আজাদুল আদনান, ঢাকা
দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছেন রাজধানীর আদাবরের বাসিন্দা আইয়ুব হোসেন (৭৬)। মৃত্যুর আগে যাতে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়েন; এ জন্য শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন একদল স্বেচ্ছাসেবী। দেশে প্রতিবছর আয়ুবের মতো নিরাময় অযোগ্য প্রায় ছয় লাখ মানুষের এই সেবা প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেবার আওতায় আসছে এক শতাংশের কম। গত তিন বছরে এই রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। যাঁদের অধিকাংশই নারী। তবে মৃত্যুপথযাত্রী এসব রোগীর ব্যাপারে তেমন উদ্যোগ নেই সরকারের।
জীবনকাল সীমিত ও নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত রোগীর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে একটি সার্বিক প্রচেষ্টা প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা প্রশমন সেবা। ২০০৭ সালে প্রথম রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এই সেবা চালু হয়। পরের বছর থেকে হাসপাতালের পাশাপাশি বাড়িতে গিয়েও সেবা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। পরে ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবাটি চালু হলেও সুযোগ-সুবিধার অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়।
ব্রিটিশ সাপ্তাহিক ইকোনমিস্টের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, প্রশমন সেবা প্রাপ্যতার বিচারে ৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে।
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) দেওয়া তথ্যমতে, ২০১৪ সালে দেশে মৃত্যুপথযাত্রী রোগী ছিল ছয় লাখ। তবে তিন বছর পর ২০১৭ সালে ওয়ার্ল্ড হসিপস অ্যালায়েন্স জানায়, বাংলাদেশে নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোগী আছেন। এরপর আর কোনো গবেষণা হয়নি। বর্তমানে প্রতিবছর ছয় লাখ রোগীর প্রশমন সেবার প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে শিশু ২০-২৫ শতাংশ।
প্রশমন সেবা নিয়ে সম্প্রতি ৮ মাসব্যাপী (অক্টোবর ২০২০-জুন ২০২১) এক গবেষণা চালিয়েছে বিএসএমএমইউর প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগ ও সেন্টার পর প্যালিয়েটিভ কেয়ার (সিপিসি)। এতে ১০৪ জন রোগীর মেডিকেল রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রোগীদের অর্ধেকের বেশি ৫০-৮০ বছর বয়সী।এর মধ্যে ৮৭ ভাগই নারী। ৮৩ ভাগ বিবাহিত, ৬৬ ভাগ রোগী গৃহিণী অথবা গৃহকর্তা এবং ৫৩ শতাংশ রোগীদের জন্য চিকিৎসার খরচ নিজের এবং বন্ধুদের ও পরিবারের সদস্যদের সমন্বয়ের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়।
নারীদের বেশি হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে গবেষণায় অংশ নেওয়া বিএসএমএমইউর চিকিৎসক ডা. ফারিহা হাসিন বলেন, অধিক সময়ে ঘরে থাকায় ভিটামিন ডি সংকটের পাশাপাশি তাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। এ ছাড়া যত্নের ব্যাপারে উদাসীনতাও একটা কারণ।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, ৬০ শতাংশের বেশি রোগী ক্যানসারের। ৬২ ভাগ রোগী চিকিৎসকের অথবা হাসপাতালের মাধ্যমে রেফার হয়ে হোম কেয়ারের জন্য এসেছেন। অধিকাংশ রোগীর প্রধান লক্ষণ ছিল ব্যথা। আর সবচেয়ে বেশি লক্ষণ দেখা গেছে মানসিক সমস্যা ও দুশ্চিন্তা।
জানা গেছে, সরকারিভাবে বিএসএমএমইউ ছাড়াও ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট কিছুটা কাজ করছে। এ ছাড়াও বেসরকারিভাবে ডেলটা মেডিকেল, হসপিস বাংলাদেশ ও আশিক ফাউন্ডেশন কাজ করছে। তবে সবাই পৃথকভাবে। এর মধ্যে বিপুলসংখ্যক রোগীর জন্য পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করছে শুধু বিএসএমএমইউ। রাজধানী ও এর ২০ কিলোমিটারের মধ্যে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ রোগীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই সেবার জন্য তরুণদের এগিয়ে আসার পাশাপাশি সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা হাসপাতালের পাশাপাশি বাড়িতে গিয়ে সেবা দিচ্ছি। সরকার ইতিমধ্যে অনেক উদ্যোগ নিয়েছে, সেটির পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে।’
২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্যনীতিতে প্রশমন সেবা যুক্ত করতে নির্দেশনা দেয়। বাংলাদেশেও সেটির উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এসডিজিতে পরিপূর্ণ করতে ২০১৮ সালে এই সেবার ছোট দুটি প্যারা যুক্ত করা ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি গাইডলাইন বের করলেও সেটি আর এগোয়নি।
বিএসএমএমইউর সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ারের দায়িত্ব পালন করা ডা. রুবাইয়াত রহমান বলেন, প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি যেকোনো সময় প্রায় ৩৯ হাজার শিশুর প্রশমন সেবার প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেভাবে আমাদের সেবাকেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। সরকারিভাবে উপজেলা পর্যায়ে ছোট পরিসরে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তা অত্যন্ত ছোট পদক্ষেপ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়টি গুরুত্ব দিলে স্বাস্থ্যনীতিতে অন্তর্ভুক্তি সম্ভব। এ ছাড়া কোনো কারিকুলাম না থাকা আরেকটি বড় সংকট।
বিষয়টি এ নিয়ে কথা হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রশমন সেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝেই এখনো খুব জানাশোনা নেই। শুধু স্বাস্থ্যনীতিতে যুক্ত করলেই এটির সমাধান হবে না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, বিশ্বব্যাপী এটির ব্যয়ভার অনেক বেশি। এই রোগীদের সামাজিক, পারিপার্শ্বিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। যেটি শুধু সরকারের একার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।’
প্রশমন সেবায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে উল্লেখ করে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুর রহমান তালুকদার রাসকিন বলেন, ‘এই সেবার জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ ও আন্তরিক লোক লাগে। এটাতেই আমাদের সবচেয়ে বড় ঘাটতি।’ তিনি বলেন, ‘ক্যানসারের রোগীর সংখ্যা সামনে ভয়াবহ রূপ নেবে। তাই এটি নিয়ে একটি কর্মকৌশল থাকা খুবই জরুরি।’
দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছেন রাজধানীর আদাবরের বাসিন্দা আইয়ুব হোসেন (৭৬)। মৃত্যুর আগে যাতে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়েন; এ জন্য শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন একদল স্বেচ্ছাসেবী। দেশে প্রতিবছর আয়ুবের মতো নিরাময় অযোগ্য প্রায় ছয় লাখ মানুষের এই সেবা প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেবার আওতায় আসছে এক শতাংশের কম। গত তিন বছরে এই রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। যাঁদের অধিকাংশই নারী। তবে মৃত্যুপথযাত্রী এসব রোগীর ব্যাপারে তেমন উদ্যোগ নেই সরকারের।
জীবনকাল সীমিত ও নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত রোগীর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে একটি সার্বিক প্রচেষ্টা প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা প্রশমন সেবা। ২০০৭ সালে প্রথম রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এই সেবা চালু হয়। পরের বছর থেকে হাসপাতালের পাশাপাশি বাড়িতে গিয়েও সেবা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। পরে ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবাটি চালু হলেও সুযোগ-সুবিধার অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়।
ব্রিটিশ সাপ্তাহিক ইকোনমিস্টের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, প্রশমন সেবা প্রাপ্যতার বিচারে ৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে।
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) দেওয়া তথ্যমতে, ২০১৪ সালে দেশে মৃত্যুপথযাত্রী রোগী ছিল ছয় লাখ। তবে তিন বছর পর ২০১৭ সালে ওয়ার্ল্ড হসিপস অ্যালায়েন্স জানায়, বাংলাদেশে নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোগী আছেন। এরপর আর কোনো গবেষণা হয়নি। বর্তমানে প্রতিবছর ছয় লাখ রোগীর প্রশমন সেবার প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে শিশু ২০-২৫ শতাংশ।
প্রশমন সেবা নিয়ে সম্প্রতি ৮ মাসব্যাপী (অক্টোবর ২০২০-জুন ২০২১) এক গবেষণা চালিয়েছে বিএসএমএমইউর প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগ ও সেন্টার পর প্যালিয়েটিভ কেয়ার (সিপিসি)। এতে ১০৪ জন রোগীর মেডিকেল রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রোগীদের অর্ধেকের বেশি ৫০-৮০ বছর বয়সী।এর মধ্যে ৮৭ ভাগই নারী। ৮৩ ভাগ বিবাহিত, ৬৬ ভাগ রোগী গৃহিণী অথবা গৃহকর্তা এবং ৫৩ শতাংশ রোগীদের জন্য চিকিৎসার খরচ নিজের এবং বন্ধুদের ও পরিবারের সদস্যদের সমন্বয়ের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়।
নারীদের বেশি হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে গবেষণায় অংশ নেওয়া বিএসএমএমইউর চিকিৎসক ডা. ফারিহা হাসিন বলেন, অধিক সময়ে ঘরে থাকায় ভিটামিন ডি সংকটের পাশাপাশি তাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। এ ছাড়া যত্নের ব্যাপারে উদাসীনতাও একটা কারণ।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, ৬০ শতাংশের বেশি রোগী ক্যানসারের। ৬২ ভাগ রোগী চিকিৎসকের অথবা হাসপাতালের মাধ্যমে রেফার হয়ে হোম কেয়ারের জন্য এসেছেন। অধিকাংশ রোগীর প্রধান লক্ষণ ছিল ব্যথা। আর সবচেয়ে বেশি লক্ষণ দেখা গেছে মানসিক সমস্যা ও দুশ্চিন্তা।
জানা গেছে, সরকারিভাবে বিএসএমএমইউ ছাড়াও ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট কিছুটা কাজ করছে। এ ছাড়াও বেসরকারিভাবে ডেলটা মেডিকেল, হসপিস বাংলাদেশ ও আশিক ফাউন্ডেশন কাজ করছে। তবে সবাই পৃথকভাবে। এর মধ্যে বিপুলসংখ্যক রোগীর জন্য পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করছে শুধু বিএসএমএমইউ। রাজধানী ও এর ২০ কিলোমিটারের মধ্যে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ রোগীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই সেবার জন্য তরুণদের এগিয়ে আসার পাশাপাশি সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা হাসপাতালের পাশাপাশি বাড়িতে গিয়ে সেবা দিচ্ছি। সরকার ইতিমধ্যে অনেক উদ্যোগ নিয়েছে, সেটির পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে।’
২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্যনীতিতে প্রশমন সেবা যুক্ত করতে নির্দেশনা দেয়। বাংলাদেশেও সেটির উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এসডিজিতে পরিপূর্ণ করতে ২০১৮ সালে এই সেবার ছোট দুটি প্যারা যুক্ত করা ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি গাইডলাইন বের করলেও সেটি আর এগোয়নি।
বিএসএমএমইউর সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ারের দায়িত্ব পালন করা ডা. রুবাইয়াত রহমান বলেন, প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি যেকোনো সময় প্রায় ৩৯ হাজার শিশুর প্রশমন সেবার প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেভাবে আমাদের সেবাকেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। সরকারিভাবে উপজেলা পর্যায়ে ছোট পরিসরে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তা অত্যন্ত ছোট পদক্ষেপ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়টি গুরুত্ব দিলে স্বাস্থ্যনীতিতে অন্তর্ভুক্তি সম্ভব। এ ছাড়া কোনো কারিকুলাম না থাকা আরেকটি বড় সংকট।
বিষয়টি এ নিয়ে কথা হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রশমন সেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝেই এখনো খুব জানাশোনা নেই। শুধু স্বাস্থ্যনীতিতে যুক্ত করলেই এটির সমাধান হবে না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, বিশ্বব্যাপী এটির ব্যয়ভার অনেক বেশি। এই রোগীদের সামাজিক, পারিপার্শ্বিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। যেটি শুধু সরকারের একার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।’
প্রশমন সেবায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে উল্লেখ করে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুর রহমান তালুকদার রাসকিন বলেন, ‘এই সেবার জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ ও আন্তরিক লোক লাগে। এটাতেই আমাদের সবচেয়ে বড় ঘাটতি।’ তিনি বলেন, ‘ক্যানসারের রোগীর সংখ্যা সামনে ভয়াবহ রূপ নেবে। তাই এটি নিয়ে একটি কর্মকৌশল থাকা খুবই জরুরি।’
গতকাল শুক্রবার ছিল ছুটির দিন। তাই রাজধানীর বাংলাবাজারের সৃজনশীল প্রকাশনীগুলো বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু পরদিন থেকে বইমেলার শুরু; এ কারণে প্রকাশকদের ব্যস্ততার শেষ নেই। পিকআপ ও ভ্যানে ওঠানো হচ্ছে নতুন বই। ছাপা, বাঁধাইয়ের কর্মী, শ্রমিক সবাই ব্যস্ত প্রথম দিনে নতুন বই পাঠকের সামনে তুলে ধরার কাজে। গতকাল রাতভ
৬ ঘণ্টা আগেজ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বেড়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ১ টাকা বেড়ে ১০৫ টাকা, কেরোসিন ১০৪ টাকা থেকে ১০৫ টাকা এবং অকটেন ১২৬ টাকা ও পেট্রল ১২২ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে...
১১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিবেদনের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই; এটি শুধুই একটি বলিউডি রোমান্টিক কমেডি। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস ফেসবুকে তাদের ভেরিফায়েড..
১১ ঘণ্টা আগেমজুরি বৈষম্য দূরীকরণ, চাকরির সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিজেদের অধিকার আদায় করতে শুধু সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যথেষ্ট নয়, বরং আন্দোলন–সংগ্রামও চালিয়ে যেতে হবে—এমনটাই বলেছেন খোদ সরকারের শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।
১৩ ঘণ্টা আগে