ঢাবি প্রতিনিধি
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে চলমান মামলা স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশের যে নোবেলজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা চিঠি দিয়েছেন, তাঁরা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ডুটা) আয়োজনে এক মানববন্ধনে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ‘প্রতিটি সমাজেই কিছু মানুষ থাকেন, যে মানুষগুলো নীতিজ্ঞান বিবর্জিত এবং তাঁরা অনেক সময় নানাভাবে প্রলোভনের মুখে পড়ে অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেন। আমার ধারণা, এই ব্যক্তিবর্গ যাঁরা আন্তর্জাতিকভাবে (১৬০ জন) বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়াধীন বিষয় নিয়ে তাঁরা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত কিছু মানুষ। আমার ধারণা, নিঃসন্দেহে এই মানুষগুলো লবিস্ট হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। তাঁদের হয়তোবা কোনো গোষ্ঠী, কোনো সম্প্রদায়, কোনো রাজনৈতিক দল ও সংগঠন অথবা কোনো ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ করেছেন। সে কারণেই আজকে তাঁরা দুর্নীতির পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন; অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।’
আখতারুজ্জামান বলেন, ‘তবে এমনও কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের নিজেদের দেশ, দেশমাতৃকা, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি, গৌরব ও অর্জনের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পৃক্ততা থাকে না। যে মানুষগুলোর নাম এখানে উচ্চারিত হচ্ছে, যাকে নিয়ে আবর্তন হচ্ছে তাদের কখনো আমাদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ কিংবা অসাম্প্রদায়িক কোনো অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করতে দেখবেন না। কারণ, এই মানুষগুলো ব্যবসায়িক দৃষ্টিতে পর্দার অন্তরালে থেকে নানা ধরনের পরিস্থিতির সুযোগে তারা স্বার্থ হাসিল করায় নিয়োজিত থাকে এবং এই স্বার্থ হাসিলের সুরক্ষা হিসেবে তারা আন্তর্জাতিকভাবে অন্য মানুষদের হায়ার (ভাড়া) করে থাকেন; লবিস্ট নিয়োগ করে থাকেন। আমার ধারণা, যারা এই দেশে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সেই মানুষগুলো, প্রতিষ্ঠান বা দল সুরক্ষা পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগের জন্য কৌশল গ্রহণ করেছেন এবং এটি ভাবার কোনো কারণ নেই যে এটি আমাদের স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর একটি হস্তক্ষেপ।’
ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রমুখ।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ১৯৯৮ সালের আগস্ট মাস থেকে ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কিস্তি বাকি পড়ায় তিনি (ইউনূস) দরিদ্র মানুষের বিরুদ্ধে ১৩ হাজার সার্টিফিকেট মামলা করেছিলেন। সে সময় অনেক দরিদ্র মানুষ আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। তিনি ১৩ হাজার মামলা করার পরও বিবৃতি দিয়েছেন আইনের চোখে সবাই সমান। তাহলে তিনি কি আইনের চোখে সমান নন? কাজেই ইউনূসের অনৈতিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে যাঁরা মামলা দায়ের করেছেন, তাঁদেরও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার রয়েছে। আইনের ওপর ভিত্তি করে এ মামলাগুলো ফয়সালা হবে।
মুহাম্মদ সামাদ আরও বলেন, ‘তিনি (ইউনূস) একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করেছিলেন। সরকার পরিচালনার খায়েশ তাঁর হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে তাঁর ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি। তিনি এর আগে পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিলেন যাতে পদ্মা সেতু না হয়। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ কিংবা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোনো কিছুর সঙ্গে কখনো যুক্ত হননি। তিনি কখনো শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধে যাননি। তিনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কখনো কথা বলেন না। তাঁর প্রথম টার্গেট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আমরা বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক। স্বাধীনতার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক। কাজেই শেখ হাসিনার ওপর যে আঘাত আসছে—আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও স্থায়িত্বশীল চলমান গণতন্ত্র ব্যবস্থার ওপর যে আঘাত আসছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাব।’
অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, ‘বিচারব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নোবেল বিজয়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ড. ইউনূস। যা৭রা বিবৃতি দিয়েছেন, তাঁরা সেই বিবৃতিটিকে পড়েছেন কি না—একজন শিক্ষক হিসেবে আমার প্রশ্ন আছে। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে স্থগিত করে দেওয়ার জন্য। যে চলমান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অধ্যাপক ড. ইউনূস প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা শ্রমিকদের দেওয়ার জন্য আদালতে রায় হয়েছে। সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা তিনি ইতিমধ্যে প্রদান করেছেন। কর ফাঁকির জন্য ১২ কোটি টাকা তিনি প্রদান করেছেন। তিনি বিচারব্যবস্থা মেনে নিয়েছেন এবং বিচারব্যবস্থা মেনে নিয়ে তিনি যেখানে আপিল করার দরকার ছিল তিনি সেখানে আপিল করেছেন। তিনি যে ধরনের সুবিধা নেওয়ার দরকার ছিল, সেই সকল সুবিধা নিয়ে চলমান বিচারব্যবস্থাকে বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন।’
মাকসুদ কামাল বলেন, ‘নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন নোবেল পুরস্কারের অর্থ তিনি গরিবদের জীবন মানে উন্নয়ন এবং শিক্ষার জন্য ব্যয় করবেন। আমার প্রশ্ন হলো কোন জায়গায় শিক্ষার জন্য তিনি ব্যয় করেছেন। তিনি গরিব মানুষের জন্য কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছেন—এই টাকা দিয়ে এমন কোনো নজির আমার জানা নেই। তিনি (ইউনূস) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দিয়ে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ওপরে চাপ প্রয়োগ করতে চাচ্ছেন। একটি দেশের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অর্থই হলো দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত আনা। আপনি কেন শহীদ মিনারে যান না, কেন স্মৃতিসৌধে যান না, কেন আপনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চান না। এগুলো কি দেশপ্রেমের অংশ নয়। আপনার কি দেশপ্রেম আছে। যদি আপনার দেশপ্রেম থাকত তাহলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে এতগুলো মানুষ থেকে কেন বিবৃতি চেয়ে নিতে হবে?’
মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে চলমান মামলা স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশের যে নোবেলজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা চিঠি দিয়েছেন, তাঁরা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ডুটা) আয়োজনে এক মানববন্ধনে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ‘প্রতিটি সমাজেই কিছু মানুষ থাকেন, যে মানুষগুলো নীতিজ্ঞান বিবর্জিত এবং তাঁরা অনেক সময় নানাভাবে প্রলোভনের মুখে পড়ে অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেন। আমার ধারণা, এই ব্যক্তিবর্গ যাঁরা আন্তর্জাতিকভাবে (১৬০ জন) বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়াধীন বিষয় নিয়ে তাঁরা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত কিছু মানুষ। আমার ধারণা, নিঃসন্দেহে এই মানুষগুলো লবিস্ট হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। তাঁদের হয়তোবা কোনো গোষ্ঠী, কোনো সম্প্রদায়, কোনো রাজনৈতিক দল ও সংগঠন অথবা কোনো ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ করেছেন। সে কারণেই আজকে তাঁরা দুর্নীতির পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন; অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।’
আখতারুজ্জামান বলেন, ‘তবে এমনও কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের নিজেদের দেশ, দেশমাতৃকা, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি, গৌরব ও অর্জনের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পৃক্ততা থাকে না। যে মানুষগুলোর নাম এখানে উচ্চারিত হচ্ছে, যাকে নিয়ে আবর্তন হচ্ছে তাদের কখনো আমাদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ কিংবা অসাম্প্রদায়িক কোনো অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করতে দেখবেন না। কারণ, এই মানুষগুলো ব্যবসায়িক দৃষ্টিতে পর্দার অন্তরালে থেকে নানা ধরনের পরিস্থিতির সুযোগে তারা স্বার্থ হাসিল করায় নিয়োজিত থাকে এবং এই স্বার্থ হাসিলের সুরক্ষা হিসেবে তারা আন্তর্জাতিকভাবে অন্য মানুষদের হায়ার (ভাড়া) করে থাকেন; লবিস্ট নিয়োগ করে থাকেন। আমার ধারণা, যারা এই দেশে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সেই মানুষগুলো, প্রতিষ্ঠান বা দল সুরক্ষা পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগের জন্য কৌশল গ্রহণ করেছেন এবং এটি ভাবার কোনো কারণ নেই যে এটি আমাদের স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর একটি হস্তক্ষেপ।’
ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রমুখ।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ১৯৯৮ সালের আগস্ট মাস থেকে ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কিস্তি বাকি পড়ায় তিনি (ইউনূস) দরিদ্র মানুষের বিরুদ্ধে ১৩ হাজার সার্টিফিকেট মামলা করেছিলেন। সে সময় অনেক দরিদ্র মানুষ আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। তিনি ১৩ হাজার মামলা করার পরও বিবৃতি দিয়েছেন আইনের চোখে সবাই সমান। তাহলে তিনি কি আইনের চোখে সমান নন? কাজেই ইউনূসের অনৈতিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে যাঁরা মামলা দায়ের করেছেন, তাঁদেরও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার রয়েছে। আইনের ওপর ভিত্তি করে এ মামলাগুলো ফয়সালা হবে।
মুহাম্মদ সামাদ আরও বলেন, ‘তিনি (ইউনূস) একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করেছিলেন। সরকার পরিচালনার খায়েশ তাঁর হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে তাঁর ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি। তিনি এর আগে পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিলেন যাতে পদ্মা সেতু না হয়। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ কিংবা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোনো কিছুর সঙ্গে কখনো যুক্ত হননি। তিনি কখনো শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধে যাননি। তিনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কখনো কথা বলেন না। তাঁর প্রথম টার্গেট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আমরা বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক। স্বাধীনতার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক। কাজেই শেখ হাসিনার ওপর যে আঘাত আসছে—আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও স্থায়িত্বশীল চলমান গণতন্ত্র ব্যবস্থার ওপর যে আঘাত আসছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাব।’
অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, ‘বিচারব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নোবেল বিজয়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ড. ইউনূস। যা৭রা বিবৃতি দিয়েছেন, তাঁরা সেই বিবৃতিটিকে পড়েছেন কি না—একজন শিক্ষক হিসেবে আমার প্রশ্ন আছে। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে স্থগিত করে দেওয়ার জন্য। যে চলমান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অধ্যাপক ড. ইউনূস প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা শ্রমিকদের দেওয়ার জন্য আদালতে রায় হয়েছে। সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা তিনি ইতিমধ্যে প্রদান করেছেন। কর ফাঁকির জন্য ১২ কোটি টাকা তিনি প্রদান করেছেন। তিনি বিচারব্যবস্থা মেনে নিয়েছেন এবং বিচারব্যবস্থা মেনে নিয়ে তিনি যেখানে আপিল করার দরকার ছিল তিনি সেখানে আপিল করেছেন। তিনি যে ধরনের সুবিধা নেওয়ার দরকার ছিল, সেই সকল সুবিধা নিয়ে চলমান বিচারব্যবস্থাকে বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন।’
মাকসুদ কামাল বলেন, ‘নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন নোবেল পুরস্কারের অর্থ তিনি গরিবদের জীবন মানে উন্নয়ন এবং শিক্ষার জন্য ব্যয় করবেন। আমার প্রশ্ন হলো কোন জায়গায় শিক্ষার জন্য তিনি ব্যয় করেছেন। তিনি গরিব মানুষের জন্য কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছেন—এই টাকা দিয়ে এমন কোনো নজির আমার জানা নেই। তিনি (ইউনূস) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দিয়ে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ওপরে চাপ প্রয়োগ করতে চাচ্ছেন। একটি দেশের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অর্থই হলো দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত আনা। আপনি কেন শহীদ মিনারে যান না, কেন স্মৃতিসৌধে যান না, কেন আপনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চান না। এগুলো কি দেশপ্রেমের অংশ নয়। আপনার কি দেশপ্রেম আছে। যদি আপনার দেশপ্রেম থাকত তাহলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে এতগুলো মানুষ থেকে কেন বিবৃতি চেয়ে নিতে হবে?’
মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টার পদক্ষেপ কামনা করেছেন কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। আজ রোববার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অফিশিয়াল প্যাডে তাঁর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রধান উপদেষ্টাকে পাঠানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথম সাক্ষী আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ। জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশ পাখির মতো গুলি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মাধ্যমে তৈরি করার প্রস্তাব বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞদেরও সঙ্গে আলোচনা চলবে। আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে কমিশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেজ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী এবং বান্দরবানের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বীর বাহাদুর উশৈসিং এবং তাঁর স্ত্রী মে হ্লা প্রুর নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৪ ঘণ্টা আগে