Ajker Patrika

ই-পারিবারিক আদালত উদ্বোধন: পারিবারিক বিরোধে ঘরে বসেই মিলবে আইনি সেবা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৭
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সোমবার ঢাকা মহানগর আদালতে ই-পারিবারিক আদালত কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি: বাসস
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সোমবার ঢাকা মহানগর আদালতে ই-পারিবারিক আদালত কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি: বাসস

দেশের বিচার ব্যবস্থায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে আজ ঢাকা মহানগর আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলো ‘ই-পারিবারিক আদালত’ কার্যক্রম। এই নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা, অতিরিক্ত খরচ এবং ভোগান্তি লাঘব করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এ সময় তিনি মন্তব্য করেন, ‘বাংলাদেশের সব পরিবর্তন বা সংস্কার আইনের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছে।’

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ই-পারিবারিক আদালতের সুবিধাগুলো তুলে ধরে বলেন, পারিবারিক বিরোধের ক্ষেত্রে নাগরিকদের এখন আর সশরীরে আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। লিগ্যাল এইড-এর মাধ্যমে বিনামূল্যে এই সেবা নেওয়া যাবে। তিনি আরও জানান, এই নতুন প্রক্রিয়ায় একজনের পরিবর্তে তিনজন বিচারককে যুক্ত করা হয়েছে, যা বিচার প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করবে।

আইন উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টরা এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত না হলে এবং ধারাবাহিকতা বজায় না থাকলে এই সংস্কারগুলো টিকে থাকবে না।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নতুন এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থায় পেপারলেস সিস্টেম আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে, এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। প্রক্রিয়াটি গ্রহণ করার জন্য তিনি আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানান।

বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব মন্তব্য করেন, এই ডিজিটাল কার্যক্রম আইন পেশাজীবীদের আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা দিতে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ই-পারিবারিক আদালত বিচার ব্যবস্থাকে পেপারলেস সিস্টেমের দিকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নেবে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ই-পারিবারিক আদালত চালুর ফলে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা, অতিরিক্ত খরচ, দূরত্বজনিত সমস্যা, কাগজের নথি ব্যবস্থাপনা, সময়ক্ষেপণ এবং আদালত প্রাঙ্গণে ভীড় ও অপেক্ষার মতো সমস্যাগুলোর সমাধান হবে।

নাগরিকরা এই নতুন প্রক্রিয়ায় যে সুবিধাগুলো পাবেন: দ্রুত অনলাইন প্রক্রিয়া; ন্যূনতম খরচ; ঘরে বসে সেবা গ্রহণের সুবিধা; ডিজিটাল নথি ব্যবস্থাপনা এবং

সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা রেজিস্ট্রেশন ও অনলাইন শিডিউলিংয়ের সুবিধা।

ঢাকা মহানগর আদালতের জগন্নাথ-সোহেল স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিচার বিভাগ, আইনজীবী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...