তানিম আহমেদ ও সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
সব ঠিকঠাক থাকলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে সপ্তাহখানেকের মাথায়। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে দলের গঠনতন্ত্র-ঘোষণাপত্র, সাংগঠনিক কাঠামো, কর্মসূচি-কৌশল ঠিক করা হচ্ছে। দলের নেতৃত্ব মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। উদ্যোক্তারা গঠনতন্ত্রে এটা নিশ্চিৎ করতে চাইছেন যে দলে যেন একক কোনো ব্যক্তির কর্তৃত্ব সৃষ্টি না হয় এবং দলের মধ্যে গণতন্ত্রচর্চা সমুন্নত রাখা যায়।
দলের কাঠামো, নাম, প্রতীক, গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র তৈরিতে সামনে থেকে কাজ করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দল গঠনের প্রস্তুতির কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আশাবাদী ফেব্রুয়ারির চতুর্থ সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করতে পারব। এর মধ্যে জনসংযোগ, মতামত সংগ্রহ, গঠনতন্ত্র, মূলনীতি, কর্মসূচি, ইশতেহার, ঘোষণাপত্র নিয়ে কাজ চলছে।’
জানা গেছে, চলতি মাসের ২১ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে নতুন দলের আত্মপ্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। শুরুতেই ১৫০-১৭০ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। এক বছরের মধ্যে সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার চিন্তা রয়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বর্তমান তথ্য উপদেষ্টা ও জুলাই আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলামকে আহ্বায়ক হিসেবে মোটামুটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং এই কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন নতুন দলের সদস্যসচিব হিসেবে প্রাথমিক বিবেচনায় রয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
নাহিদ ইসলাম নতুন দলের আহ্বায়ক হচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এগুলো এখনো আলোচনা ও পর্যালোচনার মধ্যে আছে। স্থির কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
নতুন দলের নাম কী হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দলের নাম ও প্রতীকের বিষয়ে মানুষের মতামত জানতে চেয়েছে সংগঠনটি। শতাধিক প্রস্তাবিত নাম নিয়ে সংগঠনের ফোরামে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। দলীয় প্রতীকের বিষয়েও ইলিশ, রিকশা, কলমসহ চারটি প্রতীকের বিষয়ে সংগঠনটির ফোরামে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
আখতার হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো নাম চূড়ান্ত করিনি। অনেক নামের পরামর্শ পেয়েছি, আমাদের তালিকার মধ্যে আছে। আত্মপ্রকাশের সময়েই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
দলের ঘোষণাপত্রে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ঐতিহাসিক মুহূর্ত—১৯৪৭ সালের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর অভ্যুত্থান এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের জাতিগত আকাঙ্ক্ষাসহ নানান বিষয় উল্লেখ থাকবে।
গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তরুণ নেতৃত্ব ও দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার কথা বলেছি। ইতিহাসের বিভিন্ন সংগ্রাম ও জাতিগত আকাঙ্ক্ষার জায়গা, রাষ্ট্র বিনির্মাণ, মানুষের মর্যাদার প্রশ্নকে সব থেকে গুরুত্ব দিয়ে দেখব।’
দল গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন দেশের বৃহৎ এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গঠিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ে পর্যালোচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে যেসব দেশে তরুণদের নেতৃত্বে সরকারের পতন হয়েছে, সেসব দেশের দলগুলোর ইতিহাস, গঠনতন্ত্র, কর্মপদ্ধতি, কার্যক্রম ও কর্মসূচি পর্যালোচনা করে অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তাঁরা। এ ক্ষেত্রে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টি, দেশটির পুরোনো জাস্টিস পার্টি, চিলির তরুণ প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিচের উদ্যোগে গঠিত রাজনৈতিক জোট ব্রড ফ্রন্ট, ভারতের আম আদমি পার্টি, পাকিস্তানের ইমরান খানের নেতৃত্বে তেহরিক-ই-ইনসাফসহ (পিটিআই) কয়েকটি দেশের রাজনৈতিক দলের গঠন, আদর্শ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বা স্লোগানসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এসব দল কীভাবে দেশগুলোতে সহজে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নাগরিক কমিটির এক নেতা বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া, চিলিসহ কয়েকটা জায়গা যেখানে অভ্যুত্থান বা বড় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দল গঠিত হয়েছে, তাদের দেখছি। তাদের গঠনতন্ত্র আমরা দেখছি। কাউকে অনুসরণ করার জন্য নয়, দেখছি তারা কীভাবে কী করছে।
এসব বিষয়ে আখতার হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের যাঁরা রাজনৈতিক দল গঠনপ্রক্রিয়ার সঙ্গে আছেন, তাঁরা অনেকেই অনেক ফরম্যাটের কথা বলেছেন। বিদেশের অনেক রাজনৈতিক দল সম্পর্কেও আমরা পর্যালোচনা করছি। কিন্তু কোনো একক দলকে আমরা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলের আত্মপ্রকাশের পর কোন কোন কর্মসূচির মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা তৈরি করা যাবে, তা নিয়েও পর্যালোচনা করছে নাগরিক কমিটি। কর্মসূচির শুরুতে তারা আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে মাঠে নামবে। যার মাধ্যমে বুঝতে চেষ্টা করবে, কোন কোন রাজনৈতিক দল তাদের পক্ষে আছে।
দলটির একটি সূত্র বলছে, দল ঘোষণার পরে ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা তৈরির চেষ্টা করা হবে। সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত জনগণের বিরুদ্ধে গেলে তা নিয়ে প্রতিবাদ করা হবে, কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হবে। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি না থাকায় জনগণ সেবাবঞ্চিত হচ্ছে, তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে রাজনৈতিকভাবে মাঠে সক্রিয় থাকবে দলটি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের তিন ধরনের কর্মসূচি থাকবে। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একধরনের কর্মসূচি। ২০৩৫ সালকে কেন্দ্র করে একটা মধ্যমেয়াদি এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে একটা দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচির পরিকল্পনা থাকবে।
তুষার বলেন, ‘তরুণেরাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তাঁদের যদি কনভিন্স করতে পারি, তাহলে তাঁরাও তাঁদের পরিবারকে কনভিন্স করতে পারবেন।’
সব ঠিকঠাক থাকলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে সপ্তাহখানেকের মাথায়। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে দলের গঠনতন্ত্র-ঘোষণাপত্র, সাংগঠনিক কাঠামো, কর্মসূচি-কৌশল ঠিক করা হচ্ছে। দলের নেতৃত্ব মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। উদ্যোক্তারা গঠনতন্ত্রে এটা নিশ্চিৎ করতে চাইছেন যে দলে যেন একক কোনো ব্যক্তির কর্তৃত্ব সৃষ্টি না হয় এবং দলের মধ্যে গণতন্ত্রচর্চা সমুন্নত রাখা যায়।
দলের কাঠামো, নাম, প্রতীক, গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র তৈরিতে সামনে থেকে কাজ করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দল গঠনের প্রস্তুতির কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আশাবাদী ফেব্রুয়ারির চতুর্থ সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করতে পারব। এর মধ্যে জনসংযোগ, মতামত সংগ্রহ, গঠনতন্ত্র, মূলনীতি, কর্মসূচি, ইশতেহার, ঘোষণাপত্র নিয়ে কাজ চলছে।’
জানা গেছে, চলতি মাসের ২১ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে নতুন দলের আত্মপ্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। শুরুতেই ১৫০-১৭০ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। এক বছরের মধ্যে সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার চিন্তা রয়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বর্তমান তথ্য উপদেষ্টা ও জুলাই আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলামকে আহ্বায়ক হিসেবে মোটামুটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং এই কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন নতুন দলের সদস্যসচিব হিসেবে প্রাথমিক বিবেচনায় রয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
নাহিদ ইসলাম নতুন দলের আহ্বায়ক হচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এগুলো এখনো আলোচনা ও পর্যালোচনার মধ্যে আছে। স্থির কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
নতুন দলের নাম কী হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দলের নাম ও প্রতীকের বিষয়ে মানুষের মতামত জানতে চেয়েছে সংগঠনটি। শতাধিক প্রস্তাবিত নাম নিয়ে সংগঠনের ফোরামে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। দলীয় প্রতীকের বিষয়েও ইলিশ, রিকশা, কলমসহ চারটি প্রতীকের বিষয়ে সংগঠনটির ফোরামে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
আখতার হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো নাম চূড়ান্ত করিনি। অনেক নামের পরামর্শ পেয়েছি, আমাদের তালিকার মধ্যে আছে। আত্মপ্রকাশের সময়েই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
দলের ঘোষণাপত্রে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ঐতিহাসিক মুহূর্ত—১৯৪৭ সালের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর অভ্যুত্থান এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের জাতিগত আকাঙ্ক্ষাসহ নানান বিষয় উল্লেখ থাকবে।
গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তরুণ নেতৃত্ব ও দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার কথা বলেছি। ইতিহাসের বিভিন্ন সংগ্রাম ও জাতিগত আকাঙ্ক্ষার জায়গা, রাষ্ট্র বিনির্মাণ, মানুষের মর্যাদার প্রশ্নকে সব থেকে গুরুত্ব দিয়ে দেখব।’
দল গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন দেশের বৃহৎ এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গঠিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ে পর্যালোচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে যেসব দেশে তরুণদের নেতৃত্বে সরকারের পতন হয়েছে, সেসব দেশের দলগুলোর ইতিহাস, গঠনতন্ত্র, কর্মপদ্ধতি, কার্যক্রম ও কর্মসূচি পর্যালোচনা করে অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তাঁরা। এ ক্ষেত্রে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টি, দেশটির পুরোনো জাস্টিস পার্টি, চিলির তরুণ প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিচের উদ্যোগে গঠিত রাজনৈতিক জোট ব্রড ফ্রন্ট, ভারতের আম আদমি পার্টি, পাকিস্তানের ইমরান খানের নেতৃত্বে তেহরিক-ই-ইনসাফসহ (পিটিআই) কয়েকটি দেশের রাজনৈতিক দলের গঠন, আদর্শ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বা স্লোগানসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এসব দল কীভাবে দেশগুলোতে সহজে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নাগরিক কমিটির এক নেতা বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া, চিলিসহ কয়েকটা জায়গা যেখানে অভ্যুত্থান বা বড় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দল গঠিত হয়েছে, তাদের দেখছি। তাদের গঠনতন্ত্র আমরা দেখছি। কাউকে অনুসরণ করার জন্য নয়, দেখছি তারা কীভাবে কী করছে।
এসব বিষয়ে আখতার হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের যাঁরা রাজনৈতিক দল গঠনপ্রক্রিয়ার সঙ্গে আছেন, তাঁরা অনেকেই অনেক ফরম্যাটের কথা বলেছেন। বিদেশের অনেক রাজনৈতিক দল সম্পর্কেও আমরা পর্যালোচনা করছি। কিন্তু কোনো একক দলকে আমরা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলের আত্মপ্রকাশের পর কোন কোন কর্মসূচির মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা তৈরি করা যাবে, তা নিয়েও পর্যালোচনা করছে নাগরিক কমিটি। কর্মসূচির শুরুতে তারা আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে মাঠে নামবে। যার মাধ্যমে বুঝতে চেষ্টা করবে, কোন কোন রাজনৈতিক দল তাদের পক্ষে আছে।
দলটির একটি সূত্র বলছে, দল ঘোষণার পরে ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা তৈরির চেষ্টা করা হবে। সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত জনগণের বিরুদ্ধে গেলে তা নিয়ে প্রতিবাদ করা হবে, কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হবে। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি না থাকায় জনগণ সেবাবঞ্চিত হচ্ছে, তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে রাজনৈতিকভাবে মাঠে সক্রিয় থাকবে দলটি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের তিন ধরনের কর্মসূচি থাকবে। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একধরনের কর্মসূচি। ২০৩৫ সালকে কেন্দ্র করে একটা মধ্যমেয়াদি এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে একটা দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচির পরিকল্পনা থাকবে।
তুষার বলেন, ‘তরুণেরাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তাঁদের যদি কনভিন্স করতে পারি, তাহলে তাঁরাও তাঁদের পরিবারকে কনভিন্স করতে পারবেন।’
বৃহস্পতিবার বইমেলায় ঢুকতেই চোখে পড়ল একদল তরুণ-তরুণী। মেয়েদের মাথায় ফুলের টায়রা, পরনে হলুদ-লাল শাড়ি। হাতে জড়ানো হলুদ গাঁদা ফুলের মালা। কারও মুঠোয় লাল গোলাপ কিংবা জারবেরার তোড়া। ছেলেদের কারও কারও পরনে পাঞ্জাবি। নানাভাবে পোজ দিয়ে ছবি তুলছিলেন উচ্ছ্বল ওই তরুণ-তরুণীরা।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টের হত্যা, নৃশংসতার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে প্রামাণ্য দলিল মনে করছেন অন্তর্বর্তী সরকারসংশ্লিষ্ট ও বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত অনেকে।
৩ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের ওপর জোর দিচ্ছে। এজন্য গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশন এরই মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেগুমকে পৃথিবীতে মানবতাবিরোধী সবচেয়ে বড় অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছেন গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বলেছেন, গুম করা হলে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির কোনো চিহ্ন থাকে না। পরিবারের কাছে কেবল তাঁর স্মৃতিটুকু থাকে। তাঁরা গুমের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে