Ajker Patrika

‘মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার যুবকেরা সিরিয়া ও বাংলাদেশের জঙ্গিদের জন্য অর্থ পাঠাত’

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৫০
মালয়েশিয়ার আইজিপি দাতুক সেরি মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল। ছবি: সংগৃহীত
মালয়েশিয়ার আইজিপি দাতুক সেরি মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ গ্রেপ্তার বাংলাদেশিরা সিরিয়া ও বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর শাখাগুলোর জন্য তহবিল সংগ্রহ করছিল। মালয়েশিয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল এ তথ্য জানিয়েছেন।

মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইজিপি আজ শুক্রবার বুকিত আমানে সাংবাদিকদের জানান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের কাউন্টার টেররিজম ডিভিশন (ই৮)-এর গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও তদন্তে দেখা গেছে, এই গোষ্ঠীটি বাংলাদেশ ও সিরিয়াতে আইএস-এর কার্যক্রমের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো এই গোষ্ঠীর সংগৃহীত মোট তহবিলের পরিমাণ তদন্ত করছি। আমাদের ধারণা, তারা সদস্যপদ ফি এবং সদস্যদের অনুদানের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেছে।’

‘গেরাকান মিলিটান র‍্যাডিক্যাল বাংলাদেশ (জিএমআরবি) ’ নামে পরিচিত এই গোষ্ঠীটি সামাজিক মাধ্যম এবং হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে তাদের মতাদর্শ প্রচার ও সদস্য সংগ্রহ করত বলে জানান আইজিপি।

পুলিশ প্রধান খালিদ ইসমাইল বলেন, ‘আমাদের ধারণা, তাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ১০০ থেকে ১৫০ জন সদস্য রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, প্রতিটি সদস্যকে বার্ষিক ৫০০ আরএম (মালয়েশিয়ান রিংগিত) সদস্যপদ ফি দিতে হয়। তবে, অনুদানের পরিমাণ সদস্যদের ইচ্ছাধীন।’

এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রতিবেশী দেশ বা অন্য কোথাও আইএস শাখার সঙ্গে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা—সাংবাদিকেরা সে বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ খালিদ বলেন, বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক উন্মোচন করতে অন্যান্য দেশের আমাদের সমকক্ষদের পাশাপাশি ইন্টারপোলের সঙ্গে কাজ করছি।’

এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি মূলত মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের মধ্য থেকে সদস্য সংগ্রহ করত বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, তাদের সদস্যদের বাংলাদেশি শ্রমিক, কারখানার কর্মী এবং অন্যান্য পেশা থেকে নিয়োগ করা হতো। প্রতিটি সদস্যকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগে ‘বায়াত’ (শপথ গ্রহণ) করতে হতো।

আইজিপি আরও উল্লেখ করেন, মালয়েশিয়া যাতে বিদেশি জঙ্গিদের জন্য লজিস্টিক ও ট্রানজিট কেন্দ্র না হয়, সে জন্য ই৮-এর এই পদক্ষেপ অপরিহার্য ছিল। তিনি বলেন, ‘অভিবাসীদের মধ্যে চরমপন্থী মতাদর্শ ছড়িয়ে পড়লে শেষ পর্যন্ত এটি বিধ্বংসী কার্যক্রমে রূপ নিতে পারে।’

মোহাম্মদ খালিদ জানান, ই৮-এর একটি বিশাল অভিযানে এই গোষ্ঠীটিকে তিনটি ধাপে ২৮ এপ্রিল থেকে ২১ জুনের মধ্যে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী সেলের নেতা-সহ জোহর ও সেলাঙ্গরে পরিচালিত অভিযানে ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৩৬ জন বাংলাদেশি পুরুষকে আটক করা হয়েছে। আমরা দেখতে পেয়েছি, তারা মালয়েশিয়ায় কোনো সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিল না, বরং সদস্য নিয়োগ এবং আইএস-এর বিশ্বাস ও মতাদর্শ প্রচারে মনোনিবেশ করছিল।’

মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধান আরও বলেন, ‘তাদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, ১৫ জনকে অভিবাসন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বাকি ১৬ জনকে এখনো সোসমা (নিরাপত্তা অপরাধ (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন) এর অধীনে তদন্ত করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ: বরখাস্তের দণ্ড বদলে বাধ্যতামূলক অবসর

‘অপারেশন সিঁদুরে’ তিন শত্রুর মোকাবিলা করেছে ভারত, অন্য দেশের নাম জানালেন সেনা কর্মকর্তা

‘একটা মার্ডার করেছি, আরও ১০০টা মার্ডার করব’, ভিডিও ভাইরাল

মহাকাশে হারিয়ে গেল ৯ কোটি ডলারের স্যাটেলাইট, জলবায়ু গবেষণায় বড় ধাক্কা

ভুল করার পর জাদেজাকে কী বলে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশের আম্পায়ার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত