Ajker Patrika

ভৌগোলিক কারণে কেউ কেউ বাংলাদেশে পদলেহী সরকার চায়: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২৩, ২১: ২৬
Thumbnail image

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কেউ কেউ চায় এখানে এমন একটা সরকার আসুক—যারা তাদের পদলেহন করবে। বড় দেশগুলো মোড়লিপনা সব জায়গায় করে থাকে। এরা যাদের বন্ধু হয়, তাদের আর শত্রু লাগে না।’ 

আজ বুধবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা ইউক্রেনের বন্ধু হয়েছিল। আজকে ইউক্রেন কী অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। সেখানকার মেয়েরা, বাচ্চারা আজ কষ্ট পাচ্ছে। এমনই বন্ধুত্ব যে সেই বন্ধুত্বের কারণে তাদের দেশও শেষ এবং সেখানকার নারী-শিশুরাও মানবেতর জীবন যাপন করছে। এটা হলো বাস্তবতা।’ 

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মানবাধিকারের কথা আসে। গুম-খুনের কথা বলে। আমার বাবা-মায়ের হত্যাকারী সেই খুনি রাশেদ এখনো আমেরিকায়। বারবার অনুরোধ করি তাকে ফেরত দেন। আমার দেশের বিচারব্যবস্থায় যে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে। সেখানে তাদের হাত দেওয়ার কী অধিকার আছে। তাহলে এই খুনিকে তারা লালন-পালন করে কেন? আরেকজন নূর। সে তো এখন কানাডা। তাকে তারা ফেরত দেয় না। আর খুনি ডালিম-রশিদ এরা তো পাকিস্তানে। কখনো লিবিয়া যায়। কোথায় কোথায় ঘুরে বেড়ায়। তাদের খোঁজ তারা দেয় না। মোসলে উদ্দিনের খোঁজ তারা দেয় না। বাকি যে কয়টা পেয়েছিলাম, তাদের রায় কার্যকর হয়েছে। এ জন্য আমি দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁরা আমার পাশে ছিলেন।’ 

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা যারা মা, বাবা, ভাই হারিয়েছি আমাদের মানবাধিকার কোথায়? আমরা যে বিচার পাইনি। বিচারের জন্য ৩৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমাদের কি বিচার পাওয়ার অধিকার ছিল না? আমরা কি এ দেশের নাগরিক না? রিফিউজি হিসেবে পরদেশে বাস করা কতটা যন্ত্রণার। কতটুকু যন্ত্রণা আমাদের সহ্য করতে হয়েছে। কীভাবে জীবন কেটেছে। তারপরও শোক-ব্যথা বুকে নিয়ে ছোট বাচ্চাদের মাতৃস্নেহ বঞ্চিত করে আমি মাঠে নেমেছি, একটা কথা চিন্তা করে যে জাতির জন্য আমার বাবা-মা জীবন দিয়েছেন। সেই জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। এই স্বাধীনতা যেন কোনোমতে ব্যর্থ হতে না পারে।’ 

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রক্ত দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আজকে আমাদের শুনতে হয় আমাদের হাতে নাকি গণতন্ত্র সুরক্ষিত না। সুরক্ষিত হলো মিলিটারি ডিক্টেটর, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী আর চুরি-ডাকাতি করে মানি লন্ডারিং করে—যাদের জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে বিতাড়িত করেছে ও নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজিত করেছে। আজকে তাদের তারা খুঁজে বের করে গণতন্ত্রের কথা বলার জন্য। এটাই হচ্ছে আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের।’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রকে কখনো প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়নি। তারাই এখন গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী হয়ে গেছে। আর আমাদের কিছু আছে যারা বুদ্ধি বেচিয়া জীবিকা নির্বাহ করে আর এদের পক্ষে কথা বলে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত