কক্সবাজার বিমানবন্দর
মনজুরুল ইসলাম ঢাকা
আগামী জুলাই মাস থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করতে চায় সরকার। কিন্তু এ জন্য যে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ অবস্থায় বিদ্যমান টার্মিনাল ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার চিন্তা রয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট সাময়িক বন্ধ রাখা হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয় প্রায় এক দশক আগে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাটি আঞ্চলিক হাবে রূপান্তরের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরি বিমান চলাচলের পথ প্রস্তুত রাখাও এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বর্তমানে ‘রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প’সহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। তবে প্রকল্পের কাজ শেষ না হলেও সম্প্রতি সরকার ঘোষণা দিয়েছে আগামী জুলাই মাস থেকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করবে কক্সবাজার বিমানবন্দর।
এ জন্য গত ২১ এপ্রিল বেবিচক চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকের কার্যপত্র সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে যদি নতুন টার্মিনালের কাজ শেষ না হয়, তবে প্রয়োজনে বর্তমান টার্মিনাল ভবন থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ রেখে সীমিত আকারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
বেবিচক জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসে কক্সবাজার থেকে স্বল্প পাল্লার বিমানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবে। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর জন্য এরই মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, আপাতত বর্তমান টার্মিনাল ভবন থেকেই আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হবে। নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনালটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর এখান থেকে বড় আকারের উড়োজাহাজগুলো দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে। তবে বাস্তবতা হলো, নতুন টার্মিনালের কাজ শেষ হতে অন্তত ৯ মাস লাগবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর জন্য এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জমি অধিগ্রহণ ও স্থানীয় উচ্ছেদ সমস্যা। রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য নির্ধারিত ৪ দশমিক ৫৬ একর জমিতে গণপূর্ত ও সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের স্থাপনা রয়েছে, যা এখনো অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিমানবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণকাজ, যেমন ফায়ার স্টেশন ভবন, ড্রেনেজ, পেরিফেরিয়াল রোড ও নিরাপত্তাপ্রাচীর নির্মাণ থেমে রয়েছে।
অন্যদিকে, বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী ঝিনুক মার্কেট এলাকার ১৪টি দোকান এবং বস্তির ৪২টি পরিবার এখনো উচ্ছেদ করা যায়নি। একই সঙ্গে ৬৮২ একর বন্দোবস্তকৃত জমির মধ্যে ৯৭ একর এলাকায় বসবাসরত প্রায় ৩ হাজার ৩০০ পরিবারও বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সত্ত্বেও তাদের সরানো সম্ভব হয়নি। এসব সমস্যার কারণে বিমানবন্দরের ৪০ ভাগ কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে।
জানা গেছে, জমি অধিগ্রহণের জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও কোনো কার্যকর ফল আসেনি। বেবিচক থেকে সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে, যেখানে উচ্ছেদসংক্রান্ত জটিলতা, নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি ও অর্থছাড় নিয়ে সমস্যাগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের অপারেশনাল এলাকার মধ্যে দাবিকৃত ৬ দশমিক ৫৭ একর জমির মধ্যে ৪ দশমিক ৬৪ একর ভূমিতে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় ফায়ার স্টেশন ভবন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পেরিফেরিয়াল রোড এবং সিকিউরিটি বাউন্ডারি ওয়ালসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যদিকে, বিমানবন্দরের অনুকূলে বরাদ্দ ৬৮২ একর জমির মধ্যে ৯৭ একরে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ পরিবার এখনো বসবাস করছে। তাদের উচ্ছেদ করতে না পারাটা প্রকল্প বাস্তবায়নের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে ইতিমধ্যে সমুদ্র এলাকায় রানওয়ে নির্মাণের কাজ ৯৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সমুদ্রবক্ষে বাঁধ নির্মাণকাজ ৯৪ শতাংশ অগ্রসর হয়েছে। ২ হাজার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যের প্রিসিশন অ্যাপ্রোচ লাইট স্থাপনসহ মূল রক্ষণাবেক্ষণ স্টিল ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৮৩ শতাংশ। এ ছাড়া রানওয়ের চারপাশে নিরাপত্তা সীমানাপ্রাচীর ও নিরাপত্তা টহল রাস্তা নির্মাণের অগ্রগতি ২৬ শতাংশ এবং রানওয়ের চারপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ শেষ হয়েছে ৫৫ শতাংশ।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া সম্প্রতি বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরের অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে সব স্টেক হোল্ডারকে নিয়ে কাজ চলছে। বিমানবন্দরের টার্মিনাল অবকাঠামো, রানওয়ে, আলোর ব্যবস্থা, সুরক্ষা বাঁধের কাজগুলো ক্রমাগত পরিদর্শন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়েকে আরও ১ হাজার ৭০০ ফুট সম্প্রসারিত করে মোট ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করা হয়। সম্প্রসারিত অংশের মধ্যে ১ হাজার ৩০০ ফুট সরাসরি সাগরের পানির মধ্যে। এটি দেশের ইতিহাসে প্রথম সমুদ্রের মধ্যে ব্লক তৈরি করে নির্মিত রানওয়ে। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যা পুরোপুরি অর্থায়ন করছে বেবিচক।
আগামী জুলাই মাস থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করতে চায় সরকার। কিন্তু এ জন্য যে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ অবস্থায় বিদ্যমান টার্মিনাল ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার চিন্তা রয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট সাময়িক বন্ধ রাখা হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয় প্রায় এক দশক আগে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাটি আঞ্চলিক হাবে রূপান্তরের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরি বিমান চলাচলের পথ প্রস্তুত রাখাও এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বর্তমানে ‘রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প’সহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। তবে প্রকল্পের কাজ শেষ না হলেও সম্প্রতি সরকার ঘোষণা দিয়েছে আগামী জুলাই মাস থেকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করবে কক্সবাজার বিমানবন্দর।
এ জন্য গত ২১ এপ্রিল বেবিচক চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকের কার্যপত্র সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে যদি নতুন টার্মিনালের কাজ শেষ না হয়, তবে প্রয়োজনে বর্তমান টার্মিনাল ভবন থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ রেখে সীমিত আকারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
বেবিচক জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসে কক্সবাজার থেকে স্বল্প পাল্লার বিমানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবে। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর জন্য এরই মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, আপাতত বর্তমান টার্মিনাল ভবন থেকেই আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হবে। নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনালটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর এখান থেকে বড় আকারের উড়োজাহাজগুলো দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে। তবে বাস্তবতা হলো, নতুন টার্মিনালের কাজ শেষ হতে অন্তত ৯ মাস লাগবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর জন্য এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জমি অধিগ্রহণ ও স্থানীয় উচ্ছেদ সমস্যা। রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য নির্ধারিত ৪ দশমিক ৫৬ একর জমিতে গণপূর্ত ও সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের স্থাপনা রয়েছে, যা এখনো অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিমানবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণকাজ, যেমন ফায়ার স্টেশন ভবন, ড্রেনেজ, পেরিফেরিয়াল রোড ও নিরাপত্তাপ্রাচীর নির্মাণ থেমে রয়েছে।
অন্যদিকে, বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী ঝিনুক মার্কেট এলাকার ১৪টি দোকান এবং বস্তির ৪২টি পরিবার এখনো উচ্ছেদ করা যায়নি। একই সঙ্গে ৬৮২ একর বন্দোবস্তকৃত জমির মধ্যে ৯৭ একর এলাকায় বসবাসরত প্রায় ৩ হাজার ৩০০ পরিবারও বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সত্ত্বেও তাদের সরানো সম্ভব হয়নি। এসব সমস্যার কারণে বিমানবন্দরের ৪০ ভাগ কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে।
জানা গেছে, জমি অধিগ্রহণের জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও কোনো কার্যকর ফল আসেনি। বেবিচক থেকে সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে, যেখানে উচ্ছেদসংক্রান্ত জটিলতা, নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি ও অর্থছাড় নিয়ে সমস্যাগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের অপারেশনাল এলাকার মধ্যে দাবিকৃত ৬ দশমিক ৫৭ একর জমির মধ্যে ৪ দশমিক ৬৪ একর ভূমিতে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় ফায়ার স্টেশন ভবন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পেরিফেরিয়াল রোড এবং সিকিউরিটি বাউন্ডারি ওয়ালসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যদিকে, বিমানবন্দরের অনুকূলে বরাদ্দ ৬৮২ একর জমির মধ্যে ৯৭ একরে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ পরিবার এখনো বসবাস করছে। তাদের উচ্ছেদ করতে না পারাটা প্রকল্প বাস্তবায়নের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে ইতিমধ্যে সমুদ্র এলাকায় রানওয়ে নির্মাণের কাজ ৯৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সমুদ্রবক্ষে বাঁধ নির্মাণকাজ ৯৪ শতাংশ অগ্রসর হয়েছে। ২ হাজার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যের প্রিসিশন অ্যাপ্রোচ লাইট স্থাপনসহ মূল রক্ষণাবেক্ষণ স্টিল ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৮৩ শতাংশ। এ ছাড়া রানওয়ের চারপাশে নিরাপত্তা সীমানাপ্রাচীর ও নিরাপত্তা টহল রাস্তা নির্মাণের অগ্রগতি ২৬ শতাংশ এবং রানওয়ের চারপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ শেষ হয়েছে ৫৫ শতাংশ।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া সম্প্রতি বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরের অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে সব স্টেক হোল্ডারকে নিয়ে কাজ চলছে। বিমানবন্দরের টার্মিনাল অবকাঠামো, রানওয়ে, আলোর ব্যবস্থা, সুরক্ষা বাঁধের কাজগুলো ক্রমাগত পরিদর্শন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়েকে আরও ১ হাজার ৭০০ ফুট সম্প্রসারিত করে মোট ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করা হয়। সম্প্রসারিত অংশের মধ্যে ১ হাজার ৩০০ ফুট সরাসরি সাগরের পানির মধ্যে। এটি দেশের ইতিহাসে প্রথম সমুদ্রের মধ্যে ব্লক তৈরি করে নির্মিত রানওয়ে। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যা পুরোপুরি অর্থায়ন করছে বেবিচক।
কক্সবাজার বিমানবন্দর
মনজুরুল ইসলাম ঢাকা
আগামী জুলাই মাস থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করতে চায় সরকার। কিন্তু এ জন্য যে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ অবস্থায় বিদ্যমান টার্মিনাল ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার চিন্তা রয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট সাময়িক বন্ধ রাখা হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয় প্রায় এক দশক আগে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাটি আঞ্চলিক হাবে রূপান্তরের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরি বিমান চলাচলের পথ প্রস্তুত রাখাও এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বর্তমানে ‘রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প’সহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। তবে প্রকল্পের কাজ শেষ না হলেও সম্প্রতি সরকার ঘোষণা দিয়েছে আগামী জুলাই মাস থেকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করবে কক্সবাজার বিমানবন্দর।
এ জন্য গত ২১ এপ্রিল বেবিচক চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকের কার্যপত্র সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে যদি নতুন টার্মিনালের কাজ শেষ না হয়, তবে প্রয়োজনে বর্তমান টার্মিনাল ভবন থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ রেখে সীমিত আকারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
বেবিচক জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসে কক্সবাজার থেকে স্বল্প পাল্লার বিমানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবে। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর জন্য এরই মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, আপাতত বর্তমান টার্মিনাল ভবন থেকেই আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হবে। নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনালটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর এখান থেকে বড় আকারের উড়োজাহাজগুলো দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে। তবে বাস্তবতা হলো, নতুন টার্মিনালের কাজ শেষ হতে অন্তত ৯ মাস লাগবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর জন্য এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জমি অধিগ্রহণ ও স্থানীয় উচ্ছেদ সমস্যা। রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য নির্ধারিত ৪ দশমিক ৫৬ একর জমিতে গণপূর্ত ও সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের স্থাপনা রয়েছে, যা এখনো অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিমানবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণকাজ, যেমন ফায়ার স্টেশন ভবন, ড্রেনেজ, পেরিফেরিয়াল রোড ও নিরাপত্তাপ্রাচীর নির্মাণ থেমে রয়েছে।
অন্যদিকে, বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী ঝিনুক মার্কেট এলাকার ১৪টি দোকান এবং বস্তির ৪২টি পরিবার এখনো উচ্ছেদ করা যায়নি। একই সঙ্গে ৬৮২ একর বন্দোবস্তকৃত জমির মধ্যে ৯৭ একর এলাকায় বসবাসরত প্রায় ৩ হাজার ৩০০ পরিবারও বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সত্ত্বেও তাদের সরানো সম্ভব হয়নি। এসব সমস্যার কারণে বিমানবন্দরের ৪০ ভাগ কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে।
জানা গেছে, জমি অধিগ্রহণের জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও কোনো কার্যকর ফল আসেনি। বেবিচক থেকে সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে, যেখানে উচ্ছেদসংক্রান্ত জটিলতা, নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি ও অর্থছাড় নিয়ে সমস্যাগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের অপারেশনাল এলাকার মধ্যে দাবিকৃত ৬ দশমিক ৫৭ একর জমির মধ্যে ৪ দশমিক ৬৪ একর ভূমিতে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় ফায়ার স্টেশন ভবন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পেরিফেরিয়াল রোড এবং সিকিউরিটি বাউন্ডারি ওয়ালসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যদিকে, বিমানবন্দরের অনুকূলে বরাদ্দ ৬৮২ একর জমির মধ্যে ৯৭ একরে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ পরিবার এখনো বসবাস করছে। তাদের উচ্ছেদ করতে না পারাটা প্রকল্প বাস্তবায়নের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে ইতিমধ্যে সমুদ্র এলাকায় রানওয়ে নির্মাণের কাজ ৯৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সমুদ্রবক্ষে বাঁধ নির্মাণকাজ ৯৪ শতাংশ অগ্রসর হয়েছে। ২ হাজার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যের প্রিসিশন অ্যাপ্রোচ লাইট স্থাপনসহ মূল রক্ষণাবেক্ষণ স্টিল ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৮৩ শতাংশ। এ ছাড়া রানওয়ের চারপাশে নিরাপত্তা সীমানাপ্রাচীর ও নিরাপত্তা টহল রাস্তা নির্মাণের অগ্রগতি ২৬ শতাংশ এবং রানওয়ের চারপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ শেষ হয়েছে ৫৫ শতাংশ।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া সম্প্রতি বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরের অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে সব স্টেক হোল্ডারকে নিয়ে কাজ চলছে। বিমানবন্দরের টার্মিনাল অবকাঠামো, রানওয়ে, আলোর ব্যবস্থা, সুরক্ষা বাঁধের কাজগুলো ক্রমাগত পরিদর্শন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়েকে আরও ১ হাজার ৭০০ ফুট সম্প্রসারিত করে মোট ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করা হয়। সম্প্রসারিত অংশের মধ্যে ১ হাজার ৩০০ ফুট সরাসরি সাগরের পানির মধ্যে। এটি দেশের ইতিহাসে প্রথম সমুদ্রের মধ্যে ব্লক তৈরি করে নির্মিত রানওয়ে। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যা পুরোপুরি অর্থায়ন করছে বেবিচক।
আগামী জুলাই মাস থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করতে চায় সরকার। কিন্তু এ জন্য যে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ অবস্থায় বিদ্যমান টার্মিনাল ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার চিন্তা রয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট সাময়িক বন্ধ রাখা হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয় প্রায় এক দশক আগে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাটি আঞ্চলিক হাবে রূপান্তরের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরি বিমান চলাচলের পথ প্রস্তুত রাখাও এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বর্তমানে ‘রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প’সহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। তবে প্রকল্পের কাজ শেষ না হলেও সম্প্রতি সরকার ঘোষণা দিয়েছে আগামী জুলাই মাস থেকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করবে কক্সবাজার বিমানবন্দর।
এ জন্য গত ২১ এপ্রিল বেবিচক চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকের কার্যপত্র সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে যদি নতুন টার্মিনালের কাজ শেষ না হয়, তবে প্রয়োজনে বর্তমান টার্মিনাল ভবন থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ রেখে সীমিত আকারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
বেবিচক জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসে কক্সবাজার থেকে স্বল্প পাল্লার বিমানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবে। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর জন্য এরই মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, আপাতত বর্তমান টার্মিনাল ভবন থেকেই আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হবে। নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনালটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর এখান থেকে বড় আকারের উড়োজাহাজগুলো দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে। তবে বাস্তবতা হলো, নতুন টার্মিনালের কাজ শেষ হতে অন্তত ৯ মাস লাগবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর জন্য এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জমি অধিগ্রহণ ও স্থানীয় উচ্ছেদ সমস্যা। রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য নির্ধারিত ৪ দশমিক ৫৬ একর জমিতে গণপূর্ত ও সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের স্থাপনা রয়েছে, যা এখনো অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিমানবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণকাজ, যেমন ফায়ার স্টেশন ভবন, ড্রেনেজ, পেরিফেরিয়াল রোড ও নিরাপত্তাপ্রাচীর নির্মাণ থেমে রয়েছে।
অন্যদিকে, বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী ঝিনুক মার্কেট এলাকার ১৪টি দোকান এবং বস্তির ৪২টি পরিবার এখনো উচ্ছেদ করা যায়নি। একই সঙ্গে ৬৮২ একর বন্দোবস্তকৃত জমির মধ্যে ৯৭ একর এলাকায় বসবাসরত প্রায় ৩ হাজার ৩০০ পরিবারও বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সত্ত্বেও তাদের সরানো সম্ভব হয়নি। এসব সমস্যার কারণে বিমানবন্দরের ৪০ ভাগ কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে।
জানা গেছে, জমি অধিগ্রহণের জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও কোনো কার্যকর ফল আসেনি। বেবিচক থেকে সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে, যেখানে উচ্ছেদসংক্রান্ত জটিলতা, নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি ও অর্থছাড় নিয়ে সমস্যাগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের অপারেশনাল এলাকার মধ্যে দাবিকৃত ৬ দশমিক ৫৭ একর জমির মধ্যে ৪ দশমিক ৬৪ একর ভূমিতে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় ফায়ার স্টেশন ভবন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পেরিফেরিয়াল রোড এবং সিকিউরিটি বাউন্ডারি ওয়ালসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যদিকে, বিমানবন্দরের অনুকূলে বরাদ্দ ৬৮২ একর জমির মধ্যে ৯৭ একরে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ পরিবার এখনো বসবাস করছে। তাদের উচ্ছেদ করতে না পারাটা প্রকল্প বাস্তবায়নের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে ইতিমধ্যে সমুদ্র এলাকায় রানওয়ে নির্মাণের কাজ ৯৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সমুদ্রবক্ষে বাঁধ নির্মাণকাজ ৯৪ শতাংশ অগ্রসর হয়েছে। ২ হাজার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যের প্রিসিশন অ্যাপ্রোচ লাইট স্থাপনসহ মূল রক্ষণাবেক্ষণ স্টিল ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৮৩ শতাংশ। এ ছাড়া রানওয়ের চারপাশে নিরাপত্তা সীমানাপ্রাচীর ও নিরাপত্তা টহল রাস্তা নির্মাণের অগ্রগতি ২৬ শতাংশ এবং রানওয়ের চারপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ শেষ হয়েছে ৫৫ শতাংশ।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া সম্প্রতি বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরের অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে সব স্টেক হোল্ডারকে নিয়ে কাজ চলছে। বিমানবন্দরের টার্মিনাল অবকাঠামো, রানওয়ে, আলোর ব্যবস্থা, সুরক্ষা বাঁধের কাজগুলো ক্রমাগত পরিদর্শন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়েকে আরও ১ হাজার ৭০০ ফুট সম্প্রসারিত করে মোট ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করা হয়। সম্প্রসারিত অংশের মধ্যে ১ হাজার ৩০০ ফুট সরাসরি সাগরের পানির মধ্যে। এটি দেশের ইতিহাসে প্রথম সমুদ্রের মধ্যে ব্লক তৈরি করে নির্মিত রানওয়ে। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যা পুরোপুরি অর্থায়ন করছে বেবিচক।
অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
১ ঘণ্টা আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
২ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
৪ ঘণ্টা আগেসুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৫ নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। অধ্যাদেশটি যখন চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে, তখন অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদায়ন, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সবকিছু সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব বাজেট ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা থাকবে; আর্থিক স্বাধীনতা থাকবে।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের কাছে মনে হয়েছে, কিছু বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে, তাই অর্থ উপদেষ্টার মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই আলোচনার পর আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদ দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এটি হলে বাংলাদেশে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা বিদেশি হোন আর দেশি হোন, বাংলাদেশে অবস্থানকালে ভিন্ন দেশে দুর্নীতি করলেও এর তদন্ত দুদকের মাধ্যমে করা যাবে। সংশোধনীতে ‘জ্ঞাত আয়’ বলতে ‘বৈধ আয়’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভবনে জাদুঘর নির্মাণের জন্য জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন হয়েছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল অফিস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৫ নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। অধ্যাদেশটি যখন চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে, তখন অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদায়ন, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সবকিছু সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব বাজেট ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা থাকবে; আর্থিক স্বাধীনতা থাকবে।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের কাছে মনে হয়েছে, কিছু বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে, তাই অর্থ উপদেষ্টার মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই আলোচনার পর আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদ দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এটি হলে বাংলাদেশে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা বিদেশি হোন আর দেশি হোন, বাংলাদেশে অবস্থানকালে ভিন্ন দেশে দুর্নীতি করলেও এর তদন্ত দুদকের মাধ্যমে করা যাবে। সংশোধনীতে ‘জ্ঞাত আয়’ বলতে ‘বৈধ আয়’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভবনে জাদুঘর নির্মাণের জন্য জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন হয়েছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল অফিস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আগামী জুলাই মাস থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করতে চায় সরকার। কিন্তু এ জন্য যে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ অবস্থায় বিদ্যমান টার্মিনাল ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার চিন্তা রয়েছে।
২৪ মে ২০২৫আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
২ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের রডে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ পায়ে ছয়টি গুলি করে বলে জানিয়েছেন আমির হোসেন নামে এক তরুণ।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষ্য দেন ১৮ বছরের এই তরুণ।
এই মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে চঞ্চল চন্দ্র সরকার গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক।
আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছে। ভয়ে তিনি পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের চারতলার ছাদে উঠে যান। তিনজন পুলিশ সদস্য তখন তাঁর পিছু নিলে তিনি ছাদের একটি রড ধরে ঝুলতে থাকেন।
আমির হোসেন বলেন, সে সময় পুলিশের এক সদস্য তাঁকে নিচে ঝাঁপ দিতে বলেন। তা না করলে তিনি পিস্তল দিয়ে পরপর তিনটি গুলি করেন। তিনটি গুলিই পায়ে বিদ্ধ হয়। এরপর আরেকজন পুলিশ পিস্তল দিয়ে তাঁর দিকে আরও তিনটি গুলি ছোড়েন। সেই গুলিও তাঁর পায়ে লাগে। এরপর জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে ফেমাস হাসপাতালে পান তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের রডে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ পায়ে ছয়টি গুলি করে বলে জানিয়েছেন আমির হোসেন নামে এক তরুণ।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষ্য দেন ১৮ বছরের এই তরুণ।
এই মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে চঞ্চল চন্দ্র সরকার গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক।
আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছে। ভয়ে তিনি পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের চারতলার ছাদে উঠে যান। তিনজন পুলিশ সদস্য তখন তাঁর পিছু নিলে তিনি ছাদের একটি রড ধরে ঝুলতে থাকেন।
আমির হোসেন বলেন, সে সময় পুলিশের এক সদস্য তাঁকে নিচে ঝাঁপ দিতে বলেন। তা না করলে তিনি পিস্তল দিয়ে পরপর তিনটি গুলি করেন। তিনটি গুলিই পায়ে বিদ্ধ হয়। এরপর আরেকজন পুলিশ পিস্তল দিয়ে তাঁর দিকে আরও তিনটি গুলি ছোড়েন। সেই গুলিও তাঁর পায়ে লাগে। এরপর জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে ফেমাস হাসপাতালে পান তিনি।
আগামী জুলাই মাস থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করতে চায় সরকার। কিন্তু এ জন্য যে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ অবস্থায় বিদ্যমান টার্মিনাল ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার চিন্তা রয়েছে।
২৪ মে ২০২৫অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
১ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশে সংশোধিত শ্রম অধ্যাদেশ-২০২৫ পাস করা হয়েছে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আগে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ছিল। সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। একই কাজের জন্য আগে নারীরা কম বেতন পেতেন। সেটিও তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সমহারে বেতন পাবেন। কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে সেখানে ফান্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ডের সহায়তায় পুনর্বাসন ও চিকিৎসা হবে।
গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশে সংশোধিত শ্রম অধ্যাদেশ-২০২৫ পাস করা হয়েছে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আগে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ছিল। সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। একই কাজের জন্য আগে নারীরা কম বেতন পেতেন। সেটিও তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সমহারে বেতন পাবেন। কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে সেখানে ফান্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ডের সহায়তায় পুনর্বাসন ও চিকিৎসা হবে।
আগামী জুলাই মাস থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করতে চায় সরকার। কিন্তু এ জন্য যে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ অবস্থায় বিদ্যমান টার্মিনাল ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার চিন্তা রয়েছে।
২৪ মে ২০২৫অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
১ ঘণ্টা আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
২ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
৪ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংসদ নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি অংশ নিতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তেজগাঁওয়ে আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রথা বাতিল করেছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব ছাড়াও দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে। এই হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আগে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা। সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অধ্যাদেশে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাত্র একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না’ ভোট হবে। ‘না’ ভোট বেশি পড়লে ওই আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আগে নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ হাজারখানেক মানুষ ভোটদানে বিরত থাকতেন। তাঁদের জন্য এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসীদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগে কোনো কেন্দ্রে গন্ডগোল হলে সেখানে ভোট বাতিল করা হতো। সংশোধিত আদেশে নির্বাচন কমিশন চাইলে এখন পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে। সে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
সংসদ নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি অংশ নিতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তেজগাঁওয়ে আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রথা বাতিল করেছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব ছাড়াও দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে। এই হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আগে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা। সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অধ্যাদেশে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাত্র একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না’ ভোট হবে। ‘না’ ভোট বেশি পড়লে ওই আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আগে নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ হাজারখানেক মানুষ ভোটদানে বিরত থাকতেন। তাঁদের জন্য এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসীদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগে কোনো কেন্দ্রে গন্ডগোল হলে সেখানে ভোট বাতিল করা হতো। সংশোধিত আদেশে নির্বাচন কমিশন চাইলে এখন পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে। সে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
আগামী জুলাই মাস থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করতে চায় সরকার। কিন্তু এ জন্য যে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ অবস্থায় বিদ্যমান টার্মিনাল ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার চিন্তা রয়েছে।
২৪ মে ২০২৫অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
১ ঘণ্টা আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
২ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে