Ajker Patrika

স্যালাইনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, হাসপাতালগুলোই সংগ্রহ করবে: স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক

স্যালাইনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, হাসপাতালগুলোই সংগ্রহ করবে: স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক

ডেঙ্গুর চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট। স্যালাইন হিসেবে রোগীদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়। বেশির ভাগ হাসপাতালে এ স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোকে নতুন করে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এমনটি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। 

আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২৩–এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন খুরশীদ আলম। 

অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, ‘সরকারি ওষুধ উৎপাদন কোম্পানি ইডিসিএলের মাধ্যমে হাসপাতালে স্যালাইন সরবরাহের কথা। কিন্তু বর্তমানে চাহিদা বাড়ায় ইডিসিএল প্রয়োজনীয় স্যালাইনের জোগান দিতে পারছে না। আমরা এ বিষয়ে প্রতিটি হাসপাতালকে নির্দেশনা দিয়েছি এবং অর্থ বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছি। হাসপাতালেগুলো এখন স্থানীয়ভাবে স্যালাইন কেনার ব্যবস্থা নেবে।’ 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু শনাক্তের পর্যাপ্ত কিট রয়েছে। আমরা সব জায়গায় ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা রেখেছি। আমাদের প্রতিটি হাসপাতালে যথেষ্ট পরিমাণে কিট দেওয়া হয়েছে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ কিট মজুত আছে।’ হাসপাতালের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়াতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দেড় হাজার শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’ 

এ সময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘এবার ডেঙ্গু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ডেঙ্গু যে বাড়তে পারে তা আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিলাম। তাই পর্যাপ্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে বলেছি। লক্ষ্য করা গেছে, ডেঙ্গু অনেক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে, গ্রাম-গঞ্জেও ঢুকে পড়েছে। এটিই বড় সমস্যা।’ 

তিনি বলেন, ‘ঢাকায় কিছু কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। বিশেষ করে মুগদা এলাকায়। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে অনেকবার বসা হয়েছে।’ 

হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সচিব বলেন, ‘অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো ঘটে ধৈর্যহীন লোকের কারণে। মুগদা হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে রোগী চলে এসেছে। তাদের ফাঁকা হাসপাতালগুলোতে যেতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের বা স্বজনদের অন্য হাসপাতালে যেতে বললেই ঝামেলা ঘটে। রোগীরা তখন বলে মুগদা হাসপাতাল তাদের বাড়ির পাশে, এখানেই তারা ভর্তি হতে চান। সবাই যদি পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা ও চিকিৎসা নেন তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত