তানিম আহমেদ ও সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

সব ঠিকঠাক থাকলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে সপ্তাহখানেকের মাথায়। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে দলের গঠনতন্ত্র-ঘোষণাপত্র, সাংগঠনিক কাঠামো, কর্মসূচি-কৌশল ঠিক করা হচ্ছে। দলের নেতৃত্ব মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। উদ্যোক্তারা গঠনতন্ত্রে এটা নিশ্চিৎ করতে চাইছেন যে দলে যেন একক কোনো ব্যক্তির কর্তৃত্ব সৃষ্টি না হয় এবং দলের মধ্যে গণতন্ত্রচর্চা সমুন্নত রাখা যায়।
দলের কাঠামো, নাম, প্রতীক, গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র তৈরিতে সামনে থেকে কাজ করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দল গঠনের প্রস্তুতির কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আশাবাদী ফেব্রুয়ারির চতুর্থ সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করতে পারব। এর মধ্যে জনসংযোগ, মতামত সংগ্রহ, গঠনতন্ত্র, মূলনীতি, কর্মসূচি, ইশতেহার, ঘোষণাপত্র নিয়ে কাজ চলছে।’
জানা গেছে, চলতি মাসের ২১ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে নতুন দলের আত্মপ্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। শুরুতেই ১৫০-১৭০ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। এক বছরের মধ্যে সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার চিন্তা রয়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বর্তমান তথ্য উপদেষ্টা ও জুলাই আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলামকে আহ্বায়ক হিসেবে মোটামুটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং এই কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন নতুন দলের সদস্যসচিব হিসেবে প্রাথমিক বিবেচনায় রয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
নাহিদ ইসলাম নতুন দলের আহ্বায়ক হচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এগুলো এখনো আলোচনা ও পর্যালোচনার মধ্যে আছে। স্থির কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
নতুন দলের নাম কী হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দলের নাম ও প্রতীকের বিষয়ে মানুষের মতামত জানতে চেয়েছে সংগঠনটি। শতাধিক প্রস্তাবিত নাম নিয়ে সংগঠনের ফোরামে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। দলীয় প্রতীকের বিষয়েও ইলিশ, রিকশা, কলমসহ চারটি প্রতীকের বিষয়ে সংগঠনটির ফোরামে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
আখতার হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো নাম চূড়ান্ত করিনি। অনেক নামের পরামর্শ পেয়েছি, আমাদের তালিকার মধ্যে আছে। আত্মপ্রকাশের সময়েই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
দলের ঘোষণাপত্রে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ঐতিহাসিক মুহূর্ত—১৯৪৭ সালের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর অভ্যুত্থান এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের জাতিগত আকাঙ্ক্ষাসহ নানান বিষয় উল্লেখ থাকবে।
গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তরুণ নেতৃত্ব ও দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার কথা বলেছি। ইতিহাসের বিভিন্ন সংগ্রাম ও জাতিগত আকাঙ্ক্ষার জায়গা, রাষ্ট্র বিনির্মাণ, মানুষের মর্যাদার প্রশ্নকে সব থেকে গুরুত্ব দিয়ে দেখব।’
দল গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন দেশের বৃহৎ এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গঠিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ে পর্যালোচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে যেসব দেশে তরুণদের নেতৃত্বে সরকারের পতন হয়েছে, সেসব দেশের দলগুলোর ইতিহাস, গঠনতন্ত্র, কর্মপদ্ধতি, কার্যক্রম ও কর্মসূচি পর্যালোচনা করে অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তাঁরা। এ ক্ষেত্রে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টি, দেশটির পুরোনো জাস্টিস পার্টি, চিলির তরুণ প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিচের উদ্যোগে গঠিত রাজনৈতিক জোট ব্রড ফ্রন্ট, ভারতের আম আদমি পার্টি, পাকিস্তানের ইমরান খানের নেতৃত্বে তেহরিক-ই-ইনসাফসহ (পিটিআই) কয়েকটি দেশের রাজনৈতিক দলের গঠন, আদর্শ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বা স্লোগানসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এসব দল কীভাবে দেশগুলোতে সহজে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নাগরিক কমিটির এক নেতা বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া, চিলিসহ কয়েকটা জায়গা যেখানে অভ্যুত্থান বা বড় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দল গঠিত হয়েছে, তাদের দেখছি। তাদের গঠনতন্ত্র আমরা দেখছি। কাউকে অনুসরণ করার জন্য নয়, দেখছি তারা কীভাবে কী করছে।
এসব বিষয়ে আখতার হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের যাঁরা রাজনৈতিক দল গঠনপ্রক্রিয়ার সঙ্গে আছেন, তাঁরা অনেকেই অনেক ফরম্যাটের কথা বলেছেন। বিদেশের অনেক রাজনৈতিক দল সম্পর্কেও আমরা পর্যালোচনা করছি। কিন্তু কোনো একক দলকে আমরা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলের আত্মপ্রকাশের পর কোন কোন কর্মসূচির মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা তৈরি করা যাবে, তা নিয়েও পর্যালোচনা করছে নাগরিক কমিটি। কর্মসূচির শুরুতে তারা আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে মাঠে নামবে। যার মাধ্যমে বুঝতে চেষ্টা করবে, কোন কোন রাজনৈতিক দল তাদের পক্ষে আছে।
দলটির একটি সূত্র বলছে, দল ঘোষণার পরে ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা তৈরির চেষ্টা করা হবে। সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত জনগণের বিরুদ্ধে গেলে তা নিয়ে প্রতিবাদ করা হবে, কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হবে। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি না থাকায় জনগণ সেবাবঞ্চিত হচ্ছে, তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে রাজনৈতিকভাবে মাঠে সক্রিয় থাকবে দলটি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের তিন ধরনের কর্মসূচি থাকবে। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একধরনের কর্মসূচি। ২০৩৫ সালকে কেন্দ্র করে একটা মধ্যমেয়াদি এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে একটা দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচির পরিকল্পনা থাকবে।
তুষার বলেন, ‘তরুণেরাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তাঁদের যদি কনভিন্স করতে পারি, তাহলে তাঁরাও তাঁদের পরিবারকে কনভিন্স করতে পারবেন।’

সব ঠিকঠাক থাকলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে সপ্তাহখানেকের মাথায়। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে দলের গঠনতন্ত্র-ঘোষণাপত্র, সাংগঠনিক কাঠামো, কর্মসূচি-কৌশল ঠিক করা হচ্ছে। দলের নেতৃত্ব মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। উদ্যোক্তারা গঠনতন্ত্রে এটা নিশ্চিৎ করতে চাইছেন যে দলে যেন একক কোনো ব্যক্তির কর্তৃত্ব সৃষ্টি না হয় এবং দলের মধ্যে গণতন্ত্রচর্চা সমুন্নত রাখা যায়।
দলের কাঠামো, নাম, প্রতীক, গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র তৈরিতে সামনে থেকে কাজ করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দল গঠনের প্রস্তুতির কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আশাবাদী ফেব্রুয়ারির চতুর্থ সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করতে পারব। এর মধ্যে জনসংযোগ, মতামত সংগ্রহ, গঠনতন্ত্র, মূলনীতি, কর্মসূচি, ইশতেহার, ঘোষণাপত্র নিয়ে কাজ চলছে।’
জানা গেছে, চলতি মাসের ২১ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে নতুন দলের আত্মপ্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। শুরুতেই ১৫০-১৭০ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। এক বছরের মধ্যে সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার চিন্তা রয়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বর্তমান তথ্য উপদেষ্টা ও জুলাই আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলামকে আহ্বায়ক হিসেবে মোটামুটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং এই কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন নতুন দলের সদস্যসচিব হিসেবে প্রাথমিক বিবেচনায় রয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
নাহিদ ইসলাম নতুন দলের আহ্বায়ক হচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এগুলো এখনো আলোচনা ও পর্যালোচনার মধ্যে আছে। স্থির কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
নতুন দলের নাম কী হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দলের নাম ও প্রতীকের বিষয়ে মানুষের মতামত জানতে চেয়েছে সংগঠনটি। শতাধিক প্রস্তাবিত নাম নিয়ে সংগঠনের ফোরামে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। দলীয় প্রতীকের বিষয়েও ইলিশ, রিকশা, কলমসহ চারটি প্রতীকের বিষয়ে সংগঠনটির ফোরামে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
আখতার হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো নাম চূড়ান্ত করিনি। অনেক নামের পরামর্শ পেয়েছি, আমাদের তালিকার মধ্যে আছে। আত্মপ্রকাশের সময়েই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
দলের ঘোষণাপত্রে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ঐতিহাসিক মুহূর্ত—১৯৪৭ সালের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর অভ্যুত্থান এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের জাতিগত আকাঙ্ক্ষাসহ নানান বিষয় উল্লেখ থাকবে।
গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তরুণ নেতৃত্ব ও দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার কথা বলেছি। ইতিহাসের বিভিন্ন সংগ্রাম ও জাতিগত আকাঙ্ক্ষার জায়গা, রাষ্ট্র বিনির্মাণ, মানুষের মর্যাদার প্রশ্নকে সব থেকে গুরুত্ব দিয়ে দেখব।’
দল গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন দেশের বৃহৎ এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গঠিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ে পর্যালোচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে যেসব দেশে তরুণদের নেতৃত্বে সরকারের পতন হয়েছে, সেসব দেশের দলগুলোর ইতিহাস, গঠনতন্ত্র, কর্মপদ্ধতি, কার্যক্রম ও কর্মসূচি পর্যালোচনা করে অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তাঁরা। এ ক্ষেত্রে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টি, দেশটির পুরোনো জাস্টিস পার্টি, চিলির তরুণ প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিচের উদ্যোগে গঠিত রাজনৈতিক জোট ব্রড ফ্রন্ট, ভারতের আম আদমি পার্টি, পাকিস্তানের ইমরান খানের নেতৃত্বে তেহরিক-ই-ইনসাফসহ (পিটিআই) কয়েকটি দেশের রাজনৈতিক দলের গঠন, আদর্শ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বা স্লোগানসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এসব দল কীভাবে দেশগুলোতে সহজে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নাগরিক কমিটির এক নেতা বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া, চিলিসহ কয়েকটা জায়গা যেখানে অভ্যুত্থান বা বড় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দল গঠিত হয়েছে, তাদের দেখছি। তাদের গঠনতন্ত্র আমরা দেখছি। কাউকে অনুসরণ করার জন্য নয়, দেখছি তারা কীভাবে কী করছে।
এসব বিষয়ে আখতার হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের যাঁরা রাজনৈতিক দল গঠনপ্রক্রিয়ার সঙ্গে আছেন, তাঁরা অনেকেই অনেক ফরম্যাটের কথা বলেছেন। বিদেশের অনেক রাজনৈতিক দল সম্পর্কেও আমরা পর্যালোচনা করছি। কিন্তু কোনো একক দলকে আমরা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলের আত্মপ্রকাশের পর কোন কোন কর্মসূচির মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা তৈরি করা যাবে, তা নিয়েও পর্যালোচনা করছে নাগরিক কমিটি। কর্মসূচির শুরুতে তারা আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে মাঠে নামবে। যার মাধ্যমে বুঝতে চেষ্টা করবে, কোন কোন রাজনৈতিক দল তাদের পক্ষে আছে।
দলটির একটি সূত্র বলছে, দল ঘোষণার পরে ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা তৈরির চেষ্টা করা হবে। সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত জনগণের বিরুদ্ধে গেলে তা নিয়ে প্রতিবাদ করা হবে, কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হবে। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি না থাকায় জনগণ সেবাবঞ্চিত হচ্ছে, তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে রাজনৈতিকভাবে মাঠে সক্রিয় থাকবে দলটি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের তিন ধরনের কর্মসূচি থাকবে। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একধরনের কর্মসূচি। ২০৩৫ সালকে কেন্দ্র করে একটা মধ্যমেয়াদি এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে একটা দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচির পরিকল্পনা থাকবে।
তুষার বলেন, ‘তরুণেরাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তাঁদের যদি কনভিন্স করতে পারি, তাহলে তাঁরাও তাঁদের পরিবারকে কনভিন্স করতে পারবেন।’

জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
৯ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
৯ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১২ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সম্ভাব্য নেতিবাচক তৎপরতা, জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা, রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর মতবিরোধ, লুট হওয়া অস্ত্র এখনো উদ্ধার না হওয়া—এ সব মিলিয়ে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে উত্তেজনা ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে ওপরের চিত্র পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) শুরু থেকেই কঠোর অবস্থান নিতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অন্যথায় তা অবনতির দিকে যেতে পারে।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত গণভোটও নেওয়া হবে। গত বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ভোটের তফসিল ঘোষণা করার পর তরুণদের দল এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি এ সময় অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বাহিনীর উদাসীনতা রয়েছে এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি শোনা যাচ্ছে। এর ২৪ ঘণ্টা না যেতেই গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদী। মাথায় গুলি লাগার পর বাঁচা-মরার সন্ধিক্ষণে রয়েছেন এই জুলাই যোদ্ধা।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও দলটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা সক্রিয় আছে। তারা যেকোনোভাবে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করতে পারে—এমন আশঙ্কা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট মহলে রয়েছে। ইতিমধ্যে দলটির সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এক বিদেশি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হলে তা ‘প্রতিহত করা হবে’। এই ‘প্রতিহত করার’ জন্য দলটি তফসিল ঘোষণার পর বড় ধরনের কর্মসূচি বা সহিংস কার্যক্রমের পথেও যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। নির্বাচন চলাকালেও বড় ধরনের নাশকতা বা সংঘর্ষের ঝুঁকি রয়েছে। তবে ইসি এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিইসি। তিনি সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেন, কেউ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুধু কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ নয়, অন্যান্য দলসংশ্লিষ্ট বিষয়ও পরিস্থিতি অস্থির করতে পারে। বিএনপি ও জামায়াতের ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব, অন্যান্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, নতুন জোট গঠন ও মতবিরোধও জটিলতা বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীম মনে করছেন, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মানদণ্ড অনুযায়ী পর্যাপ্ত নয়; তাই তফসিলের পর ইসিকে আরও কঠোর ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের দিনে দেশের বিভিন্ন থানা ও কারাগার থেকে বিপুল অস্ত্র লুট হয়। এসব অস্ত্রের সব এখনো উদ্ধার করা যায়নি। প্রায় ১ হাজার অস্ত্র এখনো বেহাত রয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে ঘটেছে খুন-খারাবিসহ বিভিন্ন অপরাধ। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন পরিবেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে বেহাত অস্ত্রকে। বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এ পর্যন্ত কয়েক দফা বৈঠক করেছে ইসি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নিরাপত্তা প্রস্তুতি চার ধাপে ভাগ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর আজ থেকে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে, যা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত চলবে। রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর পরস্পরের বিরোধ বিবেচনায় নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা, মিটিং-মিছিল থেকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ বাহিনী সব সময় প্রস্তুত থাকবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ নিয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলে অবস্থিত মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বড় চ্যালেঞ্জ। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভোটের বাইরে থাকায় তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে পারে। পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মাঝেও মতবিরোধ রয়েছে। তাই এবারের নির্বাচন আগের তুলনায় আলাদা ও বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। ইসিকে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা নিতে হবে।’
তবে সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা মনে করেন, আওয়ামী লীগ চেষ্টা চালালেও নির্বাচন বানচালে সফল হতে পারবে না। তাঁর ভাষায়, ‘দেশে বিপুল মানুষ ভোট দিতে চাস। তাই একটি পক্ষ চাইলেই বড় প্রভাব ফেলতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম।’
পুলিশপ্রধান, মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেন, ‘বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। দেশে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে পুলিশ সর্বদা তৎপর।’

জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সম্ভাব্য নেতিবাচক তৎপরতা, জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা, রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর মতবিরোধ, লুট হওয়া অস্ত্র এখনো উদ্ধার না হওয়া—এ সব মিলিয়ে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে উত্তেজনা ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে ওপরের চিত্র পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) শুরু থেকেই কঠোর অবস্থান নিতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অন্যথায় তা অবনতির দিকে যেতে পারে।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত গণভোটও নেওয়া হবে। গত বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ভোটের তফসিল ঘোষণা করার পর তরুণদের দল এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি এ সময় অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বাহিনীর উদাসীনতা রয়েছে এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি শোনা যাচ্ছে। এর ২৪ ঘণ্টা না যেতেই গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদী। মাথায় গুলি লাগার পর বাঁচা-মরার সন্ধিক্ষণে রয়েছেন এই জুলাই যোদ্ধা।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও দলটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা সক্রিয় আছে। তারা যেকোনোভাবে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করতে পারে—এমন আশঙ্কা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট মহলে রয়েছে। ইতিমধ্যে দলটির সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এক বিদেশি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হলে তা ‘প্রতিহত করা হবে’। এই ‘প্রতিহত করার’ জন্য দলটি তফসিল ঘোষণার পর বড় ধরনের কর্মসূচি বা সহিংস কার্যক্রমের পথেও যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। নির্বাচন চলাকালেও বড় ধরনের নাশকতা বা সংঘর্ষের ঝুঁকি রয়েছে। তবে ইসি এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিইসি। তিনি সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেন, কেউ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুধু কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ নয়, অন্যান্য দলসংশ্লিষ্ট বিষয়ও পরিস্থিতি অস্থির করতে পারে। বিএনপি ও জামায়াতের ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব, অন্যান্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, নতুন জোট গঠন ও মতবিরোধও জটিলতা বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীম মনে করছেন, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মানদণ্ড অনুযায়ী পর্যাপ্ত নয়; তাই তফসিলের পর ইসিকে আরও কঠোর ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের দিনে দেশের বিভিন্ন থানা ও কারাগার থেকে বিপুল অস্ত্র লুট হয়। এসব অস্ত্রের সব এখনো উদ্ধার করা যায়নি। প্রায় ১ হাজার অস্ত্র এখনো বেহাত রয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে ঘটেছে খুন-খারাবিসহ বিভিন্ন অপরাধ। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন পরিবেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে বেহাত অস্ত্রকে। বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এ পর্যন্ত কয়েক দফা বৈঠক করেছে ইসি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নিরাপত্তা প্রস্তুতি চার ধাপে ভাগ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর আজ থেকে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে, যা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত চলবে। রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর পরস্পরের বিরোধ বিবেচনায় নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা, মিটিং-মিছিল থেকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ বাহিনী সব সময় প্রস্তুত থাকবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ নিয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলে অবস্থিত মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বড় চ্যালেঞ্জ। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভোটের বাইরে থাকায় তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে পারে। পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মাঝেও মতবিরোধ রয়েছে। তাই এবারের নির্বাচন আগের তুলনায় আলাদা ও বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। ইসিকে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা নিতে হবে।’
তবে সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা মনে করেন, আওয়ামী লীগ চেষ্টা চালালেও নির্বাচন বানচালে সফল হতে পারবে না। তাঁর ভাষায়, ‘দেশে বিপুল মানুষ ভোট দিতে চাস। তাই একটি পক্ষ চাইলেই বড় প্রভাব ফেলতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম।’
পুলিশপ্রধান, মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেন, ‘বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। দেশে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে পুলিশ সর্বদা তৎপর।’

সব ঠিকঠাক থাকলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে সপ্তাহখানেকের মাথায়। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে দলের গঠনতন্ত্র-ঘোষণাপত্র, সাংগঠনিক কাঠামো, কর্মসূচি-কৌশল ঠিক করা হচ্ছে। দলের নেতৃত্ব মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
৯ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
৯ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাশাস্ত্রে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। তাঁর মতে, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ সময়ে কোনো নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না।
আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির শারীরিক অবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সায়েদুর রহমান এসব তথ্য জানান।
সায়েদুর রহমান বলেন, হাদি এখন খুবই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন এবং আগামী ৭২ ঘণ্টাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসে রাখা হয়েছে, যদিও চিকিৎসকেরা এখনো আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।
সায়েদুর রহমান আরও জানান, গুলি বাঁ কানের ঠিক ওপর দিয়ে মাথায় ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এই পথ বরাবর মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্রেনস্টেমেও ইনজুরি হয়েছে, যা জীবনরক্ষাকারী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি হিসেবে বিবেচনা করছি। এখন কোনো ধরনের ইন্টারভেনশন সম্ভব নয়। রোগীকে কেবল লাইফ সাপোর্টে ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।’
সায়েদুর রহমানের ভাষায়, রোগীকে এখন কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। তবু একটুখানি আশার জায়গা আছে, ‘রোগীর শরীরে এখনো সাইন অব লাইফ আছে। অপারেশনের সময় তাঁর নিজের শ্বাস নেওয়ার কিছু প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিল।’
তবে পথটা সহজ নয় বলেও জানান ডা. সায়েদুর। তাঁর মতে, হাদি অস্ত্রোপচারের আগেই একবার শকে চলে গিয়েছিলেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তরের সময় তাঁর নাক ও গলা দিয়ে প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়। যদিও আপাতত সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
বিশেষ সহকারী আরও জানান, এখনই আশার কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দুপুরে পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাশাস্ত্রে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। তাঁর মতে, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ সময়ে কোনো নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না।
আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির শারীরিক অবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সায়েদুর রহমান এসব তথ্য জানান।
সায়েদুর রহমান বলেন, হাদি এখন খুবই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন এবং আগামী ৭২ ঘণ্টাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসে রাখা হয়েছে, যদিও চিকিৎসকেরা এখনো আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।
সায়েদুর রহমান আরও জানান, গুলি বাঁ কানের ঠিক ওপর দিয়ে মাথায় ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এই পথ বরাবর মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্রেনস্টেমেও ইনজুরি হয়েছে, যা জীবনরক্ষাকারী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি হিসেবে বিবেচনা করছি। এখন কোনো ধরনের ইন্টারভেনশন সম্ভব নয়। রোগীকে কেবল লাইফ সাপোর্টে ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।’
সায়েদুর রহমানের ভাষায়, রোগীকে এখন কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। তবু একটুখানি আশার জায়গা আছে, ‘রোগীর শরীরে এখনো সাইন অব লাইফ আছে। অপারেশনের সময় তাঁর নিজের শ্বাস নেওয়ার কিছু প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিল।’
তবে পথটা সহজ নয় বলেও জানান ডা. সায়েদুর। তাঁর মতে, হাদি অস্ত্রোপচারের আগেই একবার শকে চলে গিয়েছিলেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তরের সময় তাঁর নাক ও গলা দিয়ে প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়। যদিও আপাতত সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
বিশেষ সহকারী আরও জানান, এখনই আশার কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দুপুরে পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

সব ঠিকঠাক থাকলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে সপ্তাহখানেকের মাথায়। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে দলের গঠনতন্ত্র-ঘোষণাপত্র, সাংগঠনিক কাঠামো, কর্মসূচি-কৌশল ঠিক করা হচ্ছে। দলের নেতৃত্ব মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
৯ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির হামলা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালে অন্যতম উদ্বেগজনক ঘটনা। এই হামলা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত। এর মাধ্যমে পরাজিত শক্তি দেশের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ধরনের হামলার চেষ্টাকে আমরা যেকোনো মূল্যে ব্যর্থ করে দিব। জাতির ওপর এই ধরনের অপশক্তির আঘাত কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
এই হামলার মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই এই ধরনের ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দিব না। আঘাত যা-ই আসুক, যত ঝড়-তুফান আসুক, কোনো শক্তিই আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দেশের আপামর জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের সম্মিলিত শক্তি দিয়ে জাতির জন্য একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করব।’
সভায় বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান জানান, ওসমান হাদির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাঁর পরিবারের ইচ্ছায় ইতোমধ্যে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যে করেই হোক, দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাদির ওপর হামলা এবং হামলার পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’ তিনি দেশবাসীকে ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে আহ্বান জানান।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এরই মধ্যে হামলার স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে সীমান্তে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হামলাকারীরা যাতে কোনোভাবেই দেশ ছাড়তে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার কারণে যাঁরা সম্ভাব্য টার্গেটে পরিণত হয়ে থাকতে পারেন, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।’
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনকালীন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একটি বিশেষ হটলাইন নম্বর চালু করা হবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সম্ভাব্য যেসব স্থানে অপরাধীরা লুকিয়ে থাকতে পারে, সেখানে অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। প্রধান উপদেষ্টা উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শিগগির প্রধান প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. সায়েদুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির হামলা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালে অন্যতম উদ্বেগজনক ঘটনা। এই হামলা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত। এর মাধ্যমে পরাজিত শক্তি দেশের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ধরনের হামলার চেষ্টাকে আমরা যেকোনো মূল্যে ব্যর্থ করে দিব। জাতির ওপর এই ধরনের অপশক্তির আঘাত কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
এই হামলার মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই এই ধরনের ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দিব না। আঘাত যা-ই আসুক, যত ঝড়-তুফান আসুক, কোনো শক্তিই আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দেশের আপামর জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের সম্মিলিত শক্তি দিয়ে জাতির জন্য একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করব।’
সভায় বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান জানান, ওসমান হাদির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাঁর পরিবারের ইচ্ছায় ইতোমধ্যে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যে করেই হোক, দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাদির ওপর হামলা এবং হামলার পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’ তিনি দেশবাসীকে ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে আহ্বান জানান।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এরই মধ্যে হামলার স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে সীমান্তে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হামলাকারীরা যাতে কোনোভাবেই দেশ ছাড়তে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার কারণে যাঁরা সম্ভাব্য টার্গেটে পরিণত হয়ে থাকতে পারেন, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।’
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনকালীন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একটি বিশেষ হটলাইন নম্বর চালু করা হবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সম্ভাব্য যেসব স্থানে অপরাধীরা লুকিয়ে থাকতে পারে, সেখানে অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। প্রধান উপদেষ্টা উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শিগগির প্রধান প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. সায়েদুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সব ঠিকঠাক থাকলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে সপ্তাহখানেকের মাথায়। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে দলের গঠনতন্ত্র-ঘোষণাপত্র, সাংগঠনিক কাঠামো, কর্মসূচি-কৌশল ঠিক করা হচ্ছে। দলের নেতৃত্ব মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
৯ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ রাত ৯টার দিকে এই টেলিফোন কলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় উপদেষ্টা পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত।’
সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়ে ওসমান হাদির ভাইকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কয়েকজন উপদেষ্টাসহ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেছি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে বৈঠক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, হাদির চিকিৎসার সকল ব্যয় সরকার বহন করবে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দেশে-বিদেশে যেখানে প্রয়োজন হয়, সেখানেই সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার অতি আপন ও স্নেহের মানুষ। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমরা তার জন্য দোয়া করছি, আশা করি তিনি দ্রুতই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ রাত ৯টার দিকে এই টেলিফোন কলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় উপদেষ্টা পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত।’
সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়ে ওসমান হাদির ভাইকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কয়েকজন উপদেষ্টাসহ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেছি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে বৈঠক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, হাদির চিকিৎসার সকল ব্যয় সরকার বহন করবে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দেশে-বিদেশে যেখানে প্রয়োজন হয়, সেখানেই সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার অতি আপন ও স্নেহের মানুষ। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমরা তার জন্য দোয়া করছি, আশা করি তিনি দ্রুতই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

সব ঠিকঠাক থাকলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে সপ্তাহখানেকের মাথায়। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে দলের গঠনতন্ত্র-ঘোষণাপত্র, সাংগঠনিক কাঠামো, কর্মসূচি-কৌশল ঠিক করা হচ্ছে। দলের নেতৃত্ব মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
৯ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
৯ ঘণ্টা আগে