তাসনিম মহসিন, ঢাকা

করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে যুক্তরাজ্য। এ তালিকায় বাংলাদেশের নামও আছে। অর্থাৎ, যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দেশটির সরকারের তরফ থেকে। এই তালিকা থেকে নাম কাটাতে চায় বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অনুষ্ঠেয় কৌশলগত সংলাপে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আজকের বৈঠকে লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সাড়ে ৭ হাজার ব্রিটিশ-বাংলাদেশি নাগরিক অবস্থান করছেন। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ সংখ্যা জানিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, এই ব্রিটিশ-বাংলাদেশি নাগরিকদের যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব ব্রিটেনের।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সতর্কতা হিসেবে বাংলাদেশসহ মোট ৫৯টি দেশকে লাল তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাজ্য। তালিকাভুক্ত এই দেশগুলো ভ্রমণে বা এই দেশগুলো থেকে কেউ যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন না। তালিকার শুরুতে ভারত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মতো দেশগুলো থাকলেও পরে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ভারতের করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশের চেয়ে কোনো বিবেচনাতেই ভালো নয়।
যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আগেই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘যুক্তরাজ্য কোনো কারণ ছাড়া আমাদের দেশ ভ্রমণে রেড অ্যালার্ট দিয়ে রেখেছে। আমাদের চেয়ে বেশি লোক মারা গেছে ভারতে, তাদের কিন্তু রেড অ্যালার্ট দেয়নি। কেউ কেউ বলে এর কারণ হচ্ছে, যিনি যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তিনি অরিজিনালি পাকিস্তানের।’
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে চতুর্থ কৌশলগত সংলাপ করবেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব। প্রতি দুই বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয় এ বৈঠক। এর আগের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালে। বাংলাদেশের পক্ষে এ বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। যুক্তরাজ্যের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পারমানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি ফিলিপ রবার্ট বার্টোন। গতকাল বুধবার বৈঠকে যোগ দিতে ব্রিটেনে যান মাসুদ বিন মোমেন।
বৈঠকে রাজনৈতিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন অংশীদারত্ব, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার পাশাপাশি বর্তমান বৈশ্বিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হবে। এতে বিশেষভাবে লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।
বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে ২০২০ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে পুরো বিশ্বকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারকে তলব করে বাংলাদেশ সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও অপ্রীতিকর বিবৃতি দেওয়া থেকে ব্রিটিশ সরকারকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিষয়টি কৌশলগত এই সংলাপেও তুলবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিভ্রান্তিকর ও অপ্রীতিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হবে।
প্রসঙ্গত, মানবাধিকার প্রতিবেদনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘গৃহবন্দী’ বলে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়কেই ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছে সরকার। প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এ ধরনের কোনো বিষয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি থাকলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য ব্রিটিশ পক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা নিয়েও বেশ কিছু বিষয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরে ২০২০ সালের প্রতিবেদনে বেশ কিছু শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি এবং বাংলাদেশের নিজস্ব আইন অনুযায়ী স্বীকৃত নয়। এ বিষয়গুলো আবারও উত্থাপিত হতে পারে বৈঠকে। সব মিলিয়ে আজকের এ সংলাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে যুক্তরাজ্য। এ তালিকায় বাংলাদেশের নামও আছে। অর্থাৎ, যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দেশটির সরকারের তরফ থেকে। এই তালিকা থেকে নাম কাটাতে চায় বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অনুষ্ঠেয় কৌশলগত সংলাপে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আজকের বৈঠকে লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সাড়ে ৭ হাজার ব্রিটিশ-বাংলাদেশি নাগরিক অবস্থান করছেন। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ সংখ্যা জানিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, এই ব্রিটিশ-বাংলাদেশি নাগরিকদের যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব ব্রিটেনের।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সতর্কতা হিসেবে বাংলাদেশসহ মোট ৫৯টি দেশকে লাল তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাজ্য। তালিকাভুক্ত এই দেশগুলো ভ্রমণে বা এই দেশগুলো থেকে কেউ যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন না। তালিকার শুরুতে ভারত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মতো দেশগুলো থাকলেও পরে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ভারতের করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশের চেয়ে কোনো বিবেচনাতেই ভালো নয়।
যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আগেই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘যুক্তরাজ্য কোনো কারণ ছাড়া আমাদের দেশ ভ্রমণে রেড অ্যালার্ট দিয়ে রেখেছে। আমাদের চেয়ে বেশি লোক মারা গেছে ভারতে, তাদের কিন্তু রেড অ্যালার্ট দেয়নি। কেউ কেউ বলে এর কারণ হচ্ছে, যিনি যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তিনি অরিজিনালি পাকিস্তানের।’
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে চতুর্থ কৌশলগত সংলাপ করবেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব। প্রতি দুই বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয় এ বৈঠক। এর আগের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালে। বাংলাদেশের পক্ষে এ বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। যুক্তরাজ্যের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পারমানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি ফিলিপ রবার্ট বার্টোন। গতকাল বুধবার বৈঠকে যোগ দিতে ব্রিটেনে যান মাসুদ বিন মোমেন।
বৈঠকে রাজনৈতিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন অংশীদারত্ব, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার পাশাপাশি বর্তমান বৈশ্বিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হবে। এতে বিশেষভাবে লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।
বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে ২০২০ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে পুরো বিশ্বকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারকে তলব করে বাংলাদেশ সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও অপ্রীতিকর বিবৃতি দেওয়া থেকে ব্রিটিশ সরকারকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিষয়টি কৌশলগত এই সংলাপেও তুলবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিভ্রান্তিকর ও অপ্রীতিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হবে।
প্রসঙ্গত, মানবাধিকার প্রতিবেদনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘গৃহবন্দী’ বলে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়কেই ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছে সরকার। প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এ ধরনের কোনো বিষয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি থাকলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য ব্রিটিশ পক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা নিয়েও বেশ কিছু বিষয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরে ২০২০ সালের প্রতিবেদনে বেশ কিছু শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি এবং বাংলাদেশের নিজস্ব আইন অনুযায়ী স্বীকৃত নয়। এ বিষয়গুলো আবারও উত্থাপিত হতে পারে বৈঠকে। সব মিলিয়ে আজকের এ সংলাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
তাসনিম মহসিন, ঢাকা

করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে যুক্তরাজ্য। এ তালিকায় বাংলাদেশের নামও আছে। অর্থাৎ, যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দেশটির সরকারের তরফ থেকে। এই তালিকা থেকে নাম কাটাতে চায় বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অনুষ্ঠেয় কৌশলগত সংলাপে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আজকের বৈঠকে লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সাড়ে ৭ হাজার ব্রিটিশ-বাংলাদেশি নাগরিক অবস্থান করছেন। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ সংখ্যা জানিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, এই ব্রিটিশ-বাংলাদেশি নাগরিকদের যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব ব্রিটেনের।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সতর্কতা হিসেবে বাংলাদেশসহ মোট ৫৯টি দেশকে লাল তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাজ্য। তালিকাভুক্ত এই দেশগুলো ভ্রমণে বা এই দেশগুলো থেকে কেউ যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন না। তালিকার শুরুতে ভারত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মতো দেশগুলো থাকলেও পরে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ভারতের করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশের চেয়ে কোনো বিবেচনাতেই ভালো নয়।
যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আগেই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘যুক্তরাজ্য কোনো কারণ ছাড়া আমাদের দেশ ভ্রমণে রেড অ্যালার্ট দিয়ে রেখেছে। আমাদের চেয়ে বেশি লোক মারা গেছে ভারতে, তাদের কিন্তু রেড অ্যালার্ট দেয়নি। কেউ কেউ বলে এর কারণ হচ্ছে, যিনি যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তিনি অরিজিনালি পাকিস্তানের।’
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে চতুর্থ কৌশলগত সংলাপ করবেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব। প্রতি দুই বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয় এ বৈঠক। এর আগের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালে। বাংলাদেশের পক্ষে এ বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। যুক্তরাজ্যের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পারমানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি ফিলিপ রবার্ট বার্টোন। গতকাল বুধবার বৈঠকে যোগ দিতে ব্রিটেনে যান মাসুদ বিন মোমেন।
বৈঠকে রাজনৈতিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন অংশীদারত্ব, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার পাশাপাশি বর্তমান বৈশ্বিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হবে। এতে বিশেষভাবে লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।
বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে ২০২০ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে পুরো বিশ্বকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারকে তলব করে বাংলাদেশ সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও অপ্রীতিকর বিবৃতি দেওয়া থেকে ব্রিটিশ সরকারকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিষয়টি কৌশলগত এই সংলাপেও তুলবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিভ্রান্তিকর ও অপ্রীতিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হবে।
প্রসঙ্গত, মানবাধিকার প্রতিবেদনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘গৃহবন্দী’ বলে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়কেই ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছে সরকার। প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এ ধরনের কোনো বিষয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি থাকলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য ব্রিটিশ পক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা নিয়েও বেশ কিছু বিষয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরে ২০২০ সালের প্রতিবেদনে বেশ কিছু শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি এবং বাংলাদেশের নিজস্ব আইন অনুযায়ী স্বীকৃত নয়। এ বিষয়গুলো আবারও উত্থাপিত হতে পারে বৈঠকে। সব মিলিয়ে আজকের এ সংলাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে যুক্তরাজ্য। এ তালিকায় বাংলাদেশের নামও আছে। অর্থাৎ, যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দেশটির সরকারের তরফ থেকে। এই তালিকা থেকে নাম কাটাতে চায় বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অনুষ্ঠেয় কৌশলগত সংলাপে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আজকের বৈঠকে লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সাড়ে ৭ হাজার ব্রিটিশ-বাংলাদেশি নাগরিক অবস্থান করছেন। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ সংখ্যা জানিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, এই ব্রিটিশ-বাংলাদেশি নাগরিকদের যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব ব্রিটেনের।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সতর্কতা হিসেবে বাংলাদেশসহ মোট ৫৯টি দেশকে লাল তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাজ্য। তালিকাভুক্ত এই দেশগুলো ভ্রমণে বা এই দেশগুলো থেকে কেউ যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন না। তালিকার শুরুতে ভারত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মতো দেশগুলো থাকলেও পরে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ভারতের করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশের চেয়ে কোনো বিবেচনাতেই ভালো নয়।
যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আগেই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘যুক্তরাজ্য কোনো কারণ ছাড়া আমাদের দেশ ভ্রমণে রেড অ্যালার্ট দিয়ে রেখেছে। আমাদের চেয়ে বেশি লোক মারা গেছে ভারতে, তাদের কিন্তু রেড অ্যালার্ট দেয়নি। কেউ কেউ বলে এর কারণ হচ্ছে, যিনি যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তিনি অরিজিনালি পাকিস্তানের।’
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে চতুর্থ কৌশলগত সংলাপ করবেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব। প্রতি দুই বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয় এ বৈঠক। এর আগের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালে। বাংলাদেশের পক্ষে এ বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। যুক্তরাজ্যের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পারমানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি ফিলিপ রবার্ট বার্টোন। গতকাল বুধবার বৈঠকে যোগ দিতে ব্রিটেনে যান মাসুদ বিন মোমেন।
বৈঠকে রাজনৈতিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন অংশীদারত্ব, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার পাশাপাশি বর্তমান বৈশ্বিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হবে। এতে বিশেষভাবে লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।
বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে ২০২০ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে পুরো বিশ্বকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারকে তলব করে বাংলাদেশ সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও অপ্রীতিকর বিবৃতি দেওয়া থেকে ব্রিটিশ সরকারকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিষয়টি কৌশলগত এই সংলাপেও তুলবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিভ্রান্তিকর ও অপ্রীতিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হবে।
প্রসঙ্গত, মানবাধিকার প্রতিবেদনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘গৃহবন্দী’ বলে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়কেই ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছে সরকার। প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এ ধরনের কোনো বিষয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি থাকলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য ব্রিটিশ পক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা নিয়েও বেশ কিছু বিষয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরে ২০২০ সালের প্রতিবেদনে বেশ কিছু শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি এবং বাংলাদেশের নিজস্ব আইন অনুযায়ী স্বীকৃত নয়। এ বিষয়গুলো আবারও উত্থাপিত হতে পারে বৈঠকে। সব মিলিয়ে আজকের এ সংলাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির কার্যক্রম ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘এগুলো মহামূল্যবান সম্পদ। জাতি হিসেবে আমরা কোন প্রেক্ষাপটে কী প্রক্রিয়ায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম, তা সকলের জন্য দীর্ঘ...
২ মিনিট আগে
দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ওই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।
৩৫ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির কার্যক্রম ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘এগুলো মহামূল্যবান সম্পদ। জাতি হিসেবে আমরা কোন প্রেক্ষাপটে কী প্রক্রিয়ায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম, তা সকলের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং উন্মুক্ত থাকা দরকার।’
আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমাপনী বৈঠকে এসব কথা বলেন কমিশন সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সভায় প্রধান উপদেষ্টা সভাপতিত্ব করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের কাছে আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশ জমা দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। যেখানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
সমাপনী বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের পর থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান পর্যন্ত সমস্ত ডকুমেন্ট, আলোচনার ভিডিও, অডিও ও ছবি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এগুলো মহামূল্যবান সম্পদ। জাতি হিসেবে আমরা কোন প্রেক্ষাপটে কী প্রক্রিয়ায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম, তা সকলের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং উন্মুক্ত থাকা দরকার। যত বৈঠক হয়েছে, সেগুলোর ছবি ও ভিডিও, যত চিঠি চালাচালি হয়েছে—সমস্ত ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে এবং ক্যাটাগরি করে রাখতে হবে। টেলিভিশনে যেসব আলোচনা লাইভ প্রচার হয়েছে, সেগুলো খণ্ড খণ্ড আকারে সংরক্ষণ করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কারণ, এগুলো হবে ইতিহাসের চিরজীবন্ত দলিল। যারা গবেষণা করতে চায়, তারা যেন এগুলো দেখে কাজে লাগাতে পারে। প্রজন্মের পর প্রজন্মে এই ডকুমেন্টস থেকে যাবে। এই দলিলগুলোই ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।’
এ সময় রাজনৈতিক দল, ঐকমত্য কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সমাপনী বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করার পাশাপাশি অন্য সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নেও সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশন সদস্যরা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য কাজ করেছে—উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আইন বিশেষজ্ঞ, বিচারপতি, শিক্ষাবিদসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি মূল দায়িত্বের (বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন) একটি কাঠামোগত সংস্কার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান দায়িত্ব ছিল সংস্কারের একটি রূপরেখা তৈরি করা। মিল-অমিল সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা দৃশ্যমান ছিল। তারা বরাবরই আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছে। দিনের পর দিন অত্যন্ত ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছে।’
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘চব্বিশে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থান আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে, সেটা যেন হারিয়ে না ফেলি। কমিশন সংস্কারকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে জনগণ কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেখতে পারে। কমিশন দায়িত্ব শেষ করল। আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর হবে। কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ অক্টোবর। এরপরেও সরকারের প্রয়োজন হলে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সবাই সরকারের নিবিষ্টতা ও সাহসিকতা প্রত্যাশা করে। গণ-অভ্যুত্থানে এত তাজা প্রাণ ঝরে গেল, এত মানুষ আহত হলো—এটা স্মরণে রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার যাতে নিশ্চিত হয়, এই সুযোগ যেন না হারাই।’
বিচারপতি মো. এমদাদুল হক বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল, একই রকম আন্তরিকতার প্রতিফলন ছিল কমিশনের বৈঠকগুলোতে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক।
সফর রাজ হোসেন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলো বসে ধৈর্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের সৌহার্দ্যতা থাকে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারেও সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, ‘যতগুলো শহীদ পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারা প্রত্যেকে আমাদের জানিয়েছে, সংস্কার নিশ্চিত করা না হলে তাদের সন্তানদের জীবন উৎসর্গ করা বৃথা যাবে বলে তারা মনে করে। যারা জুলাইয়ে জীবন দিল, তারাই এর মূল ভিত্তি।’

জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির কার্যক্রম ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘এগুলো মহামূল্যবান সম্পদ। জাতি হিসেবে আমরা কোন প্রেক্ষাপটে কী প্রক্রিয়ায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম, তা সকলের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং উন্মুক্ত থাকা দরকার।’
আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমাপনী বৈঠকে এসব কথা বলেন কমিশন সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সভায় প্রধান উপদেষ্টা সভাপতিত্ব করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের কাছে আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশ জমা দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। যেখানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
সমাপনী বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের পর থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান পর্যন্ত সমস্ত ডকুমেন্ট, আলোচনার ভিডিও, অডিও ও ছবি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এগুলো মহামূল্যবান সম্পদ। জাতি হিসেবে আমরা কোন প্রেক্ষাপটে কী প্রক্রিয়ায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম, তা সকলের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং উন্মুক্ত থাকা দরকার। যত বৈঠক হয়েছে, সেগুলোর ছবি ও ভিডিও, যত চিঠি চালাচালি হয়েছে—সমস্ত ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে এবং ক্যাটাগরি করে রাখতে হবে। টেলিভিশনে যেসব আলোচনা লাইভ প্রচার হয়েছে, সেগুলো খণ্ড খণ্ড আকারে সংরক্ষণ করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কারণ, এগুলো হবে ইতিহাসের চিরজীবন্ত দলিল। যারা গবেষণা করতে চায়, তারা যেন এগুলো দেখে কাজে লাগাতে পারে। প্রজন্মের পর প্রজন্মে এই ডকুমেন্টস থেকে যাবে। এই দলিলগুলোই ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।’
এ সময় রাজনৈতিক দল, ঐকমত্য কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সমাপনী বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করার পাশাপাশি অন্য সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নেও সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশন সদস্যরা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য কাজ করেছে—উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আইন বিশেষজ্ঞ, বিচারপতি, শিক্ষাবিদসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি মূল দায়িত্বের (বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন) একটি কাঠামোগত সংস্কার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান দায়িত্ব ছিল সংস্কারের একটি রূপরেখা তৈরি করা। মিল-অমিল সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা দৃশ্যমান ছিল। তারা বরাবরই আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছে। দিনের পর দিন অত্যন্ত ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছে।’
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘চব্বিশে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থান আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে, সেটা যেন হারিয়ে না ফেলি। কমিশন সংস্কারকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে জনগণ কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেখতে পারে। কমিশন দায়িত্ব শেষ করল। আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর হবে। কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ অক্টোবর। এরপরেও সরকারের প্রয়োজন হলে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সবাই সরকারের নিবিষ্টতা ও সাহসিকতা প্রত্যাশা করে। গণ-অভ্যুত্থানে এত তাজা প্রাণ ঝরে গেল, এত মানুষ আহত হলো—এটা স্মরণে রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার যাতে নিশ্চিত হয়, এই সুযোগ যেন না হারাই।’
বিচারপতি মো. এমদাদুল হক বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল, একই রকম আন্তরিকতার প্রতিফলন ছিল কমিশনের বৈঠকগুলোতে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক।
সফর রাজ হোসেন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলো বসে ধৈর্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের সৌহার্দ্যতা থাকে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারেও সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, ‘যতগুলো শহীদ পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারা প্রত্যেকে আমাদের জানিয়েছে, সংস্কার নিশ্চিত করা না হলে তাদের সন্তানদের জীবন উৎসর্গ করা বৃথা যাবে বলে তারা মনে করে। যারা জুলাইয়ে জীবন দিল, তারাই এর মূল ভিত্তি।’

করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে যুক্তরাজ্য। এ তালিকায় বাংলাদেশের নামও আছে। অর্থাৎ, যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দেশটির সরকারের তরফে। এই তালিকা থেকে নাম কাটাতে চায় বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অনুষ্ঠেয় কৌশলগ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ওই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।
৩৫ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ওই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সেবিকা সুলতানা স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৮ সালে জারি করা একটি রিট পিটিশন মামলার ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের রায়, সিভিল রিভিউ পিটিশন মামলার ২০২৫ সালের ১৩ মার্চের রায় এবং অর্থ বিভাগের ২০২৫ সালের ৬ অক্টোবরের মতামতের আলোকে ওই ৪৫ জন রিট পিটিশনকারী প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ১১ থেকে দশম গ্রেডে গেজেটেড পদমর্যাদাসহ উন্নীত করা হলো।
চলতি বছরের ৬ অক্টোবর দেওয়া অর্থ বিভাগের মতামত অনুযায়ী রায়ের তারিখ ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেডের সুবিধা প্রাপ্য হবেন বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ তৎকালীন সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিল।
এরপর ওই দিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেডে বেতন ঠিক করে দেয়। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতিসহ প্রধান শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করে আসছিল।
পরে ১১তম ও ১২তম গ্রেড নির্ধারণের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ৪ মার্চ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ সংক্ষুব্ধ ৪৫ শিক্ষক।
২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওই রায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেড পদমর্যাদায় ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে বলা হয়।
এ বিষয়ে সরকারের করা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আপিল খারিজ করে দিয়ে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের ওই রায় দীর্ঘ তিন মাসেও কার্যকর না করায় প্রধান শিক্ষকেরা আদালত অবমাননার মামলা করেন। ওই রায় কার্যকর না করায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এর কারণ দর্শাতে একই বছরের ২৭ জুন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বিবাদীদের এক মাসের সময় দেন। পরে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে সিভিল রিভিউ পিটিশনটি নিষ্পত্তি করে চলতি বছরের ১৩ মার্চ রায় দেন। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তা বাস্তবায়ন হলো।
এদিকে গত ২৮ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সরকার দেশের ৬৫ হাজার ৫০২ প্রধান শিক্ষক পদের বেতন স্কেল বিদ্যমান ১১তম (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে দশম গ্রেডে উন্নীতকরণে সম্মতি দিয়েছে। এর ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করা হলো। এই উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাঁদের সামাজিক মর্যাদা সুসংহত করবে। ফলে তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত ভূমিকা পালন করবেন। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত ও গতিশীল শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। এর মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতি তার দায়বদ্ধতা ও সম্মান প্রদর্শন করছে। এ পদক্ষেপ প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রধান শিক্ষকেরা অন্য শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবক ও সব স্তরের অংশীজনের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করবেন, এটি সরকারের প্রত্যাশা।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ বলেন, ‘দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে অবশেষে প্রধান শিক্ষকদের প্রাণের দাবি বাস্তবায়ন করায় সরকারের সব পক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’

দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ওই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সেবিকা সুলতানা স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৮ সালে জারি করা একটি রিট পিটিশন মামলার ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের রায়, সিভিল রিভিউ পিটিশন মামলার ২০২৫ সালের ১৩ মার্চের রায় এবং অর্থ বিভাগের ২০২৫ সালের ৬ অক্টোবরের মতামতের আলোকে ওই ৪৫ জন রিট পিটিশনকারী প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ১১ থেকে দশম গ্রেডে গেজেটেড পদমর্যাদাসহ উন্নীত করা হলো।
চলতি বছরের ৬ অক্টোবর দেওয়া অর্থ বিভাগের মতামত অনুযায়ী রায়ের তারিখ ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেডের সুবিধা প্রাপ্য হবেন বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ তৎকালীন সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিল।
এরপর ওই দিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেডে বেতন ঠিক করে দেয়। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতিসহ প্রধান শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করে আসছিল।
পরে ১১তম ও ১২তম গ্রেড নির্ধারণের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ৪ মার্চ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ সংক্ষুব্ধ ৪৫ শিক্ষক।
২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওই রায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেড পদমর্যাদায় ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে বলা হয়।
এ বিষয়ে সরকারের করা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আপিল খারিজ করে দিয়ে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের ওই রায় দীর্ঘ তিন মাসেও কার্যকর না করায় প্রধান শিক্ষকেরা আদালত অবমাননার মামলা করেন। ওই রায় কার্যকর না করায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এর কারণ দর্শাতে একই বছরের ২৭ জুন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বিবাদীদের এক মাসের সময় দেন। পরে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে সিভিল রিভিউ পিটিশনটি নিষ্পত্তি করে চলতি বছরের ১৩ মার্চ রায় দেন। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তা বাস্তবায়ন হলো।
এদিকে গত ২৮ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সরকার দেশের ৬৫ হাজার ৫০২ প্রধান শিক্ষক পদের বেতন স্কেল বিদ্যমান ১১তম (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে দশম গ্রেডে উন্নীতকরণে সম্মতি দিয়েছে। এর ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করা হলো। এই উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাঁদের সামাজিক মর্যাদা সুসংহত করবে। ফলে তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত ভূমিকা পালন করবেন। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত ও গতিশীল শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। এর মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতি তার দায়বদ্ধতা ও সম্মান প্রদর্শন করছে। এ পদক্ষেপ প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রধান শিক্ষকেরা অন্য শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবক ও সব স্তরের অংশীজনের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করবেন, এটি সরকারের প্রত্যাশা।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ বলেন, ‘দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে অবশেষে প্রধান শিক্ষকদের প্রাণের দাবি বাস্তবায়ন করায় সরকারের সব পক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’

করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে যুক্তরাজ্য। এ তালিকায় বাংলাদেশের নামও আছে। অর্থাৎ, যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দেশটির সরকারের তরফে। এই তালিকা থেকে নাম কাটাতে চায় বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অনুষ্ঠেয় কৌশলগ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির কার্যক্রম ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘এগুলো মহামূল্যবান সম্পদ। জাতি হিসেবে আমরা কোন প্রেক্ষাপটে কী প্রক্রিয়ায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম, তা সকলের জন্য দীর্ঘ...
২ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে কমিশন মামলাটি অনুমোদন করে। দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শিগগিরই মামলাটি দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
দুদক সূত্রটি জানায়, আসামিদের কাছে সম্পদের উৎস ও সম্পদের বিবরণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে তাঁদের নোটিশ পাঠানো হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। আত্মগোপনে থাকা এই দম্পতি দুদকের নোটিশের জবাবে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হন। পরবর্তী সময়ে তদন্তের অংশ হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। একই সঙ্গে তাঁদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানও চলমান রয়েছে বলে দুদক সূত্রটি জানিয়েছে।
সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গণ-অভ্যুত্থানের সময় তিনি সরকারের পক্ষে গণমাধ্যমে অন্যতম সক্রিয় মুখ ছিলেন।
গত ১৮ মার্চ নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তাঁদের তিন মেয়ে লাবিবা নাঈম খান, যুলিকা নাঈম খান এবং আদিভা নাঈম খানের নামে থাকা ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত।
এর আগে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একই আদালত থেকে সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তাঁদের তিন মেয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস না করেই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক সহকারী পদে ৪২ জনকে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় সাবেক মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মন্ডলসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় জালিয়াতি করা হয়, যার ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে কমিশন মামলাটি অনুমোদন করে। দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শিগগিরই মামলাটি দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
দুদক সূত্রটি জানায়, আসামিদের কাছে সম্পদের উৎস ও সম্পদের বিবরণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে তাঁদের নোটিশ পাঠানো হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। আত্মগোপনে থাকা এই দম্পতি দুদকের নোটিশের জবাবে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হন। পরবর্তী সময়ে তদন্তের অংশ হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। একই সঙ্গে তাঁদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানও চলমান রয়েছে বলে দুদক সূত্রটি জানিয়েছে।
সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গণ-অভ্যুত্থানের সময় তিনি সরকারের পক্ষে গণমাধ্যমে অন্যতম সক্রিয় মুখ ছিলেন।
গত ১৮ মার্চ নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তাঁদের তিন মেয়ে লাবিবা নাঈম খান, যুলিকা নাঈম খান এবং আদিভা নাঈম খানের নামে থাকা ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত।
এর আগে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একই আদালত থেকে সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তাঁদের তিন মেয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস না করেই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক সহকারী পদে ৪২ জনকে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় সাবেক মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মন্ডলসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় জালিয়াতি করা হয়, যার ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে যুক্তরাজ্য। এ তালিকায় বাংলাদেশের নামও আছে। অর্থাৎ, যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দেশটির সরকারের তরফে। এই তালিকা থেকে নাম কাটাতে চায় বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অনুষ্ঠেয় কৌশলগ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির কার্যক্রম ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘এগুলো মহামূল্যবান সম্পদ। জাতি হিসেবে আমরা কোন প্রেক্ষাপটে কী প্রক্রিয়ায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম, তা সকলের জন্য দীর্ঘ...
২ মিনিট আগে
দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ওই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।
৩৫ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই আগামী নির্বাচন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবির প্রধান মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজিরা, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানেরা, সব পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সব জেলা পুলিশ সুপার ভার্চুয়ালি এ সভায় যুক্ত ছিলেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন।
পুলিশপ্রধান নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন। এ ক্ষেত্রে তিনি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি অস্ত্র উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত পুরস্কার সম্পর্কেও প্রচারণা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য ইউনিটপ্রধানদের নির্দেশনা দেন। কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যথাসময়ে দেওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি গুম কমিশনে অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে মামলা রুজু করার জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলাগুলোকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে তদন্ত ও নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন। তিনি মামলা তদন্তের গুণগত মান বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও অনলাইনে যুক্ত জেলা পুলিশ সুপাররা প্রশাসনিক এবং অপারেশনাল নানা বিষয়ে আইজিপির সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই আগামী নির্বাচন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবির প্রধান মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজিরা, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানেরা, সব পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সব জেলা পুলিশ সুপার ভার্চুয়ালি এ সভায় যুক্ত ছিলেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন।
পুলিশপ্রধান নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন। এ ক্ষেত্রে তিনি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি অস্ত্র উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত পুরস্কার সম্পর্কেও প্রচারণা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য ইউনিটপ্রধানদের নির্দেশনা দেন। কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যথাসময়ে দেওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি গুম কমিশনে অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে মামলা রুজু করার জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলাগুলোকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে তদন্ত ও নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন। তিনি মামলা তদন্তের গুণগত মান বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও অনলাইনে যুক্ত জেলা পুলিশ সুপাররা প্রশাসনিক এবং অপারেশনাল নানা বিষয়ে আইজিপির সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে যুক্তরাজ্য। এ তালিকায় বাংলাদেশের নামও আছে। অর্থাৎ, যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দেশটির সরকারের তরফে। এই তালিকা থেকে নাম কাটাতে চায় বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অনুষ্ঠেয় কৌশলগ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির কার্যক্রম ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘এগুলো মহামূল্যবান সম্পদ। জাতি হিসেবে আমরা কোন প্রেক্ষাপটে কী প্রক্রিয়ায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম, তা সকলের জন্য দীর্ঘ...
২ মিনিট আগে
দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ওই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।
৩৫ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগে