আয়নাল হোসেন, ঢাকা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগ্নেয়াস্ত্রের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কাজ শেষ না করেই প্রায় ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার মদদে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এটিসহ অন্য কিছু বিষয় তদন্তে কমিটি গঠন করা হলেও এর কাজ থেমে আছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগ্নেয়াস্ত্রের স্মার্ট লাইসেন্স তৈরি, অস্ত্রের সঠিক হিসাব রাখাসহ এর ব্যবস্থাপনা সহজ করতে ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ডিএএমএস) চালুর কাজ হাতে নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের তৎকালীন সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন এসজেট এন্টারপ্রাইজ নামের একটি অদক্ষ প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ দেন। প্রতিষ্ঠানটি সামান্য কাজ করেই পুরো বিল ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৪১ হাজার ৪১০ টাকা তুলে নেয়। এই আংশিক কাজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আবার সলিউশন ওয়ার্ল্ড লিমিটেড ও সফট বিডি নামের দুটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন নিজেই এসজেট এন্টারপ্রাইজের মালিক ছিলেন। তাঁর এক নিকটাত্মীয় প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। সাবেক এই সচিবের নামে একাধিক মামলা থাকায় গত বছরের অক্টোবরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
আগ্নেয়াস্ত্রের নজরদারিতে বিঘ্ন
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে (২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত) বেসামরিক ব্যক্তিদের নামে বরাদ্দ করা সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। এসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত অনেকেই তা মানেননি। কিন্তু সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ের পরও ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাটি চালু না থাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ ধরনের তথ্য পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ডিজিটাল ব্যবস্থাটি চালু থাকলে তাঁরা মুহূর্তে মন্ত্রণালয়ের চাহিদামতো তথ্য পাঠাতে পারতেন।
সংশ্লিষ্ট কয়েক কর্মকর্তা বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্যও অনেক গুরুত্বসহকারে দেখা হয়। অথচ আগ্নেয়াস্ত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়ের তথ্য সরকারের ডিজিটাল অবকাঠামোয় নেই।
স্মার্ট লাইসেন্স উদ্যোগের প্রেক্ষাপট
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম মূলত আগ্নেয়াস্ত্রবিষয়ক একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যার লক্ষ্য লাইসেন্সকৃত অস্ত্রের হিসাব রাখাসহ ব্যবস্থাপনা সহজ করা। এই সিস্টেমের মাধ্যমে অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন এবং ডেটাবেইস তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা। এর আওতায় জননিরাপত্তা বিভাগের অধীনে সারা দেশের বৈধ অস্ত্রের ডিজিটাল তালিকা তৈরিরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রথম চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্রের স্মার্ট লাইসেন্স ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রাম আইটি সলিউশন লিমিটেডের কারিগরি সহায়তায় অনলাইন সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ প্রকল্পের মধ্যে ছিল ওয়ান স্টপ পদ্ধতিতে লাইসেন্সধারীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ, যাচাই ব্যবস্থা এবং ১৪ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসংবলিত স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড তৈরি করা। তবে স্পেকট্রাম আইটি সলিউশনের কাছ থেকে কারিগরি জ্ঞান নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তাদের কোনো কাজ দেওয়া হয়নি। কাজ দেওয়া হয় তখনকার জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ গত ২ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হালনাগাদে ভেন্ডর নিয়োগের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ক্রয়ের শর্তাবলি তৈরি করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মূল কাজের জন্য অর্থ নেওয়া এসজেট এন্টারপ্রাইজের মালিক আনোয়ার সাদাত রুকনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তা রিসিভ করা হয়নি। পরে তাঁর মোবাইল ফোনে খুদেবার্তা দেওয়া হয়। তারও জবাব পাওয়া যায়নি।
রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পাওয়া সলিউশন ওয়ার্ল্ডের কর্মকর্তা আবদুল্লাহ ইবনে নূরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান মাত্র ছয় মাসের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পেয়েছিল। তিন মাস কাজ করার জন্য তাদের ১৭ লাখ টাকা দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সফট বিডি নামের আরেক প্রতিষ্ঠানকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি অনুবিভাগ) খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমানের কাছে ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরিতে অনিয়ম ও অচলাবস্থার অভিযোগ নিয়ে জানতে চেয়েছিল আজকের পত্রিকা। তিনি বলেন, ‘উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ থাকলে প্রতিবেদন করুন। প্রয়োজনে আমাকেও তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।’
থমকে আছে তদন্ত
সচিবালয়ের নিরাপত্তার জন্য যন্ত্রপাতি কেনায় অনিয়ম খতিয়ে দেখতে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রধান করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবকে। গত মার্চ মাসে ওই কমিটিকে ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অনিয়ম তদন্তেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটিতে পুলিশ সদর দপ্তর ও বুয়েটের প্রতিনিধিসহ সাত সদস্য রয়েছেন। চার মাসেও তাঁরা তদন্তকাজ শুরু করেননি। কমিটির প্রধান গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নানান কাজের কারণে এখনো তদন্তকাজ শুরু করতে পারিনি।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগ্নেয়াস্ত্রের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কাজ শেষ না করেই প্রায় ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার মদদে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এটিসহ অন্য কিছু বিষয় তদন্তে কমিটি গঠন করা হলেও এর কাজ থেমে আছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগ্নেয়াস্ত্রের স্মার্ট লাইসেন্স তৈরি, অস্ত্রের সঠিক হিসাব রাখাসহ এর ব্যবস্থাপনা সহজ করতে ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ডিএএমএস) চালুর কাজ হাতে নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের তৎকালীন সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন এসজেট এন্টারপ্রাইজ নামের একটি অদক্ষ প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ দেন। প্রতিষ্ঠানটি সামান্য কাজ করেই পুরো বিল ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৪১ হাজার ৪১০ টাকা তুলে নেয়। এই আংশিক কাজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আবার সলিউশন ওয়ার্ল্ড লিমিটেড ও সফট বিডি নামের দুটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন নিজেই এসজেট এন্টারপ্রাইজের মালিক ছিলেন। তাঁর এক নিকটাত্মীয় প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। সাবেক এই সচিবের নামে একাধিক মামলা থাকায় গত বছরের অক্টোবরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
আগ্নেয়াস্ত্রের নজরদারিতে বিঘ্ন
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে (২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত) বেসামরিক ব্যক্তিদের নামে বরাদ্দ করা সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। এসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত অনেকেই তা মানেননি। কিন্তু সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ের পরও ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাটি চালু না থাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ ধরনের তথ্য পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ডিজিটাল ব্যবস্থাটি চালু থাকলে তাঁরা মুহূর্তে মন্ত্রণালয়ের চাহিদামতো তথ্য পাঠাতে পারতেন।
সংশ্লিষ্ট কয়েক কর্মকর্তা বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্যও অনেক গুরুত্বসহকারে দেখা হয়। অথচ আগ্নেয়াস্ত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়ের তথ্য সরকারের ডিজিটাল অবকাঠামোয় নেই।
স্মার্ট লাইসেন্স উদ্যোগের প্রেক্ষাপট
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম মূলত আগ্নেয়াস্ত্রবিষয়ক একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যার লক্ষ্য লাইসেন্সকৃত অস্ত্রের হিসাব রাখাসহ ব্যবস্থাপনা সহজ করা। এই সিস্টেমের মাধ্যমে অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন এবং ডেটাবেইস তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা। এর আওতায় জননিরাপত্তা বিভাগের অধীনে সারা দেশের বৈধ অস্ত্রের ডিজিটাল তালিকা তৈরিরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রথম চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্রের স্মার্ট লাইসেন্স ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রাম আইটি সলিউশন লিমিটেডের কারিগরি সহায়তায় অনলাইন সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ প্রকল্পের মধ্যে ছিল ওয়ান স্টপ পদ্ধতিতে লাইসেন্সধারীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ, যাচাই ব্যবস্থা এবং ১৪ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসংবলিত স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড তৈরি করা। তবে স্পেকট্রাম আইটি সলিউশনের কাছ থেকে কারিগরি জ্ঞান নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তাদের কোনো কাজ দেওয়া হয়নি। কাজ দেওয়া হয় তখনকার জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ গত ২ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হালনাগাদে ভেন্ডর নিয়োগের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ক্রয়ের শর্তাবলি তৈরি করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মূল কাজের জন্য অর্থ নেওয়া এসজেট এন্টারপ্রাইজের মালিক আনোয়ার সাদাত রুকনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তা রিসিভ করা হয়নি। পরে তাঁর মোবাইল ফোনে খুদেবার্তা দেওয়া হয়। তারও জবাব পাওয়া যায়নি।
রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পাওয়া সলিউশন ওয়ার্ল্ডের কর্মকর্তা আবদুল্লাহ ইবনে নূরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান মাত্র ছয় মাসের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পেয়েছিল। তিন মাস কাজ করার জন্য তাদের ১৭ লাখ টাকা দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সফট বিডি নামের আরেক প্রতিষ্ঠানকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি অনুবিভাগ) খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমানের কাছে ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরিতে অনিয়ম ও অচলাবস্থার অভিযোগ নিয়ে জানতে চেয়েছিল আজকের পত্রিকা। তিনি বলেন, ‘উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ থাকলে প্রতিবেদন করুন। প্রয়োজনে আমাকেও তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।’
থমকে আছে তদন্ত
সচিবালয়ের নিরাপত্তার জন্য যন্ত্রপাতি কেনায় অনিয়ম খতিয়ে দেখতে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রধান করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবকে। গত মার্চ মাসে ওই কমিটিকে ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অনিয়ম তদন্তেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটিতে পুলিশ সদর দপ্তর ও বুয়েটের প্রতিনিধিসহ সাত সদস্য রয়েছেন। চার মাসেও তাঁরা তদন্তকাজ শুরু করেননি। কমিটির প্রধান গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নানান কাজের কারণে এখনো তদন্তকাজ শুরু করতে পারিনি।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আয়নাল হোসেন, ঢাকা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগ্নেয়াস্ত্রের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কাজ শেষ না করেই প্রায় ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার মদদে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এটিসহ অন্য কিছু বিষয় তদন্তে কমিটি গঠন করা হলেও এর কাজ থেমে আছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগ্নেয়াস্ত্রের স্মার্ট লাইসেন্স তৈরি, অস্ত্রের সঠিক হিসাব রাখাসহ এর ব্যবস্থাপনা সহজ করতে ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ডিএএমএস) চালুর কাজ হাতে নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের তৎকালীন সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন এসজেট এন্টারপ্রাইজ নামের একটি অদক্ষ প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ দেন। প্রতিষ্ঠানটি সামান্য কাজ করেই পুরো বিল ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৪১ হাজার ৪১০ টাকা তুলে নেয়। এই আংশিক কাজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আবার সলিউশন ওয়ার্ল্ড লিমিটেড ও সফট বিডি নামের দুটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন নিজেই এসজেট এন্টারপ্রাইজের মালিক ছিলেন। তাঁর এক নিকটাত্মীয় প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। সাবেক এই সচিবের নামে একাধিক মামলা থাকায় গত বছরের অক্টোবরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
আগ্নেয়াস্ত্রের নজরদারিতে বিঘ্ন
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে (২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত) বেসামরিক ব্যক্তিদের নামে বরাদ্দ করা সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। এসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত অনেকেই তা মানেননি। কিন্তু সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ের পরও ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাটি চালু না থাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ ধরনের তথ্য পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ডিজিটাল ব্যবস্থাটি চালু থাকলে তাঁরা মুহূর্তে মন্ত্রণালয়ের চাহিদামতো তথ্য পাঠাতে পারতেন।
সংশ্লিষ্ট কয়েক কর্মকর্তা বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্যও অনেক গুরুত্বসহকারে দেখা হয়। অথচ আগ্নেয়াস্ত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়ের তথ্য সরকারের ডিজিটাল অবকাঠামোয় নেই।
স্মার্ট লাইসেন্স উদ্যোগের প্রেক্ষাপট
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম মূলত আগ্নেয়াস্ত্রবিষয়ক একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যার লক্ষ্য লাইসেন্সকৃত অস্ত্রের হিসাব রাখাসহ ব্যবস্থাপনা সহজ করা। এই সিস্টেমের মাধ্যমে অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন এবং ডেটাবেইস তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা। এর আওতায় জননিরাপত্তা বিভাগের অধীনে সারা দেশের বৈধ অস্ত্রের ডিজিটাল তালিকা তৈরিরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রথম চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্রের স্মার্ট লাইসেন্স ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রাম আইটি সলিউশন লিমিটেডের কারিগরি সহায়তায় অনলাইন সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ প্রকল্পের মধ্যে ছিল ওয়ান স্টপ পদ্ধতিতে লাইসেন্সধারীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ, যাচাই ব্যবস্থা এবং ১৪ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসংবলিত স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড তৈরি করা। তবে স্পেকট্রাম আইটি সলিউশনের কাছ থেকে কারিগরি জ্ঞান নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তাদের কোনো কাজ দেওয়া হয়নি। কাজ দেওয়া হয় তখনকার জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ গত ২ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হালনাগাদে ভেন্ডর নিয়োগের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ক্রয়ের শর্তাবলি তৈরি করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মূল কাজের জন্য অর্থ নেওয়া এসজেট এন্টারপ্রাইজের মালিক আনোয়ার সাদাত রুকনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তা রিসিভ করা হয়নি। পরে তাঁর মোবাইল ফোনে খুদেবার্তা দেওয়া হয়। তারও জবাব পাওয়া যায়নি।
রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পাওয়া সলিউশন ওয়ার্ল্ডের কর্মকর্তা আবদুল্লাহ ইবনে নূরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান মাত্র ছয় মাসের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পেয়েছিল। তিন মাস কাজ করার জন্য তাদের ১৭ লাখ টাকা দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সফট বিডি নামের আরেক প্রতিষ্ঠানকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি অনুবিভাগ) খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমানের কাছে ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরিতে অনিয়ম ও অচলাবস্থার অভিযোগ নিয়ে জানতে চেয়েছিল আজকের পত্রিকা। তিনি বলেন, ‘উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ থাকলে প্রতিবেদন করুন। প্রয়োজনে আমাকেও তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।’
থমকে আছে তদন্ত
সচিবালয়ের নিরাপত্তার জন্য যন্ত্রপাতি কেনায় অনিয়ম খতিয়ে দেখতে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রধান করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবকে। গত মার্চ মাসে ওই কমিটিকে ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অনিয়ম তদন্তেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটিতে পুলিশ সদর দপ্তর ও বুয়েটের প্রতিনিধিসহ সাত সদস্য রয়েছেন। চার মাসেও তাঁরা তদন্তকাজ শুরু করেননি। কমিটির প্রধান গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নানান কাজের কারণে এখনো তদন্তকাজ শুরু করতে পারিনি।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগ্নেয়াস্ত্রের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কাজ শেষ না করেই প্রায় ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার মদদে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এটিসহ অন্য কিছু বিষয় তদন্তে কমিটি গঠন করা হলেও এর কাজ থেমে আছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগ্নেয়াস্ত্রের স্মার্ট লাইসেন্স তৈরি, অস্ত্রের সঠিক হিসাব রাখাসহ এর ব্যবস্থাপনা সহজ করতে ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ডিএএমএস) চালুর কাজ হাতে নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের তৎকালীন সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন এসজেট এন্টারপ্রাইজ নামের একটি অদক্ষ প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ দেন। প্রতিষ্ঠানটি সামান্য কাজ করেই পুরো বিল ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৪১ হাজার ৪১০ টাকা তুলে নেয়। এই আংশিক কাজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আবার সলিউশন ওয়ার্ল্ড লিমিটেড ও সফট বিডি নামের দুটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন নিজেই এসজেট এন্টারপ্রাইজের মালিক ছিলেন। তাঁর এক নিকটাত্মীয় প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। সাবেক এই সচিবের নামে একাধিক মামলা থাকায় গত বছরের অক্টোবরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
আগ্নেয়াস্ত্রের নজরদারিতে বিঘ্ন
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে (২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত) বেসামরিক ব্যক্তিদের নামে বরাদ্দ করা সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। এসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত অনেকেই তা মানেননি। কিন্তু সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ের পরও ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাটি চালু না থাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ ধরনের তথ্য পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ডিজিটাল ব্যবস্থাটি চালু থাকলে তাঁরা মুহূর্তে মন্ত্রণালয়ের চাহিদামতো তথ্য পাঠাতে পারতেন।
সংশ্লিষ্ট কয়েক কর্মকর্তা বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্যও অনেক গুরুত্বসহকারে দেখা হয়। অথচ আগ্নেয়াস্ত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়ের তথ্য সরকারের ডিজিটাল অবকাঠামোয় নেই।
স্মার্ট লাইসেন্স উদ্যোগের প্রেক্ষাপট
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম মূলত আগ্নেয়াস্ত্রবিষয়ক একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যার লক্ষ্য লাইসেন্সকৃত অস্ত্রের হিসাব রাখাসহ ব্যবস্থাপনা সহজ করা। এই সিস্টেমের মাধ্যমে অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন এবং ডেটাবেইস তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা। এর আওতায় জননিরাপত্তা বিভাগের অধীনে সারা দেশের বৈধ অস্ত্রের ডিজিটাল তালিকা তৈরিরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রথম চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্রের স্মার্ট লাইসেন্স ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রাম আইটি সলিউশন লিমিটেডের কারিগরি সহায়তায় অনলাইন সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ প্রকল্পের মধ্যে ছিল ওয়ান স্টপ পদ্ধতিতে লাইসেন্সধারীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ, যাচাই ব্যবস্থা এবং ১৪ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসংবলিত স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড তৈরি করা। তবে স্পেকট্রাম আইটি সলিউশনের কাছ থেকে কারিগরি জ্ঞান নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তাদের কোনো কাজ দেওয়া হয়নি। কাজ দেওয়া হয় তখনকার জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ গত ২ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হালনাগাদে ভেন্ডর নিয়োগের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ক্রয়ের শর্তাবলি তৈরি করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মূল কাজের জন্য অর্থ নেওয়া এসজেট এন্টারপ্রাইজের মালিক আনোয়ার সাদাত রুকনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তা রিসিভ করা হয়নি। পরে তাঁর মোবাইল ফোনে খুদেবার্তা দেওয়া হয়। তারও জবাব পাওয়া যায়নি।
রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পাওয়া সলিউশন ওয়ার্ল্ডের কর্মকর্তা আবদুল্লাহ ইবনে নূরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান মাত্র ছয় মাসের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পেয়েছিল। তিন মাস কাজ করার জন্য তাদের ১৭ লাখ টাকা দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সফট বিডি নামের আরেক প্রতিষ্ঠানকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি অনুবিভাগ) খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমানের কাছে ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরিতে অনিয়ম ও অচলাবস্থার অভিযোগ নিয়ে জানতে চেয়েছিল আজকের পত্রিকা। তিনি বলেন, ‘উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ থাকলে প্রতিবেদন করুন। প্রয়োজনে আমাকেও তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।’
থমকে আছে তদন্ত
সচিবালয়ের নিরাপত্তার জন্য যন্ত্রপাতি কেনায় অনিয়ম খতিয়ে দেখতে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রধান করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবকে। গত মার্চ মাসে ওই কমিটিকে ডিজিটাল আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অনিয়ম তদন্তেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটিতে পুলিশ সদর দপ্তর ও বুয়েটের প্রতিনিধিসহ সাত সদস্য রয়েছেন। চার মাসেও তাঁরা তদন্তকাজ শুরু করেননি। কমিটির প্রধান গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নানান কাজের কারণে এখনো তদন্তকাজ শুরু করতে পারিনি।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে করণীয় ৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ‘মিথ্যা ও গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে দলটি।
২৬ মিনিট আগেঅধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
৫ ঘণ্টা আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
৭ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে করণীয় ৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ‘মিথ্যা ও গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে দলটি। আর ভোটের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করতে হবে।
এ ছাড়া বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা বিতর্কিত ব্যক্তিদের আগামী নির্বাচনে ভোটের প্রক্রিয়ায় না রাখা এবং দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়ার কথাও কমিশনকে বলেছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক তাদের প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করেছে। দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং সাবেক সচিব মোহাম্মদ জকরিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, ‘আমরা কোনো প্রস্তাব জমা দেইনি। আলোচনার টকিং পয়েন্ট হিসেবে বেশ কিছু বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে।’ যদিও বিএনপির একটি সূত্র জানায়, লিখিতভাবে ৩৬ দফা প্রস্তাব সামনে রেখে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল।
সূত্র জানায়, সিইসির সঙ্গে বৈঠকে তফসিল ঘোষণার আগে স্বৈরাচারী সরকারের আমলে হওয়া মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা বিতর্কিত ব্যক্তিদের এবারের ভোটের প্রক্রিয়ায় রাখা যাবে না। এ ছাড়া নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
আর ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনাসহ দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত প্রতিষ্ঠান থেকে যেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়া হয়।
ভোটে অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এখনই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে এই সরকারের ও ইসির দৃঢ় ভূমিকা চেয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া, রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ইসির কর্মকর্তাদের নিয়োগ; নির্বাচনকালীন সব প্রক্রিয়ায় জড়িত বেসামরিক প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব কর্মকর্তার বদলি, পদায়ন, অবস্থান, দায়িত্ব ও তাঁদের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ ইসির এখতিয়ারে নেওয়া; নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন এবং নির্বাচনকে জনগণের কাছে দৃশ্যমান বিশ্বাসযোগ্য করতে বিচার বিভাগীয় ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের পাশাপাশি ইসি কর্মকর্তাদেরও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া; ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষের কার্যক্রম ছাড়া ভোটকেন্দ্রের অন্যান্য অভ্যন্তরীণ দৃশ্য বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ রাখতে সিসি ক্যামেরা রাখা; প্রতি জেলা, উপজেলা, থানা নির্বাচন অফিসে অভিযোগ নিরসন কেন্দ্র চালুর দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে বা যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করে অভিযোগকারীকে লিখিতভাবে জানানো; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি গঠনের নির্দেশনা স্থগিত করা; গণ-অভ্যুত্থান ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নামে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে করা মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি মামলা তফসিল ঘোষণার আগেই প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তফসিল ঘোষণার আগে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দলীয় বিবেচনায় দেওয়া সব অস্ত্র সরকারের কাছে জমা দেওয়া নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
এ ছাড়া নির্বাচনে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায়—এমন অপপ্রচার রোধ; ভোটারদের প্রভাবিত করে এমন ধর্মীয় প্রলোভন বা ধর্মীয় দণ্ড দেওয়ার ভীতি প্রদর্শন রোধ; যতদূর সম্ভব কমসংখ্যক ভোটার নিয়ে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ; নির্বাচনী আইন ও বিধি পালনে গাফিলতি করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে বিএনপি।
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির নেতা আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচন হয়েছিল প্রহসনের নির্বাচন। কাদের দ্বারা হয়েছিল? যারা সরকারি কর্মকর্তা হয়েও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করেছিল, তাদের কারণে হয়েছিল।
১৫ বছর যাদের চরিত্র হনন করেছিল আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী, তারা ১৫ মাসে শোধিত হয়ে যাবে এতটা আশা করা বাস্তবতা নয়—এ মন্তব্য করে মঈন খান আরও বলেন, ‘কাজেই নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক থাকতে হবে। বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধরা যেন আগামী নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় কোনোভাবে অংশগ্রহণ করতে না পারে, কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে। এটা ছিল আমাদের আলোচনার একটি মূল বিষয়।’
বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। তবে বিএনপির দাবির বিষয়গুলো নিয়ে কমিশন সভায় আলোচনা হতে পারে বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে করণীয় ৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ‘মিথ্যা ও গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে দলটি। আর ভোটের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করতে হবে।
এ ছাড়া বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা বিতর্কিত ব্যক্তিদের আগামী নির্বাচনে ভোটের প্রক্রিয়ায় না রাখা এবং দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়ার কথাও কমিশনকে বলেছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক তাদের প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করেছে। দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং সাবেক সচিব মোহাম্মদ জকরিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, ‘আমরা কোনো প্রস্তাব জমা দেইনি। আলোচনার টকিং পয়েন্ট হিসেবে বেশ কিছু বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে।’ যদিও বিএনপির একটি সূত্র জানায়, লিখিতভাবে ৩৬ দফা প্রস্তাব সামনে রেখে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল।
সূত্র জানায়, সিইসির সঙ্গে বৈঠকে তফসিল ঘোষণার আগে স্বৈরাচারী সরকারের আমলে হওয়া মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা বিতর্কিত ব্যক্তিদের এবারের ভোটের প্রক্রিয়ায় রাখা যাবে না। এ ছাড়া নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
আর ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনাসহ দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত প্রতিষ্ঠান থেকে যেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়া হয়।
ভোটে অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এখনই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে এই সরকারের ও ইসির দৃঢ় ভূমিকা চেয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া, রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ইসির কর্মকর্তাদের নিয়োগ; নির্বাচনকালীন সব প্রক্রিয়ায় জড়িত বেসামরিক প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব কর্মকর্তার বদলি, পদায়ন, অবস্থান, দায়িত্ব ও তাঁদের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ ইসির এখতিয়ারে নেওয়া; নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন এবং নির্বাচনকে জনগণের কাছে দৃশ্যমান বিশ্বাসযোগ্য করতে বিচার বিভাগীয় ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের পাশাপাশি ইসি কর্মকর্তাদেরও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া; ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষের কার্যক্রম ছাড়া ভোটকেন্দ্রের অন্যান্য অভ্যন্তরীণ দৃশ্য বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ রাখতে সিসি ক্যামেরা রাখা; প্রতি জেলা, উপজেলা, থানা নির্বাচন অফিসে অভিযোগ নিরসন কেন্দ্র চালুর দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে বা যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করে অভিযোগকারীকে লিখিতভাবে জানানো; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি গঠনের নির্দেশনা স্থগিত করা; গণ-অভ্যুত্থান ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নামে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে করা মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি মামলা তফসিল ঘোষণার আগেই প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তফসিল ঘোষণার আগে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দলীয় বিবেচনায় দেওয়া সব অস্ত্র সরকারের কাছে জমা দেওয়া নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
এ ছাড়া নির্বাচনে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায়—এমন অপপ্রচার রোধ; ভোটারদের প্রভাবিত করে এমন ধর্মীয় প্রলোভন বা ধর্মীয় দণ্ড দেওয়ার ভীতি প্রদর্শন রোধ; যতদূর সম্ভব কমসংখ্যক ভোটার নিয়ে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ; নির্বাচনী আইন ও বিধি পালনে গাফিলতি করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে বিএনপি।
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির নেতা আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচন হয়েছিল প্রহসনের নির্বাচন। কাদের দ্বারা হয়েছিল? যারা সরকারি কর্মকর্তা হয়েও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করেছিল, তাদের কারণে হয়েছিল।
১৫ বছর যাদের চরিত্র হনন করেছিল আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী, তারা ১৫ মাসে শোধিত হয়ে যাবে এতটা আশা করা বাস্তবতা নয়—এ মন্তব্য করে মঈন খান আরও বলেন, ‘কাজেই নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক থাকতে হবে। বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধরা যেন আগামী নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় কোনোভাবে অংশগ্রহণ করতে না পারে, কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে। এটা ছিল আমাদের আলোচনার একটি মূল বিষয়।’
বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। তবে বিএনপির দাবির বিষয়গুলো নিয়ে কমিশন সভায় আলোচনা হতে পারে বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগ্নেয়াস্ত্রের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কাজ শেষ না করেই প্রায় ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার মদদে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এটিসহ অন্য কিছু বিষয় তদন্তে কম
১৯ জুলাই ২০২৫অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
৫ ঘণ্টা আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
৭ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেসুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৫ নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। অধ্যাদেশটি যখন চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে, তখন অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদায়ন, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সবকিছু সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব বাজেট ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা থাকবে; আর্থিক স্বাধীনতা থাকবে।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের কাছে মনে হয়েছে, কিছু বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে, তাই অর্থ উপদেষ্টার মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই আলোচনার পর আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদ দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এটি হলে বাংলাদেশে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা বিদেশি হোন আর দেশি হোন, বাংলাদেশে অবস্থানকালে ভিন্ন দেশে দুর্নীতি করলেও এর তদন্ত দুদকের মাধ্যমে করা যাবে। সংশোধনীতে ‘জ্ঞাত আয়’ বলতে ‘বৈধ আয়’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভবনে জাদুঘর নির্মাণের জন্য জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন হয়েছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল অফিস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৫ নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। অধ্যাদেশটি যখন চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে, তখন অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদায়ন, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সবকিছু সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব বাজেট ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা থাকবে; আর্থিক স্বাধীনতা থাকবে।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের কাছে মনে হয়েছে, কিছু বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে, তাই অর্থ উপদেষ্টার মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই আলোচনার পর আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদ দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এটি হলে বাংলাদেশে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা বিদেশি হোন আর দেশি হোন, বাংলাদেশে অবস্থানকালে ভিন্ন দেশে দুর্নীতি করলেও এর তদন্ত দুদকের মাধ্যমে করা যাবে। সংশোধনীতে ‘জ্ঞাত আয়’ বলতে ‘বৈধ আয়’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভবনে জাদুঘর নির্মাণের জন্য জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন হয়েছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল অফিস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগ্নেয়াস্ত্রের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কাজ শেষ না করেই প্রায় ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার মদদে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এটিসহ অন্য কিছু বিষয় তদন্তে কম
