Ajker Patrika

সমস্ত মিটারগেজ রেললাইন ব্রডগেজ করা হচ্ছে: রেলমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সমস্ত মিটারগেজ রেললাইন ব্রডগেজ করা হচ্ছে: রেলমন্ত্রী

রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সমস্ত রেল লাইন ব্রডগেজে আছে। কিন্তু আমাদের এখনো অনেক লাইন মিটারগেজ অবস্থায় আছে। সুতরাং ভারতের সঙ্গে রেল ব্যবস্থায় আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। তবে পর্যায়ক্রমে আমাদের সমস্ত মিটারগেজ রেললাইনগুলো ব্রডগেজে রূপান্তর করা হচ্ছে। 

আজ সোমবার রাজধানীর রেলভবনে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া রেললাইনের পরামর্শক নিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী। 

বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ভারতীয় কনসালটেন্সি সার্ভিস রাইটস এবং আরভি অ্যাসোসিয়েটস আর্কিটেক্টস ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনসালটেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিঞা এবং কনসালটেন্সি সার্ভিস এর পক্ষে ভারতের রাইটসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্জয় আগারওয়াল স্বাক্ষর করেন। 

এ সময় রেলপথ মন্ত্রী বলেন, নতুন এ রেল লাইনের মাধ্যমে সমগ্র উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ আরও সহজ হবে। বর্তমান সরকার রেল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে কোন লাইন আর মিটারগেজ থাকবে না। একই সঙ্গে সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইন করা হচ্ছে। 

বাংলাদেশ রেলওয়েতে ভারতের বিভিন্ন সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তিনটি এলওসির মাধ্যমে ভারত সরকার রেলওয়েতে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ক্ষেত্রে ভারত অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। 

ভারতীয় অর্থায়নে নির্মিত কয়েকটি প্রকল্পের নাম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন লাইন নির্মাণ, ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয়ও চতুর্থ লাইন নির্মাণ, টঙ্গী-জয়দেবপুর ডাবল লাইন নির্মাণ, সিরাজগঞ্জ-বগুড়া নতুন রেলপথ নির্মাণ, পার্বতীপুর-কাউনিয়া পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ, খুলনা-দর্শনা, কুলাউড়া-শাহবাজপুর নতুন রেলপথ নির্মাণ, সৈয়দপুর কারখানার আধুনিকায়ন প্রকল্প ভারতীয় অর্থায়নে হচ্ছে। এ ছাড়া ভারত আমাদের ক্যাটারিং সার্ভিসের উন্নয়নসহ ট্রেনিং ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ভারতের সঙ্গে আমাদের কয়েকটি রেল কানেকটিভিটি গড়ে উঠেছে। 

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর একনেকের সভায় বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন পায়। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে বগুড়ার দূরত্ব ১১২ কিলোমিটার কমে আসবে। ফলে এই রুটে যাতায়াতের সময়ও প্রায় তিন ঘণ্টা কমবে। প্রকল্পের আওতায় ৮৬ কিলোমিটার মেইন লাইন, ১৬ কিলোমিটার লুপ লাইন ও সাতটি নতুন স্টেশন নির্মিত হবে। তা ছাড়া ৯৬০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। আগামী ১৩ মাসের মধ্যে নিয়োগকৃত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান তাদের রিপোর্ট প্রদান করবে, এর পরে মূল রেল লাইন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা সহ অন্যান্য কাজ শুরু হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত