আজকের পত্রিকা ডেস্ক
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রচেষ্টায় বড় এক ধাক্কা লেগেছে। তেল ও গ্যাস উৎপাদন থেকে নির্গত মিথেন গ্যাস শনাক্ত করার জন্য তৈরি ৮ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের একটি অত্যাধুনিক উপগ্রহ মহাকাশে হারিয়ে গেছে। এ ঘটনা বিশ্বব্যাপী জলবায়ুবিজ্ঞানীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
মিথেনস্যাট নামের এই উপগ্রহ গত বছর ইলন মাস্কের স্পেসএক্স রকেটে উৎক্ষেপণ করা হয়। গুগল এবং বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের মতো প্রভাবশালীদের প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা এর পেছনে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এর উদ্দেশ্য ছিল পাঁচ বছর ধরে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধিকারী শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের উৎসগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করা। গ্রিনহাউস গ্যাস মানবসৃষ্ট উষ্ণায়নের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী। সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দূষণকারীদের চিহ্নিত করে নির্গমন কমানোর লক্ষ্য ছিল।
উপগ্রহটির তত্ত্বাবধানকারী এনজিও এনভায়রনমেন্ট ডিফেন্স ফান্ড (ইডিএফ) জানিয়েছে, ১০ দিন আগে মিথেনস্যাটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বর্তমানে ঘটনাটি তদন্তাধীন।
মিথেন সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। যদিও এটি কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো দীর্ঘ সময় বায়ুমণ্ডলে থাকে না, তবে ১০০ বছরের প্রভাব বিবেচনায় নিলে এটি কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে ২৮ গুণ বেশি শক্তিশালী।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে মিথেন নির্গমন ৩০ শতাংশ কমানোর আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও প্রতিবছর এর মাত্রা বাড়ছে এবং লক্ষ্য পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
মিথেন নির্গমনের প্রধান উৎসগুলো হলো তেল ও গ্যাস উৎপাদন, কৃষি এবং ল্যান্ডফিলে (ভাগাড়) উচ্ছিষ্ট খাবারের পচন। বর্তমানে মিথেন পর্যবেক্ষণকারী অনেক উপগ্রহ বেসরকারিভাবে পরিচালিত হয়। ফলে মিথেন নির্গমনের জন্য দায়ী প্রধান উৎসগুলো চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব দেখা যায়।
মিথেনস্যাট হলো এনজিও এনভায়রনমেন্টাল ডিফেন্স ফান্ডের (ইডিএফ) বহু বছরের গবেষণা ও উন্নয়নের ফল। একবার উৎক্ষেপণের পর এর বেশির ভাগ তথ্য সর্বজনীনভাবে উন্মুক্ত করার কথা ছিল। এতে সরকার ও বিজ্ঞানীরা নিরীক্ষার সুযোগ পেতেন। এই প্রকল্পে জেফ বেজোস, গুগলের মতো প্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব ও সংস্থার একটি কনসোর্টিয়াম মোট ৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে।
এই উপগ্রহে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো বিশ্বের অন্যতম সংবেদনশীল, যা ছোট আকারের মিথেন উৎস এবং ‘সুপার-এমিটার’ উভয়কেই শনাক্ত করতে সক্ষম। সংবেদনশীলতা উন্নত করা কৃষিক্ষেত্র থেকে নির্গমন শনাক্ত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই উৎসগুলো প্রায়শই তেল ও গ্যাস উৎপাদনের চেয়ে অনেক বেশি বিক্ষিপ্ত হয়।
এই উপগ্রহ যখন উৎক্ষেপণ করা হয়, তখন আশা করা হয়েছিল, এটি বিদ্যমান সরঞ্জামগুলোর মধ্যে থাকা দুর্বলতা ঘোচাবে। গুগল তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ডেটা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক মিথেন মানচিত্র তৈরির পরিকল্পনা করেছিল।
কিন্তু পাঁচ বছরব্যাপী প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে কক্ষপথে মাত্র এক বছর থাকার পরই মিথেনস্যাটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইডিএফ দল সন্দেহ করছে, উপগ্রহটি শক্তি হারিয়েছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি সম্ভবত পুনরুদ্ধার করা যাবে না।
তারা আরও জানিয়েছে, কিছু সফটওয়্যার পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে নতুন উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জলবায়ু চ্যালেঞ্জ সমাধানের জন্য সাহসী পদক্ষেপ এবং ঝুঁকি নেওয়া প্রয়োজন এবং এই উপগ্রহ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং অ্যাডভোকেসির ক্ষেত্রে অগ্রণী ছিল।’
মিথেন ডেটার অন্যান্য প্রধান সর্বজনীন উৎসের মধ্যে একটি হলো কার্বনম্যাপার (CarbonMapper)। এর ডেটার একটি উৎস হলো ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার সেন্টিনেল-৫পি উপগ্রহে থাকা TROPOMI যন্ত্র। যদিও এটি এখনো ডেটা পাঠাচ্ছে, এর সাত বছরের প্রোগ্রামটি আগামী অক্টোবরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এটি আর কত দিন তথ্য সংগ্রহ চালিয়ে যেতে পারবে, তা স্পষ্ট নয়। এই উপগ্রহ অবসরে গেলে গ্রিনহাউস গ্যাস ট্র্যাকিংয়ের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা আরও সীমিত হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রচেষ্টায় বড় এক ধাক্কা লেগেছে। তেল ও গ্যাস উৎপাদন থেকে নির্গত মিথেন গ্যাস শনাক্ত করার জন্য তৈরি ৮ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের একটি অত্যাধুনিক উপগ্রহ মহাকাশে হারিয়ে গেছে। এ ঘটনা বিশ্বব্যাপী জলবায়ুবিজ্ঞানীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
মিথেনস্যাট নামের এই উপগ্রহ গত বছর ইলন মাস্কের স্পেসএক্স রকেটে উৎক্ষেপণ করা হয়। গুগল এবং বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের মতো প্রভাবশালীদের প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা এর পেছনে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এর উদ্দেশ্য ছিল পাঁচ বছর ধরে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধিকারী শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের উৎসগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করা। গ্রিনহাউস গ্যাস মানবসৃষ্ট উষ্ণায়নের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী। সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দূষণকারীদের চিহ্নিত করে নির্গমন কমানোর লক্ষ্য ছিল।
উপগ্রহটির তত্ত্বাবধানকারী এনজিও এনভায়রনমেন্ট ডিফেন্স ফান্ড (ইডিএফ) জানিয়েছে, ১০ দিন আগে মিথেনস্যাটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বর্তমানে ঘটনাটি তদন্তাধীন।
মিথেন সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। যদিও এটি কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো দীর্ঘ সময় বায়ুমণ্ডলে থাকে না, তবে ১০০ বছরের প্রভাব বিবেচনায় নিলে এটি কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে ২৮ গুণ বেশি শক্তিশালী।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে মিথেন নির্গমন ৩০ শতাংশ কমানোর আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও প্রতিবছর এর মাত্রা বাড়ছে এবং লক্ষ্য পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
মিথেন নির্গমনের প্রধান উৎসগুলো হলো তেল ও গ্যাস উৎপাদন, কৃষি এবং ল্যান্ডফিলে (ভাগাড়) উচ্ছিষ্ট খাবারের পচন। বর্তমানে মিথেন পর্যবেক্ষণকারী অনেক উপগ্রহ বেসরকারিভাবে পরিচালিত হয়। ফলে মিথেন নির্গমনের জন্য দায়ী প্রধান উৎসগুলো চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব দেখা যায়।
মিথেনস্যাট হলো এনজিও এনভায়রনমেন্টাল ডিফেন্স ফান্ডের (ইডিএফ) বহু বছরের গবেষণা ও উন্নয়নের ফল। একবার উৎক্ষেপণের পর এর বেশির ভাগ তথ্য সর্বজনীনভাবে উন্মুক্ত করার কথা ছিল। এতে সরকার ও বিজ্ঞানীরা নিরীক্ষার সুযোগ পেতেন। এই প্রকল্পে জেফ বেজোস, গুগলের মতো প্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব ও সংস্থার একটি কনসোর্টিয়াম মোট ৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে।
এই উপগ্রহে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো বিশ্বের অন্যতম সংবেদনশীল, যা ছোট আকারের মিথেন উৎস এবং ‘সুপার-এমিটার’ উভয়কেই শনাক্ত করতে সক্ষম। সংবেদনশীলতা উন্নত করা কৃষিক্ষেত্র থেকে নির্গমন শনাক্ত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই উৎসগুলো প্রায়শই তেল ও গ্যাস উৎপাদনের চেয়ে অনেক বেশি বিক্ষিপ্ত হয়।
এই উপগ্রহ যখন উৎক্ষেপণ করা হয়, তখন আশা করা হয়েছিল, এটি বিদ্যমান সরঞ্জামগুলোর মধ্যে থাকা দুর্বলতা ঘোচাবে। গুগল তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ডেটা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক মিথেন মানচিত্র তৈরির পরিকল্পনা করেছিল।
কিন্তু পাঁচ বছরব্যাপী প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে কক্ষপথে মাত্র এক বছর থাকার পরই মিথেনস্যাটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইডিএফ দল সন্দেহ করছে, উপগ্রহটি শক্তি হারিয়েছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি সম্ভবত পুনরুদ্ধার করা যাবে না।
তারা আরও জানিয়েছে, কিছু সফটওয়্যার পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে নতুন উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জলবায়ু চ্যালেঞ্জ সমাধানের জন্য সাহসী পদক্ষেপ এবং ঝুঁকি নেওয়া প্রয়োজন এবং এই উপগ্রহ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং অ্যাডভোকেসির ক্ষেত্রে অগ্রণী ছিল।’
মিথেন ডেটার অন্যান্য প্রধান সর্বজনীন উৎসের মধ্যে একটি হলো কার্বনম্যাপার (CarbonMapper)। এর ডেটার একটি উৎস হলো ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার সেন্টিনেল-৫পি উপগ্রহে থাকা TROPOMI যন্ত্র। যদিও এটি এখনো ডেটা পাঠাচ্ছে, এর সাত বছরের প্রোগ্রামটি আগামী অক্টোবরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এটি আর কত দিন তথ্য সংগ্রহ চালিয়ে যেতে পারবে, তা স্পষ্ট নয়। এই উপগ্রহ অবসরে গেলে গ্রিনহাউস গ্যাস ট্র্যাকিংয়ের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা আরও সীমিত হবে।
সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ রৌদ্রজ্জ্বল। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে আজ ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১৮ মিনিট আগেবায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ বুধবার, সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান ৭৩। দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ রাজধানীর অবস্থান ২৩তম।
১ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে। অর্থাৎ, পাঁচ দশকের ব্যবধানে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ১০ গুণ। কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ার এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায়।
২ ঘণ্টা আগেদেশে গত পাঁচ বছরে কীটনাশকের ব্যবহার ৮১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। ধান, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনে এসব কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে কেয়ার বাংলাদেশ (কেবি) আয়োজিত ‘জার্নালিস্ট ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ অন পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন’—কর্মশালায়
১৮ ঘণ্টা আগে