১৯ জুলাই ২০২৫আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে করণীয় ৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ‘মিথ্যা ও গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে দলটি।
২৬ মিনিট আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
৭ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের রডে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ পায়ে ছয়টি গুলি করে বলে জানিয়েছেন আমির হোসেন নামে এক তরুণ।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষ্য দেন ১৮ বছরের এই তরুণ।
এই মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে চঞ্চল চন্দ্র সরকার গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক।
আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছে। ভয়ে তিনি পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের চারতলার ছাদে উঠে যান। তিনজন পুলিশ সদস্য তখন তাঁর পিছু নিলে তিনি ছাদের একটি রড ধরে ঝুলতে থাকেন।
আমির হোসেন বলেন, সে সময় পুলিশের এক সদস্য তাঁকে নিচে ঝাঁপ দিতে বলেন। তা না করলে তিনি পিস্তল দিয়ে পরপর তিনটি গুলি করেন। তিনটি গুলিই পায়ে বিদ্ধ হয়। এরপর আরেকজন পুলিশ পিস্তল দিয়ে তাঁর দিকে আরও তিনটি গুলি ছোড়েন। সেই গুলিও তাঁর পায়ে লাগে। এরপর জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে ফেমাস হাসপাতালে পান তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের রডে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ পায়ে ছয়টি গুলি করে বলে জানিয়েছেন আমির হোসেন নামে এক তরুণ।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষ্য দেন ১৮ বছরের এই তরুণ।
এই মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে চঞ্চল চন্দ্র সরকার গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক।
আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছে। ভয়ে তিনি পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের চারতলার ছাদে উঠে যান। তিনজন পুলিশ সদস্য তখন তাঁর পিছু নিলে তিনি ছাদের একটি রড ধরে ঝুলতে থাকেন।
আমির হোসেন বলেন, সে সময় পুলিশের এক সদস্য তাঁকে নিচে ঝাঁপ দিতে বলেন। তা না করলে তিনি পিস্তল দিয়ে পরপর তিনটি গুলি করেন। তিনটি গুলিই পায়ে বিদ্ধ হয়। এরপর আরেকজন পুলিশ পিস্তল দিয়ে তাঁর দিকে আরও তিনটি গুলি ছোড়েন। সেই গুলিও তাঁর পায়ে লাগে। এরপর জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে ফেমাস হাসপাতালে পান তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগ্নেয়াস্ত্রের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কাজ শেষ না করেই প্রায় ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার মদদে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এটিসহ অন্য কিছু বিষয় তদন্তে কম
১৯ জুলাই ২০২৫আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে করণীয় ৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ‘মিথ্যা ও গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে দলটি।
২৬ মিনিট আগেঅধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
৫ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশে সংশোধিত শ্রম অধ্যাদেশ-২০২৫ পাস করা হয়েছে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আগে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ছিল। সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। একই কাজের জন্য আগে নারীরা কম বেতন পেতেন। সেটিও তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সমহারে বেতন পাবেন। কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে সেখানে ফান্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ডের সহায়তায় পুনর্বাসন ও চিকিৎসা হবে।
গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশে সংশোধিত শ্রম অধ্যাদেশ-২০২৫ পাস করা হয়েছে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আগে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ছিল। সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। একই কাজের জন্য আগে নারীরা কম বেতন পেতেন। সেটিও তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সমহারে বেতন পাবেন। কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে সেখানে ফান্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ডের সহায়তায় পুনর্বাসন ও চিকিৎসা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগ্নেয়াস্ত্রের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কাজ শেষ না করেই প্রায় ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার মদদে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এটিসহ অন্য কিছু বিষয় তদন্তে কম
১৯ জুলাই ২০২৫আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে করণীয় ৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ‘মিথ্যা ও গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে দলটি।
২৬ মিনিট আগেঅধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
৫ ঘণ্টা আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
৭ ঘণ্টা আগে