারণ, এটি দুর্ঘটনার বড় কারণ।’
মোটরসাইকেল বিষয়ে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ায় দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে হেলমেট ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এবার জাতীয় সড়ক দিবস উপলক্ষে ১০ হাজার মোটরসাইকেল চালকের মধ্যে হেলমেট বিতরণ করা হবে, বিশেষ করে যেসব এলাকায় সড়ক নির্মাণকাজ চলছে বা মানুষ ভোগান্তিতে আছে।’
সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের জন্য এক ধরনের গ্লানি ও ব্যর্থতা। ২০১৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে গড়ে ২৭ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হন।’
উপদেষ্টার মতে, সাম্প্রতিক সময়ে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনাও বেড়েছে।
দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তারা তা পান না।’
উপদেষ্টা আরও জানান, বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো চাওয়ার আগেই ক্ষতিপূরণের টাকা পায়।
সড়ক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা শুধু সড়ক বিভাগের দায়িত্ব নয়, বরং এটি করতে হবে সকল সংস্থার সমন্বয়ে।’
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সরকার নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ পেতে নানা হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতার মুখে পড়েন। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা কিছুই পান না। এই জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যাতে চাওয়ার আগেই ক্ষতিপূরণ পান, সে ব্যাপারে বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন গাড়ি ডাম্পিংয়ে পাঠানো হচ্ছে এবং এই অভিযান আরও বাড়ানো হবে। তিনি গাড়ির মালিকদের ফিটনেস ঠিক রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন যানবাহন কোনো অবস্থাতেই সড়কে চলতে দেওয়া হবে না। কারণ, এটি দুর্ঘটনার বড় কারণ।’
মোটরসাইকেল বিষয়ে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ায় দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে হেলমেট ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এবার জাতীয় সড়ক দিবস উপলক্ষে ১০ হাজার মোটরসাইকেল চালকের মধ্যে হেলমেট বিতরণ করা হবে, বিশেষ করে যেসব এলাকায় সড়ক নির্মাণকাজ চলছে বা মানুষ ভোগান্তিতে আছে।’
সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের জন্য এক ধরনের গ্লানি ও ব্যর্থতা। ২০১৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে গড়ে ২৭ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হন।’
উপদেষ্টার মতে, সাম্প্রতিক সময়ে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনাও বেড়েছে।
দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তারা তা পান না।’
উপদেষ্টা আরও জানান, বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো চাওয়ার আগেই ক্ষতিপূরণের টাকা পায়।
সড়ক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা শুধু সড়ক বিভাগের দায়িত্ব নয়, বরং এটি করতে হবে সকল সংস্থার সমন্বয়ে।’
গত আট মাসে ১৮৬ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক সহিংসতা, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের প্রমাণ না রাখাসহ বেশ কিছু কারণে এই কন্যা শিশুদের হত্যা করা হয়। এ সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৭৪ জন কন্যাশিশু।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২জামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যমুনায় গেছেন।
২ মিনিট আগেভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের বর্তমান পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এখন থেকে প্রশিক্ষণ ছাড়া কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন না। লাইসেন্স দেওয়ার সব কমিটি বাতিল করে আন্তর্জাতিক মানে নতুন ব্যবস্থা চালু করা হবে। লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে অন্তত ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এর আয়োজন করবে সরকার। প্রশিক্ষণকালে প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতার ব্যবস্থাও থাকবে।
আজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে চালকদের স্বীকৃত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। বর্তমানে বিআরটিসিসহ দেশে বেশ কয়েকটি বৈধ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে, যেখান থেকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণে দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে—প্রথমত, সড়কের বিভিন্ন সাইন ও চিহ্ন সম্পর্কে জ্ঞান এবং দ্বিতীয়ত, যানবাহন সঠিকভাবে চালানো ও নিয়ন্ত্রণ করার দক্ষতা। কারণ, বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে।
ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স-সংক্রান্ত কাজগুলো বিআরটিএ থেকে সরিয়ে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোর মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। এতে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতা থাকবে না।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী মাসের মধ্যেই এই নতুন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।
সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনার মূল কারণ প্রশিক্ষণহীন চালকেরা।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি সরাইল এলাকায় গিয়েছিলাম। যাওয়ার আগে সেখানে নিয়মিত যানজট ছিল, কিন্তু আমার পরিদর্শনের দুই দিন পর থেকেই আর জ্যাম নেই। আমার হাতে কোনো জাদুর কাঠি নেই—শুধু কিছু শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেছি।’
এদিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, বিআরটিএ চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম প্রমুখ।
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের বর্তমান পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এখন থেকে প্রশিক্ষণ ছাড়া কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন না। লাইসেন্স দেওয়ার সব কমিটি বাতিল করে আন্তর্জাতিক মানে নতুন ব্যবস্থা চালু করা হবে। লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে অন্তত ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এর আয়োজন করবে সরকার। প্রশিক্ষণকালে প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতার ব্যবস্থাও থাকবে।
আজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে চালকদের স্বীকৃত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। বর্তমানে বিআরটিসিসহ দেশে বেশ কয়েকটি বৈধ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে, যেখান থেকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণে দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে—প্রথমত, সড়কের বিভিন্ন সাইন ও চিহ্ন সম্পর্কে জ্ঞান এবং দ্বিতীয়ত, যানবাহন সঠিকভাবে চালানো ও নিয়ন্ত্রণ করার দক্ষতা। কারণ, বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে।
ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স-সংক্রান্ত কাজগুলো বিআরটিএ থেকে সরিয়ে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোর মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। এতে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতা থাকবে না।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী মাসের মধ্যেই এই নতুন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।
সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনার মূল কারণ প্রশিক্ষণহীন চালকেরা।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি সরাইল এলাকায় গিয়েছিলাম। যাওয়ার আগে সেখানে নিয়মিত যানজট ছিল, কিন্তু আমার পরিদর্শনের দুই দিন পর থেকেই আর জ্যাম নেই। আমার হাতে কোনো জাদুর কাঠি নেই—শুধু কিছু শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেছি।’
এদিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, বিআরটিএ চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম প্রমুখ।
গত আট মাসে ১৮৬ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক সহিংসতা, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের প্রমাণ না রাখাসহ বেশ কিছু কারণে এই কন্যা শিশুদের হত্যা করা হয়। এ সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৭৪ জন কন্যাশিশু।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২জামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যমুনায় গেছেন।
২ মিনিট আগেভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সরকার নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ পেতে নানা হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতার মুখে পড়েন। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা কিছুই পান না। এই জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যাতে চাওয়ার আগেই ক্ষতিপূরণ পান, সে ব্যাপারে বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে