Ajker Patrika

উৎপাদন ও ব্যবহারের অনুমতি পেল বুয়েটের অক্সিজেট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২১, ২৩: ১৫
উৎপাদন ও ব্যবহারের অনুমতি পেল বুয়েটের অক্সিজেট

কোভিড রোগীদের অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ ও উচ্চগতির ভেন্টিলেশনের জন্য বুয়েটের উদ্ভাবিত ‘অক্সিজেট’ সিপ্যাপ ডিভাইস ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির উপ–পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ বুধবারই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। 

অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে অক্সিজেট উদ্ভাবনের নেতৃত্ব দেওয়া বুয়েটের জৈব চিকিৎসা প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তওফিক হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে স্বল্প পরিসরে ২০০ ইউনিট অক্সিজেট উৎপাদন ও প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছি। আরো কিছু পর্যায় আমাদের অতিক্রম করতে হবে। কর্তৃপক্ষ আমাদের ট্রায়াল চালিয়ে যেতে বলেছেন। 

তিনি বলেন, যেহেতু আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আবেদন করেছি, তাই আমরা স্বল্প পরিসরে অনুমোদন পেয়েছি। কোনো কোম্পানির অধীনে হলে পরিমাণটা আরও বাড়তো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আবেদন করাকে গুরুত্ব দিয়েছি। 

এর আগে উদ্ভাবনের পর স্বল্পমূল্যের এই ডিভাইস বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি) ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়। সে অনুযায়ী দুটি ট্রায়াল সম্পন্ন করেন উদ্ভাবকেরা। কিন্তু ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। পরে গত ৫ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। 

পরে আদালত এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিববের কাছে আবেদন করতে বলেন। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে রিপ্রেজেন্টেশন দেওয়ার পাশাপাশি অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর অনুলিপি দিতে বলা হয়। 

করোনাভাইরাস সংক্রমণের উর্ধ্বগতিতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও অক্সিজেন সংকট মোকাবিলায় এই যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কয়েকজন শিক্ষক–শিক্ষার্থী। এটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেই স্বল্পমূল্যে করোনা রোগীদের জন্য উচ্চপ্রবাহের অক্সিজেন নিশ্চিত করা যাবে। বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তত্ত্বাবধানে ১০ মাস গবেষণা করে এটি তৈরি করা হয়। 

করোনায় আক্রান্ত রোগীদের হাই ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহে ন্যাজাল ক্যানুলা লাগে, যার দাম অনেক বেশি। বুয়েটের ডিভাইসটি সিলিন্ডার থেকে অক্সিজেন সরবরাহে ব্যবহার করা হলে প্রতি মিনিটে ৬০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন দেওয়া যায়।

অক্সিজেট সিপ্যাপ (কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেসার) প্রকল্পটিতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সরকারের আইসিটি বিভাগের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) শীর্ষক প্রকল্প, অঙ্কুর ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন এবং মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত