নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আদালতের কাঠগড়ায় আর থাকছে না লোহার খাঁচা। দেশের যত আদালতের এজলাসকক্ষে লোহার খাঁচা রয়েছে, সব সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ এসেছে।
ইতিমধ্যে ঢাকার আদালতের এজলাসকক্ষ থেকে আসামিদের রাখার লোহার খাঁচা একে একে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিভিন্ন এজলাসকক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরানো শুরু হয়। গণপূর্ত বিভাগের লোকজন লোহার খাঁচা সরানোর কাজটি করছেন। পর্যায়ক্রমে সব আদালতের খাঁচা সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ঢাকার আদালতের লোহার খাঁচা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১২ জুন ঢাকার আদালতে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আজকে আমরা অনেকক্ষণ খাঁচার (আসামির কাঠগড়া) মধ্যে ছিলাম। আমি যত দূর জানি, যত দিন আসামি অপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছে, তত দিন তিনি নিরপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবেন। একজন নিরপরাধ নাগরিককে শুনানির সময় লোহার খাঁচায় (আসামির কাঠগড়া) দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, এটা আমার কাছে অত্যন্ত অপমানজনক। এটা গর্হিত কাজ। এটা কারও ক্ষেত্রেই যেন প্রযোজ্য না হয়। একটা পর্যালোচনা হোক। একটা সভ্য দেশে কেন একজন নাগরিককে শুনানির সময় পশুর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হবে? যেখানে তিনি তখনো দোষী সাব্যস্ত হননি।’
গত ১৫ জুলাই তিনি আবারও সাংবাদিকদের বলেন, ‘লোহার খাঁচা জাতির জন্য মস্ত বড় অপমান।’ তিনি বিচার বিভাগকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লোহার খাঁচা অপসারণের আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
এ প্রসঙ্গে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মোহাম্মদ রেজোয়ান খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরাও দেখছি লোহার খাঁচা সরানো হচ্ছে। দুটি আদালতের খাঁচা সরানো হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের কর্মচারীরা খাঁচা সরানোর কাজ করছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাঁরা লোহার খাঁচা সরানোর কাজ করছেন।’
গত বছরের ১৬ অক্টোবর আদালতের এজলাসকক্ষ থেকে লোহার খাঁচার অপসারণ করতে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী। রিটকারী আইনজীবীরা বলেছিলেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ৮৪টি এজলাসকক্ষে লোহার খাঁচা রয়েছে। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলও দেন। দেশের কোন কোন আদালতের ভেতরে লোহার খাঁচা রয়েছে, সে বিষয়ে ৬০ দিনের মধ্যে আইনসচিবকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
এর মধ্যে গণ–আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন হয়েছে। সেই প্রতিবেদন দেওয়া না হলেও আইন মন্ত্রণালয় লোহার খাঁচা সরানোর নির্দেশ দেওয়ায় খুব দ্রুতই সব আদালত থেকে উঠে যাচ্ছে লোহার খাঁচা। আর সে কারণেই রিটটির শুনানি হওয়ার আগেই লোহার খাঁচা অপসারণ হলে আর শুনানির প্রয়োজন পড়বে না।
বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণবিষয়ক সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদে আছে, ‘কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না কিংবা কারও সঙ্গে এমন ব্যবহার করা যাবে না।’
এটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার সনদ, ইন্টারন্যাশনাল কভন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসেরও (আইসিসিপিআর) পরিপন্থী। বাংলাদেশ ওই সনদের অনুস্বাক্ষরকারী দেশ। এ সনদের ৭ নম্বর ধারা বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫ (৫)–এর অনুরূপ।
এ ছাড়া সনদের অনুচ্ছেদ ১৪ (২)–এ বলা হয়েছে, ‘ফৌজদারি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত প্রত্যেকে আইন অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত নিরপরাধ গণ্য হওয়ার অধিকারী।’
আদালতের কাঠগড়ায় আর থাকছে না লোহার খাঁচা। দেশের যত আদালতের এজলাসকক্ষে লোহার খাঁচা রয়েছে, সব সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ এসেছে।
ইতিমধ্যে ঢাকার আদালতের এজলাসকক্ষ থেকে আসামিদের রাখার লোহার খাঁচা একে একে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিভিন্ন এজলাসকক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরানো শুরু হয়। গণপূর্ত বিভাগের লোকজন লোহার খাঁচা সরানোর কাজটি করছেন। পর্যায়ক্রমে সব আদালতের খাঁচা সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ঢাকার আদালতের লোহার খাঁচা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১২ জুন ঢাকার আদালতে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আজকে আমরা অনেকক্ষণ খাঁচার (আসামির কাঠগড়া) মধ্যে ছিলাম। আমি যত দূর জানি, যত দিন আসামি অপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছে, তত দিন তিনি নিরপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবেন। একজন নিরপরাধ নাগরিককে শুনানির সময় লোহার খাঁচায় (আসামির কাঠগড়া) দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, এটা আমার কাছে অত্যন্ত অপমানজনক। এটা গর্হিত কাজ। এটা কারও ক্ষেত্রেই যেন প্রযোজ্য না হয়। একটা পর্যালোচনা হোক। একটা সভ্য দেশে কেন একজন নাগরিককে শুনানির সময় পশুর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হবে? যেখানে তিনি তখনো দোষী সাব্যস্ত হননি।’
গত ১৫ জুলাই তিনি আবারও সাংবাদিকদের বলেন, ‘লোহার খাঁচা জাতির জন্য মস্ত বড় অপমান।’ তিনি বিচার বিভাগকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লোহার খাঁচা অপসারণের আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
এ প্রসঙ্গে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মোহাম্মদ রেজোয়ান খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরাও দেখছি লোহার খাঁচা সরানো হচ্ছে। দুটি আদালতের খাঁচা সরানো হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের কর্মচারীরা খাঁচা সরানোর কাজ করছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাঁরা লোহার খাঁচা সরানোর কাজ করছেন।’
গত বছরের ১৬ অক্টোবর আদালতের এজলাসকক্ষ থেকে লোহার খাঁচার অপসারণ করতে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী। রিটকারী আইনজীবীরা বলেছিলেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ৮৪টি এজলাসকক্ষে লোহার খাঁচা রয়েছে। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলও দেন। দেশের কোন কোন আদালতের ভেতরে লোহার খাঁচা রয়েছে, সে বিষয়ে ৬০ দিনের মধ্যে আইনসচিবকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
এর মধ্যে গণ–আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন হয়েছে। সেই প্রতিবেদন দেওয়া না হলেও আইন মন্ত্রণালয় লোহার খাঁচা সরানোর নির্দেশ দেওয়ায় খুব দ্রুতই সব আদালত থেকে উঠে যাচ্ছে লোহার খাঁচা। আর সে কারণেই রিটটির শুনানি হওয়ার আগেই লোহার খাঁচা অপসারণ হলে আর শুনানির প্রয়োজন পড়বে না।
বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণবিষয়ক সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদে আছে, ‘কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না কিংবা কারও সঙ্গে এমন ব্যবহার করা যাবে না।’
এটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার সনদ, ইন্টারন্যাশনাল কভন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসেরও (আইসিসিপিআর) পরিপন্থী। বাংলাদেশ ওই সনদের অনুস্বাক্ষরকারী দেশ। এ সনদের ৭ নম্বর ধারা বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫ (৫)–এর অনুরূপ।
এ ছাড়া সনদের অনুচ্ছেদ ১৪ (২)–এ বলা হয়েছে, ‘ফৌজদারি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত প্রত্যেকে আইন অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত নিরপরাধ গণ্য হওয়ার অধিকারী।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। এই মন্ত্রণালয়কে আরও সুরক্ষিত করতে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র স্থাপন করা হচ্ছে। বিশেষ করে দর্শনার্থীদের যথেচ্ছ চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা এর উদ্দেশ্য।
৪৩ মিনিট আগেস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগ্নেয়াস্ত্রের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কাজ শেষ না করেই প্রায় ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার মদদে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এটিসহ অন্য কিছু বিষয় তদন্তে কম
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ জন নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩৫৪ জন, যার সিংহভাগই শিশু ও কিশোরী। কেবল জুন মাসেই ধর্ষণের শিকার ৬৫ জন, যার মধ্যে ৪৩ জনই শিশু। এমনকি ধর্ষণের পর প্রাণ হারিয়েছে তিনজন, যাদের দুজনই শিশু।
৪ ঘণ্টা আগেসাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ভ্যাট-ট্যাক্স নিয়ে স্টারলিংককে কিছু জটিলতায় পড়তে হয়েছে। এনবিআর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ভ্যাট-ট্যাক্সের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে। সবার সঙ্গে একত্রে কাজ করতে গিয়ে কিছুটা সময় লাগে।
৬ ঘণ্টা আগে