Ajker Patrika

চীনের টিকা গ্রহণকারীরা পর্যবেক্ষণে থাকবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২৬ মে ২০২১, ১৬: ৪৪
Thumbnail image

ঢাকা: প্রথম দফায় চীনের সিনোফার্মের টিকা গ্রহণকারীরা আগামী ৭ থেকে ১০ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, চীন সরকারের উপহার পাওয়া সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। গতকাল প্রথম দিনে ৫০১ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী এই টিকা নিয়েছেন। আগামী ৭ থেকে ১০ দিন তাঁদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর পুনরায় টিকাদান শুরু হবে।

সারা দেশে চলমান টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘টিকা পেতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি শেষ পর্যায়ে। আগামী জুন-জুলাইয়ে আবার টিকাদান শুরু হবে বলে আমরা আশা করছি। তাই, দ্বিতীয় ডোজ প্রত্যাশীদের ধৈর্য ধরতে হবে।’

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বারবার কঠোর বিধিনিষেধের কথা বলে আসছি, যা এখনো সারা দেশে চালু আছে, বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কঠোর লকডাউন চলছে। পাশাপাশি অন্যান্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ৪৮৬টি পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। যেখানে আগের তুলনায় সংক্রমণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। গতকাল যেখানে ১০ শতাংশ ছিল, আজ তা ১৩ শতাংশে পৌঁছেছে। তবে হাসপাতালগুলোতে এখনো রোগীর চাপ কিছুটা কম।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই জানিয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস পৃথিবীর আদিকাল থেকেই আমাদের পরিবেশের সঙ্গে আছে। ক্ষেত্রবিশেষে কখনো কখনো প্রাদুর্ভাব দেখা যেতে পারে। কোভিড পরিস্থিতিতে ক্ষেত্রবিশেষে যেখানে স্টেরয়েড ব্যবহার করতে হয়, যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস আছে, সত্যিকার অর্থে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস তাঁদের জন্যই বিপদের কারণ হতে পারে। আমরা পরিস্থিতি গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছি, আশা করি কোনোভাবেই এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারবে না। যারা করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন, তাঁরা তিন থেকে চার সপ্তাহ পর এটিতে আক্রান্ত হতে পারেন। আমরা এরই মধ্যে জেনেছি দেশে প্রথমবারের মতো এই রোগী পাওয়া গেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করছি।’

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘দক্ষিণ অঞ্চলে যে ডায়রিয়া পরিস্থিতি ছিল, তা নিয়ন্ত্রণে। নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের দুটি উপজেলার ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে যে ঘূর্ণিঝড় আসছে, এমন পরিস্থিতিতে আমরা জানি স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন সুযোগ হয় না। তবে যেন মাস্ক পরা হয়। আমরা যেন নারী ও শিশুর প্রতি মানবিক হই।’

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা ব্যয়ের বিষয়ে অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি একটি বিরল রোগ। খুব বেশি যে হয়, তথ্য–উপাত্ত তেমন বলে না। নিঃসন্দেহে এটির ব্যয়ভার অনেক বেশি। এ জন্য মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত আমরা ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছি। একটি গাইডলাইন প্রবর্তন করার চেষ্টা করছি। এটি মোকাবিলায় কীভাবে ওষুধ সহজলভ্য করা যায়, সেটি নিয়ে কাজ করছি। আমরা খুব অল্প সময়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেব। কেননা, এই ওষুধগুলো সহজে পাওয়া যায় না। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সেইভাবে আমরা অগ্রসর হচ্ছি।’

নতুন করে কোনো সীমান্তবর্তী জেলা লকডাউন করা হবে কি না– জানতে চাইলে নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সবগুলো জেলা পর্যবেক্ষণ করছি। যেখানে যা প্রয়োজন আমরা তা করব। পরিস্থিতি দেখে জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে সরকার যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এখন কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকার কোনো সুযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত