অনলাইন ডেস্ক
১৯৮৫ সালে চাকরি হারানো হরেন চন্দ্র নাথকে মামলা পরিচালনার খরচ হিসেবে সোনালী ব্যাংককে ২০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আগামী তিন মাসের মধ্যে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে হরেন চন্দ্র নাথের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।
ওমর ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ৪০ বছরের আইনি লড়াই শেষে জয়ী হয়েছেন বৃদ্ধ হরেন চন্দ্র নাথ। প্রমাণিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভুয়া মামলা করেছিল। এখন তিনি বৃদ্ধ, একসময় চাকরি হারিয়ে বাসের কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করেছেন হরেন চন্দ্র। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত সোনালী ব্যাংককে মামলা পরিচালনার খরচ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দিতে বলেছেন।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, কুষ্টিয়ার খোকসার হেলালপুর গ্রামের বাসিন্দা হরেন্দ্রনাথ চন্দ্র। জীবনের অর্ধেক সময় ৪০ বছর কাটিয়েছেন আদালতের বারান্দায়। ৪০ বছর আগে ব্যাংকের ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে হরেন্দ্রসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে।
তবে মামলায় খালাস পেলেও সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপিল করে মামলাটি জিইয়ে রাখে। এভাবে চার দশক কেটে গেলেও আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি।
বিএ পাস করে ১৯৭৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ক্যাশিয়ার-কাম ক্লার্ক পদে সোনালী ব্যাংকে ঢাকার একটি শাখায় যোগদান করেন। তিন বছর পর পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র ক্যাশিয়ার-কাম ক্লার্ক হন। এরপর তাকে যাত্রাবাড়ী শাখায় বদলি করা হয়। চাকরিরত অবস্থায় রেমিট্যান্স সংক্রান্ত ১৬ লাখ ১৬ হাজার ১শ টাকা যাত্রাবাড়ী শাখা থেকে লোকাল অফিসে স্থানান্তর করা হয়। সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা সিল-স্বাক্ষরসহ লিখিতভাবে সমুদয় অর্থ বুঝে নেন। এর কিছুদিন পর ১৯৮৫ সালে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে ওই টাকা পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
তহবিল তছরুপের অভিযোগে ১৯৮৫ সালের শেষের দিকে হরেন্দ্রসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরে ১৯৮৬ সালের মার্চ মাসে তাদের সবাইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এরপর গ্রাহকের টাকা জমা না দেওয়ায় অপর একটি মামলায় ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে স্থাপিত ওই কর্মকর্তাকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৯০ সালে হরেন্দ্রনাথ জেল খেটে বের হন।
এর আগে ১৯৮৫ সালের ২৯ জুলাই হরেন্দ্রনাথসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকার বিশেষ আদালতে ফৌজদারি মামলা করে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো। বিচারে ১৯৮৬ সালের ১৫ নভেম্বর বেকসুর খালাস পান হরেন্দ্রনাথসহ সবাই।
মামলায় পরাজিত হয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গোপনে ১৯৮৮ সালে হরেন্দ্রসহ সবার বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে। সেই মামলায় একতরফা রায়ে তাদের দোষী সাব্যস্ত করে সমুদয় অর্থ ফেরত দেওয়ার আদেশ দেন আদালত। এর বিরুদ্ধে আবেদন (মিস কেস) করেন হরেন্দ্রনাথ। ১৯৯২ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালত আপিল গ্রহণ করেন; একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের আদেশ বাতিল করেন। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক ২০১৯ সালে হাইকোর্টে আপিল করে।
২০২২ সালের ২৯ আগস্ট এ আপিল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আজ শুনানি শেষে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাকে ২০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেন।
১৯৮৫ সালে চাকরি হারানো হরেন চন্দ্র নাথকে মামলা পরিচালনার খরচ হিসেবে সোনালী ব্যাংককে ২০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আগামী তিন মাসের মধ্যে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে হরেন চন্দ্র নাথের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।
ওমর ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ৪০ বছরের আইনি লড়াই শেষে জয়ী হয়েছেন বৃদ্ধ হরেন চন্দ্র নাথ। প্রমাণিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভুয়া মামলা করেছিল। এখন তিনি বৃদ্ধ, একসময় চাকরি হারিয়ে বাসের কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করেছেন হরেন চন্দ্র। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত সোনালী ব্যাংককে মামলা পরিচালনার খরচ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দিতে বলেছেন।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, কুষ্টিয়ার খোকসার হেলালপুর গ্রামের বাসিন্দা হরেন্দ্রনাথ চন্দ্র। জীবনের অর্ধেক সময় ৪০ বছর কাটিয়েছেন আদালতের বারান্দায়। ৪০ বছর আগে ব্যাংকের ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে হরেন্দ্রসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে।
তবে মামলায় খালাস পেলেও সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপিল করে মামলাটি জিইয়ে রাখে। এভাবে চার দশক কেটে গেলেও আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি।
বিএ পাস করে ১৯৭৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ক্যাশিয়ার-কাম ক্লার্ক পদে সোনালী ব্যাংকে ঢাকার একটি শাখায় যোগদান করেন। তিন বছর পর পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র ক্যাশিয়ার-কাম ক্লার্ক হন। এরপর তাকে যাত্রাবাড়ী শাখায় বদলি করা হয়। চাকরিরত অবস্থায় রেমিট্যান্স সংক্রান্ত ১৬ লাখ ১৬ হাজার ১শ টাকা যাত্রাবাড়ী শাখা থেকে লোকাল অফিসে স্থানান্তর করা হয়। সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা সিল-স্বাক্ষরসহ লিখিতভাবে সমুদয় অর্থ বুঝে নেন। এর কিছুদিন পর ১৯৮৫ সালে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে ওই টাকা পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
তহবিল তছরুপের অভিযোগে ১৯৮৫ সালের শেষের দিকে হরেন্দ্রসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরে ১৯৮৬ সালের মার্চ মাসে তাদের সবাইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এরপর গ্রাহকের টাকা জমা না দেওয়ায় অপর একটি মামলায় ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে স্থাপিত ওই কর্মকর্তাকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৯০ সালে হরেন্দ্রনাথ জেল খেটে বের হন।
এর আগে ১৯৮৫ সালের ২৯ জুলাই হরেন্দ্রনাথসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকার বিশেষ আদালতে ফৌজদারি মামলা করে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো। বিচারে ১৯৮৬ সালের ১৫ নভেম্বর বেকসুর খালাস পান হরেন্দ্রনাথসহ সবাই।
মামলায় পরাজিত হয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গোপনে ১৯৮৮ সালে হরেন্দ্রসহ সবার বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে। সেই মামলায় একতরফা রায়ে তাদের দোষী সাব্যস্ত করে সমুদয় অর্থ ফেরত দেওয়ার আদেশ দেন আদালত। এর বিরুদ্ধে আবেদন (মিস কেস) করেন হরেন্দ্রনাথ। ১৯৯২ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালত আপিল গ্রহণ করেন; একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের আদেশ বাতিল করেন। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক ২০১৯ সালে হাইকোর্টে আপিল করে।
২০২২ সালের ২৯ আগস্ট এ আপিল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আজ শুনানি শেষে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাকে ২০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেন।
প্রতিবছর ঈদে ফিটনেসবিহীন, লক্কড়-ঝক্কড় বাস, ট্রাক, লেগুনা, টেম্পো, মাইক্রোবাস, কার, নছিমন-করিমন ও সিটি সার্ভিসের বাস-মিনিবাস দূরপাল্লার বহরে যাত্রী পরিবহনে নেমে পড়ে। মেয়াদোত্তীর্ণ নৌযান দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করে। রেলপথেও মেয়াদোত্তীর্ণ কোচ, ইঞ্জিন, রেলপথের কারণে প্রায়শ দুর্ঘটনা ও লাইনচ্যুতির ঘটনায়...
৩৪ মিনিট আগেজাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার বেঞ্চ রিটটি তালিকা থেকে বাদ দেন।
১ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মচারীরা। আজ সোমবার সকাল ১১টার পর সচিবালয়ের চার নম্বর ভবনের সামনে থেকে কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিল নিয়ে তাঁরা সচিবালয়ের চত্বর প্রদক্ষিণ করেন।
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক ‘নগদ’–এ প্রশাসক নিয়োগ বিষয়ে আদেশ জারি করে। পরে প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নগদের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. শাফায়েত আলম গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রিট করেন। তবে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে খারিজ করে রায় দেন।
২ ঘণ্টা আগে